Anish Khan | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Mon, 11 Jul 2022 16:08:02 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.7.11 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg Anish Khan | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 Anish Khan Death Mystery : আনিস খান হত্যার সুবিচার না পাওয়া অবধি লড়াই চলবে : ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট https://banglarjanarob.com/58302 Mon, 11 Jul 2022 16:07:15 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=58302 হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৯ তারিখের গভীর রাতে ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আনিস খানকে ছাদ থেকে ফেলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। আমতা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িত, এটা প্রথম থেকে প্রমানিত। আনিসের বাবা সালেম খান, যিনি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তিনি এই কথা বারবার বলেছেন। তিনি প্রথম থেকেই আদালতে তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তে অনড়। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, যার কর্মী ছিলেন আনিস নিজেই, সালেম খানের দাবীকে বরাবর সমর্থন জানিয়ে এসেছে। ঐ ঘটনা ঘটে যাবার পর থেকেই দেখা গেছে রাজ্যসরকারের চূড়ান্ত ন্যক্কারজনক ভূমিকা। অভিযুক্ত পুলিশদের বাঁচাতে তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা…

The post Anish Khan Death Mystery : আনিস খান হত্যার সুবিচার না পাওয়া অবধি লড়াই চলবে : ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট first appeared on Banglar Janarob.]]>
হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৯ তারিখের গভীর রাতে ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক আনিস খানকে ছাদ থেকে ফেলে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছিল। আমতা থানার পুলিশ আধিকারিকরা এই ঘটনার সঙ্গে সরাসরিভাবে জড়িত, এটা প্রথম থেকে প্রমানিত।

আনিসের বাবা সালেম খান, যিনি এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী, তিনি এই কথা বারবার বলেছেন। তিনি প্রথম থেকেই আদালতে তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তে অনড়। ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট, যার কর্মী ছিলেন আনিস নিজেই, সালেম খানের দাবীকে বরাবর সমর্থন জানিয়ে এসেছে। ঐ ঘটনা ঘটে যাবার পর থেকেই দেখা গেছে রাজ্যসরকারের চূড়ান্ত ন্যক্কারজনক ভূমিকা। অভিযুক্ত পুলিশদের বাঁচাতে তারা নিরন্তর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। অথচ, আনিসকে ছাদ থেকে ফেলে দিয়ে এই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে চম্পট দিয়েছিল।

আনিসের দেহ যেখানে পড়েছিল, পুলিশ সেই স্থানটি ঘিরে রাখারও প্রয়োজনবোধ করেনি। বুঝতে অসুবিধা নেই তারা তথ্যপ্রমাণ লোপাট করতেই ব্যস্ত ছিল যাতে ফরেনসিক তদন্ত হোঁচট খায় এবং তড়িঘড়ি নামকোওয়াস্তে ময়নাতদন্ত করার ব্যবস্থা করেছিল। পরে চাপে পড়ে দ্বিতীয়বার ময়নাতদন্ত হয়েছিল। আইএসএফ বারবার বলে এসেছে যে রাজ্যসরকারের তত্ত্বাবধানে কোন নিরপেক্ষ তদন্ত হতে পারে না।

রাজ্যসরকারের গড়া সিট তাই প্রমাণ করে দিল আজ। এরপর ডিভিশন বেঞ্চে গিয়ে আদালতের তত্ত্বাবধানে সিবিআই তদন্তের দাবী জানানো হবে। আশাকরি মহামান্য আদালত সমস্তকিছু বিবেচনা করে সঠিক রায় দেবেন। সুবিচার না পাওয়া অবধি এই লড়াই চলবে।

 

 

The post Anish Khan Death Mystery : আনিস খান হত্যার সুবিচার না পাওয়া অবধি লড়াই চলবে : ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anis Khan: খুন নয়, ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু, আনিস-কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে জানালো সিট, দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পনা মাফিক খুন দাবি পরিবারের https://banglarjanarob.com/58278 Mon, 11 Jul 2022 09:05:03 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=58278 বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয়নি, পুলিশের অভিযানের সময় ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট আজ চার্জশিট পেশ করে জানিয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন নিয়ম মেনে আনিসের বাড়িতে রেড করতে যায়নি পুলিশ। পুলিশের নিয়ম অনুসারে কারো বাড়িতে রেড করতে গেলে থানায় একটি জিডি করে যেতে হয় এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এটা গাফিলতি জনিত কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিস খানের মৃত্যুর পর বলেছিলেন তাঁর পরিবারকে ইনসাফ দেওয়া হবে। তিনি জ্ঞানবন্ত সিং…

The post Anis Khan: খুন নয়, ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু, আনিস-কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে জানালো সিট, দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পনা মাফিক খুন দাবি পরিবারের first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানকে খুন করা হয়নি, পুলিশের অভিযানের সময় ছাদ থেকে পড়ে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট আজ চার্জশিট পেশ করে জানিয়েছে। তদন্তকারী অফিসাররা জানিয়েছেন নিয়ম মেনে আনিসের বাড়িতে রেড করতে যায়নি পুলিশ। পুলিশের নিয়ম অনুসারে কারো বাড়িতে রেড করতে গেলে থানায় একটি জিডি করে যেতে হয় এক্ষেত্রে তা করা হয়নি। এটা গাফিলতি জনিত কারণ বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে দাঁড়িয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আনিস খানের মৃত্যুর পর বলেছিলেন তাঁর পরিবারকে ইনসাফ দেওয়া হবে।

তিনি জ্ঞানবন্ত সিং এর নেতৃত্বে বিশেষ তদন্তকারী দল বা সিট গঠন করেছিলেন। সেই সিট আজ হাওড়ার উলুবেরিয়া কোটে চার্জশিট পেশ করে জানিয়েছে,হত্যা নয়, পুলিশের অভিযানের পর ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু হয় হাওড়ার এই ছাত্রনেতার। আনিসের পরিবার অভিযোগ করেছিল, খুন করা হয়েছে তাদের ছেলেকে। রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রেরও অভিযোগ তুলেছিলেন আনিসের দাদা। তবে সেই অভিযোগ খারিজ হয়েছে এই চার্জশিটে। খুনের অভিযোগ নস্যাৎ হলেও পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। চার্জশিটে নাম রয়েছে আমতা থানার তৎকালীন ওসি দেবব্রত চক্রবর্তী, এক এএসআই, এক হোম গার্ড এবং দুই সিভিক ভলান্টিয়ারের।

সিটের চার্জশিটে বলা হয়েছে, কর্নাটকের হিজাব-বিতর্ক নিয়ে নেটমাধ্যমে একটি পোস্ট করেছিলেন আনিস। তার তদন্তে তাঁর বাড়িতে যায় পুলিশ।

অন্য দিকে, আনিস খান মৃত্যু-মামলায় প্রথম থেকেই সিবিআই তদন্তের দাবি জানিয়ে এসেছে পরিবার। এর আগে কলকাতা হাই কোর্টের রায়ের পরও কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা দিয়ে তদন্তের দাবি জানান মৃত ছাত্রনেতার বাবা ও দাদা। সোমবারও একই কথা জানান আনিসের দাদা। তাঁদের অভিযোগ, বিকেলে ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি রয়েছে। তার আগে আদালতে তড়িঘড়ি চার্জশিট পেশ করে মামলার প্রক্রিয়াকে শ্লথ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। আনিসের পরিবার অভিযোগ করেছে শাসক দলের বিরুদ্ধে। তাদের দাবি, দুর্ঘটনা নয়, পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে আনিসকে।

এ বিষয়ে আনিসের দাদা সাবির খান বলেন, ‘‘আগেই প্রমাণ লোপাট হয়ে গিয়েছে। আমরাও জানতাম পুলিশ এসেছিল। আলাদা কিছু এই চার্জশিটে নেই। আমরা সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় থাকব।’’

