কলকাতা 

প্রযুক্তিবিদ হয়েও জীববিদ্যার আঙিনায় কাজকর্মে তাঁর কত মজা, মাধ্যমিক পড়ুয়াদের সেকথা জানালেন হায়দ্রাবাদ থেকে প্রশান্ত ভট্টাচার্য

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

গৌরাঙ্গ সরখেলের প্রতিবেদন : দুই বুদ্ধিজীবীর কথোপকথন দিয়ে শুরু হয়েছিল এ দিনের কর্মশালা। অনুসন্ধান কলকাতার আয়োজনে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় অনলাইন কর্মশালায়। একজন তথ্যপ্রযুক্তিবিদ প্রশান্ত ভট্টাচার্য, অন্যজন কৃষি বিজ্ঞানী মতিয়ার রহমান খান। প্রথমজন যোগ দিয়েছিলেন হায়দ্রাবাদ থেকে, দ্বিতীয়জন যোগ দিয়েছিলেন দিল্লি থেকে। অত্যন্ত কর্মব্যস্ততার ফাঁকে বাঙালি মনন ও সংস্কৃতির টানে সুদূর হায়দ্রাবাদ এবং দিল্লি থেকে উপস্থিত হয়েছিলেন তাঁরা। মাধ্যমিক পর্যায়ের ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য দুটো কথা বলতে আসন্ন মাধ্যমিকের সময় তাদের পাশে দাঁড়াতে অনলাইনে তাঁদের উপস্থিত হওয়া, এমনটাই জানালেন তাঁরা দুজনেই। এছাড়াও তাঁরা বলে রাখলেন, যে কোনো বিষয়ে আগামী দিনে ছাত্রছাত্রীরা তাদের পরামর্শ ও সহযোগিতা কামনা করলে তাঁরা ধন্য হবেন। এদিন কর্মশালার বিষয় ছিল জীবন বিজ্ঞান। এই কর্মশালার সূচনা করতে গিয়ে প্রশান্ত বাবু ছাত্র ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, কোনো বিষয়কেই অবহেলা করা যায় না। আমরা কেউ জানি না, জীবনের কোন অংশে কখন কোন বিষয়ে কাজে লাগবে। তিনি নিজের লেখাপড়া এবং কর্মজীবন প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেন, তাঁর নিজের পছন্দের বিষয় সবসময়ই ছিল অংক, পদার্থবিদ্যা, রসায়ন। সেই অর্থে জীবন বিজ্ঞান তাঁর খুব ভালবাসার বিষয় ছিল না। তিনি পড়াশোনা করেছিলেন শিবপুর বি ই কলেজ থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে। পরবর্তীকালে তিনি একজন তথ্য-প্রযুক্তিবিদ হিসেবে পরিগণিত হয়েছেন। তবুও তার কাজের প্রধান অঙ্গন হল জীবনদায়ী ওষুধ, যা সম্পূর্ণই জীববিদ্যা কেন্দ্রিক। মাধ্যমিক ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য তিনি বলেন এই সময়টাই জীবনের সেরা সময়। পড়াশোনা ভালোবেসে করতে পারলে জীবনের পরবর্তী ক্ষেত্রে কাজকর্ম আনন্দদায়ক হয়ে ওঠে। তিনি সকল ছাত্র-ছাত্রীদের আসন্ন মাধ্যমিকের জন্য শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন। অত্যন্ত ব্যস্ততার মাঝে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য প্রশান্ত বাবুর এই উপস্থিতিকে স্বাগত জানিয়ে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান। তিনি বলেন প্রশান্ত বাবু ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য সবসময়ই নিবেদিত প্রাণ। তাঁর লিখিত পুস্তকখানি (what I wanted to be) প্রত্যেক ছাত্র-ছাত্রীকে পড়ার জন্য অনুরোধ করেন তিনি। তাঁকে আমাদের সমাজের একজন সম্পদ হিসেবে আখ্যায়িত করেন অধ্যাপক খান।

এরপর এদিনের জীবন বিজ্ঞান বিষয়ক কর্মশালার সূচনা করেন হিন্দু স্কুলের জীববিদ্যা বিভাগের বিশিষ্ট শিক্ষক ও লেখক ড.সন্দীপ রায় এবং তাঁর সঙ্গে ছিলেন টাকি হাউস গভর্নমেন্ট স্পনসর্ড মাল্টিপারপাস স্কুল ফর বয়েজ-এর প্রধান শিক্ষিকা ড. স্বাগতা বসাক। সংক্ষেপিত সিলেবাসে প্রশ্নের পরিকাঠামো ধরে ধরে প্রতিটি প্রশ্ন কোন অধ্যায় থেকে আসবে, তার উত্তর কেমন ভাবে লিখতে হবে, ক্রিটিকাল প্রশ্ন কিভাবে ভাবতে হয়, একাধিক উত্তর সঠিক হওয়ার সম্ভাবনা থেকে কী করে বেছে নিতে হয় সঠিকতম উত্তরটিকে। এ ধরনের নানা রকম কৌশলের সঙ্গে জীবনবিজ্ঞান ভালোবাসার বিষয় হয়ে উঠতে পারে কীভাবে এবং তা জীবনে কাজে লাগে কত দিক থেকে, তা উঠে আসে এদিনের কর্মশালায় দুই প্রাজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকার আন্তরিক আলাপচারিতায়।

Advertisement

এদিন ছাত্রছাত্রীদের সঙ্গে অনলাইনে উপস্থিত ছিলেন অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং অভিভাবকেরাও। এ ধরনের ক্লাস আরো হোক, তাহলেই তাদের অতৃপ্তি দূর হবে বলে মনের বাসনা অনুসন্ধান কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছেন তাঁরা।

সবশেষে প্রতিদিনের মতো এদিনও জীবন বিজ্ঞানের পঁচিশটি mcq প্রশ্ন সম্বলিত পরীক্ষা অনলাইনে গুগল ফরমের মাধ্যমে নেওয়া হয়। পরীক্ষায় ছাত্র-ছাত্রীদের পারফরমেন্সে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন ভিশন মাধ্যমিক ২০২২ নির্বাহী কমিটির সদস্য আখের আলী সর্দার।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