অন্যান্য | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Mon, 29 Apr 2024 10:15:39 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.7.11 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg অন্যান্য | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 সাংসদ হবেন ইউসুফ পাঠান আর জেতানোর দায়িত্ব হুমায়ুন কবিরের, মমতার এই সিদ্ধান্তে আরো বেশি ভোটে জিতবেন অধীর! https://banglarjanarob.com/78851 Mon, 29 Apr 2024 10:15:39 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78851 সেখ ইবাদুল ইসলাম : বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে জনপ্রিয় সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রাখলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের উপরে। অধীর চৌধুরীর একসময় কার একান্ত বিশ্বস্ত সেনাপতি হুমায়ুন কবির কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরে প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ভবনের হস্তক্ষেপে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর পরিবর্তন করেন হুমায়ুন কবির। মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে হুমায়ূন নামেই  তৃণমূলে আছেন কিন্তু তাঁর আত্মা পড়ে আছে কংগ্রেসে। এহেনো একজন গোপন কংগ্রেসিকে অধীর কে হারানোর জন্য ব্যবহার করাটা…

The post সাংসদ হবেন ইউসুফ পাঠান আর জেতানোর দায়িত্ব হুমায়ুন কবিরের, মমতার এই সিদ্ধান্তে আরো বেশি ভোটে জিতবেন অধীর! first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : বহরমপুর লোকসভা কেন্দ্রে জনপ্রিয় সাংসদ অধীর চৌধুরীকে হারাতে এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আস্থা রাখলেন ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবিরের উপরে। অধীর চৌধুরীর একসময় কার একান্ত বিশ্বস্ত সেনাপতি হুমায়ুন কবির কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত ইউসুফ পাঠানকে বহরমপুরে প্রার্থী করার বিরোধিতা করেছিলেন। তিনি হুমকি দিয়েছিলেন নির্দল থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার শেষ পর্যন্ত তৃণমূল ভবনের হস্তক্ষেপে এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকের পর সুর পরিবর্তন করেন হুমায়ুন কবির।

মুর্শিদাবাদ জেলায় প্রচলিত একটি প্রবাদ আছে হুমায়ূন নামেই  তৃণমূলে আছেন কিন্তু তাঁর আত্মা পড়ে আছে কংগ্রেসে। এহেনো একজন গোপন কংগ্রেসিকে অধীর কে হারানোর জন্য ব্যবহার করাটা মমতার কাছে যে বুমেরাং হবে তা আর বলার অপেক্ষায় রাখে না। হুমায়ুনকে দায়িত্ব দিয়ে যদি অধীরের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হয় তৃণমূলকে তাহলে কেন হুমায়ুনকে প্রার্থী করা হলো না এটা আমজনতার প্রশ্ন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ইচ্ছাকৃতভাবে রাজ্যের বাঙালি মুসলিম সমাজকে অবহেলা অবাঞ্ছিত করার লক্ষ্যে গুজরাট থেকে নরেন্দ্র মোদীর রাজ্য থেকে ইউসুফ পাঠানের মত একজন ক্রিকেটারকে এনে কেন অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করলেন! এটা মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলমান সমাজ জানতে চাই। শুধু মুর্শিদাবাদ নয় পশ্চিমবাংলার প্রতিটি বাঙালি মুসলমানের কাছে এই প্রশ্নটা এখন স্বাভাবিকভাবে উঠে আসছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে সংখ্যালঘুদের ত্রাতা বলে দাবি করে থাকেন আর তার জন্য সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিম সমাজের কোন ব্যক্তিকে অধীরের বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হলো না।

এই হচ্ছে বাঙালি মুসলিম সমাজ সম্পর্কে মমতার অবস্থান। যাই হোক অধীর রঞ্জন চৌধুরীর বিরুদ্ধে হুমায়ুন কবিরকে দায়িত্ব দেওয়ার ফলে আমার মনে হয় বেশ কয়েক লক্ষ ভোটের ব্যবধানে অধীর বাবু পুনরায় জিতবেন এবং সংসদে যাবেন। ইউসুফ পাঠানের মত ব্যক্তিকে নরেন্দ্র মোদির রাজ্য থেকে উড়িয়ে এনে বাংলায় যে ভোট পাওয়া যাবেনা সেটা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন পরেই উপলব্ধি করতে পারবেন। আসলে এই রাজ্যে বিজেপিকে সুবিধে করে দেওয়ার জন্য শাসক দলের এক শ্রেণী তৎপরতা চালাচ্ছে মূলত তাদেরই পরামর্শে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে আমাদের মনে হয়েছে।

Advertisement :

 

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মালদাতে গিয়ে বলেছেন তিনি নাকি একমাত্র এই রাজ্যে বিজেপি বিরোধী। বাকি সবাই বিজেপির এজেন্ট। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যানী কয়েক সপ্তাহ আগেও বিজেপির বিধায়ক ছিলেন কিন্তু এখন তিনি তৃণমূলের প্রতীকে লোকসভার প্রার্থী। রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী কার্তিক পাল কয়েকমাস আগে পর্যন্ত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার প্রধান ছিলেন তৃণমূলের পক্ষে এখন তিনি বিজেপির প্রার্থী পদ্মফুল এবং ঘাসফুলের কোন নেতা যে কোন দিকে আছে তা হয়তো ভগবানও উত্তর দিতে পারবেন না। আর এই সকল সেনাবাহিনী নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবেন এটা আর যাই হোক এই রাজ্যের বাঙালি মুসলমান সমাজ যে বিশ্বাস করবে না তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা।

The post সাংসদ হবেন ইউসুফ পাঠান আর জেতানোর দায়িত্ব হুমায়ুন কবিরের, মমতার এই সিদ্ধান্তে আরো বেশি ভোটে জিতবেন অধীর! first appeared on Banglar Janarob.]]>
Nawshad Siddiqui: রাজ্যের ১৭ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিল আইএসএফ ! সাফল্য না পেলে পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত? https://banglarjanarob.com/78508 Sat, 13 Apr 2024 08:15:44 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78508 সেখ ইবাদুল ইসলাম : বামেদের সঙ্গে জোট বিচ্ছিন্ন করার পর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ এককভাবে এই রাজ্যে ১৭ টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সদ্য জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল যেভাবে বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লোকসভা ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে তাতে হিতে বিপরীত হলে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। আইএসএফ একটি আবেগ একটি উচ্ছ্বাস বলা যেতে পারে। ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা এর উদ্যোগে এর যাত্রা শুরু। দক্ষিণবঙ্গের মুসলিম সমাজের মধ্যে কিছুটা প্রভাব যে পড়েছে তা স্বীকার করতেই হবে। তারমানে এটা নয় যে লোকসভা ভোটের…

The post Nawshad Siddiqui: রাজ্যের ১৭ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিল আইএসএফ ! সাফল্য না পেলে পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত? first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : বামেদের সঙ্গে জোট বিচ্ছিন্ন করার পর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট বা আইএসএফ এককভাবে এই রাজ্যে ১৭ টি লোকসভা কেন্দ্রে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। সদ্য জন্ম নেওয়া একটি রাজনৈতিক দল যেভাবে বামেদের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে লোকসভা ভোটের মতো গুরুত্বপূর্ণ একটি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে যাচ্ছে তাতে হিতে বিপরীত হলে অস্তিত্ব বিপন্ন হতে পারে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের। আইএসএফ একটি আবেগ একটি উচ্ছ্বাস বলা যেতে পারে।

ফুরফুরা শরীফের পীরজাদা এর উদ্যোগে এর যাত্রা শুরু। দক্ষিণবঙ্গের মুসলিম সমাজের মধ্যে কিছুটা প্রভাব যে পড়েছে তা স্বীকার করতেই হবে। তারমানে এটা নয় যে লোকসভা ভোটের মতো একটা গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনে তারা এককভাবে জিততে পারবে। যেকোনো কারণেই হোক ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট জোট থেকে নিজেদেরকে বিচ্ছিন্ন করেছে। আসলে মুসলিম পরিচালিত রাজনৈতিক দল এমনকি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাগুলো এই ধরনের এক গুয়েমি কাজ করে থাকে। আমাদের মনে পড়ে যাচ্ছে অসমের কথা। ২০০৭ সাল নাগাদ অসমে একটি রাজনৈতিক দলের জন্ম হয়েছিল সেই রাজনীতি দলের নাম হচ্ছে ইউনাইটেড ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট বা ইউ ডি এফ। জন্ম লগ্নে বদরুদ্দিন আজমল এর এই রাজনৈতিক দলটি সমগ্র অসমে মুসলিমদের মধ্যে জনপ্রিয়তা অর্জন করে। সেই সময় ওই রাজ্যে বিজেপির তেমন কোনো অস্তিত্ব ছিল না।

স্বাভাবিকভাবে কংগ্রেস ক্ষমতায় বসে আর বিরোধী আসনে ছিল বদরুদ্দিন আজমল। এই বদরুদ্দিন আজমল রাজনৈতিকভাবে নিজেকে এতটাই শক্তিশালী ভাবছিলেন তিনি পরবর্তীকালে আর কংগ্রেসের সঙ্গে সম্পর্ক রাখতে চাইল না। বহু অনুরোধ সত্বেও তিনি জোটে গেলেন না সংকটকালে। একদিকে মুসলিম ভোট গুলোকে ঐক্যবদ্ধভাবে বদরুদ্দিন আজমল পেতে শুরু করলো অন্যদিকে এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বিজেপি এবং আরএসএস গোটা অসম জুড়ে তাদের সংগঠনকে সাজালো।

