ঢাকায় ১৭ বছর পর তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনের পরেই জামাত ও এনসিপি জোট করে সংসদ নির্বাচনে লড়াই করার ইঙ্গিত
বাংলার জনরব ডেস্ক : প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান বাংলাদেশের ফেরার সঙ্গে সঙ্গেই রাজনৈতিক পরিস্থিতি সামগ্রিকভাবে পাল্টে গেছে। তারেকের আগমনকে কেন্দ্র করে যেভাবে সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছে তা দেখে এন সি পি ও জামাতি ইসলামী বাংলাদেশ চাপে পড়ে গেছে। তাই আগামী ১২ ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে জামাতে ইসলামী ও এন সি পি জোট হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। এনসিপি জামাতি ইসলামীর কাছ থেকে মাত্র ৫০টি আসন চেয়েছেন বলে জানা গেছে।
জামাতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম সরওয়ার বৃহস্পতিবার রাতে জানিয়েছেন, তাঁদের দলের সঙ্গে এনসিপি-র আসন সমঝোতার বিষয়ে আলোচনা চলছে। গত বছর জুলাই-অগস্টের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আব্দুল কাদেরও সমাজমাধ্যমে একই ইঙ্গিত দিয়েছেন। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম প্রথম আলো জানাচ্ছে, জামাতের কাছে ৫০টি আসনের দাবি জানিয়েছে এনসিপি। এনসিপির নাসিরউদ্দিন পাটোয়ারি এবং জামাতের আবদুল্লা মহম্মদ তাহের আলোচনার মাধ্যমে রফা চূড়ান্ত করবেন। এরই মধ্যে বৃহস্পতিবার ‘কট্টর জামাত বিরোধী’ হিসেবে পরিচিত এনসিপি নেতা মীর আরশাদুল হক দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করেছেন। তিনি এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব ও চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির প্রধান সমন্বয়কারী ছিলেন।

গত ২৮ অক্টোবর এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরুদ্দিন পাটওয়ারি জানিয়েছিলেন, জাতীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচনে জামাতের সঙ্গে বোঝাপড়া করতে পারেন তাঁরা। কিন্তু ৫ নভেম্বর এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম ৩০০ আসনের জাতীয় সংসদের সব ক’টিতেই লড়ার বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘আমরা একক ভাবে নির্বাচনে লড়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।’’ গত বছরের ৫ অগস্ট বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে বিচার, সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে জামাত ও এনসিপি-র মতের মিল দেখা যাচ্ছিল। ফলে তাদের রাজনৈতিক জোট হিসেবেও মনে করা হচ্ছিল। আচমকাই তাল কাটে জুলাই সনদে সই করা না করা নিয়ে। সূত্রের খবর, এনসিপি নেতৃত্ব ধরে নিয়েছিলেন, আইনি ভিত্তির নিশ্চয়তা না পেলে জামাত জুলাই সনদে সই করবে না। সই না করার ব্যাপারে এনসিপি অনড় থাকলেও জামাত সিদ্ধান্ত বদল করে সনদে স্বাক্ষর করে। এর পরে এনসিপি নেতাদের একাংশ ধারাবাহিক ভাবে জামাতের সমালোচনা করছেন। কিন্তু তারেকের প্রত্যাবর্তনে উজ্জ্বীবিত বিএনপি-কে ঠেকাতে দু’দল শেষ পর্যন্ত আসন বোঝাপড়ার পথে হাঁটতে বাধ্য হল বলেই মনে করছেন অনেকে।

