Trinamul congress | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Sun, 26 Mar 2023 07:35:24 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.3 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg Trinamul congress | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 Rahul Gandhi : সংসদে রাহুল নেই! লড়াই এবার সংসদের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, জনতা বনাম বিজেপি! জিতবে কে? https://banglarjanarob.com/68000 Sun, 26 Mar 2023 07:32:57 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=68000 সেখ ইবাদুল ইসলাম : রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ যে কায়দায় কাড়া হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশে বিদেশে শোরগোল পড়েছে । কংগ্রেস আমলে তৈরি করা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনকে কাজে লাগিয়ে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়ার পরের পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী । সম্প্রতি রাহুল গান্ধী লন্ডন গিয়েছিলেন সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের বর্তমান গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন । বলেছিলেন সংসদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় । এমনকি বক্তব্যকে কাটঁছাঁট করে সংসদের কার্যবিবরণীতে রাখা হয়…

The post Rahul Gandhi : সংসদে রাহুল নেই! লড়াই এবার সংসদের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, জনতা বনাম বিজেপি! জিতবে কে? first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ যে কায়দায় কাড়া হয়েছে তা নিয়ে ইতিমধ্যে দেশে বিদেশে শোরগোল পড়েছে । কংগ্রেস আমলে তৈরি করা জনপ্রতিনিধিত্ব আইনকে কাজে লাগিয়ে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়ার পরের পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে তা হয়তো কল্পনাও করতে পারেননি নরেন্দ্র মোদী । সম্প্রতি রাহুল গান্ধী লন্ডন গিয়েছিলেন সেখানে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ভারতের বর্তমান গণতন্ত্র পরিস্থিতি নিয়ে ভাষণ দিয়েছিলেন । বলেছিলেন সংসদে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কথা বলার সময় মাইক বন্ধ করে দেওয়া হয় । এমনকি বক্তব্যকে কাটঁছাঁট করে সংসদের কার্যবিবরণীতে রাখা হয় । এই ভাষণ নিয়ে দেশে তোলপাড় শুরু করে বিজেপির নেতারা । এমনকি প্রথম সারির কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা পর্যন্ত বলতে শুরু করেন দেশে অভ্যন্তরে বিদেশের সাহায্য চেয়েছেন রাহুল । আর এ নিয়ে শুরু হয় তরজা । রাহুল গান্ধী স্পষ্ট বলেন, আমি অক্সফোর্ডে যে ভাষণ দিয়েছি তা সংসদেও বলতে চাই । আমাকে বলতে দেওয়া হোক । আর তা নিয়ে শুরু হয় সংসদ অচল করার অভিযান । রাহুল গান্ধীকে সংসদে বলতে দিন এই দাবিতে সোচ্চার হন কংগ্রেস সাংসদরা । অন্যদিকে, বিজেপি সাংসদরা প্রতিদিনই গোলমাল করে সংসদ অচল করে দিতে থাকেন ।

ইতিমধ্যে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনের সময় কর্ণাটকে প্রচারে গিয়ে মোদী পদবী নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন রাহুল । ২০১৯ এর এই ভাষণ ১৬ এপ্রিল দেন রাহুল গান্ধী । তারপরেই তাঁর বিরুদ্ধে গুজরাটের সুরাট আদালতে অপরাধমূলক মানহানি মামলা দায়ের হয় । কিন্ত এই মামলা দায়ের হওয়ার পরেই আবার মামলাকারী পূর্ণেশ মোদী গুজরাট হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন । ফলে মামলার শুনানী বন্ধ ছিল । প্রসঙ্গত বলা প্রয়োজন, সুরাট জেলা আদালতে মামলা করার সময় পূর্ণেশ মোদী আদালতে আবেদন করেছিলেন প্রতিটি শুনানীতে রাহুল গান্ধীকে হাজির হতে হবে । সেই আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন তৎকালীন সুরাট আদালতের বিচারক । তারপরেই হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসেন পূর্ণেশ মোদী । এরপর দেখা গেল রাষ্ট্রপতির ভাষণে ধন্যবাদ সূচক বক্তব্য রাখতে গিয়ে লোকসভায় রাহুল গান্ধী গত ৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ আদানির সাম্রাজ্য এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে সরব হন । আর এটাই এই মামলার টানিং পয়েন্ট এরপর গুজরাট হাইকোর্ট থেকে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয় এবং সুরাট জেলা আদালত মামলার শুনানী শুরু হয়। মাত্র একমাসের ব্যবধানে রাহুল গান্ধীকে দোষী সাব্যস্থ করা হয় এবং রায়ের দশ ঘন্টার মধ্যেই রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দেওয়া হয় ।

 

দু সপ্তাহ আগে লন্ডনে রাহুল গান্ধী ভাষণে দেশের গনতন্ত্র ব্যবস্থা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছিলেন, আর তাঁর বিরুদ্ধে বিদেশী শক্তির সাহায্য চাওয়ার গুরুতর অভিযোগ এনেছিলেন বিজেপির নেতা মন্ত্রীরা।এদিকে,  বিজেপি সরকার তৎপরতার সঙ্গে মামলার রায় বের হওয়ার দশ ঘন্টার মধ্যে রাহুলের সাংসদ পদ খারিজ করে দিয়ে দেশের গনতন্ত্রের দূর্বলতাকে বিশ্বের কাছে নিজেরাই প্রকাশ করেদিলেন । এই প্রসঙ্গে মার্কিন কংগ্রেস সদস্য রে খান্নার মন্তব্যটি বিশেষ উল্লেখ্যযোগ্য । তিনি বলেছেন, রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ কেড়ে নিয়ে মোদী সরকার গান্ধীবাদ এবং দেশের রাজনৈতিক মূল্যবোধের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকা করেছে । বিদেশের সমস্ত প্রথম সারির সংবাদপত্রে সম্পাদকীয়তে রাহুল গান্ধীর সাংসদ পদ কাড়া নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে । রাহুল গান্ধী বিদেশের মাটিতে যে কথাটি বলতে পারেননি, আজ বিদেশের প্রথম সারির সংবাদ মাধ্যম সেই কথাগুলি স্পষ্ট ভাষায় বলছে । ভারতের নাগরিকদের বাক স্বাধীনতা, সাংবিধানিক অধিকার যে প্রশ্নের মুখে তা বিদেশেও আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে ।