একথা বলতে দ্বিধা নেই বদরুদ্দীন আজমলের সেদিনের যে রাজনৈতিক অদূরদর্শিতা ওই রাজ্যের সংখ্যালঘু এবং বাঙালি হিন্দুদের কাছে এক অবর্ণনীয় অবস্থায় পর্যবসিত করেছে। আসলে বদরুদ্দিন আজমল এর একটি ভুল তার মাশুল গুনতে হচ্ছে আসামের সাধারণ মানুষকে। একইভাবে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট নিজেদের নাক কেটে পরের যাত্রা ভঙ্গ করার যে উদ্যোগ নিয়েছে তাতে আর যাই হোক সুবিধা হবে বিজেপির। সংবাদমাধ্যমগুলো নওশাদ সিদ্দিককে প্রচারের আলোয় রেখেছে ঠিকই কিন্তু এটা নওশাদকে মনে রাখতে হবে এই ভোট কেটে যাওয়ার পর যদি বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে বিজেপি কেন্দ্রে এবং রাজ্যে ভালো আসন পায়,তাহলে নওশাদ সিদ্দিকী হয়ে যাবে ব্রাত্য।

আজকের এই হঠকারী সিদ্ধান্তের জন্য নওশাদ সিদ্দিকীকে ইতিহাস কোনদিন ক্ষমা করবে না। কারণ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির সর্বভারতীয় স্তরে কোন ঠাসা অবস্থায় রয়েছে। অবকি বার ৪০০ পার এই স্লোগান দেয়া হলেও আসলে ২৭২ বেরোতে পারবে কি না তা নিয়ে যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। কংগ্রেস যদি কমপক্ষে ১০০ টি আসন পেয়ে যায় তাহলে বিজেপির আসন কমে দাঁড়াবে ২৩০ এ। আর বিজেপি যদি ২৭২ পৌঁছাতে না পারে তাহলে তার জোট শরিকরা তাকে ত্যাগ করে চলে যাবে। এই অবস্থায় বাংলা থেকে বেশি লোকসভা আসন পাওয়ার লক্ষ্যে বিজেপি এখানে যা খুশি তা করার চেষ্টা করছে।

যেমন ধরুন ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট মুর্শিদাবাদ এর জঙ্গিপুরে প্রার্থী দিয়েছে। বিশিষ্ট সমাজসেবী ও ব্যবসায়ী শাজাহান বিশ্বাস ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের প্রার্থী হিসাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ওই কেন্দ্রে যদি ভোট কাটাকাটি হয় তাহলে বিজেপি প্রার্থী জিতে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে যে অংক থেকে উত্তর প্রদেশের রামপুর লোকসভা কেন্দ্রটি বিজেপি জিতে নিয়েছে ,সেই অঙ্কেই জঙ্গিপুর জেতার চেষ্টা করছে বিজেপি। আর সেই পাতা ফাঁদে পা দিয়েছে আইএসএফ। আইএসএফ এই রাজ্যের লোকসভা আসনে জেতা তো দুরস্ত যদি জমানত রক্ষা করতে পারে তাহলে তাকে স্বাগত জানাবো আমরা।

আর রাজনৈতিক ভাবে আত্মঘাতী খেলা খেলেছে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট। বঙ্গ রাজনীতির বিষয়ে খানিকটা যদি সচেতন হতেন নওশাদ সিদ্দিকীরা তাহলে অন্তত চার থেকে পাঁচটি লোকসভা আসনের জোট করে লড়াই করতেন হয়তো এখনই সাফল্য পেতেন না। পাঁচটি লোকসভা আসন মানে ৩৫ টি বিধানসভা কেন্দ্র আর এই ৩৫টি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে যদি সংগঠন তৈরি করে ১৫ থেকে কুড়িটা বিধায়ক তৈরি করতে পারতেন না নওশাদ সিদ্দিকীরা তাহলে এই রাজ্যের সংখ্যালঘু উন্নয়নে একটা দিশা দেখাতে পারতেন তা না করে যেভাবে হঠকারী সিদ্ধান্ত নওশাদ সিদ্দিক রা নিয়েছেন তাতে আগামী দিনে ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এর পরিণতি যে মুসলিম লীগ হতে চলেছে তার বলার অপেক্ষা রাখে না।

The post Nawshad Siddiqui: রাজ্যের ১৭ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী দিল আইএসএফ ! সাফল্য না পেলে পরিণতি হবে মুসলিম লীগের মত? first appeared on Banglar Janarob.]]>
ভোট হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ভোট পড়ুক আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আবেদন প্রগতিশীল শিক্ষক -শিক্ষিকা সংগঠনের  https://banglarjanarob.com/78336 Fri, 05 Apr 2024 10:42:15 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78336 ভোট হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ভোট পড়ুক আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবেদন প্রগতিশীল শিক্ষক -শিক্ষিকা সংগঠনের অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়  : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে দেশ তথা রাজ্য রাজনীতি । বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের দলের প্রার্থী তালিকা। শুরু হয়ে গেছে প্রচার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে ওপরের বিরুদ্ধে শানিত করছে তাদের রণনীতি কিন্তু প্রশ্ন এখানেই যে মানুষের স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত, আপামর সাধারণ মধ্যবিত্ত -নিম্ন মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থান কি? এই সমস্ত বিষয়কে নিয়েই গত ৪ এপ্রিল আন্তর্জালিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় ও…

The post ভোট হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ভোট পড়ুক আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আবেদন প্রগতিশীল শিক্ষক -শিক্ষিকা সংগঠনের  first appeared on Banglar Janarob.]]>
ভোট হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ভোট পড়ুক আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে আবেদন প্রগতিশীল শিক্ষক -শিক্ষিকা সংগঠনের

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়  : আসন্ন লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই জমে উঠেছে দেশ তথা রাজ্য রাজনীতি । বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ইতিমধ্যেই ঘোষণা করে দিয়েছে তাদের দলের প্রার্থী তালিকা। শুরু হয়ে গেছে প্রচার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একে ওপরের বিরুদ্ধে শানিত করছে তাদের রণনীতি কিন্তু প্রশ্ন এখানেই যে মানুষের স্বার্থ কতটা সুরক্ষিত, আপামর সাধারণ মধ্যবিত্ত -নিম্ন মধ্যবিত্ত খেটে খাওয়া মানুষের অবস্থান কি?

এই সমস্ত বিষয়কে নিয়েই গত ৪ এপ্রিল আন্তর্জালিক মাধ্যমে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন কলেজ -বিশ্ববিদ্যালয় ও বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকাদের নিয়ে সংগঠিত হয়েছিল একটি মনোরম আলোচনা সভা, যাতে বারবারই এই কথাই উঠে আসে যে সবার পেটের ভাতের ব্যবস্থা সুস্থ ও নিরাপদ কর্মসংস্থানের মাধ্যমে সরকারকেই করতে হবে এবং এর জন্য শুধুমাত্র মুখে ‘গ্যারান্টির ‘ কথা প্রচার করলে চলবে না অবিলম্বে তা কার্যকরী করে তুলতে হবে। নেতা নেত্রীদের যে ব্যাপক আর্থিক দুর্নীতি প্রকাশ্যে আসছে তার apolitical তদন্তের দাবি জানানো হয় এবং এই দুর্নীতি আরও কতটা গভীরে জাল বিস্তার করেছে তা তুলে ধরার দাবি জানানো হয় এছাড়াও দুর্নীতির রাঘব বোয়ালদের উপযুক্ত শাস্তি এবং আর্থিক জরিমানার দাবি জানানো হয়। ‘বেকার ভাতা ‘ প্রদান করে শুধুমাত্র ক্ষতে প্রলেপ নয় অবিলম্বে শিল্প স্থাপন ও অধিক কর্মসংস্থানের প্রয়োজনীয়তা বার বার উঠে আসে আলোচনা সভায়।

শিক্ষা দূর্নীতি, রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন,অধ্যক্ষ বিভাগীয় প্রধান, আচার্য,উপাচার্য প্রভৃতি পদ গুলিকে বিগত কয়েক বছর ধরে যে রাজনীতির রঙে রাঙানো হচ্ছে তার তীব্র প্রতিবাদ জানানো হয়। সভায় উঠে আসে যে নতুন সরকার ক্ষমতায় আসার পর সংগঠনের তরফ থেকে আবেদন জানানো হবে যে শিক্ষার প্রসারে, ছাত্র-ছাত্রীদের উন্নতির লক্ষ্যে রাজনীতি মুক্ত শিক্ষাঙ্গন গড়ে তুলতে কেন্দ্রীয় সরকারের তরফে যাতে নতুন কোনো আইন পাস করা হয়। এই নির্বাচন যাতে শান্তিপূর্ণ হয় সাধারণ মানুষ যাতে তাদের ভোট সুষ্ঠু ও সুরক্ষিতভাবে দিতে পারে প্রশাসনের কাছে সভা থেকে এই দাবি জানানো হয়।

সংগঠনের তরফে রাজ্যের সমস্ত মানুষের কাছে আবেদন করা হয় যাতে এই নির্বাচনে প্রতিটি ভোট পড়ে সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ঐক্য মৈত্রী ও সাম্যের পক্ষে, ধর্মীয় ভেদাভেদের বিরুদ্ধে ও আর্থিক দুর্নীতির বিরুদ্ধে।

