DYFI | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Tue, 08 Nov 2022 08:09:06 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.7.11 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg DYFI | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! https://banglarjanarob.com/62621 Tue, 08 Nov 2022 07:03:59 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=62621 বুলবুল চৌধুরি: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে তোমারে বধিবে যে নিরবে বাড়িছে সে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নিরবে বাড়ছে বামপন্থীরা, অথচ সংবাদ মাধ্যমে কোন প্রচার নেই। কারণ, একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে মাত্র দুটি দলের অস্তিত্বকে কল্পনা করে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে বিরোধী হিসাবে শুধুমাত্র বিজেপি রয়েছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলাতে বামপন্থীদের সভা সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বামপন্থীরা নীরবে বাড়ছে। তুলনায় বিজেপি দল তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন বিকেলে…

The post মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! first appeared on Banglar Janarob.]]>
বুলবুল চৌধুরি: বাংলায় একটা প্রবাদ আছে তোমারে বধিবে যে নিরবে বাড়িছে সে। বাংলার বিভিন্ন প্রান্তে নিরবে বাড়ছে বামপন্থীরা, অথচ সংবাদ মাধ্যমে কোন প্রচার নেই। কারণ, একশ্রেণীর সংবাদ মাধ্যম পশ্চিমবাংলার রাজনীতিতে মাত্র দুটি দলের অস্তিত্বকে কল্পনা করে চলেছে। শাসক তৃণমূল কংগ্রেস অন্যদিকে বিরোধী হিসাবে শুধুমাত্র বিজেপি রয়েছে বলে তুলে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছে সংবাদ মাধ্যমগুলিতে। কিন্তু বাস্তব সত্য হচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জেলাতে বামপন্থীদের সভা সমাবেশে যেভাবে জনসমাগম হচ্ছে তাতে এটা স্পষ্ট হয়েছে যে বামপন্থীরা নীরবে বাড়ছে। তুলনায় বিজেপি দল তার গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ছিন্ন বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ছে।

প্রতিদিন বিকেলে নিয়ম মত বিরোধী দলনেতা হিসাবে শুভেন্দু অধিকারী, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিশানা করে নানা কথা বললেও বাস্তবে বাংলার মাটিতে বিজেপির সংগঠন নেই বললেই চলে। কয়েকটি ইউটিউব চ্যানেল এবং সোশ্যাল মাধ্যমে যেভাবে বিজেপিকে তুলে ধরার চেষ্টা করছে তাতে আর যাই হোক বাংলার মাটিতে তেমন কোন অস্তিত্ব এখনো বিজেপির নেই।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু একটি চিঠিতে দলের সর্বভারতীয় সভাপতিকে জানিয়েছেন যে এই রাজ্যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করতে গিয়ে আসলে বামপন্থীদেরকে এগিয়ে দেয়া হচ্ছে। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ মালদা এবং উত্তর দিনাজপুরের বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে বাড়ছে কংগ্রেস। সম্প্রতি অধীর রঞ্জন চৌধুরী মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন ব্লকে ব্লকে সভা করতে গিয়ে একের পর এক তৃণমূল কংগ্রেসকে ভাঙিয়ে চলেছেন। অন্যদিকে বীরভূম জেলাতে যেভাবে বামপন্থীরা বেড়ে চলেছে তা নিঃসন্দেহে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কলকাতা শহরের পাশে হাওড়া জেলাতে বামপন্থীদের হঠাৎ করে উত্থান চিন্তায় রাখবে শাসকদলকে। আসলে সিপিএম দলের উত্থানের মূল কারণ হলো সম্প্রতি শিক্ষক নিয়োগের যে মামলা হাইকোর্টে হয়েছে এবং যার ফলে এই দুর্নীতির তদন্ত সিবিআই করছে,এর নেপথ্যে রয়েছে সিপিএম দলই। মোহাম্মদ সেলিম সূর্যকান্ত মিশ্র বিমান বসুরা প্রতিদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে অকারনে আক্রমণ না করে যেভাবে দলের সংগঠনকে মজবুত করছে তা থেকে বিজেপিকে শিক্ষা নেওয়া উচিত বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে।