এজন্য দায় কার ? রাহুলের না মোদী সরকারের ! আর এই ঘরে বাইরের চাপের মুখে এখন কোনো প্রথম সারির বিজেপি নেতাকে রাহুল নিয়ে সাফাই দিতে দেখা যাচ্ছে না । এখন আসরে নামানো হয়েছে রবিশংকর প্রসাদকে । বিহারের এই বিজেপি নেতা আগামী দিনে জিততে পারবেন কিনা সন্দেহ আছে !তিনি সাংবাদিকদের কী বলেছেন ? রাহুল কেন উচ্চ আদালতে গিয়ে স্থগিতাদেশ নিয়ে আসছেন ! উচ্চ আদালত থেকে স্থগিতাদেশ দিলেই রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে । এতদিন ধরে রাহুলের বাচনভঙ্গি নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছিল , এবার উচ্চ আদালতের যাওয়ার পরামর্শ । রবিশংকর প্রসাদ এমনভারে বলছেন মনে হচ্ছে তিনিই যেন রাহুলের সাংসদ পদ ফিরিয়ে দিতে পারেন ।

রাহুল কী বলছেন ? সাংসদ পদ থাকুক না থাকুক আমি সত্যে অবিচল থাকব ।ঘৃণার পরিবেশ থেকে দেশকে ভালবাসার বন্ধন আবদ্ধ করে তোলায় রাহুলের প্রথম কাজ বলে তিনি মন্তব্য করেছেন ।তিনি আরও বলেছেন , আমি সাভারকার নই, আমি গান্ধী ক্ষমা চাইব না । আদানির সেল কোম্পানিতে ২০ হাজার কোটি টাকা কোথা থেকে এলো তা আমি জানতে চাই , দেশবাসীকে জানাতে চাই ।

সংসদে রাহুল নেই । সংসদের চার দেওয়ালের মধ্যে যে লড়াই চলছিল তা এখন রাস্তায় এসে দাঁড়িয়েছে । এই অবস্থায় বিজেপির এখন ছেড়ে দে মা কেঁদে বাঁচি ! কারণ রাহুলের প্রশ্নের উত্তর সংসদে দেননি প্রধানমন্ত্রী! এবার জনতার কাছে এই প্রশ্ন নিয়ে রাহুল যাবেন ! লড়াই এবার সংসদের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়. লড়াই এবার সম্মুখ সমরে । জনতা বনাম বিজেপি । জিতবে কে ? বলবে ভবিষ্যৎ

The post Rahul Gandhi : সংসদে রাহুল নেই! লড়াই এবার সংসদের চার দেওয়ালের মধ্যে নয়, জনতা বনাম বিজেপি! জিতবে কে? first appeared on Banglar Janarob.]]>
Nawshad Siddiqui: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ! কেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন https://banglarjanarob.com/65958 Thu, 26 Jan 2023 12:51:52 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=65958 সেখ ইবাদুল ইসলাম : বাংলার মুসলমান সমাজের উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা । কারণ দীর্ঘদিন পর এই বাংলায় একজন যথাযোগ্য বাঙালি মুসলিম নেতা তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত শনিবার ২১ জানুয়ারি ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করার পর অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন , ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । কিন্ত আমার কোথায় যেন মনে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিনে নিজের অজান্তেই রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের জন্য একটা ভালো কাজ করলেন । তিনি যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন ততদিন মমতার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে বাঙালি মুসলমান সমাজ । হ্যাঁ, পাঠক…

The post Nawshad Siddiqui: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ! কেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : বাংলার মুসলমান সমাজের উচিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কৃতজ্ঞ থাকা । কারণ দীর্ঘদিন পর এই বাংলায় একজন যথাযোগ্য বাঙালি মুসলিম নেতা তৈরি করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । গত শনিবার ২১ জানুয়ারি ভাঙরের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকীকে বিনা অপরাধে গ্রেফতার করার পর অনেকেই ক্ষুদ্ধ হয়েছেন , ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । কিন্ত আমার কোথায় যেন মনে হয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিনে নিজের অজান্তেই রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের জন্য একটা ভালো কাজ করলেন । তিনি যতদিন রাজনীতিতে থাকবেন ততদিন মমতার প্রতি বিশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করবে বাঙালি মুসলমান সমাজ ।

হ্যাঁ, পাঠক বর্গ ! হয়তো আপনারা ভাবছেন নওশাদ সিদ্দিকীকে গণতান্ত্রিক আন্দোলন করার জেরে যেভাবে পুলিশ গ্রেফতার করে নিয়ে গেছে তা এক কথায় মানবাধিকার বিরোধী । তারপরেও মমতার প্রতি কৃতজ্ঞ থাকবে বাংলার মানুষ কেন ? উত্তরে অবশ্যই থাকতে হবে, শুধু বাঙালি মুসলমান নয়, বাঙালি দলিত সমাজের আক্ষরিক অর্থে নেতা হয়ে উঠবেন পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকী ।

কারণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন করতে গিয়ে যেভাবে এবং যে কায়দায় মমতার পুলিশ নওশাদকে গ্রেফতার করেছে তাতে তাঁর জনপ্রিয়তা বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়ে গেছে । বাংলায় যদি মমতাকে ক্ষমতায় থাকতে হয় তাহলে নওশাদ সিদ্দিকীর স্মরণ নিতে হবে । না হলে আগামী দিনে এই রাজ্যের বাঙালি মুসলিম ও বাঙালি দলিতদের সমর্থন মমতা পাবেন না । স্বাধীনতা পর মাত্র দুজন বাঙালি মুসলিম নেতা ছিলেন । একজন সৈয়দ বদরুদ্দোজা এবং হুমায়ুন কবীর । এক সময় এই দুজনেই কংগ্রেস সরকারের পতনে বিশেষ ভূমিকা নিয়েছিলেন । সৈয়দ বদরুদ্দোজা এবং হুমায়ুন কবীরদের উদাত্ত আহ্বানে বাংলার হিন্দু-মুসলিম কংগ্রেস বিরোধী হয়ে গিয়েছিল । এরপরেই বামপন্থীরা বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল । তারপর মাঝে মাঝে কয়েক জন নেতার আর্বিভাব হলেও তাও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাঁরা ক্ষমতাসীন দলের কাছে বিক্রি হয়ে গেছেন ।

একটা সময় এই বাংলায় এক মুসলিম নেতা ছিলেন যাঁকে মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সমীহ করতেন । তাঁকে বলা হতো এই বাংলার বাঘ ! সেই বাঘ এখন বিড়ালে পরিণত হয়ে গেছে । এমনকি তৃণমূলের হাফ নেতারাও তাঁকে নিয়ে বিদ্রুপ করে থাকেন । তাঁর এই পরিণতির জন্য তিনি নিজেই দায়ী । প্রকৃত রাজনীতিবিদ হতে গেলে লোভী হওয়ার দরকার নেই , লোভ একবার এসে গেলে মানুষের কাছ থেকে বিচ্ছিন্ন হতে বেশি সময় লাগে না । এরপর হঠাৎ বাংলার রাজনীতিতে আর্বিভাব হল নওশাদ সিদ্দিকীর । তিনি এলেন দেখলেন এবং মানুষের হৃদয় জয় করে নিলেন । যে বিধায়ক ভাঙর থেকে নির্বাচিত হওয়ার পর এলাকায় ঢুকতে পারছিলেন না , বাড়ি ভাড়া পাননি । সেই বিধায়কের জন্য ভাঙরের মানুষের হাহাকার করছে কোন জাদু মন্ত্রে ! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিচার করেছেন কী ? আপনি ছাড়া আপনার দলের আর কোনো নেতার কী জনপ্রিয়তা নওশাদের ধারে কাছে পৌছেতে পারবে ?

নওশাদ কথা দিয়েছেন তিনি বিক্রি হবেন না । তাঁর বিক্রি হওয়ার প্রয়োজন নেই । তিনি যে বাড়ির সন্তান সেই বাড়ির সন্তান যদি লোভী না হন তাহলে তাঁকে কেউ কিনতে পারবেন না । আর নওশাদ যদি বিক্রি না হন, তাহলে মনে রাখবেন নওশাদ এই বাংলার পরবর্তী নেতা হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন । জেল থেকে বেরিয়ে আসার পর নওশাদ সিদ্দিকীর জনপ্রিয়তার কাছে হার মানতে বাধ্য হবেন তৃণমূলের রথী মহারথীরা । আর এই বাংলার শাসকের চাবিকাঠি চলে যাবে নওশাদের হাতেই ! তিনি হয়ে উঠবেন এই রাজ্যের রাজনৈতিক উত্থান পতনের নেপথ্য নায়ক । স্বাধীনতার পর যেমন নায়ক হয়ে উঠেছিলেন সৈয়দ বদরুদ্দোজা-হুমায়ুন কবীররা সেই পথে এগিয়ে যাচ্ছেন নওশাদ সিদ্দিকী !

স্বাধীনতার আগে ব্রিটিশদের বিরোধিতা করা সত্ত্বেও ফুরাফুরা শরীফে পুলিশ পাঠানোর সাহস দেখায়নি পরাধীন ভারতের ব্রিটিশ শাসকরা , স্বাধীন ভারতে কোনো সরকারই ফুরফুরায় পুলিশ পাঠায়নি, মমতা সরকার পীরজাদা নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করার সাহস দেখিয়েছেন ! এজন্যই বাংলার বাঙালি মুসলিম সমাজের উচিত মমতার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা । আর এই কারণেই মমতা এই রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলমানদের কাছে অমর হয়ে থেকে যাবেন!