The post Anis Khan: খুন নয়, ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু, আনিস-কাণ্ডে চার্জশিট পেশ করে জানালো সিট, দুর্ঘটনা নয় পরিকল্পনা মাফিক খুন দাবি পরিবারের first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anis Khan Death Mystery: আনিস মামলায় সিটেই আস্থা আদালতের, সিবিআই তদন্তের দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন আনিসের বাবা https://banglarjanarob.com/57559 Tue, 21 Jun 2022 05:26:25 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=57559 বাংলার জনরব ডেস্ক : আনিস খানের মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশি তদন্তের উপরে নানা প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ তদন্তকারী দল সিটের উপর আস্থা রাখো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ শেখর মন্থার।চার মাস পর হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা জানান, সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। আনিস মামলায় রাজ্য পুলিশের সিট-ই তদন্ত করবে। সিট-ই চার্জশিট পেশ করবে। অন্য দিকে আনিসের বাবা জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করছেন তাঁরা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে আনিসের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত নামে…

The post Anis Khan Death Mystery: আনিস মামলায় সিটেই আস্থা আদালতের, সিবিআই তদন্তের দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন আনিসের বাবা first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আনিস খানের মামলা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্ট পুলিশি তদন্তের উপরে নানা প্রশ্ন তুললেও শেষ পর্যন্ত বিশেষ তদন্তকারী দল সিটের উপর আস্থা রাখো কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ শেখর মন্থার।চার মাস পর হাওড়ার ছাত্রনেতা আনিস খান হত্যা মামলায় রায় ঘোষণা করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি মান্থা জানান, সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন নেই। আনিস মামলায় রাজ্য পুলিশের সিট-ই তদন্ত করবে। সিট-ই চার্জশিট পেশ করবে। অন্য দিকে আনিসের বাবা জানান, ডিভিশন বেঞ্চে মামলা করছেন তাঁরা।

গত ফেব্রুয়ারি মাসে আনিসের মৃত্যু হয়। ওই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ ওঠে। ঘটনার তদন্ত নামে রাজ্যের গঠন করা বিশেষ তদন্তকারী দল। যদিও আনিসের পরিবার বার বার জানায় তদন্তের প্রতি তারা আস্থাশীল নয়। আনিসের বাবা সালেম খান হাই কোর্টে গিয়ে সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। যদিও পুলিশি তদন্তের উপরই আস্থা রাখে কলকাতা হাই কোর্ট। কিন্তু তদন্ত যত এগিয়েছে আদালতের প্রশ্নের মুখ পড়েছে পুলিশি তদন্ত।

এর আগে হাই কোর্টে রাজ্যের তরফে সওয়াল করা হয়, খুন কিংবা আত্মহত্যা নয়, হাওড়ার ছাত্রনেতার মৃত্যুকে ‘দুর্ঘটনা’ বলা যেতে পারে। তবে সেটা হয়েছে পুলিশের গাফিলতিতেই। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল (এজি) সৌমেন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, ঘটনার দিন রাতে আনিস নিজেই, না কি পুলিশের ধাক্কায় ছাদ থেকে পড়ে যান, তার কোনও তথ্যপ্রমাণ নেই। তবে পুলিশের গাফিলতির ব্যাপারটা পরিষ্কার।

তবে সংশ্লিষ্ট শুনানি চলাকালীন আদালত মনে করিয়ে দিয়েছে, আনিস সংক্রান্ত ঘটনাপ্রবাহের সূত্রপাত এক অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের পাঠানো মোবাইল বার্তা থেকে। দ্বিতীয়ত, যেহেতু মূল অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধেই, তাই এর নেপথ্যে কোনও বড় ষড়যন্ত্র বা চক্রান্ত রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে বলে আদালত। তৃতীয়ত, আনিসের ঘটনায় দেখা গিয়েছে, এক থানার মামলায় অন্য থানার পুলিশ গিয়েছে অভিযান চালাতে। সেই প্রক্রিয়াও ত্রুটিপূর্ণ বলা হয়। এই প্রেক্ষিতে আদালত জানিয়েছিল কোন পদমর্যাদার পুলিশের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আসল ব্যাপার হল আঙুল উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধেই। এর আগের শুনানিতে এ নিয়ে আদালতের প্রশ্নের মুখে পড়ে রাজ্য। হাই কোর্ট প্রশ্ন তোলে এর পরেও পুলিশের তদন্তে সাধারণ মানুষ বা অভিযুক্তের পরিবার আর বিশ্বাস রাখবে কি না।

The post Anis Khan Death Mystery: আনিস মামলায় সিটেই আস্থা আদালতের, সিবিআই তদন্তের দাবিতে ডিভিশন বেঞ্চে যাচ্ছেন আনিসের বাবা first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anish Khan : নিয়ম মেনে আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশিতে যায়নি কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিলেন এডভোকেট জেনারেল https://banglarjanarob.com/56128 Tue, 17 May 2022 10:58:36 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=56128 বাংলার জনরব ডেস্ক : আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ আইন মেনে তল্লাশিতে যায়নি কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নিলেন এডভোকেট জেনারেল নিজেই। আশ্চর্যের বিষয় হলো এডভোকেট জেনারেল পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করলেও কিন্তু আনিস হত্যা রহস্যের তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা রাখতে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করলেন তিনি। এডভোকেট জেনারেলের মুখে এইসব কথা শুনে রাজ্যবাসীর মনে হচ্ছে তিনি এই তদন্তকে বিপথে চালিত করতে চাইছেন। যে পুলিশের কাজকে খোদ এডভোকেট জেনারেল বলছেন, আইন মেনে হয়নি সেই পুলিশ বা সিটের তদন্তে কেমন ভাবে তিনি আস্থা রাখছেন তা বোঝা যাচ্ছে না। কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে এডভোকেট জেনারেল যাই…

The post Anish Khan : নিয়ম মেনে আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশিতে যায়নি কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিলেন এডভোকেট জেনারেল first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ আইন মেনে তল্লাশিতে যায়নি কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে স্বীকার করে নিলেন এডভোকেট জেনারেল নিজেই। আশ্চর্যের বিষয় হলো এডভোকেট জেনারেল পুলিশের ভূমিকার সমালোচনা করলেও কিন্তু আনিস হত্যা রহস্যের তদন্তে পুলিশের উপর আস্থা রাখতে হাইকোর্টের কাছে আবেদন করলেন তিনি। এডভোকেট জেনারেলের মুখে এইসব কথা শুনে রাজ্যবাসীর মনে হচ্ছে তিনি এই তদন্তকে বিপথে চালিত করতে চাইছেন। যে পুলিশের কাজকে খোদ এডভোকেট জেনারেল বলছেন, আইন মেনে হয়নি সেই পুলিশ বা সিটের তদন্তে কেমন ভাবে তিনি আস্থা রাখছেন তা বোঝা যাচ্ছে না।

কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে এডভোকেট জেনারেল যাই বলুক না কেন এ কথা খুব স্পষ্ট হয়ে গেছে আনিস হত্যার নেপথ্যে পুলিশের ভূমিকা ছিল এটা অস্বীকার করা কোনোভাবেই যাবে না। মমতা প্রশাসনের উচিত ছিল নিজের ভাবমূর্তি রক্ষার স্বার্থেই আনিস হত্যার তদন্ত নিরপেক্ষ কোন এজেন্সিকে দিয়ে করানো। আজ মঙ্গলবার আনিস হত্যার তদন্ত নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে মামলার শুনানি ছিল।

সেই শুনানিতে অংশ নিয়ে রাজ্যের এডভোকেট জেনারেল বলেন,আত্মহত্যা করেননি ছাত্রনেতা আনিস খান। খুনও করা হয়নি তাঁকে। এজির বক্তব্য অনুযায়ী, খুনের জন্য পুলিশের কোনও মোটিভ নেই। এমনকী আনিসকে ব্যক্তিগতভাবে কেউ চিনতেনও না। তাঁর কথায়, আনিসের বিরুদ্ধে পকসো ধারায় একটি মামলা ছিল। হিজাব সংক্রান্ত পোস্ট নিয়েও একটি জটিলতা ছিল। ঘটনার দিন আনিসকে গ্রেপ্তার করতে গিয়েছিল পুলিশ। সম্ভবত সেই সময় পালানোর চেষ্টা করেন আনিস।