কারণ সিপিএম বুঝতে পারছে, শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরোধিতা করলেই হবে না একই সঙ্গে তাদের বার্তাকে গ্রামগঞ্জে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে। সম্প্রতি পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমারে সমবায় সমিতির নির্বাচনে যেভাবে তৃণমূল কংগ্রেস হেরে গেছে তার নেপথ্যে রয়েছে বামপন্থীদের পরিকল্পনা। বামপন্থীদের কাছে এইভাবে পরাস্ত হওয়ার পর তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন নেতা বিভিন্নভাবে তার ব্যাখ্যা দিলেও আসল কথা হলো গ্রামবাংলায় তৃণমূল নেতারা এই মুহূর্তে অনেকটাই জনবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এর কারণ একটাই তৃণমূল কংগ্রেস পঞ্চায়েত স্তরে যেসব নেতাকে প্রশ্রয় দিয়েছে কিংবা লালন পালন করেছে তারা প্রত্যক্ষ হোক এবং পরোক্ষভাবেই হোক নানা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে। ফলে যা হবার তাই হচ্ছে সাধারণ মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের পঞ্চায়েত সদস্য থেকে শুরু করে প্রধান পর্যন্ত সবাইকে একপ্রকার চোর বলে ভেবে নিচ্ছে। যেটা দলের পক্ষে খুব ভালো বলে মনে হচ্ছে না।

আর গোদের উপর বিষ ফোঁড়ার মত সিপিএম দলও প্রতিটা জেলাতে ইউনিট খুলে বসেছে যেখানে বলা হচ্ছে যে আপনারা চোর ধরুন জেলে পুরুন এই কর্মসূচির মাধ্যমে প্রতিটা নেতার কর্মকাণ্ড পোস্ট কার্ডের মাধ্যমে লিখে দলীয় দপ্তরে জমা দিতে বলা হয়েছে এবং যেকোনো সাধারণ মানুষ এই ধরনের অভিযোগ করতে পারবে বলে সিপিএমের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে জনমানষে সিপিএমের জনসমর্থন দিন দিন বাড়ছে, এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

একথায় স্পষ্ট করে বলে দেয়া যায় রাজনৈতিক মহলের যেটুকু খবর আমরা জানি এবং ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে বাংলার জনরব যা যা এতদিন ধরে ভবিষ্যৎবাণী করেছে তার প্রেক্ষিতে আমরা বলতেই পারি যদি আগামী পঞ্চায়েত নির্বাচন সুষ্ঠু এবং অবাধভাবে হয় তাহলে এই রাজ্যের অর্ধেক আসন হেরে যাবে শাসক তৃণমূল দল এ নিয়ে কোন সন্দেহ নেই।

 

The post মিডিয়ার প্রচারের বাইরে গ্রামবাংলায় নিরবে বাড়ছে লাল ঝান্ডা, বিজেপি নয় বামপন্থীদের উত্থানই তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে সবচেয়ে বেশি আতঙ্কের! first appeared on Banglar Janarob.]]>
Minakshi Mukherjee : তৃণমূল সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে বামনেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি জননেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন ! মমতার বিকল্প কী মিনাক্ষী ? https://banglarjanarob.com/53327 Sun, 06 Mar 2022 09:33:20 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=53327 সেখ ইবাদুল ইসলাম : পশ্চিমবাংলায় রাজনৈতিক সৌজন্যতা দীর্ঘদিনের । স্বাধীনতার পর থেকে বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বিরোধী কন্ঠস্বরকে শাসক দল গুরুত্ব দিয়েছে । বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে শাসক দলের সখ্যতা ছিল । একটা গল্প শুনেছিলাম , কতটা সত্য তা আমি বলতে পারবো না তবে এই গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য । কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে জ্যোতি বসুরা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সভা করছেন , ঘটনাচক্রে সেই সময় বিধান রায় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর ওই সভামঞ্চ থেকে বিধান রায়কে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে । গাড়িটা যাবার সময় জ্যোতিবাবুর সামনে গিয়ে…

