আন্তর্জাতিক 

হামাসের সুড়ঙ্গে আত্মগোপন করার এলাহী আয়োজন! কি কি আছে?

শেয়ার করুন

মাটির নিচে সাজানো-গোছানো ঘর। বছরের পর বছর ধরে আত্মগোপন করে থাকার রয়েছে যাবতীয় ব্যবস্থা। গাজায় হামাসের (Israel Hamas War) ঘাঁটিতে হানা দিয়ে এমনই সুড়ঙ্গের হদিশ পেল ইজরায়েলের সেনাবাহিনী। ভূপৃষ্ঠ থেকে ২৫ মিটার নিচে প্রায় ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গের মধ্যে রয়েছে ৮০টি ঘর বিশিষ্ট বিশাল কমপ্লেক্স। সম্প্রতি এই সুড়ঙ্গ থেকেই উদ্ধার হয়েছে ২০১৪ সালে মৃত ইজরায়েল সেনার লেফটেন্যান্ট হারদার গোল্ডিনের মৃতদেহ। হামাসের তৈরি সেই সুড়ঙ্গের ভিডিও এবার প্রকাশ্যে আনল ইজরায়েল সেনা।

ইজরায়েল ডিফেন্স ফোর্স (IDF) গত বৃহস্পতিবার এক্স হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও প্রকাশ করে জানায়, এই সুড়ঙ্গ থেকে উদ্ধার হয়েছে লেফটেন্যান্ট গোল্ডিনের মৃতদেহ। ২০১৪ সালে ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের সময় গাজায় অতর্কিত হামলায় মৃত্যু হয়েছিল এই জওয়ানের। আইডিএফের দাবি, রাফার ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার ঠিক নিচেই অবস্থিত এই সুড়ঙ্গ। রাষ্ট্রসংঘের প্যালেস্তিনীয় শরনার্থী এজেন্সির কম্পাউন্ড, মসজিদ, ক্লিনিক ও কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের ঠিক নিচ থেকে শুরু হচ্ছে সুড়ঙ্গটি। হামাস কমান্ডাররা অস্ত্র লুকিয়ে রাখতে, হামলার পরিকল্পনা সাজাতে ও দীর্ঘ সময় ধরে লুকিয়ে থাকার জন্য এই সুড়ঙ্গ ব্যবহার করত।

Advertisement

আইডিএফের রিপোর্ট অনুযায়ী, মাটি থেকে ৩৫ মিটার নিচে অবস্থিত ৭ কিলোমিটার দীর্ঘ, ৮০টি ঘর বিশিষ্ট এই সুড়ঙ্গ খুঁজে বের করেছে ইজরায়েলের ‘এলিট ইয়াহালোম কমব্যাট ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিট’ এবং ‘দ্য শায়েতেত ১৩ নেভাল কমান্ডো ইউনিট’। সেনার দাবি অনুযায়ী, এর ভেতর থেকে হামাসের শীর্ষ নেতারা নানা অভিযান পরিচালনা করত। এমন কামরার হদিশ ও মিলেছে সুড়ঙ্গে। ইজরায়েল সেনার অভিযানে হামাস প্রধান মহম্মদ সিনওয়ারের সঙ্গে মৃত্যু হয়েছিল মহম্মদ শাবানা-সহ একাধিক সিনিয়র নেতার। এই সব হামাস যোদ্ধারা এই সুড়ঙ্গ যে ব্যবহার করত সে প্রমাণও মিলেছে।

আইডিএফ জানিয়েছে, লেফটেন্যান্ট গোল্ডিনের মৃত্যুর সঙ্গে জড়িত হামাস জঙ্গি মারওয়ান আল-হামসকে গ্রেপ্তার করেছে আইডিএফ। ইজরায়েল সেনা জানিয়েছে, ২০২৫ সালের জুলাই মাসে গোল্ডিনকে ফেরাতে (জীবিত বা মৃত) অভিযান শুরু হয়েছিল। এর জন্য ৬ মাস ধরে চলে এই গোপন অভিযান। এর ফলেই ওই সুড়ঙ্গের মধ্য থেকে উদ্ধার হয় গোল্ডিনের দেহ। অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার দক্ষিণ গাজা উপত্যকার খান ইউনিসে ইজরায়েলি বিমান হামলায় পাঁচজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হয়েছে। খান ইউনিসের পূর্বে বানি সুহাইলা শহরে একটি বাড়িতে হামলায় এক শিশু-সহ তিনজন নিহত এবং ১৫ জন আহত হয়েছে। নিকটবর্তী আবাসান শহরে আরেকটি হামলায় একজন নিহত এবং তিনজন আহত হয়েছে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