The post ভোট হোক সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে, ভোট পড়ুক আর্থিক দুর্নীতি ও শিক্ষা দুর্নীতির বিরুদ্ধে, আবেদন প্রগতিশীল শিক্ষক -শিক্ষিকা সংগঠনের  first appeared on Banglar Janarob.]]>
Nawshad Siddiqui vs Abhishek Banerjee :নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! কতটা বাস্তব ?কতটা প্রচার? জানতে হলে পড়ুন https://banglarjanarob.com/78193 Fri, 29 Mar 2024 13:15:57 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78193 সেখ ইবাদুল ইসলাম: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি আছেন নওশাদ সিদ্দিকী। আজ কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন আমার সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। দল অনুমোদন দিলেই আমি প্রার্থী হয়ে যাব। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনুমোদন কবে দেবে দিন তো চলে যাচ্ছে! সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনভাবে নওশাদ সিদ্দিকী আগ্রহ তৈরি করেছেন যে সবাই জিজ্ঞাসা করতে শুরু করছে নওশাদ কি সত্যিই দাঁড়াবেন অভিষেকের বিরুদ্ধে? কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে। কেন দেরি হচ্ছে…

The post Nawshad Siddiqui vs Abhishek Banerjee :নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! কতটা বাস্তব ?কতটা প্রচার? জানতে হলে পড়ুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি আছেন নওশাদ সিদ্দিকী। আজ কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন আমার সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। দল অনুমোদন দিলেই আমি প্রার্থী হয়ে যাব। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনুমোদন কবে দেবে দিন তো চলে যাচ্ছে! সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনভাবে নওশাদ সিদ্দিকী আগ্রহ তৈরি করেছেন যে সবাই জিজ্ঞাসা করতে শুরু করছে নওশাদ কি সত্যিই দাঁড়াবেন অভিষেকের বিরুদ্ধে?

কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে। কেন দেরি হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ সিদ্দিকী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দু একদিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। নওশাদ সিদ্দিকীর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়াবেন।

সূত্রের খবর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এর প্রথম তালিকাতেই নওশাদের নাম থাকার কথা ছিল। কিন্তু দলের প্রথম সারির নেতারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করেছেন। ওই সকল নেতাদের দাবি নওশাদ যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় আটকে যান তাহলে সারা রাজ্যজুড়ে প্রচার করবে কে? এটা বাস্তব সত্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের একমাত্র নেতা হলেন নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ সিদ্দিকীর মুখ না দেখালে জনসমাগম হবে না মানুষের কাছে ভোটও সেই অর্থে পাওয়া যাবে না। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনে আই এস এফ এর পক্ষ থেকে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্যান্য কেন্দ্রে তাদের প্রচার কে করবে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন?

সেজন্যেই নওশাদ সিদ্দিকীকে ভোটে প্রার্থী হওয়ার এখনো পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি দল বলে জানা গেছে। কিন্তু আইএসএফ সূত্রে আমরা যাই জানি না কেন বাস্তব সত্য হচ্ছে নওশাদ সিদ্দিকী এখনো ডায়মন্ড হারবার এলাকায় জরিপ করছেন আদৌ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কি অভিষেককে হারাতে পারবেন? মুখে যা বলছেন বাস্তবে ততটা তিনি করতে পারবেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে না! কারণ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সেই অর্থে সংগঠন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নেই বললেই চলে! নওশাদ কে জিততে হবে বা নওশাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে শুধুমাত্র পীরজাদা তকমা লাগিয়ে! সেই তকমা কতটা কাজে লাগবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সেটাই এখন ভাবার বিষয়।!

আমাদের মত যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে থাকি তাদের মতে নওশাদ সিদ্দিকী ভোটে দাঁড়ালেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারন মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, ফলতা, বজ বজ ডায়মন্ড হারবার এই সাতটি বিধানসভা নিয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। এরমধ্যে মেটিয়াবুরুজ মহেশতলা বিষ্ণুপুর ফলতা ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার কেন্দ্রে সংখ্যালঘু জনসমর্থন খুব ভালো রয়েছে এবং ফুরফুরা শরীফের প্রভাব এখানে যথেষ্ট রয়েছে। তাই এর উপরে ভিত্তি করে কিছু গণমাধ্যম এবং কিছু ইউটিউব চ্যানেলের কর্তা যেভাবে বলে চলেছেন নওশাদ ভোটে দাঁড়ালে অভিষেক হেরে যাবে সেটা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর যে সাংগঠনিক ক্ষমতা অন্তত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আছে তাতে তীব্র লড়াই হলেও কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার জিতে নেবেন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

The post Nawshad Siddiqui vs Abhishek Banerjee :নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! কতটা বাস্তব ?কতটা প্রচার? জানতে হলে পড়ুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
‘আস সওমু লি,রোজা আল্লাহর জন্য’ : এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বর্ণনা করলেন ড.আবু তাহের কামরুদ্দিন https://banglarjanarob.com/78183 Fri, 29 Mar 2024 11:36:53 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78183 সল্টলেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অফিস বিল্ডিং। এরই বেসমেন্টে রয়েছে একটি নামাজ ঘর। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ডক্টর আবু তাহের কামরুদ্দীন। প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে খুতবা দেওয়ার আগে তিনি দেশ তথা বিশ্বের সমকালীন পরিস্থিতি, জাতি গঠনে শিক্ষা গুরুত্ব , বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আধুনিক চিন্তা চেতনা, মনন, সামাজিক ধ্যান-ধারণা এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে মানবিকবোধ সম্পন্ন জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এবছর রমজান মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় জুম্মায় তিনি বলেছেন, আরবি বারোটা মাসের মধ্যে নবম মাস রমজান । এটি একটি পবিত্র…

The post ‘আস সওমু লি,রোজা আল্লাহর জন্য’ : এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বর্ণনা করলেন ড.আবু তাহের কামরুদ্দিন first appeared on Banglar Janarob.]]>
সল্টলেকে মৌলানা আবুল কালাম আজাদ ভবনে রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের অফিস বিল্ডিং। এরই বেসমেন্টে রয়েছে একটি নামাজ ঘর। ২০১৭ সালে পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতির দায়িত্বভার গ্রহণ করেন ডক্টর আবু তাহের কামরুদ্দীন। প্রতি শুক্রবার জুম্মার নামাজে খুতবা দেওয়ার আগে তিনি দেশ তথা বিশ্বের সমকালীন পরিস্থিতি, জাতি গঠনে শিক্ষা গুরুত্ব , বিজ্ঞান-প্রযুক্তি, আধুনিক চিন্তা চেতনা, মনন, সামাজিক ধ্যান-ধারণা এবং আধ্যাত্মিক বিষয়ে কোরআন হাদিসের আলোকে মানবিকবোধ সম্পন্ন জ্ঞানগর্ভ বক্তব্য দিয়ে থাকেন। এবছর রমজান মাসের প্রথম ও দ্বিতীয় জুম্মায় তিনি বলেছেন, আরবি বারোটা মাসের মধ্যে নবম মাস রমজান । এটি একটি পবিত্র মাস, এক মর্যাদাপূর্ণ মাস, এক ইবাদতের মাস ও এক আত্মশুদ্ধির মাস।এই পবিত্র রমজানুল মোবারক এর ফজিলত, তাৎপর্য ও গুরুত্বের বিষয় বলতে গিয়ে তিনি বলেন ,এই রমজান সম্পর্কে আল্লাহ কি বলেছেন । আল্লাহর কি উদ্দেশ্য রয়েছে এবং বান্দাকে তিনি কিভাবে পরিশুদ্ধ করিয়ে নেবেন।

এই রমজান মাসে আল্লাহ প্রত্যেক সুস্থ স্বাভাবিক মুসলিম নরনারীর জন্য রোজাকে ফরজ করেছেন। এবাদত আমরা অনেকগুলো করি যেমন কলেমা, নামাজ, হজ ,যাকাত ইত্যাদি।তবে একমাত্র রমজান ছাড়া আর কোন এবাদতের কথা আল্লাহ কুরআনে এত বিস্তারিত বলেন নি। তিনি এর ব্যাখ্যা স্বরূপ বলেন ,আল্লাহর নামাজের আদেশ দিয়েছেন কিন্তু কোরআনের কোথাও বলা নেই ফজর, যোহর ,আসর, মগরিব এবং এশার কত রাকাত নামাজ হবে। আমরা আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক হজ পালন করি কিন্তু আল্লাহ কোরআনে কোথাও বলে দেননি হজ করতে গেলে সাফা মারওয়া পাহাড়ে যাতায়াত করা, সাতবার তাওয়াফ করতে হবে, শয়তানকে ঢিল মারতে হবে ইত্যাদির কথা । আমরা যাকাত দিই। যাকাতের হিসাব সয়ে আড়াই পারসেন্ট অর্থাৎ ১০০ টাকায় আড়াই টাকা। এই হিসাবটা কোরআন পাকে কোথাও নেই। এখন প্রশ্ন হল তাহলে এগুলো পেলাম কি করে ?তিনি বলেন, হযরত মুহাম্মদ সা: যিনি আল্লাহর পরম বন্ধু এবং শরীয়তের প্রণেতা তিনি আল্লাহর নির্দেশ মোতাবেক যেভাবে ব্যাখ্যা দিয়েছেন ,বলেছেন ঠিক সেই ভাবেই আমরা নামাজ, হজ্জ ,যাকাত পালন করে আসছি।