The post Nawshad Siddiqui: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের কৃতজ্ঞ থাকা উচিত ! কেন ? জানতে হলে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! https://banglarjanarob.com/62621 Tue, 08 Nov 2022 07:03:59 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=62621 বুলবুল চৌধুরি: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে তোমারে বধিবে যে নিরবে বাড়িছে সে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নিরবে বাড়ছে বামপন্থীরা, অথচ সংবাদ মাধ্যমে কোন প্রচার নেই। কারণ, একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে মাত্র দুটি দলের অস্তিত্বকে কল্পনা করে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে বিরোধী হিসাবে শুধুমাত্র বিজেপি রয়েছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলাতে বামপন্থীদের সভা সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বামপন্থীরা নীরবে বাড়ছে। তুলনায় বিজেপি দল তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন বিকেলে…

The post মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! first appeared on Banglar Janarob.]]>
বুলবুল চৌধুরি: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে তোমারে বধিবে যে নিরবে বাড়িছে সে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নিরবে বাড়ছে বামপন্থীরা, অথচ সংবাদ মাধ্যমে কোন প্রচার নেই। কারণ, একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে মাত্র দুটি দলের অস্তিত্বকে কল্পনা করে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে বিরোধী হিসাবে শুধুমাত্র বিজেপি রয়েছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলাতে বামপন্থীদের সভা সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বামপন্থীরা নীরবে বাড়ছে। তুলনায় বিজেপি দল তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

প্রতিদিন বিকেলে নিয়ম মত বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে নানা কথা বললেও বাস্তবে বাংলার মাটিতে বিজেপির সংগঠন নেই বললেই চলে। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মাধ্যমে যেভাবে বিজেপিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তাতে আর যাই হোক বাংলার মাটিতে তেমন কোন অস্তিত্ব এখনো বিজেপির নেই।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একটি চিঠিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানিয়েছেন যে এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে আসলে বামপন্থীদেরকে এগিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাড়ছে কংগ্রেস। সম্প্রতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে সভা করতে গিয়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে বীরভূম জেলাতে যেভাবে বামপন্থীরা বেড়ে চলেছে তা নিঃসন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কলকাতা শহরের পাশে হাওড়া জেলাতে বামপন্থীদের হঠাৎ করে উত্থান চিন্তায় রাখবে শাসকদলকে। আসলে সিপিএম দলের উত্থানের মূল কারণ হলো সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের যে মামলা হাইকোর্টে হয়েছে এবং যার ফলে এই দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে,এর নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম দলই। মোহাম্মদ সেলিম সূর্যকান্ত মিশ্র বিমান বসুরা প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকারনে আক্রমণ না করে যেভাবে দলের সংগঠনকে মজবুত করছে তা থেকে বিজেপিকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

কারণ সিপিএম বুঝতে পারছে, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করলেই হবে না একই সঙ্গে তাদের বার্তাকে গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গেছে তার নেপথ্যে রয়েছে বামপন্থীদের পরিকল্পনা। বামপন্থীদের কাছে এইভাবে পরাস্ত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা বিভিন্নভাবে তার ব্যাখ্যা দিলেও আসল কথা হলো গ্রামবাংলায় তৃণমূল নেতারা এই মুহূর্তে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর কারণ একটাই তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত স্তরে যেসব নেতাকে প্রশ্রয় দিয়েছে কিংবা লালন পালন করেছে তারা প্রত্যক্ষ হোক এবং পরোক্ষভাবেই হোক নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান পর্যন্ত সবাইকে একপ্রকার চোর বলে ভেবে নিচ্ছে। যেটা দলের পক্ষে খুব ভালো বলে মনে হচ্ছে না।

আর গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত সিপিএম দলও প্রতিটা জেলাতে ইউনিট খুলে বসেছে যেখানে বলা হচ্ছে যে আপনারা চোর ধরুন জেলে পুরুন এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটা নেতার কর্মকাণ্ড পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে লিখে দলীয় দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে এবং যেকোনো সাধারণ মানুষ এই ধরনের অভিযোগ করতে পারবে বলে সিপিএমের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জনমানষে সিপিএমের জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

একথায় স্পষ্ট করে বলে দেয়া যায় রাজনৈতিক মহলের যেটুকু খবর আমরা জানি এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাংলার জনরব যা যা এতদিন ধরে ভবিষ্যৎবাণী করেছে তার প্রেক্ষিতে আমরা বলতেই পারি যদি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধভাবে হয় তাহলে এই রাজ্যের অর্ধেক আসন হেরে যাবে শাসক তৃণমূল দল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

 

The post মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! first appeared on Banglar Janarob.]]>
Sharad Pawar,Mamata Banerjee & Rahul Gandhi : জোটে নারাজ রাহুল, শারদ পাওয়ারের মাধ্যমেই গোয়াতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের শরিক হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, গোয়া দখলের স্বপ্ন শেষ! https://banglarjanarob.com/51325 Tue, 11 Jan 2022 13:10:12 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=51325 বুলবুল চৌধুরী : অনেক আশা নিয়ে গোয়ার গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গোয়ায় গিয়ে কার্যত বিজেপিরই যে সাহায্য করবে তৃণমূল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ কারণ তৃণমূল যেটুকু ভোট কাটবে তা বিরোধী দলের, বিজেপির নয়। ফলে বিজেপি বিরোধী শক্তি অনেকটাই কমে যাবে। এই সহজ সরল সমীকরণটি বেশ কয়েক মাস ধরে আমরা বাংলার জনরব বলে আসছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যানেজমেন্ট সে কথা শুনতে নারাজ ছিলেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার  ক্ষমতায় আসার পর ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু ভারত জয় যে খুব একটা সহজ নয় সেটা তিনি এখন…

