কলকাতা 

সুকান্ত শুভেন্দুর আপত্তিকে অগ্রাহ্য করে মমতার সঙ্গে একান্তে বৈঠক করলেন নরেন্দ্র মোদি, বৈঠকে কী কথা আলোচনা হল ? জানতে হলে ক্লিক করুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বুলবুল চৌধুরী : সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়, তাতে বলা হয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির অফিস থেকে বলা হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোন একান্ত বৈঠক হবে না যা কথা হবে নীতি আয়োগ এর বৈঠকেই। আর এই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া স্ট্যাটাস নিয়ে যখন বঙ্গ রাজনীতি উত্তাল ঠিক তখনই জানা গেল আজ ৫ই আগস্ট শুক্রবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে একান্তে বৈঠক করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আসলে বিজেপি দল মরিয়া হয়ে প্রমাণ করতে চাইছে যে তাদের সঙ্গে কোনভাবেই তৃণমূল কংগ্রেসের যোগাযোগ নেই কিন্তু কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বারবার এটা প্রমাণ করে দিচ্ছে,বিজেপির সঙ্গে গোপন সমঝোতা আছে তৃণমূলের।

দিল্লিতে বিজেপি বঙ্গে তৃণমূল এই তত্ত্বই এখন বাংলার রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্যতা পেয়েছে, সেই বিশ্বাসযোগ্যতার স্তরে আরেকটা মাইলফলক হিসেবে চিহ্নিত হল পাঁচই আগস্ট শুক্রবার। সূত্রের খবর বিজেপি রাজ্য নেতৃত্বের পক্ষ থেকে বিশেষ করে শুভেন্দু অধিকারী ও রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রী যাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে একান্তে বৈঠক না করেন। আর সেজন্যই সকাল থেকে একটি বক্তব্য ভাইরাল করে দেওয়া হয় সোশ্যাল মিডিয়ায় যাকে বলা হয় প্রধানমন্ত্রীর দফতর থেকে জানানো হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কোন একান্ত বৈঠক হবে না যা হবে নীতি আয়োগ এর বৈঠকেই।

Advertisement

কিন্তু এইসব রটনাকে মিথ্যা প্রমাণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো প্রমাণ করলেন এই রাজ্যে বিজেপি টিকে আছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দয়াতেই। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি চান প্রধানমন্ত্রী সঙ্গে বৈঠক করতে তা কোনভাবেই বানচাল করতে পারবেন না এই রাজ্যের বিজেপি নেতারা। এটা আজকের ঘটনায় একবারে স্বচ্ছ জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গেল।

তবে লাখ টাকার প্রশ্ন একটাই সাত নম্বর রেস কোর্স রোডের প্রধানমন্ত্রীর বাসভবনে মমতার সঙ্গে কী কথা হলো? এ বিষয়ে দুই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নীরব থাকলেও বিভিন্ন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন সাম্প্রতিককালে পশ্চিমবাংলার রাজনীতির পরিস্থিতি নিয়েই মমতার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর আলোচনা হয়েছে। ৪৫ মিনিট ধরে চলা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে নিশ্চয়ই শুধুমাত্র রাজ্যের দাবি দাওয়া নিয়ে আলোচনা হয়নি এটা স্পষ্ট হয়েছে। কারণ বৈঠক থেকে বেরিয়ে আসার কিছুক্ষণ পরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আবারো প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে এক লক্ষ কোটি টাকা বকেয়া দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। এ থেকে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বৈঠকে বকেয়ার দাবি ছাড়াও অন্যান্য বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা মনে করছেন এই অন্যান্য বিষয়গুলির মধ্যে অবশ্যই রয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন শিল্পমন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এর গ্রেফতারি এবং নানা দুর্নীতি ইস্যুতে মমতা সরকারের বিরুদ্ধে যে সিবিআই তদন্ত চলছে তা নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তবে শেষ বিচারে এটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমাণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী কিংবা সুকান্ত মজুমদাররা নন, বিজেপির কাছে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য ব্যক্তিত্ব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্ব বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে শুভেন্দু কিংবা সুকান্ত মজুমদার এর চেয়ে বেশি। এর জন্যই হয়তো মুকুল রায় মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল মানেই বিজেপি বিজেপি মানে তৃণমূল।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