পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীর উদ্যোগে ভাঙড়ে রক্তদান শিবির কার্যত উৎসবে পরিণত হলো ২৭০০ মানুষ রক্ত দান করে ইতিহাস সৃষ্টি করলেন
বিশেষ প্রতিনিধি: দেশে রক্তের চাহিদা ক্রমবর্ধমান। চাহিদার তুলনায় রক্তের যোগান অনেক কম।ভারতে প্রতি বছর রক্তের চাহিদা ১০ মিলিয়ন ইউনিট, পাওয়া যাচ্ছে ৭.৪ মিলিয়ন ইউনিট। সুতরাং দেখা যাচ্ছে চাহিদা অনেকটা।
তাই চাহিদার সঙ্গে যোগানের সমতা আনতে হলে প্রয়োজন স্বেচ্ছায় রক্তদান শিবির বেশি করে করা। এই উদ্দেশ্যেই আমাদের রাজ্যের বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল সামাজিক সংগঠন ও ক্লাবগুলি প্রায় রক্তদান শিবির করে থাকেন। তবে সবকিছুকে হার মানিয়েছে ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকী রক্তদান শিবির। আজ রবিবার একুশে আগস্ট ভাঙ্গরে নিজের বিধানসভা ক্ষেত্রে যে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করেন পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী তা এককথায় ঐতিহাসিক বলা যেতে পারে। এই রক্তদান শিবির কার্যত উৎসবে পরিণত হয়।
সংখ্যার বিচারে প্রায় ২৭২০ জন মানুষ রক্ত দান করেন। একটি বিশেষ সংগঠন একদিনে একটি বিশেষ জায়গায় একসঙ্গে আড়াই হাজারের বেশি মানুষ রক্ত দান করছেন এই ঘটনা খুব কমই দেখা গেছে। পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী ভাঙড় বিধানসভার বিধায়ক হিসেবে সেই কাজটি করে দেখালেন।
আজ রবিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড়ের বিধায়ক মোহাম্মাদ নওশাদ সিদ্দিকী’র উদ্যোগে শোনপুর বাজারে রবিবার অনুষ্ঠিত হলো এক অভিনব উৎসবের। রক্তদান উৎসব। স্বেচ্ছায় রক্তদান করলেন ২৭২০ জন মানুষ। রক্তধারণের ব্যাগগুলিতে ত্রুটির কারনে আরো কয়েকশো মানুষের রক্ত নেওয়া যায়নি। নাহলে রক্তদাতাদের সংখ্যা অনায়াসে তিন হাজার ছাড়াতো।
কিন্তু সমাজের কাছে বিধায়ক এই বার্তায় দিতে চেয়েছেন যে রক্তদানকে এক মহতী আন্দোলনে পরিনত করতে গেলে এইরকম উদ্যোগ জরুরি। পাশাপাশি, ভাঙড় নিয়ে জনমনে যে বিরূপ ছবি আছে, সেটাও পালটানো প্রয়োজন বলে বিধায়ক মনে করেন। তিনি বললেনও যে আগামীদিনে ভাঙড়কে ঘিরে যে উচ্চাশা তাঁর আছে, তাকে সফল করতে সবাইকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে হবে। এই উপলক্ষে ভূমিপুত্র বেশ কয়েকজন সাংবাদিক, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ সমাজের কৃতি মানুষকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
রক্তের গ্রুপ আবিষ্কারক কার্ল ল্যান্ডস্টাইনারকে শ্রদ্ধা জানিয়ে একটি তোরণ অনুষ্ঠানস্থলে নির্মাণ করা হয়। এছাড়া স্বাধীনতা সংগ্রামীদের স্মৃতির প্রতি সম্মান জানিয়ে মূল মঞ্চ তৈরি হয়।