The post Sharad Pawar,Mamata Banerjee & Rahul Gandhi : জোটে নারাজ রাহুল, শারদ পাওয়ারের মাধ্যমেই গোয়াতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের শরিক হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, গোয়া দখলের স্বপ্ন শেষ! first appeared on Banglar Janarob.]]>
বুলবুল চৌধুরী : অনেক আশা নিয়ে গোয়ার গিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু গোয়ায় গিয়ে কার্যত বিজেপিরই যে সাহায্য করবে তৃণমূল তা নিয়ে কোনো সন্দেহ ছিল না। কারণ কারণ তৃণমূল যেটুকু ভোট কাটবে তা বিরোধী দলের, বিজেপির নয়। ফলে বিজেপি বিরোধী শক্তি অনেকটাই কমে যাবে। এই সহজ সরল সমীকরণটি বেশ কয়েক মাস ধরে আমরা বাংলার জনরব বলে আসছিলাম। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ম্যানেজমেন্ট সে কথা শুনতে নারাজ ছিলেন। আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বার  ক্ষমতায় আসার পর ভারত জয়ের স্বপ্ন দেখছেন। কিন্তু ভারত জয় যে খুব একটা সহজ নয় সেটা তিনি এখন মর্মে মর্মে উপলব্ধি করতে পারছেন।

কারণ সম্প্রতি গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে জনমত সমীক্ষা প্রকাশিত হয়েছে  বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের, সেখানে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটি আসনও দেওয়া হয়নি। বরং সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে, তৃণমূল কংগ্রেস এককভবে ওখানে লড়াই করলে বিজেপি ১৭ থেকে ২৩ টা আসন পেয়ে যেতে পারে। কারণ তৃণমূল কংগ্রেস যদি কয়েক হাজার ভোট পায় তাতেও বিরোধী দলের অনেক প্রার্থী হেরে যেতে পারেন। গোয়াতে সাধারণত হারজিত হয় কয়েক হাজার ভোটের ব্যবধানে বা শ’পাঁচেক ভোটের ব্যবধানে।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপির বি টিম এই কথাটা যদি একবার প্রচারিত হয়ে যায় তাহলে পশ্চিমবাংলার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতির আঁতুড়ঘরে ধাক্কা খাওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। কারণ বাংলার রাজনীতিতে সংখ্যালঘু মুসলিমদের ভোটের উপর নির্ভর করে তৃণমূল কংগ্রেস এই রাজ্যে ক্ষমতাসীন রয়েছে। তাই তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির বন্ধু বা বিজেপিকে জেতাতে গোয়াতে গেছে এই সহজ কথাটা যদি প্রচার করে দেওয়া যায় তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস বাংলায় যে আগামী লোকসভা নির্বাচনে ধাক্কা খাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

তাই শেষ পর্যন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পিছিয়ে এসেছেন। কিন্তু কয়েক সপ্তাহ আগে পর্যন্ত যে তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী এবং তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কংগ্রেস মুক্ত ভারত গড়ার কথা বলেছিলেন তিনি কীভাবে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট করবেন? সেজন্য আসরে নামানো হয়েছে শারদ পাওয়ারকে।

এদিকে কংগ্রেস দল গোয়াতে এনসিপি শিবসেনা কংগ্রেস এবং গোয়ার এক আঞ্চলিক দলের সঙ্গে মহাজোট তৈরি করেছে একইসঙ্গে  মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্ত পার্টিও এই জোটই সামিল হবে। ফলে কার্যত গোয়াতে নিঃসঙ্গ হয়ে যাচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার শারদ পাওয়ারের এর মাধ্যমে কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করছে তৃণমূল নেতৃত্ব বলে জানা গেছে।

শারদ পাওয়ার আজ মঙ্গলবার মুম্বাইতে সাংবাদিকদের কাছে বলেছেন,‘‘গোয়ায় আসন্ন বিধানসভা ভোটের জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা চলছে।’’

মঙ্গলবার মুম্বইয়ে শরদ বললেন, ‘‘আসন্ন গোয়া বিধানসভার ভোটে জোট বেঁধে চলার জন্য কংগ্রেস ও তৃণমূলের সঙ্গে কথা বলছি। আমরা আমাদের পছন্দের আসনের তালিকা দিয়েছি। কয়েক দিনের মধ্যেই সব চূড়ান্ত হয়ে যাবে। গোয়ার মানুষ বিজেপি-র শাসনে অতিষ্ঠ। এ বার বদল দরকার।’’

আসলে গোয়াতে তীব্র সংকটের মধ্যে পড়েছে বিজেপি সরকার। জনমত সমীক্ষা যাই বলুক না কেন গোয়াতে বিজেপি সরকার গঠন করতে পারবে না। এবার ওখানে কংগ্রেস জোট সরকার হবে। শাসক দল বিজেপির মন্ত্রীও দল ছেড়েছেন গতকাল, ছেড়েছেন শাসকদলের বিধায়কও। তাই মনে করা হচ্ছে বিধানসভা নির্বাচনের আগেই আরো বেশ কয়েকজন নেতা মন্ত্রী বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিতে চলেছেন। ফলে গোয়ার পরিস্থিতি এখন কংগ্রেসের অনুকূলে এই পরিস্থিতিতে তৃণমূল কংগ্রেস জোট এর প্রস্তাব পাঠিয়েছে।

কিন্তু জানা গেছে, রাহুল গান্ধী তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট এর বিরোধী। তাই শোনা যাচ্ছে, শারদ পাওয়ার অর্থাৎ এনসিপি’র জন্য বরাদ্দকৃত আসন থেকে তৃণমূল কংগ্রেসকে একটা কিংবা দুটি আসন ছাড়া হতে পারে গোয়াতে। ঢাক-ঢোল পিটিয়ে গোয়া দখলের স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন বাংলার তৃণমূল নেতারা, যেভাবে হাঁকডাক করছিলেন তাতে মনে হয়েছিল গোয়াতে তৃণমূল সরকার প্রতিষ্ঠা শুধু সময়ের অপেক্ষা। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শারদ পাওয়ারের হাত ধরে বিজেপি বিরোধী কংগ্রেসের নেতৃত্বে মহাজোটেই শামিল হতে হবে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