তবে বিস্ময়ের বিষয়ে এই যে একমাত্র রোজা যার সম্পর্কে আল্লাহ কোরআনে বিস্তারিতভাবে বলেছেন। এর জন্য সম্পূর্ণ একটা রুকু ব্যয় করে দিয়েছেন আল্লাহ। সূরা বাকারায় রমজান সম্পর্কে বেশি বেশি বলা আছে ।১৩৮ নম্বর আয়াতে আল্লাহ বলেছেন ,যে আমি আমার পূর্ববর্তী উম্মতদের মতো তোমাদের উপর রোজাকে ফরজ করে দিলাম যাতে করে তোমরা তাকওয়া এবং মুত্তাকী অর্জন করতে পারে। তারপরে রয়েছে বিস্তারিত ব্যাখ্যা। কখন রোজা রাখবেন, কখন রাখবেন না, সফরে থাকলে কিভাবে রোজা রাখবেন, অসুস্থ থাকলে তার জন্য কি বলা হয়েছে ,কখন রোজা শুরু করবেন, কখন শেষ করবেন, কিভাবে ইফতার করবেন ইত্যাদি সবিস্তারে আল্লাহ কোরানে বর্ণনা করেছেন। কোরানে আল্লাহ নামাজ হজ্জ-যাকাত সম্পর্কে বলেছেন তবে এত বিস্তারিতভাবে বলেননি। আর সেজন্যই রোজার এত গুরুত্ব।

পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের দফতরে আয়োজিত জুম্মার নামাজের খুতবা দিচ্ছেন সভাপতি ড. আবু তাহের কামরুদ্দীন

তিনি বলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে আমাদের মনে প্রশ্ন এসে যায় নামাজ ,হজ, যাকাত নিয়ে আল্লাহ এত বিস্তারিতভাবে বললেন না কিন্তু রোজা নিয়ে কেন এত বিস্তারিত ভাবে কোরানে বললেন। কারণ রোজার সম্পর্কে আল্লাহ বলেছেন , “আস সওমু লি” অর্থাৎ রোজা আমার জন্য কিন্তু আল্লাহ কোরআনের কোথাও বলেননি আস সালাতু লি , অর্থাৎ নামাজ আমার জন্য। আল হাজ্জো লি অর্থাৎ হজ আমার জন্য। আজ জাকাতু লি অর্থাৎ জাকাত আমার জন্য । যদিও সব এবাদতই আল্লাহর জন্য।

‘আস সওমু লি অর্থাৎ রোজা আল্লাহর জন্য ‘কথাটি তাৎপর্য বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন রামাদান শব্দটি এসেছে রামস ধাতু থেকে। রামস ধাতুর অর্থ হল পুড়িয়ে দেওয়া, জ্বালিয়ে দেওয়া অর্থাৎ যদি কেউ আল্লাহর নির্দেশিত পথ ও মতকে অনুসরণ করে সঠিকভাবে রোজা পালন করতে পারে তাহলে আল্লাহ তার পূর্ববর্তী সমস্ত গুনাহকে ওইভাবে ভস্মিভূত করবে যেমন আগুন কাটতে জ্বালিয়ে দেয়। অন্যান্য এবাদতের থেকে রমজানুল মোবারকের গুরুত্ব আল্লাহর কাছে অনেক বেশি । তবে যে কোন এবাদতের দুটি দিক থাকে। একটা বাহ্যিক আর অপরটি হল আভ্যন্তরীণ। উদাহরণস্বরূপ তিনি বলেন কোন বেনামাজি হঠাৎ করে কোন একটা মজলিসে উপস্থিত হয়ে পড়েছেন। পরিস্থিতির চাপে পড়ে অজু থাক আর না থাক সে নামাজে দাঁড়িয়ে যায় লোক লজ্জার খাতিরে। কারো কাছে অনেক টাকা-পয়সা ধন সম্পদ রয়েছে যদি হজ না করেন তাহলে লোকে কি বলবে এই ভেবে হজ পালন করলেন । আল্লাহর জন্য করলেন এবং লোক দেখানোর জন্য ও করলেন। যাকাত যদি না দিই তাহলে লোকে কি বলবে। বলবে এত টাকার মালিক গরিবদের যাকাত দেয় না। তারপর শাড়ি কাপড় কিনে গরিবদের ডেকে মহা আড়ম্বরের সাথে আমরা বিলি করতে থাকি, ছবি তুলি, সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করি। তাহলে এটা একদিকে যেমন লোক দেখানো হলো আবার অন্যদিকে আল্লাহর জন্য হলো। কুরবানীর জন্য আমরা খাসি, উট কিংবা গরু কিনে গলায় মালা দিয়ে মহল্লা ঘোরাচ্ছি যাতে লোকে বলে অমুকের কুরবানীর জীব। এর পেছনে সুপ্ত ভাবে লুকিয়ে থাকে আমাদের নাম কামানো এবং আত্ম অহংকারের সুপ্ত বাসনা।

তবে একমাত্র রোজা এমন এক ইবাদত যার বাহ্যিকতা নেই । এ পৃথিবীতে কেউ বা কোন পাগল ও না খেয়ে সারাদিন থাকবে না । কেউ যদি রোজা না করে, তাহলে লুকিয়ে খেয়ে নেবে এবং তার পরিবারের এমনকি কেউই জানতে পারবে না। কিন্তু আমরা তা করি না। হয় রোজা রাখি, তা না হলে রাখি না। তাই রমজান হলো একমাত্র সেই এবাদত যার মধ্যে লোক দেখানো নেই আর সেই জন্যই আল্লাহ বলেছেন রোজাটা আমার জন্য। রমজান মাসে রোজা যারা রেখে থাকে তারা আল্লাহর জন্যই রেখেছেন তারা লোক দেখানোর জন্য রাখেননি কারণ লোক দেখানো সে নামাজ পড়তে পারে, হজ করতে পারে, যাকাত দিতে পারে, কুরবানী দিতে পারে, কিন্তু লোক দেখিয়ে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত খালি পেটে কোন পাগল থাকতে পারবে না। তাই আল্লাহ কোরআনে বলেছেন রোজাদারদের জন্য আমি নিজ হাতে পুরস্কার দেব আবার কোন কোন আয়াতে রয়েছে ,আল্লাহ বলেছেন রোজাদারদের জন্য আমি স্বয়ং নিজেই পুরস্কার। সমস্ত দপ্তর আল্লাহ ফেরেশতাদের কাছে ছেড়ে দিয়েছেন।একমাত্র রোজাদারদের নেকি আল্লাহ বলেছেন আমি নিজে দেবে। আমার যা খুশি উজাড় করে দেব আমার রোজাদার বান্দাদের ।তাহলে বুঝুন ,আল্লাহ কত তার দয়ালু এই রোজাদারদের উপর। সূরা রহমান এ বলা আছে, রোজাদারদের সম্মানে আল্লাহ জান্নাতের রায়হান নামে একটি গেট বানিয়েছেন ।সেই গেট দিয়ে কেবল রোজাদাররাই প্রবেশ করতে পারবে। আমরা সৌভাগ্যবান কারণ সেই রমজান মাসে আমরা অবস্থান করছি। তিনি আরো বলেন শুধু খালি পেটে থাকা মানেই রোজা নয়। যেহেতু এই রমজান মাসে কোরআন নাজিল হয় তাই বেশি বেশি করে কোরআন পাঠ করা, নামাজ পড়া এবং অন্যান্য এবাদতে নিযুক্ত রাখা প্রত্যেক রোজাদারদের উচিত।

এই বিজ্ঞান প্রযুক্তির ও আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞান এর যুগে রোজার গুরুত্বের কথা বোঝাতে গিয়ে তিনি বলেন ২০২০ সালে জাপানের বিজ্ঞানী অটোপসি রোজাকে নিয়ে গবেষণার জন্য নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন । তিনি তার গবেষণায় বলেছেন,মানব শরীরে মৃত কোষ থাকে যেগুলো শরীরে জমে ক্যান্সারের মতো জটিল কঠিন রোগ সৃষ্টির জন্য দায়ী। রোজায় উপবাস থাকার ফলে অন্যান্য কোষ ওই ক্ষতিকর কোষগুলোকে খেয়ে নষ্ট করে ফেলে। এর ফলে আমরা অনেক শারীরিক রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাই। রোজার উপর এই গবেষণা করে জাপানের জীববিজ্ঞানী আজ নোবেল পুরস্কার পাচ্ছেন। অথচ আজ থেকে দেড় হাজার বছর আগে আল্লাহপাক তার রাসূলের মাধ্যমে রমজানুল মোবারকের মধ্যে একদিকে আধ্যাতিকতা ,আত্মশুদ্ধি ,তাকওয়ার কথা যেমন বলেছেন, তেমনি অন্যদিকে প্রিয় বান্দারা যাতে সুস্থ সবল থাকে তার কথা চিন্তা করে রোজার বিধান দিয়েছেন। পরিশেষে তিনি বলেন দয়াময় আল্লাহ আমাদের সকলের রোজাকে কবুল করুন।

অনুলিখন মতিয়ার রহমান।

বক্তা পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি। বক্তব্যটি লিখেছেন বিশিষ্ট শিক্ষক মতিয়ার রহমান।

