হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টকে ভিত্তিহীন এবং চরিত্র হননের চেষ্টা বলে দাবি করলেন সেবি প্রধান
আমেরিকার বেসরকারি সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ গতকাল শনিবার রাতে যে রিপোর্ট প্রকাশে এনেছে তাতে বলা হয়েছে আদানি শিল্পগোষ্ঠীর বিদেশে ছড়ানো টাকায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধানের। এই তথ্য প্রকাশ্যে আনার পরে ই আজ পাল্টা মুখ খুলেছেন সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ এবং তার স্বামী ধাবাল বুচ।হিন্ডেনবার্গের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন সেবির চেয়ারপার্সন মাধবী পুরী বুচ এবং তাঁর স্বামী ধাভাল বুচ। একটি বিবৃতি দিয়ে তাঁরা দাবি করেছেন, যাবতীয় অভিযোগ ‘ভিত্তিহীন’। তাঁদের ‘চরিত্রহনন’ করার জন্যই এমন অভিযোগ করা হয়েছেন বলে দাবি করেছেন তাঁরা।
বিবৃতিতে বুচ দম্পতির তরফে বলা হয়েছে, “যাবতীয় আর্থিক তথ্য প্রকাশ্যে আনার বিষয়ে আমাদের কোনও সঙ্কোচ নেই। এমনকি আমরা যখন কোনও সরকারি পদে ছিলাম না, তখনকার যে কোনও তথ্যও যে কোনও সংস্থা খতিয়ে দেখতে পারে।” এর পাশাপাশি বিবৃতিতে হিন্ডেনবার্গ সংস্থাকে তোপ দেগে বলা হয়েছে, “সেবি যে হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের বিভাগে পদক্ষেপ করেছিল এবং শো-কজ় নোটিস পাঠিয়েছিল, দুর্ভাগ্যজনক ভাবে সেই সংস্থাই চরিত্রহনন করার চেষ্টা করছে।” ‘পূর্ণাঙ্গ স্বচ্ছতার স্বার্থে’ খুব শীঘ্রই তাঁরা একটি বিস্তারিত বিবৃতি প্রকাশ করবেন বলে জানিয়েছেন সেবির প্রধান এবং তাঁর স্বামী।
এর আগে শিল্পপতি গৌতম আদানির বিরুদ্ধে শেয়ারদর ‘ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে’ দেখানোর অভিযোগ তুলেছিল হিন্ডেনবার্গ। এই সংস্থাই শনিবার তাদের এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে পোস্ট করে লেখে, “আদানিরা বিদেশে যে টাকা সরিয়েছেন, তাতে অংশীদারিত্ব রয়েছে কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির প্রধানের।” হিন্ডেনবার্গের রিপোর্টে দাবি করা হয় যে, গৌতম আদানির ভাই বিনোদ আদানির বিদেশে থাকা সংস্থায় অংশীদারিত্ব রয়েছে সেবি প্রধান এবং তাঁর স্বামীর। ২০১৭ সালে সেবিতে যোগ দেন মাধবী। রিপোর্টে এ-ও দাবি করা হয়েছে যে, সেই সময় সম্ভাব্য নজরদারি এড়াতে মাধবীর নামে থাকা সমস্ত বিদেশি বিনিয়োগ নিজের নামে করে নেন ধাভাল।
আমেরিকার রিসার্চ সংস্থা হিন্ডেনবার্গের রিপোর্ট স্পষ্টভাবে এখনো সামনে আসেনি। এখন দেখার বিষয় সেবি প্রধানের এই বিবৃতির পর আমেরিকার ওই সংস্থা কি করে? যদিও সেবি প্রধান মাধবী পুরী বুচ হিন্ডেনবার্গের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেননি । তবে তার চরিত্র হনন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন এবং সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন অভিযোগ বলে সে বি প্রধান দাবি করেছে। একথা বাস্তবে সত্য আমেরিকার এই সংস্থাটি এখনো পর্যন্ত যে যে সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছে তাদের ক্ষেত্রে প্রমাণ পেশ করেছে সংস্থা নিজেই।। এখন দেখার বিষয় সেবি প্রধানের বিরুদ্ধে এই সংস্থাটি কি কি প্রমান পেশ করে? যদি এই প্রমাণটা বাস্তবে ওই সংস্থা করে ফেলতে পারে তাহলে বিরোধীদের চাপে নরেন্দ্র মোদী সরকারের নাজেহাল অবস্থা যে হবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই!