খোলামেলা আলোচনায় পাঠভবন পড়ুয়াদের সঙ্গে বিজ্ঞানী অরিন্দম খান
নায়ীমুল হক: প্রাক শারদোৎসবের আবহে যখন চারিদিকে সাজ-সাজ রব, তখন ডানকুনির পাঠভবন স্কুলে পড়ুয়ারা খোলামেলা আলোচনায় মেতেছে বিজ্ঞানী অরিন্দম খানের সঙ্গে।’গণিত এবং কম্পিউটার’ ছিল আলোচনার মুখ্য বিষয়। বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির এই দুই বিষয় নিয়ে বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের যে প্রবল আগ্রহ এবং উৎসাহ তা বেশ বোঝা গেল এই দিনের আলাপচারিতায়। এতে পাঠভবনের পড়ুয়াদের পাশাপাশি উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের পড়ুয়ারাও উপস্থিত হয়।

ইন্ডিয়ান ইন্সটিউট অফ সায়েন্স, ব্যাঙ্গালোর-এর কম্পিউটার সায়েন্স এবং অটোমেশন বিভাগের অধ্যাপক অরিন্দম খান ছিলেন এ দিনের মুখ্য আলোচক। তিনি ছাড়াও এদিনের আলোচনায় উপস্থিত ছিলেন উত্তরপাড়া রাষ্ট্রীয় উচ্চ বিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যার শিক্ষক সুর্য জানা, গণিতের বিশিষ্ট অধ্যাপক মানস কুমার হাজরা ও পাঠভবন সোসাইটির সম্পাদক বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত।

অনুষ্ঠানের শুরুতেই অরিন্দম খানকে বরণ করে নেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ড: দেবব্রত মুখোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিদ্যালয়ের তরফ থেকে পড়ুয়াদের হাতে আঁকা একটি ছবিও তাঁকে উপহার হিসাবে দেওয়া হয়। এরপর উদ্বোধনী সঙ্গীতের পর শুরু হয় মুল আলোচনা।
গণিতকে ভয় পায় এমন ছাত্র-ছাত্রীরাও আজকে এই আলোচনার অংশ নিয়েছিল। মজার ব্যাপার, তারা কিন্তু এখানে ছিল বেশ সবপ্রতিভ। সেই গণিতের সাথে আজকের দিনের কম্পিউটার এর কী সম্পর্ক তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনায় বেশ উৎসাহের সঙ্গে অংশ নেয় তারা৷

অধ্যাপক খান বলেন, “কম্পিউটার সায়েন্স বা কম্পিউটিং, এটার মানে শুধুই কম্পিউটার নিয়ে কাজ করা নয়, এটার মানে কম্পিউটেশন নিয়ে কাজ করা। কম্পিউটার কেবলই এ দুইয়ের মাঝে একটা মাধ্যম।” এ সমস্ত বলার ফাঁকে বিজ্ঞানী অরিন্দম খান মনে করিয়ে দেন ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতির অতিরিক্ত ঘাঁটাঘাঁটি একদম ভালো নয়, দৈহিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করে তোলে। বিশেষ করে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে মোবাইল এর অতিরিক্ত ব্যাবহার। মোবাইলের ব্যবহার কী করে নিয়ন্ত্রণ করা যায় তা নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন তিনি।
এর পরেই শুরু হয় প্রশ্ন-উত্তর পর্ব। কোয়ান্টাম কম্পিউটার, ব্লক চেন থেকে শুরু করে প্রাচীন ভারতের বিজ্ঞানচর্চা ইত্যাদি বিষয়। আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি ও চ্যাট জিপিটির মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়েও ছাত্র-ছাত্রীরা একাধিক প্রশ্ন করে। এই সভায় অংশগ্রহণ করে অতিমাত্রায় উচ্ছ্বসিত দুই বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণকারী ছাত্র-ছাত্রীরা।

