জাঙ্গিপাড়া জগাছার পর এবার ব্যালেট পেপার উদ্ধার বর্ধমানের ভাতার থেকে! চাঞ্চল্য রাজ্য জুড়ে
বাংলার জনরব ডেস্ক : রাজ্যজুড়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচনে সেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের শেষ গণনা হয়ে গেছে। তারপরেও বিভিন্ন ঝোঁপ ঝাঁপ কিংবা রাস্তা থেকে উদ্ধার হচ্ছে ছাপ মারা ব্যালেট পেপার। হুগলি জাঙ্গিপাড়া হাওড়া জগাছার পর এবার ব্যালাট পেপার উদ্ধার হল বর্ধমানের ভাতার থেকে।জানা গিয়েছে, শনিবার ভাতার থানার সাহেবগঞ্জ ২ নম্বর পঞ্চায়েতের আয়মাপাড়া গ্রামে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিছনে ঝোপজঙ্গলের মধ্যে বেশকিছু ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। কয়েকজন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় সেগুলি দেখতে পান। ক্রমে এলাকায় জানাজানি হয়। সিপিএমের দাবি ওইসমস্ত ব্যালটের ওপর সিপিএমের প্রতীকেই ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। সিপিএমের অভিযোগ শাসকদল এইসমস্ত ব্যালটগুলি সরিয়ে দিয়েছিল। অন্যদিকে নয়াবাদ ও গড়বেতায় মিলেছে পোড়া ব্যালট।
জানা গিয়েছে, আয়মাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাহেবগঞ্জ ২ পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর সংসদের ১৬৭ নম্বর বুথের ভোটগ্রহণ হয়েছিল। এই বুথে গ্রামপঞ্চায়েতের তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী ছিলেন জোৎস্না বেগম। সিপিএমের প্রার্থী হাসনাবিবি শেখ। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বুথে মোট ভোটার ৮৪৯ জন। তার মধ্যে ভোট পড়েছিল ৫২০ টি। ভোট বাতিল হয় ৩৫ টি। ফলাফলে দেখা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী জোৎস্না বেগম পেয়েছেন ৩৪৫ টি ভোট। সিপিএমের প্রার্থী হাসনাবিবি পেয়েছেন ১৪০ টি ভোট। অর্থাৎ ফলাফলের নিরিখে ২০৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন তৃণমূলের প্রার্থী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন আয়মাপাড়া গ্রামের কয়েকজন কৃষক মাঠে যাওয়ার সময় ওই স্কুলের পিছনে কিছু ব্যালট পড়ে থাকতে দেখেন। সেগুলি গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদের পৃথক পৃথক ব্যালট ছিল। ওভাবে ছাপ দেওয়া ব্যালট দেখতে পাওয়ার পরেই এলাকায় জানাজানি হয়। সিপিএমের পূর্ব বর্ধমান জেলা কমিটির সদস্য বামাচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিযোগ,” শাসকদল মনোনয়নপত্র জমার সময় থেকেই সন্ত্রাস করেছে। ভোটের দিন আয়মাপাড়া গ্রামের বুথে আমাদের কাউন্টিং এজেন্টকে ভোট গণনা শুরুর কিছুক্ষণ পর মারধর করে বের করে দেওয়া হয়েছিল। এরপর আমাদের দলের প্রতীকে ছাপ দেওয়া ব্যালট উদ্ধারের পর আর কিছু বুঝতে বাকি থাকে না। আমরা নির্বাচন কমিশনের কাছে জানাচ্ছি। প্রয়োজনে আদালতের দ্বারস্থ হবে।” তৃণমূল কংগ্রেসের ভাতার ব্লক সভাপতি বাসুদেব যশ বলেন,” আমার মনে হচ্ছে এটা সিপিএমেরই চক্রান্ত। পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করে দেখুক।”