The post ‘আস সওমু লি,রোজা আল্লাহর জন্য’ : এর তাৎপর্য ও গুরুত্ব বর্ণনা করলেন ড.আবু তাহের কামরুদ্দিন first appeared on Banglar Janarob.]]>
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ https://banglarjanarob.com/78174 Fri, 29 Mar 2024 09:39:02 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78174 মতিয়ার রহমান : দেশ ও জাতি গঠনে মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষক, অধ্যাপক এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা বিদগ্ধ জ্ঞানীগুণী পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই অমোঘ সত্য কথাটি শুধু মনে প্রানে বিশ্বাসই করেননি বরং বাস্তবে তা করেও দেখিয়েছেন। তার আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম এর ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির জগতে পুনরুজীবন এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ১৩ বছরের শাসনকালে সুস্থ সমাজ গঠন ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাংলার আপামর জনসাধারণের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রসারে যা যা করণীয় তিনি সবটাই করেঐতিহাসিক…

The post সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ first appeared on Banglar Janarob.]]>
মতিয়ার রহমান : দেশ ও জাতি গঠনে মূল চালিকা শক্তি হলো শিক্ষক, অধ্যাপক এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতির সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে থাকা বিদগ্ধ জ্ঞানীগুণী পন্ডিত ব্যক্তিবর্গ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার এই অমোঘ সত্য কথাটি শুধু মনে প্রানে বিশ্বাসই করেননি বরং বাস্তবে তা করেও দেখিয়েছেন। তার আপোষহীন লড়াই সংগ্রাম এর ফলস্বরূপ দীর্ঘ ৩৪ বছরের বাম শাসনের অবসান ঘটে বাংলার শিক্ষা সংস্কৃতির জগতে পুনরুজীবন এসেছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের ১৩ বছরের শাসনকালে সুস্থ সমাজ গঠন ও সার্বিক উন্নয়নের জন্য বাংলার আপামর জনসাধারণের পাশাপাশি পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা প্রসারে যা যা করণীয় তিনি সবটাই করেঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করে নয়া ইতিহাস রচনা করেছেন। ২০১১ সালে বাংলার মসনদে বসে তিনি প্রথম দৃষ্টি দেন মাদ্রাসা শিক্ষার উপর। আজকে ২০২৪ সালে দাঁড়িয়ে যখন আমরা পেছনের দিকে তাকাই তখন আমরা দেখতে পাই মাদ্রাসা শিক্ষা আধুনিকীকরণ হয়েছে। ৩০০ টি মাদ্রাসায় ৬০০টি স্মার্ট ক্লাসরুম ও ১১৫ টি কম্পিউটার ল্যাব ,আইসিটি স্কিমের অধীনে ১৭৬ টি মাদ্রাসার ১৩৮ টি স্মার্ট ক্লাসরুম তৈরি হয়েছে। আরও ৬০০ টি স্মার্ট ক্লাসরুম, ১০০ টি কম্পিউটার ল্যাব এবং ৭৬ টি সাইন্স ল্যাবের আপগ্রেশন করা হচ্ছে। পঞ্চম থেকে অষ্টম শ্রেণী পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের সমস্ত মাদ্রাসায় ছাত্রছাত্রীদের বই ,খাতা, ব্যাগ ,মাদ্রাসা ইউনিফর্ম ,জুতো এবং মিড ডে মিল দেওয়া হচ্ছে এবং অষ্টম শ্রেনীরতোর ছাত্র-ছাত্রীদের সাইকেল ,ট্যাব ও ইনসেন্টিভ ফর গার্লসের টাকাও দেওয়া হয়েছে।

বেশ কয়েকটি মাদ্রাসা আপগ্রেডেশন ও হয়েছে। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের আধুনিক শিক্ষার জন্য ১৪ টি জেলায় ইংরেজি মাধ্যম মাদ্রাসা স্থাপন করা হয়েছে যা নজিরবিহীন। স্বীকৃত অনুদানবিহীন মাদ্রাসার পরিকাঠামো উন্নয়নে ৩০.৯৫ কোটি টাকা অনুমোদন হয়েছে। ২৩৫ টি স্বীকৃত অথচ অনুদানবিহীন জুনিয়ার হাই মাদ্রাসাকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার একটি নতুন প্রকল্পের আওতায় এনে শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মীদের সাম্মানিক বেতন প্রদান করেছে। ১৯৬ টি অতিরিক্ত শ্রেণিকক্ষ, ২৭৬ টি টয়লেট ,১২৪টি টিউব অয়েল তৈরি করা হয়েছে। আরও ৭০০টি মাদ্রাসাকে অনুমোদন দেয়ার কাজ চলছে। ঐক্যশ্রী প্রকল্পে সংখ্যালঘু শিক্ষার্থীদের ৪.০৭ কোটি টাকা বৃত্তি প্রদান করা হয়েছে। লেখাপড়ার সুবিধার্থে ৮৭ লক্ষ কন্যা পেয়েছে কন্যাশ্রী এর মধ্যে রয়েছে সংখ্যালঘু ছাত্রীরাও। সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের শিক্ষাগত উন্নতির জন্য ৬০৫ টি হোস্টেল স্থাপন করা হয়েছে, এই হোস্টেলে থাকা প্রতিটি পড়ুয়াকে বার্ষিক ১০,০০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হচ্ছে। সংখ্যালঘু ছাত্রী ও সংখ্যালঘু কর্মরতা মহিলাদের জন্য ঐক্যতান নামে ২১৬ টি বেড সম্পন্ন একটি বিশাল ছাত্রী হোস্টেল নির্মাণ করা হয়েছে কলকাতার কৈখালীতে। সংখ্যালঘু অধুসিত এলাকায় ৩৯ টি আই টি আই এবং ৮ টি পলিটেকনিক কলেজ স্থাপন করা হয়েছে। ৫৫১ কোটি টাকা ব্যয় করে কলকাতার নিউ টাউনে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ঝাঁ চকচকে ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে এবং পার্ক সার্কাসেও আরও একটি ক্যাম্পাস তৈরি হয়েছে ।১১৫ কোটি টাকা খরচ করে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে ছাত্রীদের ও ছাত্রদের জন্য আলাদা আলাদা হোস্টেল নির্মাণ হয়েছে। বর্তমানে ১২৫০ জন ছাত্রছাত্রী হোস্টেলে থাকার সুযোগ পাচ্ছে ।

এছাড়া নির্মিত হয়েছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি সুবিশাল রাজকীয় গেট। ৩৭৭৩১ জন সংখ্যালঘু পড়ুয়াদের উচ্চশিক্ষার জন্য ২৭৭.০৪ কোটি টাকা শিক্ষা ঋণ প্রদান করা হয়েছে। যোগ্য শ্রী প্রকল্পে কৈখালী হজ টাওয়ারে সংখ্যালঘু ছাত্র-ছাত্রীদের বিনামূল্যে চাকরি পরীক্ষার আবাসিক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা হয়েছে। উচ্চশিক্ষা ও সরকারি চাকরিতে সংরক্ষণের লক্ষ্য নিয়ে প্রায় ৯৭ শতাংশ মুসলিম জনসংখ্যা কে অনগ্রসর শ্রেণীর আওতাভুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশন রাজ্যের ৬১৪ টি স্বীকৃত সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত মাদ্রাসায় প্রয়োজনীয় শিক্ষক-শিক্ষিকা ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ করেছে। ৩০৪৯ জন শিক্ষক শিক্ষিকা ও শিক্ষক কর্মী তাদের পছন্দমত মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার সুযোগও পেয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বিত্ত নিগমের উদ্যোগে ২০১১ সাল থেকে এখনো পর্যন্ত ৩.৮৯ কোটি স্কলারশিপ প্রদান করা হয়েছে যা প্রায় ৭৮০০ কোটি টাকা অর্থ মূল্য। এছাড়াও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মেধাবী ছাত্র-ছাত্রীদের প্রদান করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের ঐক্য শ্রী স্কলারশিপ যা প্রথম শ্রেণি থেকে পি এইচ ডি পর্যন্ত পাঠরত ছাত্রছাত্রীরা পেয়ে থাকে। এছাড়া প্রত্যেক বছর প্রায় ১১০০ ব্যক্তি ঋণ ও প্রায় এক লক্ষ স্বনির্ভর দলের সদস্যদের ঋণ দেওয়া হয়ে থাকে।

সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণ ও উন্নয়নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যে কতটা বেশি আন্তরিক তা সহজেই অনুমান করা যায় ২০২৪- ২৫ বর্ষে বাজেটে চোখ রাখলেই। ২০২৪ – ২৫ বর্ষে সংখ্যালঘু উন্নয়ন খাতে বরাদ্দ হয়েছে ৫৫৩০.৬৫ কোটি টাকা। বাজেট ২০২৪ -২৫ সংখ্যালঘু বরাদ্দে দেখা যাচ্ছে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ৪৭ কোটি ৯৮ লক্ষ ৭৮ হাজার টাকা। আন এডেড মাদ্রাসার সহায়তার জন্য ১০০ কোটি টাকা। পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের জন্য ৫ কোটি ৫৯ লক্ষ ৪৫ হাজার টাকা। সংখ্যালঘু উন্নয়ন ও বৃত্ত নিগমের জন্য ৭ কোটি ১৩ লক্ষ ৫৩ হাজার টাকা। মাদ্রাসার ছাত্র ছাত্রীদের উৎসাহ ভাতা বাবদ ২০ হাজার কোটি টাকা। মাদ্রাসা শিক্ষা কেন্দ্রের জন্য ১০৫ কোটি টাকা। জেলায় সংখ্যালঘুদের হোস্টেল নির্মাণের জন্য ২ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা। সংখ্যালঘু ছাত্র ছাত্রীদের ট্যালেন্ট সাপোর্ট প্রকল্পে ১২০১ কোটি টাকা। আন এডেড মাদ্রাসার বিজ্ঞানসামগ্রী ক্রয়ের জন্য ১০০ কোটি টাকা। সংখ্যালঘু পড়বাদের সাইকেল প্রদানের জন্য ২২০ কোটি টাকা। উর্দু ভাষার প্রসারে ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা। কারমাইকেল ও বেকার হোস্টেল সংস্কার ও বর্ধিতকরণের জন্য ৬০ লক্ষ টাকা। মাদ্রাসা সার্ভিস কমিশনের জন্য ১ কোটি ৩৭ লক্ষ ৭৭ হাজার টাকা। সংখ্যালঘু সংস্কৃতি উন্নয়নের জন্য একটি বিশেষ কেন্দ্র নির্মাণে ২০ কোটি টাকা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সুপরিকল্পিত জনমুখী বাজেট সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের সার্বিক কল্যাণকে যে সুনিশ্চিত করবে সেটা আজ বলার অপেক্ষা রাখে না।