The post Minakshi Mukherjee : তৃণমূল সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে বামনেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি জননেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন ! মমতার বিকল্প কী মিনাক্ষী ? first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ ইবাদুল ইসলাম : পশ্চিমবাংলায় রাজনৈতিক সৌজন্যতা দীর্ঘদিনের । স্বাধীনতার পর থেকে বেশ কয়েক বছর আগে পর্যন্ত বিরোধী কন্ঠস্বরকে শাসক দল গুরুত্ব দিয়েছে । বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলির নেতাদের সঙ্গে শাসক দলের সখ্যতা ছিল । একটা গল্প শুনেছিলাম , কতটা সত্য তা আমি বলতে পারবো না তবে এই গল্পটা বিশ্বাসযোগ্য । কলেজ স্ট্রিটের মোড়ে জ্যোতি বসুরা তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বিধানচন্দ্র রায়ের বিরুদ্ধে সভা করছেন , ঘটনাচক্রে সেই সময় বিধান রায় ওই রাস্তা দিয়ে যাচ্ছিলেন, আর ওই সভামঞ্চ থেকে বিধান রায়কে আক্রমণ করে বক্তব্য দেওয়া হচ্ছে । গাড়িটা যাবার সময় জ্যোতিবাবুর সামনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর গাড়ি দাঁড়িয়ে গেল, বিধান রায় বললেন , জ্যোতি কিছু থেয়েছো! খালি পেটে সংগ্রাম হবে ? ওই দোকানে গিয়ে লুচি আলুর দম খেয়ে তারপর আমার বিরুদ্ধে শ্লোগান দিও ! বিধান রায়ের এ কথা জ্যোতিবাবুও শুনেছিলেন বলে শোনা যায় , লুচি-আলুর দম পুরো দমে খেয়ে বিধান রায়ের বিরুদ্ধে শ্লোগান দিতে থাকেন বাম নেতারা । শোনা যায় বিধান রায় একবার বিধানসভায় সময় দিয়েও দেরিতে ঢুকেছিলেন তা নিয়ে তৎকালীন বিরোধী নেতা জ্যোতি বসু বিধানসভায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিধান রায়ের কড়া সমালোচনা করেছিলেন । সমালোচনা মন দিয়ে শুনে জ্যোতিবাবুর প্রশ্নের উত্তর দিয়েছিলেন বিধান রায় । তারপর সব শেষে বলেছিলেন, জ্যোতি তোমার বাবার শরীরটা খারাপ, সকালে ফোন করেছিলেন, একজন চিকিৎসক হিসাবে আমি তোমার বাবাকে দেখতে গিয়েছিলাম , তাই দেরি হয়ে গেল । তুমি তাড়াতাড়ি বাড়ি ফিরে যাও ।

সাম্প্রতিক আরও একটি ঘটনা শুনেছিলাম প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধার্থ শংকর রায়ের মুখে । জ্যোতি বসুকে গ্রেফতার করার জন্য সিদ্ধার্থের পুলিশ হন্যে হয়ে ঘুরছে, আর জ্যোতি বসু মুখ্যমন্ত্রীর আশ্রয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন । এর নাম রাজনৈতিক সৌজন্য ! রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যখন বিরোধী নেত্রী ছিলেন তিনি অনেক আন্দোলন করেছেন এমনকি বিধানসভা ভাঙচুরের সময়ও তিনি সেখানে হাজির ছিলেন । তা সত্ত্বে তৎকালীন বামফ্রন্ট সরকার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেলে পাঠায়নি । অবসরপ্রাপ্ত এক আইপিএস অফিসার একান্তে এই প্রতিবেদককে বলেছেন, বাম সরকারের আমলে আমাদের উপর নির্দেশ ছিল মমতার গায়ে হাত না দিতে । অর্থাৎ রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রাখার চেষ্টা করে গেছে বাম সরকার এ নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই । সাংবাদিক হিসাবে বাম সরকারের আমলে এই প্রতিবেদক তীব্র বাম বিরোধী ছিলেন । কোনো সময়ে বাম নেতা-মন্ত্রীরা এই প্রতিবেদকের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেননি । নিচু তলার কমরেডরা কিছু খারাপ ব্যবহার করেছে কিন্ত বড় নেতারা এমনকি অনিল বসুর মতো জাঁদরেল নেতাও বিরোধী পক্ষের সাংবাদিক হওয়ার জন্য যথেষ্ট সম্মান এবং গুরুত্ব দিতেন , আজকের দিনে ভাবতে কষ্ট হয় ।