তবে এদিন হাই কোর্টে এজি জানিয়েছেন, তল্লাশির ক্ষেত্রে পুলিশকে যা নিয়ম মানতে হয়, এক্ষেত্রে তা মানা হয়নি। ফলে ওই তল্লাশির ঘটনার সঙ্গে যুক্ত পুলিশ কর্মীদের শাস্তির কথাও বলেছেন তিনি। এই ঘটনার জন্য অ্যাডিশনাল এসপিকে প্রশ্নের মুখেও পড়তে হবে বলেই আদালতে বলেন অ্যাডভোকেট জেনারেল।

উল্লেখ্য, মাস চারেক আগে আমতা থানা এলাকার বাসিন্দা আনিস খানের বাড়িতে হানা দিয়েছিল পুলিশের পোশাক পরা কয়েকজন। তারা আনিসের বাবা সালাম খানকে গানপয়েন্টে রাখে। আনিসের সঙ্গে কথোপকথন চলাকালীন ছাদ থেকে তাঁকে ঠেলে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ ওঠে। মৃত্যু হয় আনিস খানের। তারপর থেকেই সুবিচারের দাবিতে উত্তাল রাজ্য।

এ কথা অস্বীকার করার উপায় নেই আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ যাওয়ার পর তার লাশ উদ্ধার হয়। সুতরাং সহজ সরল সমীকরণ এটা স্বীকার করতেই হবে আনিস এর মৃত্যুর জন্য সরাসরি পুলিশ দায়ী। প্রশ্ন উঠেছে তাহলে এখনো পর্যন্ত হাওড়া জেলার এসপি বদল হলো না কেন? প্রশ্ন উঠেছে আমতা থানার ওসি এখনো গ্রেফতার হলো না কেন?

আসলে এডভোকেট জেনারেল যেসব চুক্তি কলকাতা হাইকোর্টে দিয়েছেন সেইসব যুক্তিতেই এটা প্রশ্ন হয়েছে আনিসের মৃত্যুর জন্য পুলিশ দায়ী। আর মমতা প্রশাসন এক্ষেত্রে কোন কড়া পদক্ষেপ এখনো পর্যন্ত নেয়নি। এর ফলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই রাজ্যের তার কমিটেড মুসলিম ভোটব্যাঙ্ক যে হারাতে চলেছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আনিসের হত্যার পরে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিকদের কাছে বলেছিলেন ১৫ দিনের মধ্যে আনিসের খুনিরা গ্রেফতার হবে। আজ চার মাস অতিবাহিত হয়ে গেল কাউকে সেই ভাবে গ্রেফতার হয়নি। সিভিক ভলেন্টিয়ার দা পুলিশ কর্মী নয়। সুতরাং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি সিভিক ভলেন্টিয়ারদের পুলিশকর্মী বলে এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজকে বোঝাতে চান তাহলে ভোট যে হারাচ্ছে তা নিয়ে কোন সন্দেহ থাকবে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উচিত নিরপেক্ষ তদন্তের স্বার্থে আনিস মৃত্যুরহস্যের তদন্ত কোনো নিরপেক্ষ এজেন্সির হাতে তুলে দেওয়া। তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ্বল হবে। কিন্তু তিনি যদি কাজ না করেন তাহলে এটা স্পষ্ট ভাবে বলা যায় আগামী দিনে এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষমতায় টিকে থাকাটা কঠিন হবে।

 

 

 

 

 

The post Anish Khan : নিয়ম মেনে আনিস খানের বাড়িতে পুলিশ তল্লাশিতে যায়নি কলকাতা হাইকোর্টে স্বীকার করে নিলেন এডভোকেট জেনারেল first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anish Khan Death Mystery : সিটের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং বিচারপতি, আনিসকে খুন করা হয়েছে ফের আদালতে দাবি করলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার https://banglarjanarob.com/55915 Thu, 12 May 2022 16:36:26 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=55915 বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ কলকাতা হাইকোর্টে আনিস খান মৃত্যু রহস্যের মামলার শুনানি হয়। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে নিয়ে আনিস খানকে খুন করেছে পুলিশ বলে সরাসরি অভিযোগ করে তা নিয়ে যুক্তিগ্রাহ্য বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থারও সিটের তৈরি করা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এদিন বিচারপতি জানতে চান, পুলিশকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেন। তারপর তারা কী দেখলেন? কী হল? সেগুলির তো কোথাও উল্লেখ নেই। বিচারপতি আরও জানতে চান, আনিসের বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকত তাহলে তাঁকে ৪১ এ নোটিশ পাঠানো প্রয়োজন ছিল। সেটা…

The post Anish Khan Death Mystery : সিটের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং বিচারপতি, আনিসকে খুন করা হয়েছে ফের আদালতে দাবি করলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ কলকাতা হাইকোর্টে আনিস খান মৃত্যু রহস্যের মামলার শুনানি হয়। এদিন ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে নিয়ে আনিস খানকে খুন করেছে পুলিশ বলে সরাসরি অভিযোগ করে তা নিয়ে যুক্তিগ্রাহ্য বিস্তারিত বক্তব্য রাখেন প্রখ্যাত আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য। তবে এদিন বিচারপতি রাজশেখর মান্থারও সিটের তৈরি করা রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তোলেন।

এদিন বিচারপতি জানতে চান, পুলিশকর্মীরা সিঁড়ি দিয়ে ওপরে উঠলেন। তারপর তারা কী দেখলেন? কী হল? সেগুলির তো কোথাও উল্লেখ নেই। বিচারপতি আরও জানতে চান, আনিসের বিরুদ্ধে যদি কোনও অভিযোগ থাকত তাহলে তাঁকে ৪১ এ নোটিশ পাঠানো প্রয়োজন ছিল। সেটা হয়েছে কি? তাঁর বাড়িতে কোন সমস্যা ছিল কিনা সেটা কি তদন্ত করে দেখা হয়েছে ?

অন্যদিকে ময়নাতদন্তের রিপোর্ট তুলে ধরে বিকাশ ভট্টাচার্য বলেন, এই নথির ছত্রে ছত্রে আনিসের দেহে আঘাতের চিহ্ন থাকার কথা বলা হয়েছে। যা থেকে বোঝা যাচ্ছে, মৃত্যুর আগে তাঁর সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি হয়েছে।

বিকাশের অভিযোগ, পুলিশকর্মীদের বাঁচানোর জন্যই সিট সাজানো তদন্ত চালাচ্ছে। প্রসঙ্গত, ওই মামলায় আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছে।

বিকাশ ময়না তদন্তের রিপোর্ট দেখিয়ে আরও দাবি করেন, আনিস মারা যাওয়ার আগেই তাঁর দেহে বেশ কিছু আঘাতের চিহ্ন ছিল। যেগুলি ময়নাতদন্তকারীদের পর্যবেক্ষণে উঠে এসেছে। যা থেকে বোঝা যায় পুলিশ তাঁকে মেরে ওপর থেকে ফেলে দিয়েছে।

তাই উল্টো তত্ত্ব খাঁড়া করার চেষ্টা হচ্ছে যে আনিস খান হয়তো পাঁচিলের ওপর বসে ছিল। সেখান থেকে পড়ে গিয়েছে। সেই তত্ত্ব নিয়ে বিকাশের প্রশ্ন মাঝরাতে আনিস কেন ওখানে বসতে যাবে?

পুলিশ মাঝরাতে বাড়িতে এসে তাঁর বাবাকে ডেকে দরজা খুলিয়ে ওপরে গিয়ে মারধর করেছে। তারপর তাঁকে ফেলে দেয়। তাঁর আরও বক্তব্য, কেউ যদি স্বেচ্ছায় ঝাঁপ মারে তাহলে তার হাতে পায়ে আঘাত লাগার সম্ভবনা থাকে, এক্ষেত্রে সেই ধরনের আঘাত নেই। মাথায় আঘাত আছে। এদিন একইসঙ্গে আনিসের বাবার পলিগ্রাফ টেস্ট এর বিরোধিতা করেন আইনজীবী বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য।

রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেন, আমরা চার্জশিট পেশের জন্য প্রস্তুত। আনিছ খানের মোবাইল হায়দ্রাবাদ থেকে আনা হয়েছে তা থেকে যাবতীয় তথ্য সামনে আনা হবে বলে সরকারের আইনজীবী আদালতে জানান। একইসঙ্গে আনিসের বাবাকে পলিগ্রাফ টেস্ট করা হলে তাতে তার শারীরিক ভাবে কোন অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। তবে বিচারপতি রাজশেখর মান্দারতলা প্রশ্নের উত্তর সরকারি আইনজীবী সঠিকভাবে দিতে পারেননি বলে জানা গেছে।

 

The post Anish Khan Death Mystery : সিটের রিপোর্ট নিয়ে প্রশ্ন তুললেন স্বয়ং বিচারপতি, আনিসকে খুন করা হয়েছে ফের আদালতে দাবি করলেন বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য, পরবর্তী শুনানি মঙ্গলবার first appeared on Banglar Janarob.]]>
Eid Politics : ঈদের সকালে মৃত-আনিস খানের বাড়িতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, পাল্টা রিজের বাড়িতে মমতা, কমিটেড মুসলিম ভোট কি হারাচ্ছে তৃণমূল? https://banglarjanarob.com/55437 Tue, 03 May 2022 10:53:12 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=55437 বাংলার জনরব ডেস্ক : ঈদের দিন সকালেই আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি গতকালই ঘোষণা করেছিলেন ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা রহস্যের কিনারা যতদিন না হচ্ছে ততদিন তারা থেমে থাকবে না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ঈদের দিনে খুশির বার্তা নিয়ে যখন সবাই নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে উৎসব পালন করছেন ঠিক তখনই নীরবে কলকাতা থেকে বহুদূরে আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মোহাম্মদ সেলিম। শুধু মোহাম্মদ সেলিম একা নন তার সঙ্গে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য শতরূপ ঘোষ এবং হাওড়া জেলার সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের এই রাজনীতির কাছে খানিকটা হার…

The post Eid Politics : ঈদের সকালে মৃত-আনিস খানের বাড়িতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, পাল্টা রিজের বাড়িতে মমতা, কমিটেড মুসলিম ভোট কি হারাচ্ছে তৃণমূল? first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : ঈদের দিন সকালেই আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম। তিনি গতকালই ঘোষণা করেছিলেন ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা রহস্যের কিনারা যতদিন না হচ্ছে ততদিন তারা থেমে থাকবে না। আন্দোলন চালিয়ে যাবেন। ঈদের দিনে খুশির বার্তা নিয়ে যখন সবাই নিজেদের আত্মীয়স্বজনদের মধ্যে উৎসব পালন করছেন ঠিক তখনই নীরবে কলকাতা থেকে বহুদূরে আনিস খানের বাড়িতে পৌঁছে গেলেন মোহাম্মদ সেলিম।

শুধু মোহাম্মদ সেলিম একা নন তার সঙ্গে গিয়েছেন সিপিএমের রাজ্য কমিটির অন্যতম সদস্য শতরূপ ঘোষ এবং হাওড়া জেলার সিপিএম নেতৃত্ব। সিপিএমের এই রাজনীতির কাছে খানিকটা হার মেনে নিতে হলো রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তিনি ঈদের দিন সকালে পৌঁছে গেলেন রিজওয়ানুর রহমানের মায়ের ঘরে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রেড রোডে ঈদের জামাত শেষ হওয়ার পর ওখান থেকে সরাসরি পৌঁছে যান রিজওয়ানুর রহমানের বাড়িতে। সেখান বেশ কিছুক্ষণ তিনি ছিলেন।

রিজওয়ানুর রহমান এর মা কিশোয়ার জাহানের সঙ্গে তিনি কথা বলেন এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের সঙ্গেও কথা বলেন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আজকের এই কাজকর্ম বেশ কয়েক মাস আগে যদি তিনি গুরুত্ব দিতেন তাহলে এই রাজ্যের সংখ্যালঘুরা তৃণমূলের কাছ থেকে সরে যেত না।

এটা অস্বীকার করার উপায় নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিটেড ভোটব্যাংকে অনেকটাই আঘাত হেনেছে। এর জন্য সরাসরি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেই দায়ী। তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উন্নয়নের জন্য তেমন কোনো পদক্ষেপ তিনি গ্রহণ করেননি’।

একইসঙ্গেআলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে তাঁর সরকারের নেতিবাচক মানসিকতাতার প্রভাব রাজ্যের সংখ্যালঘু সমাজের পড়েছে। অন্যদিকে আনিস খানের মৃত্যুর পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতিশ্রুতি মত ১৫ দিনের মধ্যে আনিস খানের অপরাধীরা ধরা পড়েনি। উপরন্ত সিট জানিয়ে দিয়েছে আনিস খান খুন হন নি। এর পরে রয়েছে বালিগঞ্জ বিধানসভা কেন্দ্রে বাবুল সুপ্রিয় এর মত আরএসএস ঘনিষ্ঠ এক ব্যক্তিকে প্রার্থী করা যেটা এই রাজ্যের সংখ্যালঘু জনমানষে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতে শেষ পেরেক পুঁতে দিয়েছে বলেই রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতার এই বাড়িতেই মারা যান আনিস। সেই সময় অভিযোগ উঠেছিল রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে। আনিসের পরিবারের অভিযোগ ছিল, ওই দিন গভীর রাতে পুলিশ আনিসের বাড়িতে হানা দেওয়ার পরে তাঁর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়। তাঁকে ছাদ থেকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি করেছিল সিপিএম, কংগ্রেস ও আইএসএফের মতো বিরোধী দলগুলি। এখন আদালতের নির্দেশে ঘটনার তদন্ত করছে সিট।

তা সত্ত্বেও, আনিসের পরিবার সিবিআই তদন্তের দাবিতে সরব। আনিসের মৃত্যুর পর থেকেই তাঁর পরিবারের পাশে রয়েছে সিপিএম। তাঁদের আরও দাবি, আনিস সিপিএমের ছাত্র ফেডারেশনের সদস্য ছিলেন। তাঁর বাবা সেলিম খানও এক সময় সিপিএমের সদস্য ছিলেন। তাই এই ঘটনায় শেষ পর্যন্ত তাঁদের পাশেই থাকবে দল— এই বার্তা দিতেই ইদ উৎসবের দিনে আনিসের বাড়ি গিয়েছিলেন সেলিম-সহ নেতারা। সেলিম দাবি করেছেন, যত দিন না আনিস খানের খুনের বিচার পাচ্ছে তাঁর পরিবার, তত দিন সিপিএম নেতৃত্ব তাঁদের পাশে থেকেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে লড়াই করে যাবে। তবে ইদের এক দিন আগে আনিসের বাড়িতে এসেছিলেন আইএসএস নেতা তথা বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকি। তিনিও আনিসের বাবার পাশে থাকার বার্তা দিয়ে গিয়েছেন।

The post Eid Politics : ঈদের সকালে মৃত-আনিস খানের বাড়িতে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম, পাল্টা রিজের বাড়িতে মমতা, কমিটেড মুসলিম ভোট কি হারাচ্ছে তৃণমূল? first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anis Khan Death Mystery: ‘আনিস খান খুন হন নি’ আদালতে জানালো রাজ্যের গঠিত সিট, ‘রিপোর্ট ভুল’ বলছেন আনিসের পরিবার, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের বাবা https://banglarjanarob.com/55077 Mon, 25 Apr 2022 07:25:31 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=55077 বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টকে ‘ভুল’ বলে জানাল আনিসের পরিবার। কলকাতা হাই কোর্টে আনিসের পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘রাজ্য এটাকে ‘খুন’ বলছে না। আমরা তা মেনে নিতে পারছি না। এই রিপোর্টে ভুল আছে।’’ গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতায় ছাত্রনেতা আনিসের দেহ তাঁর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তার আগে আনিসের বাড়িতে এসেছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁরা আনিসের খোঁজে বাড়ির তিনতলাতেও যান। সেখান থেকেই আনিসকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার। ঘটনাটির সিবিআই তদন্তও দাবি করেছিলেন তাঁরা। যদিও…

The post Anis Khan Death Mystery: ‘আনিস খান খুন হন নি’ আদালতে জানালো রাজ্যের গঠিত সিট, ‘রিপোর্ট ভুল’ বলছেন আনিসের পরিবার, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের বাবা first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত রিপোর্টকে ‘ভুল’ বলে জানাল আনিসের পরিবার। কলকাতা হাই কোর্টে আনিসের পরিবারের আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য সোমবার বলেন, ‘‘রাজ্য এটাকে ‘খুন’ বলছে না। আমরা তা মেনে নিতে পারছি না। এই রিপোর্টে ভুল আছে।’’

