জেলা 

মাধ্যমিকের আগেও দাবা খেলেছি, কুইজে অংশ নিয়েছি, বেস আন-নূর স্কুলের অনলাইন সভায় বলছিল মাধ্যমিকে প্রথম আদৃত সরকার

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : দিনটা ছিল রবিবার। ঝড় বৃষ্টির দুর্যোগে একেবারে জবুথবু দিনাজপুরের গ্রাম প্রাণসাগর। ইলেকট্রিসিটি নেই নেট বন্ধ চারিদিকে থমথমে অন্ধকার। তারই মধ্যে নাছোড়বান্দা বেস আন-নূর মডেল স্কুলের ছাত্ররা। এইসব উজ্জ্বল উৎসাহী মুখের দিকে তাকিয়ে অনুসন্ধান সোসাইটি আয়োজন করেছিল মাধ্যমিকে প্রথম আদৃত সরকারকে নিয়ে অনলাইনে আলোচনা সভা। শুধু আদৃতই নয়, তার সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তিন প্রান্তের তিন গুণী মানুষ।

কলকাতা থেকে রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের ডেপুটি সেক্রেটারি ডঃ পার্থ কর্মকার, দিল্লি থেকে ভারতীয় কৃষি গবেষণা সংস্থার প্রিন্সিপাল সায়েন্টিস্ট অধ্যাপক মতিয়ার রহমান খান, আর ছিলেন সুদূর নিউইয়র্ক থেকে বিশিষ্ট প্রকৌশলী ও উদ্যোগপতি শাহীন রহমান। নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে অনবদ্য অবদান রেখে চলা এই চার গুণী মানুষের সংস্পর্শে এদিনের অনলাইন আয়োজন জীবন্ত হয়ে উঠেছিল। তাঁদের আপ্তবাক্য অংশগ্রহণকারী ছাত্রদের মনের মনিকোঠায় তোলা থাকবে চিরদিন, এ কথা নিঃসন্দেহে বলা যায়।

Advertisement

তাঁরা বললেন, মাধ্যমিকের প্রস্তুতি কেমন করে নিতে হয়, কেমন করে স্বপ্ন দেখতে হয় বড় হওয়ার, মোবাইল এর ব্যবহার কেমন হওয়া উচিত, অংকের মতো বিষয় কত সহজ হতে পারে, কৃষিতে ভারতের অবস্থান ও প্রযুক্তির ব্যবহার- জেনম এডিটিং, পড়াশোনায় মনোযোগ বৃদ্ধি, মক টেস্ট ইত্যাদি নিয়ে। তবে আদৃতর কথাই যেন ছাপিয়ে গেল সকলকে। তার কথা– আমি মাধ্যমিক-এর আগে মাঝে-মধ্যেই দাবা নিয়ে বসে পড়েছি, রেগুলার কুইজে অংশ নিয়েছি। আসলে ইচ্ছেগুলোকে মেরে দিতে নেই। যে কাজটাই করবে ভালোবেসে করো। আদৃতর কথার রেশ ধরেই অনুষ্ঠান শেষ করলেন বেস আন-নূর মডেল স্কুলের সম্পাদক খাদেমুল ইসলাম। ধন্যবাদ জানালেন অনুসন্ধান সোসাইটির সম্পাদক গৌরাঙ্গ সরখেল, আনিসুর রহমান ও সোহেল ইকবাল। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন নায়ীমুল হক।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