Chief Minister of West Bengal | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Sun, 20 Aug 2023 11:12:42 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=5.7.11 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg Chief Minister of West Bengal | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 জন্ম শংসাপত্রের অভাবে হাজার হাজার মাদ্রাসা পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ! মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাইছে বাঙালি মুসলিম সমাজ https://banglarjanarob.com/71779 Sun, 20 Aug 2023 11:02:13 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=71779 বুলবুল চৌধুরি : ২০২৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে যারা দশম শ্রেণি পরীক্ষা দেবেন তাদের নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রশন প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু হয়েছে । আর এতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি । কারণ এবারের রেজিষ্ট্রশন প্রক্রিয়ায় জন্ম-শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । মাদ্রাসা বোর্ডের অনেক পড়ুয়ার জন্ম-শংসাপত্র নেই , সংখ্যার বিচারে কয়েক হাজার হবে । এক্ষেত্রে এরকম সমস্যা তৈরি হতে পারে আগেই এই বিষয়ে বেশ কয়েক জন প্রধান শিক্ষক পর্ষদের দৃষ্টি  আকর্ষন করেছিলেন। সেই সময় পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জন্ম-শংসাপত্রের জন্য আবেদন করলেই তা গ্রহণ করা হবে । আবেদন পত্রটির নকল কপি প্রমাণ…

The post জন্ম শংসাপত্রের অভাবে হাজার হাজার মাদ্রাসা পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ! মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাইছে বাঙালি মুসলিম সমাজ first appeared on Banglar Janarob.]]>
বুলবুল চৌধুরি : ২০২৫ সালে মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমে যারা দশম শ্রেণি পরীক্ষা দেবেন তাদের নবম শ্রেণির রেজিষ্ট্রশন প্রক্রিয়া অনলাইনে শুরু হয়েছে । আর এতেই দেখা দিয়েছে বিপত্তি । কারণ এবারের রেজিষ্ট্রশন প্রক্রিয়ায় জন্ম-শংসাপত্র বাধ্যতামূলক করা হয়েছে । মাদ্রাসা বোর্ডের অনেক পড়ুয়ার জন্ম-শংসাপত্র নেই , সংখ্যার বিচারে কয়েক হাজার হবে । এক্ষেত্রে এরকম সমস্যা তৈরি হতে পারে আগেই এই বিষয়ে বেশ কয়েক জন প্রধান শিক্ষক পর্ষদের দৃষ্টি  আকর্ষন করেছিলেন। সেই সময় পর্ষদের পক্ষ থেকে বলা হয়, জন্ম-শংসাপত্রের জন্য আবেদন করলেই তা গ্রহণ করা হবে । আবেদন পত্রটির নকল কপি প্রমাণ হিসাবে জমা দিতে হবে । মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষের এই ধরনের সিদ্ধান্তের কথা বলার আগে সংশ্লিষ্ট দফতরগুলির সঙ্গে কথা বলে উচিত ছিল, তা করা হয়নি । ফলে হাজার হাজার পড়ুয়ার অভিভাবকরা নানাভাবে হেনস্থা এবং হয়রানির শিকার হয়েছেন । কয়েক জন দায়িত্বপ্রাপ্ত মাদ্রাসার শিক্ষকরা সংশ্লিষ্ট গ্রাম-পঞ্চায়েত কিংবা কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলারদের যোগাযোগ করলেও তেমন কোনো সুরাহা হয়নি ।

কারণ এই বিষয় যদি মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ এই সব সংস্থার সঙ্গে কথা বলে নিতেন তাহলে সমস্যা তৈরি হতো না । গরীব দুস্থ পরিবারের ছেলেমেয়েরা শুধু জন্ম-শংসাপত্রের আবেদন করার জন্য কয়েকশো টাকা খরচ করেও অনেকেই জন্ম-শংসাপত্র পাননি ( সংবাদ পত্রে প্রকাশিত খবর থেকে জানা যাচ্ছে ৬ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে জন্ম-শংসাপত্র) আবেদনও করতে পারেনি । এরফলে কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের শিক্ষাজীবন যে সংকটে পড়বে তা বলার অপেক্ষা রাখে না । এদিকে অনলাইন রেজিস্ট্রেশনের সময়সীমা সুপার লেট ফাইন দিয়েও ১৮ আগষ্ট শেষ হয়ে গেছে । এই অবস্থায় ছেলেমেয়েরা আরও বেশি সংকটে পড়েছে । এর প্রভাব যে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর পড়বে তা নিয়ে কোনো সন্দেহ নেই ।

