নিউটাউন যাত্রাগাছিতে ছাত্র-ছাত্রী সংবর্ধনা ও কেরিয়ার গাইডেন্স
নিজস্ব প্রতিবেদন: শনিবার কলকাতার নিউটাউন যাত্রাগাছিতে এ বছরের মাধ্যমিক ও উচ্চ-মাধ্যমিকে কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে এক সংবর্ধনা অনুষ্ঠান হয়ে গেল। পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ গড়ার দিশা দেখাতে কেরিয়ার-গাইডেন্স নিয়ে বিস্তারিত এক আলোচনারও আয়োজন করেছিল দানবীর মহসিন লাইব্রেরি।
পড়াশুনা করার অর্থ কেবল-ই চাকরি করা আর মোটা রোজগার করা নয় বরং দায়িত্বশীল নাগরিক গড়ে তোলা আর জ্ঞান অর্জন করা। পড়াশোনার রাস্তা কেবলই বিজ্ঞান বিভাগ আর ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য খোলা এমনটা নয় বরং যার যেদিকে উৎসাহ আছে সেটার উপর দক্ষতা অর্জন করা এবং নিজেকে বিকশিত করে তোলা। এ দিনের আলাপচারিতায় বক্তারা আরো বলেন, পড়াশোনাকে ভালবাসতে হবে ও আগামী সমাজ-গঠনের হাতিয়ার করে তুলতে হবে জ্ঞান অর্জনকে। তাহলে আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।
বিশিষ্ট অতিথি হিসেবে এদিন আলাপচারিতায় উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন শিক্ষা আধিকারিক আরফান আলী বিশ্বাস, শিক্ষক গৌরাঙ্গ সরখেল, খালিদ ফজলুল্লাহ, সুপ্রভাত ঘোষ, নাসিম উদ্দিন মন্ডল প্রমূখ। জ্ঞান অর্জনের রাস্তাকে আলোকিত করার জন্য নিজের সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছিলেন হাজী মোহাম্মদ মহসিন, যা থেকে আজও উপকৃত হয়ে চলেছে সমাজ, সেই ইতিহাস সংক্ষেপে বলেন শিক্ষক নায়ীমুল হক। দানবীর মহাসিন লাইব্রেরির সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষক ও ইঞ্জিনিয়ার মোশারফ আলী উপস্থিত মেহমান ও ছাত্র-ছাত্রীদের সম্ভাষণ জানান এবং আগামীদিনের একগুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি আরো বলেন পড়াশোনার হাল ফেরাতে গেলে শিশু অবস্থা থেকেই ভীত মজবুত করতে হবে। তাহলেই জ্ঞানের সঠিক পথে পৌঁছাবে এবং পড়াশোনা সত্যিকারের আনন্দময় হবে। শিক্ষকদের আরো সক্রিয় ও দায়িত্বশীল হওয়ার বিষয় নিয়ে একটি কর্মশালা-এর কথাও বলেন তিনি। সামগ্রিক এই ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল অনুসন্ধান সোসাইটি।