অন্যান্য কলকাতা 

Nawshad Siddiqui vs Abhishek Banerjee :নওশাদ সিদ্দিকী ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদকে প্রাক্তন সাংসদ করবেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন! কতটা বাস্তব ?কতটা প্রচার? জানতে হলে পড়ুন

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম: ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর বিরুদ্ধে ভোটে দাঁড়াতে রাজি আছেন নওশাদ সিদ্দিকী। আজ কলকাতার একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে তিনি বলেছেন আমার সম্পূর্ণ ইচ্ছা রয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার। দল অনুমোদন দিলেই আমি প্রার্থী হয়ে যাব। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে অনুমোদন কবে দেবে দিন তো চলে যাচ্ছে! সাধারণ মানুষের মধ্যে এমনভাবে নওশাদ সিদ্দিকী আগ্রহ তৈরি করেছেন যে সবাই জিজ্ঞাসা করতে শুরু করছে নওশাদ কি সত্যিই দাঁড়াবেন অভিষেকের বিরুদ্ধে?

কিন্তু যত দিন যাচ্ছে ততই মানুষের মধ্যে সন্দেহ দানা বাঁধছে। কেন দেরি হচ্ছে এই প্রশ্নের উত্তরে নওশাদ সিদ্দিকী সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, দু একদিনের মধ্যে বিষয়টি পরিষ্কার হয়ে যাবে। নওশাদ সিদ্দিকীর দৃঢ়তার সঙ্গে বলেছেন তিনি অভিষেকের বিরুদ্ধে ডায়মন্ড হারবার কেন্দ্রে ভোটে দাঁড়াবেন।

Advertisement

সূত্রের খবর ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্ট এর প্রথম তালিকাতেই নওশাদের নাম থাকার কথা ছিল। কিন্তু দলের প্রথম সারির নেতারা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে নওশাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে নিষেধ করেছেন। ওই সকল নেতাদের দাবি নওশাদ যদি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এলাকায় আটকে যান তাহলে সারা রাজ্যজুড়ে প্রচার করবে কে? এটা বাস্তব সত্য ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের একমাত্র নেতা হলেন নওশাদ সিদ্দিকী। নওশাদ সিদ্দিকীর মুখ না দেখালে জনসমাগম হবে না মানুষের কাছে ভোটও সেই অর্থে পাওয়া যাবে না। সুতরাং লোকসভা নির্বাচনে আই এস এফ এর পক্ষ থেকে যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন অন্যান্য কেন্দ্রে তাদের প্রচার কে করবে এটাই এখন কোটি টাকার প্রশ্ন?

সেজন্যেই নওশাদ সিদ্দিকীকে ভোটে প্রার্থী হওয়ার এখনো পর্যন্ত অনুমোদন দেয়নি দল বলে জানা গেছে। কিন্তু আইএসএফ সূত্রে আমরা যাই জানি না কেন বাস্তব সত্য হচ্ছে নওশাদ সিদ্দিকী এখনো ডায়মন্ড হারবার এলাকায় জরিপ করছেন আদৌ তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে কি অভিষেককে হারাতে পারবেন? মুখে যা বলছেন বাস্তবে ততটা তিনি করতে পারবেন বলে আমাদের মনে হচ্ছে না! কারণ ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের সেই অর্থে সংগঠন ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে নেই বললেই চলে! নওশাদ কে জিততে হবে বা নওশাদকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে শুধুমাত্র পীরজাদা তকমা লাগিয়ে! সেই তকমা কতটা কাজে লাগবে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে সেটাই এখন ভাবার বিষয়।!

আমাদের মত যারা রাষ্ট্রবিজ্ঞানের বিভিন্ন তথ্য নিয়ে আলোচনা সমালোচনা করে থাকি তাদের মতে নওশাদ সিদ্দিকী ভোটে দাঁড়ালেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় হেরে যাবেন এটা বিশ্বাসযোগ্য নয়। কারন মেটিয়াবুরুজ, মহেশতলা, সাতগাছিয়া, বিষ্ণুপুর, ফলতা, বজ বজ ডায়মন্ড হারবার এই সাতটি বিধানসভা নিয়ে ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্র। এরমধ্যে মেটিয়াবুরুজ মহেশতলা বিষ্ণুপুর ফলতা ও ডায়মন্ড হারবার বিধানসভার কেন্দ্রে সংখ্যালঘু জনসমর্থন খুব ভালো রয়েছে এবং ফুরফুরা শরীফের প্রভাব এখানে যথেষ্ট রয়েছে। তাই এর উপরে ভিত্তি করে কিছু গণমাধ্যম এবং কিছু ইউটিউব চ্যানেলের কর্তা যেভাবে বলে চলেছেন নওশাদ ভোটে দাঁড়ালে অভিষেক হেরে যাবে সেটা বাস্তবসম্মত নয়। কারণ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এর যে সাংগঠনিক ক্ষমতা অন্তত ডায়মন্ড হারবার লোকসভা কেন্দ্রে আছে তাতে তীব্র লড়াই হলেও কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ডহারবার জিতে নেবেন এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