 

The post Sharad Pawar,Mamata Banerjee & Rahul Gandhi : জোটে নারাজ রাহুল, শারদ পাওয়ারের মাধ্যমেই গোয়াতে বিজেপি বিরোধী মহাজোটের শরিক হতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, গোয়া দখলের স্বপ্ন শেষ! first appeared on Banglar Janarob.]]>
অতিরিক্ত কংগ্রেস বিরোধিতা মমতার ‘কমিটেড ’ ভোট হাত ছাড়া হতে পারে! https://banglarjanarob.com/49895 Sun, 05 Dec 2021 08:22:49 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=49895 সেখ ইবাদুল ইসলাম : পশ্চিমবাংলায় সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর আমরা খূশি হয়েছিলাম এই কারণে যে বাংলার মতো কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রধান রাজ্যে বিজেপি দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি । অবশ্য আসা সম্ভবও ছিল না । কতকগুলো মিডিয়ার প্রচারে বিজেপির এখানে উত্থান হয়েছিল এর বাইরে তাদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না । মিডিয়ার প্রচার এতো তীব্র ছিল যে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীও ভেবে নিয়েছিলেন এবার হয়তো বিজেপিই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে । বর্ষীয়ান সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে মনে ভেবে নিয়েছিলেন বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় চলে আসছে। তা কিন্ত হয়নি । আমরা প্রথম…

The post অতিরিক্ত কংগ্রেস বিরোধিতা মমতার ‘কমিটেড ’ ভোট হাত ছাড়া হতে পারে! first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : পশ্চিমবাংলায় সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনের পর আমরা খূশি হয়েছিলাম এই কারণে যে বাংলার মতো কৃষ্টি-সংস্কৃতি প্রধান রাজ্যে বিজেপি দল ক্ষমতায় আসতে পারেনি । অবশ্য আসা সম্ভবও ছিল না । কতকগুলো মিডিয়ার প্রচারে বিজেপির এখানে উত্থান হয়েছিল এর বাইরে তাদের কোনো অস্তিত্ব ছিল না । মিডিয়ার প্রচার এতো তীব্র ছিল যে তৃণমূলের অনেক নেতা-মন্ত্রীও ভেবে নিয়েছিলেন এবার হয়তো বিজেপিই বাংলায় ক্ষমতায় আসবে । বর্ষীয়ান সাংবাদিক থেকে শুরু করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা মনে মনে ভেবে নিয়েছিলেন বিজেপি বাংলায় ক্ষমতায় চলে আসছে। তা কিন্ত হয়নি । আমরা প্রথম থেকেই বলে আসছিলাম এই রাজ্যে বিজেপির হাওয়ার নেপথ্যে মিডিয়ার ভূমিকা রয়েছে । এছাড়া তাদের কোনো সাংগঠনিক শক্তি নেই ।

আর সেটাই ঘটলো সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা নির্বাচনে । এই নির্বাচনে বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় চলে এলো ফের তৃণমূল কংগ্রেস । পর পর তিনবার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সি বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । জ্যোতিবাবুর পর একমাত্র তিনি দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী যিনি এই সুযোগ পেলেন । মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তিনি দেশের মধ্যে রের্কড সৃষ্টি করেছেন । বাংলার মানুষ বিজেপি বিরোধী প্রধান মুখ হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে মেনে নিয়েছেন । বাংলার মানুষের মনে হয়েছে বিজেপির একমাত্র বিকল্প হলেন মমতা । তাই তারা এবারের নির্বাচনে কোনো পক্ষকে সমর্থন না করে সরাসরি তৃণমূলকে সমর্থন দিয়েছে । আর এক্ষেত্রে রাজ্যের সংখ্যালঘু মুসলিম সমাজের এক তরফা সমর্থনকে অস্বীকার করা যাবে না । তারা ধর্মনিরপেক্ষ দুই দল কংগ্রেস এবং বামেদেরকে ত্যাগ করে সরাসরি মমতাকে সমর্থন দিয়েছে এই কারণে যে মমতাই একমাত্র বিজেপির বিকল্প হতে পারেন।

কিন্ত দুঃখের বিষয় হলো,ভোটে জিতে তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এবার তিনি জাতীয় রাজনীতিতে পা দেওয়ার জন্য উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন । ত্রিপুরা , অসম , গোয়া ও মেঘালয়ে সংগঠন বিস্তারের নাম করে কংগ্রেস দলকে ভাঙানোর খেলায় মেতেছেন । অবশ্য কংগ্রেস তার দায় এড়াতে পারে না । নিজের দলকে ধরে রাখার মতো ক্ষমতা না থাকলে দল  তো ভাঙবেই এটা স্বাভাবিক প্রবণতা বলে আমাদের মনে হয়েছে। কিন্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল তৃণমূল কংগ্রেস যে হুংকার দিয়ে ত্রিপুরায় গিয়েছিল পুরভোটের  ফল বের হওওয়ার পর তাদের আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না । কারণ, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিপ্লব দেবকে প্রমাণ করতে হতো বিজেপির জনপ্রিয়তা এখনও ত্রিপুরায় অটুট রয়েছে । আর এক্ষেত্রে তৃণমূলের অংশীদারিত্ব প্রয়োজন ছিল । কারণ ভোটের শতাংশের হিসাব বলছে , তৃণমূল প্রায় ১৬ শতাংশের বেশি ভোট কেটেছে পুরসভা নির্বাচনে ।ফলে বামেরা ভোট শতাংশের দিক থেকে দ্বিতীয় স্থানেও থাকলেও পুরসভায় ৯৯ শতাংশ আসন দখল করে বিজেপি নিজেদের আধিপত্য কায়েম করতে পেরেছে । আর একাজে তাদের সহযোগী ছিল তৃণমূল কংগ্রেস এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষ্যকার অস্বীকার করতে পারবেন না ।