সময়সীমা শেষ হওয়ার পরেও মাদ্রাসা বোর্ডের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে আলাদা কোনো বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়নি । ফলে এই কয়েক হাজার ছেলেমেয়ের ভবিষ্যৎ অন্ধকারে ! যদিও একটি সংবাদ মাধ্যমে এই বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে বোর্ড সভাপতি বলেছেন, যারা জন্ম-শংসাপত্রের অভাবে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেনি তাদের জন্ম আলাদাভাবে চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে । তবে কী চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে তা এখনও ষ্পষ্ট হয়নি । যতক্ষণ না পর্ষদের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত এই রাজ্যের সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিম সমাজের মাদ্রাসার পড়ুয়ারা অনিশ্চিয়তার মধ্যে রয়েছে ।

এ প্রসঙ্গে সাতঘরা হাই মাদ্রাসা টিচার ইনচার্জ সেখ ইবাদুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমাাদের মাদ্রাসার প্রায় ১৫/২০ জনের মতো ছাত্রছাত্রীর রেজিষ্ট্রেশন সময় মতো করা সম্ভব হয়নি ।অনেকে কাগজ পত্র নেই , জন্ম-শংসাপত্রের আবেদন করার মতো । অনেকে আবার এফিডেবিট করে কলকাতা পুরসভায় জমা দিতে গেলে তা নিয়ে রিসিভ করে নিতে চাইছে না । ফলে কঠিন সংকটে মধ্যে আমাদেরকে পড়তে হচ্ছে । যে কয়েক জন ছেলেমেয়ের রেজিষ্ট্রেশন করা এখনও পর্যন্ত সম্ভব হয়নি তাদের কয়েক জন মেধাবিও রয়েছে । তিনি আরও বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে কলকাতা পুরসভার মেয়র থেকে শুরু করে সংশ্লিষ্ট দফতরে চিঠি দিয়ে সমস্যার কথা জানালেও কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে কোনো সদুত্তর পাওয়া যায়নি । তবে ব্যক্তিগতস্তরে কথা বলে ১৪০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার মুহাম্মদ আবু তারিক সাহেবের অনেকটাই সহযোগিতা পেয়েছি বলেই আমাদের এখনও পর্যন্ত ১৮১ জন পড়ুয়ার রেজিষ্ট্রেশন করা সম্ভব হয়েছে । তিনি মাদ্রাসা বোর্ড কর্তৃপক্ষ এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন জানিয়েছেন যাতে পিছিয়ে পড়া সমাজের সব ছেলেমেয়ে নবম শ্রেণিতে রেজিষ্ট্রেশন করতে পারেন তার সুব্যবস্থা দ্রুত করার জন্য ।

এদিকে, ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, নবম শ্রেণির পড়ুয়াদের রেজিষ্ট্রেশন করতে গিয়ে জন্ম-শংসাপত্রের কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না রাখায় বাঙালি মুসলিম অভিভাবকরা যেভাবে হয়রানি শিকার হয়েছে তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তিতে আঘাত লেগেছে । এমনিতে নানা কারণে রাজ্যের বাঙালি মুসলিমদের বড় অংশ শাসক দলের প্রতি খানিকটা বিরুপ হয়েছে , এর ফলে সংখ্যালঘু সমাজে আরও খারাপ প্রভাব বলে মনে করা হচ্ছে। বাংলার জনরব এর জেলা সংবাদদাতারা জানাচ্ছেন, পঞ্চায়েতগুলি গঠিত না হওয়ার কারণে গ্রাম-বাংলার ছেলেমেয়েদের অবস্থা আরও খারাপ । দ্রুত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ না করলে এই সমস্যা আদালত পর্যন্ত গড়াতে পারে । তাতে আর যাইহোক অস্বস্তিতে পড়বে তৃণমূল তথা মমতা সরকার ।