The post সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের শিক্ষা সংস্কৃতির উন্নয়নে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ first appeared on Banglar Janarob.]]>
Loksova Election 2024 : আবু তাহের বনাম মোহাম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে কে? https://banglarjanarob.com/78094 Tue, 26 Mar 2024 09:25:20 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78094 সেখ ইবাদুল ইসলাম  : মুর্শিদাবাদ জেলার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই কেন্দ্রটি বরাবরই বাম দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। এক দুবার কংগ্রেস প্রার্থী মান্নান হোসেন জয়ী হলেও কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এই কেন্দ্র থেকে বামেরা এই জয়যুক্ত হয়েছে। সিপিএমের গড় হিসাবে পরিচিত এই লোকসভা কেন্দ্রটি ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএম প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়ে যায় বামেদের। এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে কয়েকবার সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন পশ্চিমবাংলার সংখ্যালঘু সমাজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সৈয়দ বদরুদ্দোজা। তারপর আবু তালেব চৌধুরী, তারপরে কাজেম আলী…

The post Loksova Election 2024 : আবু তাহের বনাম মোহাম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে কে? first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম  : মুর্শিদাবাদ জেলার মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এই কেন্দ্রটি বরাবরই বাম দুর্গ বলে পরিচিত ছিল। এক দুবার কংগ্রেস প্রার্থী মান্নান হোসেন জয়ী হলেও কিন্তু বেশিরভাগ সময়েই এই কেন্দ্র থেকে বামেরা এই জয়যুক্ত হয়েছে। সিপিএমের গড় হিসাবে পরিচিত এই লোকসভা কেন্দ্রটি ২০১৪ এর লোকসভা নির্বাচনেও সিপিএম প্রার্থী জয়ী হয়েছিল। কিন্তু ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রটি হাতছাড়া হয়ে যায় বামেদের।

এই কেন্দ্র থেকে নির্দল প্রার্থী হিসাবে কয়েকবার সংসদে নির্বাচিত হয়েছিলেন পশ্চিমবাংলার সংখ্যালঘু সমাজের সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব সৈয়দ বদরুদ্দোজা। তারপর আবু তালেব চৌধুরী, তারপরে কাজেম আলী মির্জা, এরপর থেকে সৈয়দ মাসুদ আল হাসান, মইনুল হাসান, মান্নান হোসেন ও বদরুদ্দোজা খান এবং বর্তমান বিদায়ী সাংসদ আবু তাহের খান। সময়ের বিচারে বেশ কয়েক বছর ধরে একটানা এই এলাকা থেকে বামপন্থী প্রার্থীরা জয়ী হয়েছেন। ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ভোটারদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন বলে পরিগণিত হয়েছে।

এই লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিধানসভা কেন্দ্রগুলি হল : ভগবানগোলা, লালগোলা বা মুর্শিদাবাদ, রানীনগর, ডোমকল, জলঙ্গি, হরিহরপাড়া ও করিমপুর। সাতটা বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্র মুর্শিদাবাদ জেলায় অবস্থিত একটি বিধানসভা কেন্দ্র করিমপুর নদীয়া জেলায় অবস্থিত। এই লোকসভা কেন্দ্রের প্রায় সবকটি বিধানসভা এলাকাতেই সংখ্যালঘু ও মুসলিমরা সংখ্যাগরিষ্ঠ। ৮০ শতাংশের বেশি সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোট। স্বাভাবিকভাবে বাঙালি মুসলিম সমাজের একটা বিরাট দায় এবং দায়িত্ব রয়েছে এই কেন্দ্রের ভোটারদের।

সার্বিকভাবে সমস্যা রয়েছে এলাকার আর্থিক সমস্যার সেভাবে সমাধান হয়নি। বেশিরভাগ এলাকার ছেলেরা অন্য রাজ্যে কাজে যায় কারণ এখানে কাজ নেই। বড় কোন শিল্প হয়নি মুর্শিদাবাদ এলাকায়। সমস্যা অনেক সমাধানের কোন পথ নেই। কেউ কথা রাখেনি মুর্শিদাবাদের মানুষদের কাছে সবাই কথা দিয়েছে কেউ কথা রাখেনি। স্বাধীনতার আটাত্তর বছর পরেও মুর্শিদাবাদে এখনো যে উন্নয়ন চোখে পড়ার কথা ছিল সে উন্নয়নের জোয়ার পৌঁছায়নি। উপরন্ত সীমান্তবর্তী এলাকা হওয়ার কারণে বিএসএফের অত্যাচার এলাকার মানুষের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এই প্রেক্ষাপটে দাঁড়িয়ে মোহাম্মদ সেলিম বনাম আবু তাহের খানের লড়াই কোন জায়গায় গিয়ে দাঁড়ায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পর থেকে বামেরা তারা তাদের সংগঠনকে এইসব এলাকায় ঢেলে সাজিয়েছে। কংগ্রেসের সঙ্গে জোট থাকার কারণে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছে মোহাম্মদ সেলিম। কারণ পঞ্চায়েত নির্বাচনের সময় আমরা দেখেছি এই এলাকার সাধারণ মানুষ রাস্তায় নেমে শাসকদলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গর্জে উঠতে। ডোমকল, জলঙ্গি, রানীনগর, লালগোলা, ভগবানগোলা, হরিহর পাড়া সর্বত্রই পঞ্চায়েত নির্বাচনে প্রতিরোধ হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনকে দিয়ে শাসক দল যেভাবে সাধারণ মানুষকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি তার প্রতিক্রিয়া এবারে নির্বাচনে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আর আবু তাহের খানকে পুনরায় মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী করার ফলে এলাকার গোষ্ঠী কোন্দল আরও তীব্র। আসলে আবু তাহের খানকে এলাকার তৃণমূল কর্মীদের একটা অংশ খুব একটা ভালো চোখে দেখে না। ফলে এই এলাকার তৃণমূল কর্মীদের অসন্তোষ যদি ভোট বাক্সে কাজে লেগে যায় তাহলে কিন্তু ফলাফল ঘুরে যেতে পারে। মুর্শিদাবাদের ছয়টি বিধানসভা কেন্দ্রের মধ্যে হরিহর পাড়া ডোমকল রাণীনগর জলঙ্গি এই চারটি বিধানসভা এলাকাতে সিপিএম যথেষ্ট শক্তিশালী এবং কংগ্রেস সঙ্গ দিলে সিপিএম প্রার্থী অপ্রতিরোধ্য হয়ে উঠতে পারে। যেহেতু মোহাম্মদ সেলিমের মত হেভি ওয়েট রাজনীতিবিদ এই এলাকায় প্রার্থী হয়েছেন স্বাভাবিকভাবেই জোট ধর্ম অটুট থাকবে বলে মনে করা হচ্ছে।

অন্যদিকে করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াইটা কিভাবে হবে সেটাই এখন দেখার। কারণ এই বিধানসভা কেন্দ্রের ভোট যদি সুষ্ঠুভাবে করাতে পারে সিপিএম দল তাহলে মোহাম্মদ সেলিম অনেকটাই এগিয়ে থাকবেন। সব মিলিয়ে একথা বলা যেতেই পারে, মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রের ২০২৪ এর নির্বাচন আর একতরফা হবে না লড়াই হবে সেয়ানে সেয়ানে।

কারণ ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আবু তাহের খান জিতে গিয়েছিলেন কংগ্রেস এবং সিপিএমের ভোট কাটাকাটির অংকে এবার যদি সেই ভোট কাটাকাটি অংকটা থেমে যায় তাহলে আবু তাহের খানের দিল্লি যাত্রা আটকে যেতে পারে

The post Loksova Election 2024 : আবু তাহের বনাম মোহাম্মদ সেলিম মুর্শিদাবাদ লোকসভা কেন্দ্রে এগিয়ে কে? first appeared on Banglar Janarob.]]>
নির্বাচন, দলবদল ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ…… : অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় https://banglarjanarob.com/77838 Sat, 16 Mar 2024 12:54:55 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=77838 নির্বাচন, দলবদল ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ…… অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় : মহাসমারহে ঘোষিত হলো ভারতবর্ষের প্রধান নির্বাচন লোকসভার দিনক্ষণ, প্রায় ৪৭ দিন ধরে উদযাপিত হবে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই প্রার্থী পদ ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সেই প্রার্থী তালিকায় মিটেছে কারুর প্রত্যাশা আবার কেউ ডুবে গেছে হতাশার অতলে, দীর্ঘ কিছু বছর ধরে ভারতবর্ষ তো বটেই বাংলার রাজনীতিতেও প্রকট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের আগে দল বদলের খেলা। কোন ব্যক্তি দলবদলের পিছনে দেখাচ্ছেন দীর্ঘদিনের জমা অভিমান, দলের প্রতি অসন্তোষ, নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা আবার কেউ আকাঙ্ক্ষিত আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পেরে পরিবর্তন…