গত ১৮ ফেব্রুয়ারি আমতায় ছাত্রনেতা আনিসের দেহ তাঁর বাড়ির সামনে থেকে উদ্ধার হয়। পরিবারের অভিযোগ ছিল, তার আগে আনিসের বাড়িতে এসেছিলেন কয়েকজন পুলিশকর্মী। তাঁরা আনিসের খোঁজে বাড়ির তিনতলাতেও যান। সেখান থেকেই আনিসকে ঠেলে ফেলে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছিল পরিবার।

ঘটনাটির সিবিআই তদন্তও দাবি করেছিলেন তাঁরা। যদিও আদালত রাজ্য পুলিশকেই ঘটনাটির তদন্তভার দেয়। রাজ্য পুলিশের বিশেষ তদন্তকারী দল আনিস খানের মৃত্যু মামলার তদন্ত শুরু করে। যার রিপোর্ট সম্প্রতি আদালতে পেশ করা হয়েছে। আর তা নিয়েই আপত্তি তুলেছে আনিসের পরিবার। জানিয়েছে, এই রিপোর্টে ভুল আছে।

আনিসের পরিবারের অভিযোগের জবাবে বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা আনিসের পরিবারকে নির্দেশ দিয়েছেন, তাঁদের আপত্তির কথা হলফনামা পেশ করে আদালতকে জানাতে। বিচারপতি বলেন, এক সপ্তাহের মধ্যেই ওই হলফনামা দিতে হবে। রাজ্যের রিপোর্টে কোথায় কোথায় আপত্তি রয়েছে তা তারা হলফনামায় উল্লেখ করবে। এই মামলায় ১৯ এপ্রিল হাই কোর্টে তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছিল রাজ্য। মামলার পরবর্তী শুনানি ১২ মে।

The post Anis Khan Death Mystery: ‘আনিস খান খুন হন নি’ আদালতে জানালো রাজ্যের গঠিত সিট, ‘রিপোর্ট ভুল’ বলছেন আনিসের পরিবার, সিবিআই তদন্তের দাবিতে অনড় আনিসের বাবা first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anish Khan Death Mystery : আনিস হত্যা রহস্যের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিল সিট, বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে আনিসের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ আদলতের https://banglarjanarob.com/54869 Tue, 19 Apr 2022 09:43:00 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=54869 বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার আনিস হত্যাকাণ্ডের (Anis Khan Murder Case) তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। মুখবন্ধ খামে ৮২ পাতার রিপোর্ট জমা দিল সিট। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বিচারপতিরা। সোমবার এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এজলাসে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আনিস খানের বাবা। এদিন বিষয়টি বিচারপতির মান্থারের নজরে আসতেই মামলা থেকে অ্যবাহতি চান তিনি। আইনজীবীদের অনুরোধে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও আনিস খানের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিট। এদিন তারা মুখবন্ধ খামে ৮২ পাতার রিপোর্ট…

The post Anish Khan Death Mystery : আনিস হত্যা রহস্যের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিল সিট, বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে আনিসের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ আদলতের first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ মঙ্গলবার আনিস হত্যাকাণ্ডের (Anis Khan Murder Case) তদন্ত রিপোর্ট জমা পড়ল আদালতে। মুখবন্ধ খামে ৮২ পাতার রিপোর্ট জমা দিল সিট। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখবেন বিচারপতিরা। সোমবার এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার। এজলাসে তাঁর অনুপস্থিতি নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন আনিস খানের বাবা।

এদিন বিষয়টি বিচারপতির মান্থারের নজরে আসতেই মামলা থেকে অ্যবাহতি চান তিনি। আইনজীবীদের অনুরোধে নিজের সিদ্ধান্ত থেকে সরে এলেও আনিস খানের বাবাকে হলফনামা দিয়ে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।

মঙ্গলবার আনিস খানের মৃত্যুর তদন্ত করছে সিট। এদিন তারা মুখবন্ধ খামে ৮২ পাতার রিপোর্ট জমা দেন আদালতে। রাজ্যের অ্যাডভোকেট জেনারেল সৌমেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় ফরেনসিক দলের রিপোর্ট এবং পেন ড্রাইভ রিপোর্ট জমা দেন। মামলার পরবর্তী শুনানি আগামী সোমবার। এর মধ্যেই আনিসের বাবা সালেম খানকে ক্ষমা চাইতে হবে।

সোমবার এজলাসে গরহাজির ছিলেন বিচারপতি মান্থার। এনিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করছিলেন আনিস খানের বাবা। এদিন আইনজীবী বিচারপতিকে জানান, “গতকাল সালেম খান বলেছেন, মুখ্যমন্ত্রীর চাপে এজলাসে বসেননি বিচারপতি রাজশেখর মান্থার।” আনিস খানের পরিবারের আইনজীবী বিষয়টিকে লঘু করার চেষ্টা করেন।

আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য বলেন, “যদি সালেম খান এরকম কিছু বলে থাকেন, আমরা তার জন্য ক্ষমাপ্রার্থী। সালেম খান একজন সাধারণ কৃষক, তার ছেলে মারা গিয়েছেন। মানসিক চাপে আছেন তিনি। তিনি আদালতের নিয়ম জানেন না। এত শিক্ষিত মানুষ তিনি নন। ভুল হলে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী।”

 

 

The post Anish Khan Death Mystery : আনিস হত্যা রহস্যের তদন্ত রিপোর্ট হাইকোর্টে জমা দিল সিট, বিচারপতিকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করার দায়ে আনিসের বাবাকে ক্ষমা চাওয়ার নির্দেশ আদলতের first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anish Khan to Hanskhali : আনিস খান থেকে হাঁসখালি সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল! অযথা সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ না করে মমতার উচিত এসব ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নেওয়া https://banglarjanarob.com/54602 Tue, 12 Apr 2022 08:21:29 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=54602 সেখ ইবাদুল ইসলাম : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা রহস্যের কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত সিট । বিষয়টি স্পষ্ট, পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল তারপর পুলিশ ফিরে আসার পরেই আনিসের দেহ উদ্ধার হয় । সুস্থ এবং স্বাভাবিক একজন তরুণ যুবক সেদিন রাতে জলসাতে ছিল, তারপর বাড়ি ফিরে এলো । কিছুক্ষণ পর পুলিশ এলো তারপর আনিসের মৃত্যু হলো । ঘটনাটা এটাই । আনিসের মৃত্যুতে সরাসরি পুলিশ দায়ী কিনা তার বলা না গেলেও, এটা পরিস্কার পুলিশ যাওয়া এবং আসার মধ্যেই আনিসের মৃত্যু হয়েছে । দায় এড়াতে পারে না পুলিশ, দায়…

The post Anish Khan to Hanskhali : আনিস খান থেকে হাঁসখালি সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল! অযথা সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ না করে মমতার উচিত এসব ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নেওয়া first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রনেতা আনিস খানের হত্যা রহস্যের কিনারা এখনও করে উঠতে পারেনি মুখ্যমন্ত্রীর গঠিত সিট । বিষয়টি স্পষ্ট, পুলিশ আনিসের বাড়িতে গিয়েছিল তারপর পুলিশ ফিরে আসার পরেই আনিসের দেহ উদ্ধার হয় । সুস্থ এবং স্বাভাবিক একজন তরুণ যুবক সেদিন রাতে জলসাতে ছিল, তারপর বাড়ি ফিরে এলো । কিছুক্ষণ পর পুলিশ এলো তারপর আনিসের মৃত্যু হলো । ঘটনাটা এটাই । আনিসের মৃত্যুতে সরাসরি পুলিশ দায়ী কিনা তার বলা না গেলেও, এটা পরিস্কার পুলিশ যাওয়া এবং আসার মধ্যেই আনিসের মৃত্যু হয়েছে । দায় এড়াতে পারে না পুলিশ, দায় এড়াতে পারে না পুলিশমন্ত্রী । সাধারণ মানুষ যে আজ পুলিশের হাতেও নিরাপদ নন, তা আমতার আনিসের ঘটনায় প্রমাণিত হয়েছে । আমাদের মতো আম জনতা যখন আনিসের মৃত্যু রহস্য নিয়ে একটা মোটামুটি ধারণা তৈরি করতে পারে তখন জনগণের পয়সায় লাখ-লাখ টাকা বেতন পাওয়া পুলিশ কর্তারা কেন পারবেন না ? যদি সদিচ্ছা থাকতো তাহলে ১৫ দিন কেন এক সপ্তাহ আনিস খানের হত্যাকারীরা ধরা পড়ে যেত । কারণ খুব কঠিন কিছু তদন্তের বিষয় নেই । তারপরেও আনিসের হত্যাকারীরা এখন ধরা পড়েনি । এই কথা প্রচার করা আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর চোখে অন্যায় । আনিসরা এখন ইঁদুর বা আরশোলায় পরিণত হয়েছে । তাই বলা হচ্ছে,ইঁদুর মরলেও খবর করা হচ্ছে ।  রাজ্য প্রশাসনের চরমতম ব্যর্থতাকে প্রকাশ্যে আনাটা অপরাধ বলে মনে করছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী!

