আন্তর্জাতিক 

আর্থিক দুর্নীতি মামলায় বিপাকে পাক প্রধানমন্ত্রী, তদন্তকারী সংস্থা শাহবাজের গ্রেফতার চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক: আর্থিক দুর্নীতির মামলায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ বেশ বিপাকে পড়েছেন। তাকে গ্রেপ্তার করতে চায় পাকিস্থানের তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ। শরিফের গ্রেপ্তারি চেয়ে ইতিমধ্যে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই নয়, পাক প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সুলেমান শাহবাজ ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজকেও হেফাজতে নিয়ে তদন্ত করতে চাইছে পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’ (এফআইএ)।

এপ্রিল মাসে ইমরান খানকে সরিয়ে প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু সরকার চালাতে গিয়ে ক্রমে কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন তিনি। ইমরান খান প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন শাহবাজ শরিফের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত চালায় পাকিস্তানের ‘ফেডারেল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি’। তদন্তকারীদের রিপোর্টে বলা হয়, ২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে শরিফ পরিবারের ২৮টি বেনামি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া যায়। সেগুলির মাধ্যমে প্রায় ১ হাজার ৪০০ কোটি টাকার বেআইনি লেনদেন হয়েছে। বলে রাখা ভাল, ২০২০ সালে শরিফের ছেলে শাহবাজ ও সুলেমানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি দমন ও আর্থিক নয়ছয় বিরোধী আইনে মামলা করে এফআইএ।

Advertisement

শনিবার অর্থাৎ গতকাল পাকিস্তানের এফআইএ-র বিশেষ আদালতে হাজির হন শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী হামজা শাহবাজ। তাঁদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে ভরা একটি রিপোর্ট আদালতে জমা দেন এফআইয়ের আইনজীবী। তিনি আদালতে আবেদন করেন প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর ছেলের বিরুদ্ধে যে বিশাল অঙ্কের আর্থিক তছরুপের অভিযোগ রয়েছে, সেই তদন্তের জন্য তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা প্রয়োজন বলে আদালতে দাবি করেছে তদন্তকারী সংস্থা।

অন্যদিকে, প্রধানমন্ত্রীর আইনজীবী আমজাদ পারভেজ এই দাবির বিরোধিতা করে সওয়াল করেন। তাঁর দাবি, লাহোরের জেলে থাকার সময় বাবা ও ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল তদন্তকারী সংস্থা। শুধু জেলে থাকার সময়ই নয়, পরে এফআইএ-এর তলবে তাদের অফিসেও যান শহবাজ ও তাঁর ছেলে। সওয়াল জবাব শেষে আগামী ১১ জুন পর্যন্ত মামলা মুলতুবি রেখেছে আদালত। আপাতত অন্তর্বর্তী জামিনে মুক্ত রয়েছেন পাক প্রধানমন্ত্রী।

 

 

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