The post জন্ম শংসাপত্রের অভাবে হাজার হাজার মাদ্রাসা পড়ুয়ার ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত ! মুখ্যমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপ চাইছে বাঙালি মুসলিম সমাজ first appeared on Banglar Janarob.]]>
Exclusive Interview Dr Nazrul Islam on Bengal Politics: নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি, সাগরদিঘী বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে কোন বড় মাথা তা নিয়ে বাংলার জনরবে বিস্ফোরক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ডঃ নজরুল ইসলাম, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন https://banglarjanarob.com/67269 Sun, 05 Mar 2023 14:56:49 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=67269 মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র। স্বাধীনতার পর বাঙালি মুসলিম সমাজের প্রথম আইপিএস ড. নজরুল ইসলাম। পুলিশকর্তা হিসেবে একজন সত্যিকার অর্থে ন্যায় পরায়ণ এবং মজলুম মানুষকে ইনসাফ দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন তার চাকরি জীবনে। শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলেছেন আইপিএস হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে। সেই জন্যই হয়তো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশনার কিংবা ডিজিপি হতে পারেননি। কিন্তু এই বাংলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ডঃ নজরুল ইসলাম গেঁথে রয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনে মজলুম মানুষের প্রতি তিনি যে ন্যায়পরায়ণতা দেখিয়ে গেছেন তা ইতিহাস হয়ে রয়েছে। চাকরির জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের…

The post Exclusive Interview Dr Nazrul Islam on Bengal Politics: নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি, সাগরদিঘী বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে কোন বড় মাথা তা নিয়ে বাংলার জনরবে বিস্ফোরক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ডঃ নজরুল ইসলাম, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
মুর্শিদাবাদের ভূমিপুত্র। স্বাধীনতার পর বাঙালি মুসলিম সমাজের প্রথম আইপিএস ড. নজরুল ইসলাম। পুলিশকর্তা হিসেবে একজন সত্যিকার অর্থে ন্যায় পরায়ণ এবং মজলুম মানুষকে ইনসাফ দেওয়ার চেষ্টা করে গেছেন তার চাকরি জীবনে। শাসকের রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে কালোকে কালো সাদাকে সাদা বলেছেন আইপিএস হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে। সেই জন্যই হয়তো যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশনার কিংবা ডিজিপি হতে পারেননি। কিন্তু এই বাংলার সাধারণ মানুষের হৃদয়ে ডঃ নজরুল ইসলাম গেঁথে রয়েছেন। তাঁর কর্মজীবনে মজলুম মানুষের প্রতি তিনি যে ন্যায়পরায়ণতা দেখিয়ে গেছেন তা ইতিহাস হয়ে রয়েছে। চাকরির জীবন থেকে অবসর নেওয়ার পর সাধারণ মানুষের কথাকে মানুষের স্বার্থে তিনি শাসকের বিরুদ্ধে কখনো কলম ধরেছেন কখনো সরাসরি আক্রমণ করেছেন।

এই নজরুল ইসলাম বাংলার জনরবকে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারে বিতর্কিত এবং চাঞ্চল্যকর মন্তব্যটি করেছেন। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস বিপুল ভোটের ব্যবধানে হেরে গেছে। একইসঙ্গে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জন্য প্রাক্তন পুলিশ কর্তা নজরুল ইসলাম সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী থেকে আঙুল তুলেছেন। কেন তিনি এই ধরনের কথা বলছেন। মন্ত্রিসভার একজন দুর্নীতিগ্রস্ত হলে কিভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ী করা যায় তা নিয়ে যুক্তি নির্ভর ব্যাখ্যা দিয়েছেন ড. নজরুল ইসলাম।

এই প্রেক্ষাপটে আমরা নজরুল ইসলামের অভিমত জানতে চেয়েছিলাম।

সাগরদিঘি বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আপনার প্রতিক্রিয়া ?