ত্রিপুরার কথা ছেড়েই দিন ! এবার আসা যাক গোয়ার কথায় । ত্রিপুরাতে তৃণমূল কংগ্রেসের সম্ভাবনা খানিকটা হলেও আছে , গোয়াতে ? এখানে কিন্ত কিছুই নেই । আসলে আসন্ন গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে ওই রাজ্যের আঞ্চলিক দল এবং কংগ্রেস দল যেভাবে কাছাকাছি এসেছে তাতে বিজেপির জয় অনেকটাই কঠিন হয়ে গেছে । আর তৃণমূল কংগ্রেস গোয়া বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দিলে প্রতিটি বিধানসভা ক্ষেত্রে যদি দুই থেকে চার হাজার ভোট পায় তাতেই সমীকরণ বদলে যেতে পারে । এই রাজ্যে বিধানসভার আসনগুলিতে কম ভোটের ব্যবধানে জয় পরাজয় নির্ধারণ হয় , ভোটার সংখ্যা গড়ে ২৫ হাজার । ফলে তৃণমূল কংগ্রেস এখানে এককভাবে লড়াই করলে আখেরে লাভ হবে বিজেপির । কারণ চর্তুমুখী লড়াইয়ে যে প্রার্থী ছয় হাজার ভোট পাবে তারই জিত হয়ে যেতে পারে ।

একথা অস্বীকার করা যাবে না, বহুদলীয় গণতন্ত্রে যেকোনো দল নির্বাচনে অংশ নিতে পারে । এতে আপত্তির কিছু নেই । তৃণমূল কংগ্রেসও বিভিন্ন রাজ্যে নির্বাচনে অংশ নিলে আপত্তির কিছু থাকে না । কিন্ত বিজেপির বিরোধিতা করব অথচ বিজেপির সুবিধা করে দেওয়ার জন্য যে রাজ্যে সংগঠন নেই সেই রাজ্যে গিয়ে নির্বাচনে লড়াই করবো এতে শাসক দল বিজেপির সুবিধা হবে ।

২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে যদি কেন্দ্রে বিকল্প সরকার গঠন করার জন্য প্রস্ততি নিতে হয় তাহলে বিজেপি বিরোধি সব রাজনৈতিক দলকে এক মঞ্চে আসতে হবে । আর সেক্ষেত্রে কংগ্রেসকে অবশ্যই সঙ্গে নিতে হবে । কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী বিকল্প যাঁরা গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা গোপনে বিজেপির সুবিধা করে দিচ্ছেন । একথা খুব জোর দিয়ে বলেছে, এক সময়ের বিজেপির জোট সঙ্গী শিবসেনা । তারা বলছে, বিজেপি বিরোধী জোটকে বিশ্বাসযোগ্য করতে হলে কংগ্রেসকে সঙ্গে নিতে হবে । শিবসেনার এই অবস্থানের পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার স্বপ্ন অনেকটাই ধুলিসাৎ হয়ে গেল ।

কারণ উত্তরপ্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি দল যদিও হেরেও যায় তাহলেও অখিলেশকে সরকার গঠন করতে হলে কংগ্রেসের সমর্থন দরকার হবে । কারণ প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বিগত ৫ বছর ধরে যে পরিশ্রম করেছেন উত্তরপ্রদেশে তার প্রতিদান তিনি পাবেন । ফলে একটা সময় তৃণমূল নেত্রী অনেকটাই একা হয়ে যাবেন বলে আমাদের মনে হয় ।

কারণ বঙ্গ রাজনীতিতে প্রচার শুরু হয়ে গেছে মোদী-দিদি গটআপ । এতদিন এই শ্লোগান বামেরা দিত, কংগ্রেস দিত । এখন আম জনতা দিচ্ছে । ফলে দিল্লি দখলের স্বপ্ন দেখতে গিয়ে বাংলায় সমর্থন হারাতে পারেন মমতা ।  কারণ মনে রাখতে হবে এই বাংলায় আরএসএস বা বিজেপি তার কাজ বন্ধ করে দেয়নি । তৃণমূল থেকে যাওয়া কতকগুলো ধান্দাবাজ নেতা শাসক দলেও ফিরে এলেও তাতে তৃণমূলের ভোট বাড়বে না । বরং কমিটেড ভোট কমার সম্ভাবনা রয়েছে ।

আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যত কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সুর চড়া করবেন ততই তাঁর বিজেপি বিরোধিতা নিয়ে জনমানষে প্রশ্ন উঠবে । আর এই প্রশ্ন যত দীর্ঘায়িত হবে ততই মমতার কমিটেড ভোটে ফাটল ধরবে । সংখ্যালঘু ভোটের ৫ থেকে সাত শতাংশ ছাড়া হলেই এই রাজ্যে বিজেপি আবার দাপট দেখাতে শুরু করবে । আর যদি সংখ্যালঘু ভোটের ভাল অংশ কংগ্রেস কিংবা বামেরা পেয়ে যায় তাহলে আগামী  দিনে এই রাজ্যে তৃণমূল যে সংকটে পড়বে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । তাই সাধু সাবধান!