আনিস হত্যার পর থেকে যেভাবে পরপর হত্যালীলা ঘটে চলেছে তাতে অবশ্যই রাজ্যের ভবিষ্যৎ নিয়ে আমরা চিন্তিত । মনে রাখতে হবে আজ মমতা সরকার ক্ষমতায় আছে কাল না থাকতেও পারে। কিন্ত এই পরম্পরা বজায় থাকলে রাজ্যের মানুষের জান-মালের নিরাপত্তা কী থাকবে? ঝালদার কংগ্রেসের জয়ী কাউন্সিলর থেকে পানিহাটি তৃণমূলের জয়ী কাউন্সিলর অনুপম দত্তের মৃত্যু প্রমাণ করেছে এই রাজ্যের জনপ্রতিনিধিদেরও নিরাপত্তা নেই । এরপর রামপুরহাটের বড়শাল গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখকে খুন করা হয়, পরবর্তীতে বগটুইয়ে প্রতিহিংসা স্বরুপ ৯ জন মহিলাকে পুড়িয়ে মারা হয় । এসব নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না । কারণ রাজা ক্ষুদ্ধ হচ্ছেন । দুচারটি প্রজা মারা গেলে রাজা-রানীর কিছু হয় না । যারা স্বজন হারাচ্ছেন তাদের জীবন এবং পরিবার শুন্য হয়ে যাচ্ছে । এসব নিয়ে অবশ্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কোনো অনুশোচনা নেই । বরং তিনি মনে করছেন এগুলি সবই ছোটখাটো ঘটনা । কয়েক দিন আগে আলিয়ার উপাচার্যকে যে ভাষায় শাসক দলের ছাত্রনেতা আক্রমণ করেছেন গালিগালাজ করেছেন তা এক কথায় নিন্দনীয় হলেও মুখ্যমন্ত্রী ভাষায়,‘একটু কটু খারাপ কথা’ বলেছে । ভাবটা এমন যেন এটা কোনো নিন্দা করার মতো ঘটনা নয় । আর এতেই সাহস বেড়ে যাচ্ছে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের । তারা মনে করছে, আমরা যা করবো তাকেই মুখ্যমন্ত্রী বলবেন ছোট ঘটনা । অতএব আমাদের সাতখুন মাফ !

বামফ্রন্ট্রের ৩৪ বছর রাজত্বকাল আমরা দেখেছি। জ্যোতিবাবুও অনেক ঘটনাকে ছোট ঘটনা বলেছেন । তবে একটা বিষয় মনে রাখতে হবে সরকারের ভাবমূর্তিকে হয়তো ঠিক রাখার জন্য জ্যোতিবাবু বা বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যরা নানা বিভ্রান্তিমূলক কথা বার্তা বলেছিলেন তবে মুখ যা বলতেন বিচার করতেন অন্যভাবে । সেই সময় কোনো কমরেডের বিরুদ্ধে অভিযোগ এলে দলীয় স্তরে তদন্ত হতো এবং দলের অনেক প্রভাবশালী কমরেডকে বহিস্কার করতে পিছু পা হয়নি সিপিএম । আর এখন দল এবং সরকার মিলেমিশে একাকার হয়ে গেছে । ফলে সরকার প্রশাসনিক স্তরে ব্যবস্থা নিতে পারছে না । আর এজন্যই সমগ্র রাজ্য জুড়ে খুন-ধর্ষণ-রাহাজানি বেড়েই চলেছে ।

যেমন ধরুন এক সপ্তাহ আগে নদীয়ার হাঁসখালিতে যা ঘটেছে তার সঙ্গে যোগী রাজ্যের হাথরস কান্ডের তুলনা চলে । একটা নিম্নবিত্ত পরিবারের নাবালিকা হয়তো প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে ছিল এলাকার এক দোদন্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার ছেলের সঙ্গে । সেটাই হয়তো ওই মেয়েটির জীবনে কাল হয়েছে । ছেলেটির জন্মদিনের অনুষ্ঠানে মেয়েটি যায়, সেখানে কী ঘটেছিল তা সবটা জানা যায়নি ঠিকই, এটা প্রমাণিত কিছু একটা অঘটন হয়েছিল । তারপর প্রচন্ড রক্তপাত, মেয়েটির মুত্যু বলে অভিযোগ। মৃত্যুর পর ওই তৃণমূল নেতার পরিবারের চাপেই ডেথ সার্টিফিকেট না নিয়েই জোর করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয় । ময়না তদন্ত হয়নি। ফলে সব প্রমাণ লোপাট । এই ঘটনা নিয়ে সংবাদ মাধ্যম কিছু প্রশ্ন তুলেছে । আর তাতে আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ফুঁসে উঠেছেন । রীতিমতো সংবাদ মাধ্যমকে হুমকি দিয়েছেন। সংবাদমাধ্যম সীমা ছাড়াচ্ছে বলে গর্জন করেছেন । নাম করে একটি সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করেছেন ।

তারপর হাঁসখালি নিয়ে তিনি যা বলেছেন তা সকলেই জানেন । এটা লাভ অ্যাফেয়ার ছিল, মেয়েটিকে ধর্ষণ করা হয়েছে , নাকি পেগন্যান্ট ছিল । কেন চারদিন পর পুলিশে অভিযোগ করা হলো? কেন ঘটনার দিনেই করা হলো না ? এসব প্রশ্ন যখন খোদ রাজ্যের পুলিশমন্ত্রী করেন তখন তদন্ত যে কোন দিকে যাবে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না । আর এই ধরনের আলটপকা মন্তব্য করেই নিজের বিপদ বাড়াচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । হাঁসখালির ঘটনা নিয়ে এই রাজ্যের মানুষ খুব যে বেশি ভাবছিল তা নয়, কিন্ত গতকাল সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর এই ধরনের মন্তব্যের পর আবার নতুন করে মানুষের মনে প্রশ্ন জাগছে । যেমন বগটুইয়ের ঘটনা পর মুখ্যমন্ত্রী যদি কেস সাজানোর কথা না বলতেন কিংবা আনারুল হোসেন পুলিশ পাঠায়নি , তাই তাকে গ্রেফতার করা হোক এই নির্দেশ না দিতেন তাহলে হয়তো বগটুইয়ের ঘটনার তদন্ত সিবিআইয়ের হাতে যেত না ।

মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমার অনুরোধ একটু আয়নায় মুখ দেখুন । আর ভাবুন বার বার আপনার দলের নেতা-কর্মীরাই কেন বিভিন্ন ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে যাচ্ছেন? সংবাদ মাধ্যমকে আক্রমণ করে নিজের ভাবমূর্তিকে খোয়াবেন না । কারণ আপনি গণআন্দোলন করেই আজ ক্ষমতার শীর্ষে । তাই বাংলার মানুষ এখনও আপনাকে সম্মান দেখায়, তাদের দেওয়া সম্মানকে আলটপকা মন্তব্য করে হারাবেন না ! বাংলায় যা ইদানিং ঘটছে তা মোটেই ভাল ঘটনা নয়। আপনি নিজে কড়া অবস্থান নিন, আর দলে স্বচ্ছ মানুষদের গুরুত্ব দিন তাহলে সমস্যার এই কালো মেঘ কেটে যাবে । মনে রাখবেন বামেদের শক্তিশালী সংগঠনও তাদের পতনকে রুখতে পারেনি। যে রাইটার্স থেকে চুলের মুঠি ধরে আপনাকে বের করে দেওয়া হয়েছিল,সেই রাইটার্সেই বিপুল জনসমর্থন নিয়ে আপনি ঢুকে ছিলেন । আর যারা এই কাজ করেছিল তারা এখন শুন্য । এটাই কালের নিয়ম । “কালের চক্র বক্র গতিতে/ ঘুরিতেছে অবিরত/ আজিকে যাহারা কালের শীর্ষে/ কাল তারা পদানত।”

 

 

The post Anish Khan to Hanskhali : আনিস খান থেকে হাঁসখালি সব ক্ষেত্রেই কাঠগড়ায় শাসক দল! অযথা সংবাদমাধ্যমকে আক্রমণ না করে মমতার উচিত এসব ক্ষেত্রে কড়া অবস্থান নেওয়া first appeared on Banglar Janarob.]]>
রাজধর্ম, রাজ্হাঁস এবং রাজনীতি…… https://banglarjanarob.com/53960 Fri, 25 Mar 2022 05:18:33 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=53960 সম্প্রতি ছাত্রনেতা আনিস খান থেকে শুরু করে তুহিনা খাতুন এবং কয়েক দিন আগে রামপুরহাটের বগটুইয়ের গণহত্যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোলগোল পড়েছে । শুধু রাজ্য নয় দেশ তথা বিশ্বজুড়ে বগটুইয়ের লোমহর্ষক , মর্মান্তিক , নৃশংস নরসংহার সব মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে ! কিন্ত রাজনীতির কারবারীদের কাছে ‘সেই ট্রাডিশন সমানেই চলছে’। মানুষের মৃত্যু মিছিলের পথ ধরেই রাজনীতির পালাবদল ঘটে। রাজা আসে , রাজা যায়,সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার কমে না , গণহত্যার  ট্রাডিশন চলতেই থাকে……। এই পরম্পরাকে খানিকটা ব্যঙ্গ করে,হালকা চালে সাধারণ মানুষের বিবেকে চাবুক মেরেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মুদাসসির নিয়াজ । তাঁর…

The post রাজধর্ম, রাজ্হাঁস এবং রাজনীতি…… first appeared on Banglar Janarob.]]>
সম্প্রতি ছাত্রনেতা আনিস খান থেকে শুরু করে তুহিনা খাতুন এবং কয়েক দিন আগে রামপুরহাটের বগটুইয়ের গণহত্যা নিয়ে রাজ্য জুড়ে শোলগোল পড়েছে । শুধু রাজ্য নয় দেশ তথা বিশ্বজুড়ে বগটুইয়ের লোমহর্ষক , মর্মান্তিক , নৃশংস নরসংহার সব মানুষের হৃদয়কে নাড়িয়ে দিয়েছে ! কিন্ত রাজনীতির কারবারীদের কাছে ‘সেই ট্রাডিশন সমানেই চলছে’। মানুষের মৃত্যু মিছিলের পথ ধরেই রাজনীতির পালাবদল ঘটে। রাজা আসে , রাজা যায়,সাধারণ মানুষের উপর অত্যাচার কমে না , গণহত্যার  ট্রাডিশন চলতেই থাকে……। এই পরম্পরাকে খানিকটা ব্যঙ্গ করে,হালকা চালে সাধারণ মানুষের বিবেকে চাবুক মেরেছেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিষ্ট মুদাসসির নিয়াজ । তাঁর ফেসবুক ওয়াল থেকে এই লেখা নেওয়া হয়েছে।

ধু্ত তেরিকা। কানের গোড়ায় এমন প্যান প্যান করছে, যেন খুন আগুন লাশ —– এসব বাপের কালে শোনেনি! আরে মশাই হিংসা, প্রতিহিংসা, প্রতিশোধস্পৃহা — এসব ট্র্যাডিশন তো মান্ধাতা আমল থেকেই চলে আসছে। এ আর এমন নতুন কী? এগুলোকে আর পাঁচটা স্বাভাবিক ঘটনা বা মামুলি বলে মেনে নিতে পারলেই তো সব ল্যাটা চুকে যায়। সামান্য পান থেকে চুন খসলেই যদি এত উথাল পাতাল হয়, তাহলে বাঁচবি কদিন? এতখানি নাট ঢিলে হলে আজকের দিনে চলবে না। শক্ত হতে হবে। মানুষ শক্তের ভক্ত।

জোর যার মুলুক তার। ক্ষমতায় থাকলে সাত খুন মাফ। একরত্তি বয়স থেকেই এসব প্রবাদ শুনে শুনে তো আমাদের কান পচে গেছে। সবার ওপরে রাজনীতি সত্য, তাহার উপরে নাই। এ তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না। গেরস্থালির চৌকাঠ থেকে চমকাইতলা সবখানেই তো রাজনীতির অবারিত দ্বার। তাই তো হরিদ্বার। যেখান থেকে ধর্ম সংসদ বসিয়ে মুসলিমদের গণহত্যার ডাক দেওয়া হল!!

তুই হিন্দু। আমি মুসলিম। আমরা যে যার ধর্ম নিজের মতো করে মেনে চলার চেষ্টা করি। আর নেতামন্ত্রীদের ধর্ম হল রাজধর্ম। তবে হাঁসের রাজা যেমন রাজহাঁস, রাজধর্ম কিন্তু ধর্মের রাজা নয়। রাজধর্ম হলো রাজার ধর্ম। সেটা পালন করেন ওনারা। এ কি চাট্টিখানি কথা। মেনে চলা আর পালন করা তো এক জিনিষ হতে পারে না। দুইয়ের মধ্যে আসমান জমিন ফারাক।

রামপুরহাট এর বগটুই গ্রামে এতবড় একটা লোমহর্ষক ঘটনা ঘটে গেল, আর আমরা ছেবলামো করার জায়গা খুঁজে পেলাম না। ছি ! না এবার একটু সিরিয়াস কথা হোক। আসলে নীতির রাজা রাজনীতি না হয়ে, রাজার নীতি রাজনীতি হলে যা হয় আর কী? তাই তো শাসক বদলায়, শাসন বদলায় না। ক্ষমতার পালাবদল মানে নতুন বোতলে পুরনো মদ ছাড়া কিছুই নয়। কী কেন্দ্রে, কী রাজ্যে। গল্প সেই একই।

ঘটনা, দুর্ঘটনা কিছুই না ঘটলে পুলিশ-আদালত কিছুই তো থাকবে না। অর্থাৎ অন্তত পুলিশ-আদালতকে টিকিয়ে রাখতে হলে হিংসা, সন্ত্রাসকে মেনে নিতে হবে। আর জনৈক মন্ত্রী বাহাদুর যখন একথা বলছেন, জো হুজুর। না মেনে উপায় নেই। মন্ত্রীর কথা অমান্য করব, এতবড় লাটের বাঁট এখনও হইনি।

হাড়হিম করা এহেন নূশংস ঘটনা যখন ঘটে — মানুষ বিস্মিত হয়, হতবাক হয়, শিহরিত হয়, স্তম্ভিত হয় আরও কত কিছু হয়। তবে সবাই নয়। কেউ কেউ পুলকিতও হয় বৈকি। লাশ পোড়া গন্ধ যারা পছন্দ করে। তারাই তো শোলোক কাটে, ঘ্রা অর্ধ ভোজনং। এরা শকুনির জাত। এদের অভিশাপেই তো দিকে দিকে লাশ পড়ে।