The post নির্বাচন, দলবদল ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ…… : অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>
নির্বাচন, দলবদল ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ……

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় : মহাসমারহে ঘোষিত হলো ভারতবর্ষের প্রধান নির্বাচন লোকসভার দিনক্ষণ, প্রায় ৪৭ দিন ধরে উদযাপিত হবে গণতন্ত্রের সর্বশ্রেষ্ঠ উৎসব। লোকসভা ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণার আগেই প্রার্থী পদ ঘোষণা করেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সেই প্রার্থী তালিকায় মিটেছে কারুর প্রত্যাশা আবার কেউ ডুবে গেছে হতাশার অতলে, দীর্ঘ কিছু বছর ধরে ভারতবর্ষ তো বটেই বাংলার রাজনীতিতেও প্রকট হয়ে উঠেছে নির্বাচনের আগে দল বদলের খেলা। কোন ব্যক্তি দলবদলের পিছনে দেখাচ্ছেন দীর্ঘদিনের জমা অভিমান, দলের প্রতি অসন্তোষ, নেতৃত্বের প্রতি অনাস্থা আবার কেউ আকাঙ্ক্ষিত আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করতে পেরে পরিবর্তন করছেন দল, প্রশ্নচিহ্ন এখানেই যে এই ‘আয়ারাম গয়ারামের ‘ ভিড়ে কতটা নিরাপদ আমাদের সংসদীয় গণতন্ত্র, দেশের মানুষের ভবিষ্যৎ, যুবক যুবতীর স্বপ্ন এবং আগামী ভারতবর্ষের ভবিষ্যৎ। পশ্চিমবাংলার দিকে তাকালে দেখা যাচ্ছে যে এই রীতি যেন উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং এর সাথে বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড কে ব্যবহার করে ভোট বৈতরণী পার করার তাগিদ।

এই যে তথাকথিত অভিনেতা অভিনেত্রীরা কতটা মানুষের সাথে সংযুক্ত তা নিয়ে প্রশ্নচিহ্ন থেকেই যায়। পূর্বে বাম সরকার এই নীতির প্রচলন করে খুব একটা যে সফলতা লাভ করেছে এমনটা বলা যায় না তবুও তারাও এই প্রচেষ্টা করেছিল। অনিল চ্যাটার্জী থেকে বিপ্লব চক্রবর্তী প্রভৃতি খ্যাতনামা অভিনেতাদের নির্বাচনে তারা ব্যবহার করেছিল।

বর্তমানে তৃণমূল সরকার এই নীতিকে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করছে এবং তার কারণেই দেখা দিচ্ছে অসন্তোষের পাহাড় তাই সেই তালিকায় নাম উঠে আসছে সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতির নাম। দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতির ময়দানে মাটি কামড়ে পড়ে থেকেও যাদের প্রত্যাশা পূরণ হচ্ছে না তারাই ধারণ করছে গণতন্ত্রে বিভীষণের ভূমিকা, এখন প্রশ্নচিহ্ন এখানেই দল, নেতৃত্ব এবং কর্মীদের আবেগ ভরসা ও মানুষের কথা কে চিন্তা করেই নির্বাচনে কি তালিকা ঘোষণা করা উচিত, শুধুমাত্র ভোট বৈতরণী পার করা আসন বৃদ্ধি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় কাম্য নয়। ‘গ্লামার’ নয় কাজ এবং জন সাধারণের সঙ্গে সংযুক্ত মানুষকেই প্রাধান্য দেওয়া উচিত তাতেই রক্ষিত হবে গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ।

The post নির্বাচন, দলবদল ও গণতন্ত্রের ভবিষ্যৎ…… : অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>
Important of Ramadan : রোজার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকরা কী বলছেন : এস এম শামসুদ্দিন https://banglarjanarob.com/77715 Tue, 12 Mar 2024 06:56:59 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=77715 এসএম শামসুদ্দিন : পবিত্র রমজান মাসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই রোজা পালনকারী সমস্ত ভাই বোনেদের ।রোজা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে আবশ্যিক পালনীয় একটা ধর্মীয় বিষয় নয় ।এরইমধ্যে পার্থিব ও পারলৌকিক এবং আত্মিক মুক্তি ও শান্তি লুকিয়ে আছে ।আমরা শুধুমাত্র জন্ম সূত্রে মুসলমান হিসেবে রোজা পালন করলেও খোঁজ রাখিনা এরই মধ্যে লুকিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক উপকারিতার কথা । রোজা রাখার বিস্ময়কর ১০ বৈজ্ঞানিক উপকারিতা ও কিছু কথা। রোজা রাখার উপরাকিতা , গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়,…

The post Important of Ramadan : রোজার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকরা কী বলছেন : এস এম শামসুদ্দিন first appeared on Banglar Janarob.]]>
এসএম শামসুদ্দিন : পবিত্র রমজান মাসের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাই রোজা পালনকারী সমস্ত ভাই বোনেদের ।রোজা শুধুমাত্র ইসলাম ধর্মালম্বীদের কাছে আবশ্যিক পালনীয় একটা ধর্মীয় বিষয় নয় ।এরইমধ্যে পার্থিব ও পারলৌকিক এবং আত্মিক মুক্তি ও শান্তি লুকিয়ে আছে ।আমরা শুধুমাত্র জন্ম সূত্রে মুসলমান হিসেবে রোজা পালন করলেও খোঁজ রাখিনা এরই মধ্যে লুকিয়ে থাকা বৈজ্ঞানিক উপকারিতার কথা ।

রোজা রাখার বিস্ময়কর ১০ বৈজ্ঞানিক উপকারিতা ও কিছু কথা।

রোজা রাখার উপরাকিতা , গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কুরআন ও হাদিসে কি বলা হয়েছে তা আমরা সবাই কম-বেশি জানি। রোজা শুধু ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিতেও রোজার উপকারিতা অপরিসীম। আসুন আমরা দেখি রোজা শরীরের জন্য কতটা উপকারী-

১) রোযা থাকা অবস্থায় কমপক্ষে ১৫ ঘণ্টা যাবতীয় খানাপিনা বন্ধ থাকে। এ সময় পাকস্থলী, অন্ত্র-নালী, যকৃত, হৃদপিণ্ডসহ অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ বিশ্রাম পায়। তখন এসব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ নিজেদের পুনর্গঠনে নিয়োজিত হতে পারে। অন্যদিকে দেহে যেসব চর্বি জমে শরীরের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায় সেগুলো রোযার সময় দেহের প্রয়োজনীয় চাহিদা মেটানোর জন্য ছুটে যায়।

স্বাস্থ্য-বিজ্ঞানী তার ‘সুপিরিয়র নিউট্রিশন’ গ্রন্থে ডা. শেলটন বলেছেন, উপবাসকালে শরীরের মধ্যকার প্রোটিন, চর্বি, শর্করা জাতীয় পদার্থগুলো স্বয়ং পাচিত হয়। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোষগুলোর পুষ্টি বিধান হয়।

২) নোবেল পুরস্কার বিজয়ী ঔষুধ ও শল্য চিকিৎসার প্রখ্যাত ডা. অ্যালেকসিস বলেছেন, উপবাসের মাধ্যমে লিভার রক্ত সঞ্চালন দ্রুত হয় ফলে ত্বকের নিচে সঞ্চিত চর্বি, পেশীর প্রোটিন, গ্রন্থিসমূহ এবং লিভারে কোষসমূহ আন্দোলিত হয়।

আভ্যন্তরীণ দেহ যন্ত্রগুলোর সংরক্ষণ এবং হ্নদপিণ্ডের নিরাপত্তার জন্য অন্য দেহাংশগুলোর বিক্রিয়া বন্ধ রাখে। খাদ্যাভাব কিংবা আরাম-আয়েশের জন্য মানুষের শরীরের যে ক্ষতি হয়, রোজা তা পূরণ করে দেয়।”

৩) ডা. আইজাক জেনিংস বলেছেন, ‘যারা আলস্য ও গোড়ামীর কারণে এবং অতিভোজনের কারণে নিজেদের সংরক্ষিত জীবনী শক্তিকে ভারাক্রান্ত করে ধীরে ধীরে আত্মহত্যার দিকে এগিয়ে যায়, রোযা তাদেরকে এ বিপদ থেকে রক্ষা করে।’

৪) বিশ্বখ্যাত চিকিৎসা বিজ্ঞানী নাষ্টবারনার বলেন, ‘ফুসফুসের কাশি, কঠিন কাশি, সর্দি এবং ইনফ্লুয়েঞ্জা কয়েকদিনের রোযার কারণেই নিরাময় হয়।’

৫) ডাক্তার দেওয়ান এ,কে,এম, আব্দুর রহীম বলেছেন, রোযাব্রত পালনের কারণে মস্তিস্ক এবং স্নায়ুতন্ত্র সর্বাধিক উজ্জীবিত হয়।

৬) স্বাস্থ্যবিজ্ঞানী ডা. আব্রাহাম জে হেনরি রোযা সম্পর্কে বলেছেন, ‘রোযা হলো পরমহিতৈষী ওষুধ বিশেষ। কারণ রোযা পালনের ফলে বাতরোগ, বহুমূত্র, অজীর্ণ, হৃদরোগ ও রক্তচাপজনিত ব্যাধিতে মানুষ কম আক্রান্ত হয়।’