The post অতিরিক্ত কংগ্রেস বিরোধিতা মমতার ‘কমিটেড ’ ভোট হাত ছাড়া হতে পারে! first appeared on Banglar Janarob.]]>
Congress vs Tmc : ‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে কেন্দ্রে বদল অসম্ভব, কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে তা নরেন্দ্র মোদী-র হাতকেই শক্ত করবে’ মমতার জোট সূত্রের বিরোধিতা করে মন্তব্য শিবসেনার https://banglarjanarob.com/49844 Sat, 04 Dec 2021 06:58:51 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=49844 বাংলার জনরব ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় এককভাবে বিজেপিকে হারিয়েছে ঠিকই কিন্ত সমগ্র দেশকে বিজেপির মতো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে কংগ্রেসকে ছাড়া সম্ভব নয়  বলে স্পষ্ট জানালেন শিবসেনা। শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয় স্তম্ভে কংগ্রেস-প্রশ্নে তৃণমূলের এমন বিরোধী অবস্থান ধরা পড়ল শনিবার। শিবসেনার মুখপত্রে এটাও লেখা হয়েছে, ‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে কেন্দ্রে বদল এক প্রকার অসম্ভব। যে কারণেই কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে তা নরেন্দ্র মোদী-র হাত শক্ত করবে।’ তৃণমূল নেত্রীর মুম্বই সফরে শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ হওয়ার…

The post Congress vs Tmc : ‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে কেন্দ্রে বদল অসম্ভব, কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে তা নরেন্দ্র মোদী-র হাতকেই শক্ত করবে’ মমতার জোট সূত্রের বিরোধিতা করে মন্তব্য শিবসেনার first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলায় এককভাবে বিজেপিকে হারিয়েছে ঠিকই কিন্ত সমগ্র দেশকে বিজেপির মতো ফ্যাসিবাদী শক্তির হাত থেকে রক্ষা করতে হলে কংগ্রেসকে ছাড়া সম্ভব নয়  বলে স্পষ্ট জানালেন শিবসেনা। শিবসেনার মুখপাত্র ‘সামনা’-র সম্পাদকীয় স্তম্ভে কংগ্রেস-প্রশ্নে তৃণমূলের এমন বিরোধী অবস্থান ধরা পড়ল শনিবার। শিবসেনার মুখপত্রে এটাও লেখা হয়েছে, ‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে কেন্দ্রে বদল এক প্রকার অসম্ভব। যে কারণেই কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে তা নরেন্দ্র মোদী-র হাত শক্ত করবে।’

তৃণমূল নেত্রীর মুম্বই সফরে শিবসেনা প্রধান তথা মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে মমতার সাক্ষাৎ হওয়ার কথা থাকলেও তা হয়নি। রাজনৈতিক মহল মনে করছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কংগ্রেস নিয়ে বিরোধী অবস্থানের কারণেই মহারাষ্টের  মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে দেখা করেননি মমতার সঙ্গে । অবশ্য মমতার সঙ্গে দেখা করেন উদ্ধব-পুত্র আদিত্য। মমতার সঙ্গে বৈঠকে আদিত্যের সঙ্গে ছিলেন শিবসেনার রাজ্যসভা সাংসদ সঞ্জয় রাউত। বৈঠকের পর আদিত্য বলেছিলেন, ‘‘জাতীয় রাজনীতির অনেক বিষয়েই আমাদের কথা হয়েছে। আমাদের পুরনো বন্ধুত্বের সম্পর্ক। আগেও উনি যখন এসেছেন, আমাদের বৈঠক হয়েছে।’’ সফরের দ্বিতীয় দিনে শিল্পমহল, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি এনসিপি প্রধান শরদ পওয়ারের সঙ্গে বৈঠক করেন মমতা।

বৈঠক থেকে আভাস মিলেছিল, বিজেপি-বিরোধী অবস্থানেও মমতা-শরদ পওয়ার সমমনস্ক। তাঁরা দু’জনেই মনে করেন, বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিকল্প রাজনৈতিক শক্তিকে আরও জোরালো হতে হবে। সমমনস্ক দলগুলিকে জোট বাঁধতে হবে।

সংসদের আসন্ন শীতকালীন অধিবেশনেও কংগ্রেসের সঙ্গে কক্ষ সমন্বয়ে রাজি হয়নি তৃণমূল। এমনকি কংগ্রেসের ডাকা বিরোধী নেতাদের বৈঠকেও কোনও প্রতিনিধি পাঠায়নি মমতার দল। ফলে ‘ফাটল’ যে ক্রমেই চওড়া হচ্ছে, তার আভাস মিলেছে।

তবে জোট হলেও সেখানে যে কংগ্রেসকে পুরোপুরি বাদ রাখতে চায় তৃণমূল, এমনও নয়। শুক্রবার ধারবাহিক টুইট করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘কখনই কংগ্রেসকে বাদ রাখার কথা বলেননি (মমতা)। বিজেপি-বিরোধী জোট শক্ত করতে কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। কংগ্রেস এখনও নীরব। তৃণমূল হাত গুটিয়ে বসে থাকবে না। মানুষ যেখানে চাইছেন, আমরা সাধ্যমতো দল বিস্তার করব। বাকিটা পরে শীর্ষ নেতৃত্ব যথাসময়ে সিদ্ধান্ত নেবেন।’

 

The post Congress vs Tmc : ‘লোকসভা ভোটে কংগ্রেস ১০০-র বেশি আসন না পেলে কেন্দ্রে বদল অসম্ভব, কংগ্রেসকে জোট থেকে দূরে রাখলে তা নরেন্দ্র মোদী-র হাতকেই শক্ত করবে’ মমতার জোট সূত্রের বিরোধিতা করে মন্তব্য শিবসেনার first appeared on Banglar Janarob.]]>