খুন খারাবি এদের কাছে পৌষমাস। অবশ্য কারও কারও কাছে সর্বনাশ। যারা পথের কাঁটা মনে করে জনৈক ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গকে পূথিবী থেকে চিরতরে সরিয়ে দিল, তাদের তো কেল্লা ফতে। সুতরাং তারা কেন মরতে দুঃখ পাবে। তারা কেন শোকে পাথর হবে। তাদের তো এটাই এনজয় করার মোক্ষম সুযোগ। কতদিন থেকে তারা কত প্ল্যানিং করেছিল। শিকার করতে ওৎ পেতে বসেছিল। কাকে কাকে সব টাকা দিয়ে হাত করেছিল। কাকে কাকে সব টাকা দিয়ে মুখ বন্ধ করতে নিদান দিয়েছিল। কাকে কাকে সব চোখ রাঙিয়ে হুমকি দিয়ে বলেছিল, মুখ খুললে তোদের বংশে বাতি দেবার কেউ থাকবে না।

সূচপুর, নানুর, খেজুরি, পিছাবনী, নেতাই, শীতলকুচি, সারদা, বগটুই ইত্যাদি গ্রাম যে আমাদের এই রূপসী বাংলায় আছে, কেউ কি তা জানত? নাকি কস্মিনকালেও জানতে পারত? এরকম গ্রাম ভারতে কয়েক লক্ষ আছে। কিন্তু এসব অখ্যাত গ্রামগুলোর নাম দেশের প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত জেনে গেলেন, এ কী কম কথা। তাছাড়া এসব না ঘটলে আমরা যারা সিকি আধুলি সাংবাদিক বা লেখালিখি করি, তারা তো কলম চালাচালির সুযোগই পেতাম না।

সত্যি কথা স্বীকার করতে আমার অন্তত গায়ে ফোসকা পড়ে না। সাংবাদিকরা কী সাংঘাতিক। সবাই গেল একই জায়গায়। সবাই দেখল, শুনল, জানল একই ঘটনা। কিন্তু সবাই লিখল আলাদা আলাদা। পরদিন কাগজের খবর দেখে চক্ষু চড়কগাছ। কেউ লিখল দুষ্কূতি, কেউ লিখল অমুক দলের আশ্রিত বা মদদপুষ্ট দুষ্কূতি, কেউবা লিখল অজ্ঞাত পরিচয় আততায়ী। সবকিছু দেখার, শোনার, জানার পরেও কেউ লিখল, এমনটাই অভিযোগ উঠেছে। কেউ লিখল অভিযোগের তীর অমুক দলের দিকে।

রাজনৈতিক দলগুলোও তাদের খোরাক পেয়ে গেল। লাশ নিয়ে রাজনীতি করতে হবে। এটাই তো তাদের নেশা, নাকি পেশা কী যেন বলে। তাদের কাছে সবথেকে ভাবনার বিষয়টা হল, ভোট বড় বালাই। তাই এমনভাবে খেলতে হবে, যাতে সাপও না মরে, লাঠিও না ভাঙে। যাকে বলে সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ। আপনার আমার সঙ্গে ওনাদের মেলাতে পারবেন না। কারণ ওনাদের ধর্ম হলো রাজধর্ম। আমরা ধর্ম মানি, আর ওনার ধর্ম পালন করেন। এই হল নেতা আর জনতার মধ্যে তফাৎ।

এতগুলো মানুষ মারা গিয়েছে। তাই প্রথমেই বেশ গুছিয়ে পরিপাটি করে শোক ও সমবেদনা জানাতে হবে। নিহতদের পরিবারবর্গকে সান্ত্বনা দিতে হবে। তাই সব দলের নেতারাই হটস্পটে যান, এটাই নিয়ম। ঘোলা জলে মাছ ধরতে হবে সবাইকেই। কিছুদিন পর অবশ্য সেই জল থিতিয়ে যাবে। যেমন মাস খানেক আগে ঘটা আনিস খুনের জল এখন থিতিয়ে গেছে।

এবার রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে ফিরে আসি। কেউ কেউ এই হত্যাকাণ্ডের ধরনকে গুজরাট গণহত্যার সঙ্গেও তুলনা করেছেন। আমি কিন্তু একেবারে চিলেকোঠায় না উঠে সদর দরজায় দাড়িয়েই বলি। কোনও না কোনও দলের হার্মাদরাই তো দরজা বন্ধ করে এতগুলো মানুষকে প্রথমে পিটিয়ে আধমরা করেছে, তারপর খুন করেছে বা বাড়ি বাড়ি ঘুরে অগ্নিসংযোগ ঘটিয়ে নির্বিচারে শিশু, মহিলা সহ সবাইকে আগুনে পুড়িয়ে ঝলসে হত্যা করেছে। সেই নারকীয় ভিডিয়ো দেখে মনে হচ্ছিল যেন খিদিরপুরের হোটেলের শিক কাবাব। মানুষগুলোকে পুড়িয়ে একেবারে কাঠকয়লা বানিয়ে তবেই তারা তূপ্ত হয়েছে। একই গ্রামের প্রতিবেশিরা এতখানি পাষাণ হূদয়হীন দজ্জাল জল্লাদ হতে পারল কার অনুপ্রেরণায়, এ প্রশ্ন তোলা কি সমিচীন নয়?

১৯ ফেব্রুয়ারি হাওড়ার আমতার সারদা গ্রামে প্রতিবাদী কণ্ঠ আনিস খানের রহস্যময় হত্যাকাণ্ডের পর ফেসবুকে একটা লিখেছিলাম। তারই অংশবিশেষ এখানে তুলে দিলাম………

কেউ প্রতিবাদে গর্জে উঠবে, কেউ মুখে কুলুপ আঁটবে। কিছুদিন মিডিয়ার বিট বাইটের খেলা হবে। স্টেরয়েড মেশানো নেতারা দিন কয়েক আনাগোনা করবেন। নাতিশীতোষ্ণ ভাষণ দেবেন।কেউ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির জোরালো দাবি জানাতে সুর সপ্তমে চড়াবেন। কেউবা ইনসাফ চেয়ে ১৬৫ ডেসিবেলে সাওয়াল করবেন।

তারপর কালের অমোঘ নিয়মে খেজুর গাছ একদিন তেল হয়ে যাবে। ঝাঁকের কই সব ঝাঁকে ফিরে যাবে। চ্যাপ্টার ক্লোজড। রিজওয়ান, মইদুল, সুদীপ্ত, আনিসদের কাতার দীর্ঘতর হবে। আবার কেউ বা কারা রক্ত নদীর ভেলায় চড়ে পৃথিবীকে আলবিদা জানিয়ে ইউরেনাস কিংবা নেপচুনে পাড়ি জমাবে। আনিস ভাইয়ের রক্তে রাঙ্গানো ১৯ ফেব্রুয়ারি আসছে বছর আবার আসবে, ক্যালেন্ডার বদলে যাবে।

নিহত আনিসের আব্বা মায়ের দু চোখের কার্নিশে জমে থাকা ফরিয়াদ একদিন পাথর হয়ে যাবে। আমাদের আটপৌরে জীবন দিনগত পাপক্ষয় ফর্মুলায় চলছে, চলবে। প্রতিবাদীরা জীবন দিয়ে ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি করেই যাবে। তুমি সবুজ, আমি গৈরিক, কেউবা লাল রঙের চশমা পরে আছি। তাই আমরা ওরা কখনো এক হতে পারবো না। ব্রিটিশের Devide & Rule পলিসিতে মহামান্য জনদরদী নেতারা আমাদেরকে ভাগ করে রেখেছেন।

এই বিভাজন আসলে ভোটব্যাঙ্ক ও পার্টি গণিতের খেলা।আমাদের করণীয় কিছু নেই। সুতরাং নিজেকে সান্তনা দিয়ে বলি, এত বড় দেশ, দু একটা খুন হলে কি মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যাবে ? এই মৃত্যু উপত্যকাতেও বিন্দাস থাকার পাসওয়ার্ড হল মোদিজি চৌকিদার আর দুয়ারে সরকার। আর কি চাই ? ধর্মেও আছি, জিরাফেও আছি। এই বেশ ভালো আছি।

রামপুরহাটের নৃশংস হত্যাকাণ্ডেও সেই লেখার এই অংশটুকু কপি পেস্ট করলাম। এটুকু অপরাধ ক্ষমাসুন্দর দূষ্টিতে দেখার এবং মার্জনা করার অনুরোধ রইল।

 

@…..M Niaz……২৫.০৩.২০২৩

The post রাজধর্ম, রাজ্হাঁস এবং রাজনীতি…… first appeared on Banglar Janarob.]]>