৭) গবেষণায় দেখা গেছে, রোযাদার পেপটিক আলসারের রোগীরা রোযা রাখলে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হৃদরোগ, উচ্চ রক্তচাপ ও হাঁপানি রোগীদের জন্যও রোযা উপকারী।

৮) ডাক্তারদের মতে, রোযার ফলে মস্তিষ্কের সেরিবেলাম ও লিমরিক সিস্টেমের ওপর নিয়ন্ত্রণ বাড়ার কারণে মনের অশান্তি ও দুশ্চিন্তা দূর হয়-যা উচ্চ রক্তচাপের জন্য মঙ্গলজনক। বহুমূত্র রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে রোযা খুব উপকারী। ডাক্তারী পরীক্ষায় দেখা গেছে, একাধারে ১৫ দিন রোযা রাখলে বহুমূত্র রোগের অত্যন্ত উপকার হয়।

৯) কিডনী সমস্যায় আক্রান্ত রোগীরা রোযা রাখলে এ সমস্যা আরো বেড়ে যাবে ভেবে রোযা রাখতে চান না। অথচ আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা বলছেন, রোযা রাখলে কিডনীতে সঞ্চিত পাথর কণা ও চুন দূরীভূত হয়।

১০) স্বাস্থ্য বিজ্ঞানীদের মতে, রোজা রাখার উপকারিতা হলো , সারা বছর অতিভোজ, অখাদ্য, কুখাদ্য, ভেজাল খাদ্য খাওয়ার ফলে আমাদের শরীরে যে জৈব বিষ জমা হয় তা দেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এক মাস রোজা পালনের ফলে তা সহজেই দূরীভূত হয়ে যায়।

The post Important of Ramadan : রোজার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে বৈজ্ঞানিকরা কী বলছেন : এস এম শামসুদ্দিন first appeared on Banglar Janarob.]]>
অধীর বনাম ইউসুফ পাঠান লড়াইয়ে এগিয়ে কে ? https://banglarjanarob.com/77708 Tue, 12 Mar 2024 06:35:23 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=77708 সেখ ইবাদুল ইসলাম :  লোকসভা নির্বাচন দিল্লি সরকার গড়ার জন্য হলেও আমাদের রাজ্যে তা গুরুত্বপূর্ণ এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । বিশেষ করে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আক্ষরিক অর্থেই মমতা সরকারের কাছে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ । তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছে থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন । রাজ্যর ৪২টি লোকসভা আসনের প্রার্থী তালিকার দিকে তাকালেই মনে হতে পারে বেশ কয়েকটি আসনে হেরে যাওয়ার প্রার্থী দেওয়া হয়েছে । দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তারা নাকি মাটির মানুষকে প্রার্থী করেছে । কিন্ত আসলে কী তাই ? একটু বিশ্লেষণ…

The post অধীর বনাম ইউসুফ পাঠান লড়াইয়ে এগিয়ে কে ? first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম :  লোকসভা নির্বাচন দিল্লি সরকার গড়ার জন্য হলেও আমাদের রাজ্যে তা গুরুত্বপূর্ণ এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । বিশেষ করে ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচন আক্ষরিক অর্থেই মমতা সরকারের কাছে এক প্রকার চ্যালেঞ্জ । তবে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির কাছে থেকে বেশ খানিকটা পিছিয়ে রয়েছেন । রাজ্যর ৪২টি লোকসভা আসনের প্রার্থী তালিকার দিকে তাকালেই মনে হতে পারে বেশ কয়েকটি আসনে হেরে যাওয়ার প্রার্থী দেওয়া হয়েছে ।

দলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে তারা নাকি মাটির মানুষকে প্রার্থী করেছে । কিন্ত আসলে কী তাই ? একটু বিশ্লেষণ করে দেখলে দেখতে পাবেন যে ৪২ আসনের মধ্যে বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থী করা হয়েছে বিজেপি থেকে আসা বিধায়ক কিংবা নেতাদের । এই দলবদলু নেতারা জিতলে তৃণমূলের সঙ্গে থাকবেন এমন কোনো নিশ্চয়তা নেই । তাহলে প্রার্থী করা হলো কেন ? এথেকে এটা স্পষ্ট হচ্ছে , মুকুলের ভাষায়,যে বিজেপি সেই তৃণমূল । যাইহোক এবারের লোকসভা নির্বাচনে বহরমপুরের সাংসদ এবং প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরির বিরুদ্ধে প্রার্থী করা হয়েছে ক্রিকেটার ইউসুফ পাঠানকে । তিনি আবার গুজরাটের বাসিন্দা । প্রথমত ৬০ শতাংশের বেশি মুসলিম ভোটার যে আসনে সেখানে মুসলিম প্রার্থী দেওয়াটা অবশ্যই সঠিক সিদ্ধান্ত । কিন্ত বাংলার কোনো তৃণমূলের মুসলিম নেতা ছিলেন না, যাকে ওই কেন্দ্রে প্রার্থী করা যেত ! কেন করা হলো না ! কেন বাঙালি মুসলিমদের অবঞ্জার চোখে দেখা হল । এমনিতেই মমতার লোকসভার তালিকায় মাত্র ৬ মুসলিম । রাহুল গান্ধীর স্লোগান সামনে আনলে যার যত ভাগীদারি তার তত অংশীদারি । সেক্ষেত্রে ৪২ আসনের মধ্যে ১৩ আসন মুসলিমদের দেওয়া উচিত ছিল । কিন্ত দেওয়া হয়েছে মাত্র ৬টি , তার মধ্যে একজন গুজরাটি ।

ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করার পর কিছু উৎসাহী তৃণমূল কর্মী বলতে শুরু করেছেন এবার অধীর চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছেন । যদি অধীর হেরে যান তাহলে ক্ষতি হবে ওই এলাকার সাধারণ মানুষের । কারণ ইউসুফ পাঠান ওই এলাকার ভূগোল চেনেন না । মানুষের অভাব-অভিযোগ সমস্যাগুলি ভালভাবে উপলদ্ধি করতে পারেবন না । ফলে যদি জেতেন তাহলে বহরমপুরের সাধারণ নাগরিকরা পরিষেবা থেকে বঞ্চিত হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল। কারণ তৃণমূলের স্থানীয় নেতারা আখের গোছাতে ব্যস্ত ফলে ইউসুফ পাঠানকে প্রার্থী করাটা বুমেরাং হতে পারে । তৃণমূল দলের কাছে এটা খুব ভাল হবে না । প্রথমত বহরমপুর এলাকার অধিকাংশ মানুষ বাঙালি , তারা বাঙালি প্রার্থী চান । দ্বিতীয় স্থানীয় প্রার্থী চান , অন্তত বাংলার মানুষ হতে হবে । তৃতীয়ত, ইউসুফ পাঠান রাজনীতির লোক নন , সুতরাং তিনি রাজনীতির মারপ্যাঁচ বুঝে উঠতেই পারবেন না ।

আমাদের মনে পড়ছে বর্ধমান-দূর্গাপুর আসনে ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে ডা.মমতাজ সংঘমিতা মাত্র আড়াই হাজার ভোটে হেরে গিয়েছিলেন । কারণ কী ছিল ? তৃণমূল দলের কিছু নেতার অন্তর্ঘাতের ফলে তিনি হেরে যান । আর বহরমপুরে সেটাই হতে যাচ্ছে । তাই ইউসুফ পাঠান নিয়ে যারা হইহই করছেন তারা ভুলে যাচ্ছেন ওই আসনে প্রার্থী হলেন অধীর চৌধুরি । আর একটা তৃণমূল নেতৃত্ব ভুলে যাচ্ছেন বাঙালি মুসলমান সমাজকে বঞ্চিত করে অবহেলিত করে গুজরাট থেকে প্রার্থী এনে ভোটে জেতানো সহজ ব্যাপার নয় । আর একটা তৃণমূল নেতৃত্ব মনে রাখতে হবে বাঙালি মুসলমানের আত্মমর্যাদায় আঘাত দিলে তারা প্রত্যাঘাত দিতে পারে । বামফ্রন্ট সরকারের ৩৪ বছরের রাজ এক নিমেষে শেষ হয়ে গেছে । শুধূমাত্র বাঙালি মুসলমানদের আত্মমর্যাদায় আঘাত দেওয়ার জন্য । মুহাম্মদ সেলিমরা যখন ক্ষমতায় ছিলের তখন এই রাজ্যের বাঙালি মুসলমান সমাজকে গুরুত্ব দেননি । তাদের প্রতিভাকে মর্যাদা দেননি । তার ফলে আজ বিধানসভায় শুন্য হয়ে গেছে বামেরা । আর তৃণমূল কংগ্রেস বামেদের চেয়ে আরও্ খারাপভাবে বাঙালি মুসলমান সমাজকে গুরুত্বহীন করে তুলেছে । আর এই জবাব একদিন অবশ্যই পাবে রাজ্যের শাসক দল ।

তাই সব দিক বিচার করে বলা যেতেই পারে অধীর হয়তো ভাবছেন লড়াই কঠিন । কিন্ত লড়াই সহজ হয়ে যাবে যদি মুর্শিদাবাদের বাঙালি মুসলিম সমাজের কছে নিজেকে একজন প্রকৃত জনপ্রতিনিধি হিসাবে তুলে ধরতেন পারেন । তাহলে অধীরের জয় নিয়ে কোনো সন্দেহ থাকতে পারে না ।

The post অধীর বনাম ইউসুফ পাঠান লড়াইয়ে এগিয়ে কে ? first appeared on Banglar Janarob.]]>