২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ক্ষমতায় আসার পর এই রাজ্যের বিরোধী পরিসরটা অনেকটাই ছোট হয়ে গেছে । যে সব সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করেন তাঁরা শাসক তৃণমূল দলের নেতাদের চক্ষুশূলে পরিণত হয়েছে । প্রতি নিয়ত সমালোচক সাংবাদিকদের হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে । অন্যদিকে বিরোধী রাজনৈতিক দলের নেতাদের প্রতি সামান্য সৌজন্যতা প্রদান করা হচ্ছে না । এমন ভাষায় বিরোধী দল বিশেষ করে কংগ্রেস এবং সিপিএমকে আক্রমণ করা হচ্ছে যা রাজনৈতিক শিষ্টাচার বিরোধী বললে অত্যুক্তি হবে না । মনে রাখতে হবে ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামেরা বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় এসেছিল, মাত্র ৫ বছরের মধ্যে তারা ক্ষমতাচ্যুত হয়ে গিয়েছিল । মানুষ যখন বিপুল গরিষ্ঠতা দিয়ে সরকার প্রতিষ্ঠা করে তখন মানুষই সেই সরকারের পতনকে সুনিশ্চিত করতে পারে । ২০০৪ সালে যে দলের মাত্র একজন সাংসদ ছিল , সেই দলই মাত্র সাত বছর পর বিপুল সমর্থন নিয়ে সরকার গড়েছে। সুতরাং রাজনীতিতে বিরোধী দলকে খারাপ ভাষায় আক্রমণ করার মধ্যে কোনো বাহাদুরি নেই । কিন্ত দুঃখের হলেও সত্য বর্তমান শাসক দল এই ইতিহাস ভুলে গেছে । তারা এখন ক্ষমতার দম্ভে নিজেদেরকে জাহির করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ।

তাই হাওড়া যুবক এবং আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা আনিস খানের মৃত্যু রহস্যের তদন্ত করার চেয়ে সরকারের মূল লক্ষ্য হল যারা এ নিয়ে প্রতিবাদ করছে তাদেরকে ঠান্ডা করা । প্রতিবাদীদের রোখার জন্য ব্রিটিশের তৈরি আইনের ব্যবহার করা হচ্ছে । জ্যোতিবসু থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পর্যন্ত বিরোধী নেতা-নেত্রীদের গণতান্ত্রিক ভাবে প্রতিবাদ আন্দোলন করার জন্য জেলে যেতে হয়নি । এমনকি পুলিশকে হেনস্থা করার জন্যও নয় । বাম নেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি সহ ১৬ জনকে বারবার জেলে পাঠানো হচ্ছে । কারণ তাঁদের অপরাধ আনিসের হত্যাকারীদের শাস্তির দাবিতে আন্দোলন করছেন । তাই তাঁদের বিরুদ্ধে হত্যার চেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে । অথচ আনিসের মৃত্যু পর ১৬ দিন কেটে গেলেও এই মৃত্যু রহস্যের জট এখনো কাটেনি । মুখ্যমন্ত্রীর উপর সাধারণ মানুষের আস্থা বিশ্বাস এখনও আছে, মুখ্যমন্ত্রী কথা দিয়েছিলেন ১৫ দিনের মধ্যেই অপরাধীরা শাস্তি পাবে ! এখনও অপরাধীরা ধরা পড়েনি ! কিন্ত আনিসের জন্য ইনসাফ চাইতে গিয়ে মিনাক্ষীরা অন্ধকার জেলে বন্দী ! আর অপরাধীরা …..!

আর এখানে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভুল করে ফেললেন । যে ভুল থেকে আগামী দিনে আর বের হতে পারবেন কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে । তবে তিনি নিজের ভুলেই বিকল্প নেত্রী তৈরি করে দিলেন ! যার অপেক্ষায় বাংলা এতদিন ছিল। এতদিন বলা হতো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কোনো বিকল্প নেই , এবার বলা হবে মমতার বিকল্প মিনাক্ষী ! আর য়াঁরা বলছেন, বামেরা মুছে গেছে ! তাঁদেরকে বিশ্বকবির একটা লাইন মনে করিয়ে দিই “ কাল ছিল ডাল খালি / আজ ফুলে যায় ভরি / হয় সে কেমন করে / বল দেখি তুই মালি”। এভাবে একটা রাজনৈতিক ভুলেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থান ঘটেছিল , আর আনিস খানের হত্যার পর প্রশাসনের ব্যর্থতাকে সম্বল করেই মিনাক্ষীদের বাংলার মাটিতে উত্থান ঘটে গেল । মিনাক্ষীরা যতদিন জেলে থাকবেন ততদিন তাঁরা রাজনৈতিক ডিভিডেন্ট পেয়ে যাবেন ।

The post Minakshi Mukherjee : তৃণমূল সরকারের আত্মঘাতি সিদ্ধান্তে বামনেত্রী মিনাক্ষী মুখার্জি জননেত্রী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করতে চলেছেন ! মমতার বিকল্প কী মিনাক্ষী ? first appeared on Banglar Janarob.]]>
Anis Khan: আনিসের হত্যা রহস্যের তদন্ত এবং দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে বাম ছাত্র যুবদের ডাকা হাওড়া গ্রামীণ- র এসপি অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিহাটি – পানিয়ারা, গ্রেফতার মীনাক্ষী সহ আট নেতা https://banglarjanarob.com/53040 Sat, 26 Feb 2022 11:40:20 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=53040 বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ শনিবার পূর্ব ঘোষণা মতো আনিস খানের হত্যা রহস্য উন্মোচন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে হাওড়া গ্রামীণের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠলো পানিয়ারা চত্বর। বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভের জেরে জাতীয় সড়ক (দীঘা ও হলদিয়া) অবরুদ্ধ। এদিন রীতিমত যুদ্ধদেহিং মনোভাব নিয়ে আন্দোলনে শরিক হয় বাম ছাত্র যুবরা। তারা একের পর এক পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।  পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি চালায় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ। ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বাম…

The post Anis Khan: আনিসের হত্যা রহস্যের তদন্ত এবং দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে বাম ছাত্র যুবদের ডাকা হাওড়া গ্রামীণ- র এসপি অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিহাটি – পানিয়ারা, গ্রেফতার মীনাক্ষী সহ আট নেতা first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : আজ শনিবার পূর্ব ঘোষণা মতো আনিস খানের হত্যা রহস্য উন্মোচন ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবিতে হাওড়া গ্রামীণের এসপি অফিস ঘেরাও কর্মসূচি ছিল। এই কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে উত্তাল হয়ে উঠলো পানিয়ারা চত্বর।

বাম ছাত্র-যুবদের বিক্ষোভের জেরে জাতীয় সড়ক (দীঘা ও হলদিয়া) অবরুদ্ধ। এদিন রীতিমত যুদ্ধদেহিং মনোভাব নিয়ে আন্দোলনে শরিক হয় বাম ছাত্র যুবরা। তারা একের পর এক পুলিশ গাড়ি ভাঙচুর করে বলে অভিযোগ।  পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি চালায় বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভকারীদের নিয়ন্ত্রনে আনতে লাঠিচার্জ করল পুলিশ।

ফাটানো হল কাঁদানে গ্যাসের সেল। আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে বিক্ষোভ দেখায় বাম দলগুলি। তার জেরে রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় রানিহাটি সংলগ্ন এলাকা। পুলিশের উপর ইট ছোড়া হয় হয় বলে অভিযোগ। পুলিশকেও লাঠি চালাতে হয়। লাঠি চালানোর ফলে বেশ কয়েকজন ছাত্র যুব কর্মী আহত হয়েছেন।

The post Anis Khan: আনিসের হত্যা রহস্যের তদন্ত এবং দোষী পুলিশকর্মীদের শাস্তির দাবিতে বাম ছাত্র যুবদের ডাকা হাওড়া গ্রামীণ- র এসপি অফিস ঘেরাওকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠল রানিহাটি – পানিয়ারা, গ্রেফতার মীনাক্ষী সহ আট নেতা first appeared on Banglar Janarob.]]>