নজরুল: এই রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেসের কমিটেড ভোটব্যাঙ্ক হলো বাঙালি মুসলিমরা। বিজেপির CAA ও NRC এর ভয় দেখিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে বাঙালি মুসলিমদের সব ভোট নিজের দখলে নিয়েছিলেন। বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে তিনি জয়যুক্ত হয়েছিলেন কিন্তু সাগরদিঘি বিধানসভার ফলাফল একথা প্রমাণ করছে এই রাজ্যের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিটেড ভোটব্যাঙ্ক বাঙালি মুসলিমরা মমতার প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করছে।

আপনার কী মনে হয় সাগরদিঘির পর রাজ্যের সর্বত্রই বাঙালি মুসলিমরা কি মমতার দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নেবে ?

নজরুল : এখনই বলা যাবে না যে সব জায়গায় মুসলিমরা মমতার কাছ থেকে সরে যাবে। তবে এ কথা ঠিক সাগরদিঘি বিধানসভার উপনির্বাচনের এই ফলাফল এই রাজ্যের মুসলিমদের উপরে পড়বে তবে কতটা পড়বে তা বলার মত সময় এখন হয়নি। এ কথা ঠিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কমিটেড ভোট সরে যাচ্ছে এই প্রবণতা যদি বজায় থাকে তাহলে আগামী পঞ্চায়েত নয়, লোকসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভালো ফল করতে এখানে পারবে না। কারণ এ কথা মানতেই হবে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মূল শক্তি হলো এই রাজ্যের বাঙালি মুসলিম ভোট। আমরা দেখেছিলাম ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে সাগরদিঘি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রয়াত বিধায়ক সুব্রত সাহা পঞ্চাশ হাজারের বেশি ভোটে জিতে ছিলেন এবার ২৩ হাজার ভোটে হেরে গেল তৃনমূল। তার মানে অবশ্যই প্রভাব পড়ছে। আর সাগরদিঘির মত সর্বস্তরে যদি প্রভাব পড়ে তাহলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ক্ষমতায় থাকতে পারবেন না।

আপনার কি মনে হয় নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারিতে এই রাজ্যের বাঙালি মুসলিম ভোট ব্যাংকে প্রভাব পড়েছে?

নজরুল: একথা অস্বীকার করা যাবে না ফুরফুরার শরীফের প্রভাব এ রাজ্যের সর্বত্রই আছে। সেই পরিবারের একজন সন্তানকে রাজনীতি করার কারণে যেভাবে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং কলকাতা হাইকোর্টে রাজ্য পুলিশ প্রমাণ দেখাতে পারেনি তার গ্রেফতারের মূল কারণটা কি ছিল? স্বাভাবিকভাবে শুধু রাজ্যে নয়, নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারের প্রভাব আন্তর্জাতিক মহলেও পড়েছে । আমি ব্যক্তিগতভাবে মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বাংলাদেশের মানুষ খুব সম্মান করতেন শ্রদ্ধা করতেন সেই জায়গাটা উনি হারিয়েছেন নওশাদ সিদ্দিকীকে গ্রেফতার করার মধ্য দিয়ে। অন্যায় করলে গ্রেফতার করা যায়, এটা ঠিকই। কিন্তু একই সঙ্গে এটাও মানতে হবে তার গ্রেফতারির যে কারণ তা প্রমাণ করতে পারেনি কলকাতা হাইকোর্টে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী সেজন্যেই তাকে জামিন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর প্রভাব শুধু বাঙালি মুসলিমদের উপর পড়েছে তা নয়, এই রাজ্যের সচেতন নাগরিকদের উপর প্রভাব পড়েছে বলে আমি মনে করি।

সম্প্রতি একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলের অনুষ্ঠানে আপনি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির জন্য দায়ী করেছেন ? কেন করেছেন?

নজরুল : সংবিধানের ১৬৪ (২) ধারা অনুসারে মন্ত্রিসভার দায়িত্ব যৌথ। কাজেই শিক্ষামন্ত্রী হিসাবে পার্থ চট্টোপাধ্যায় যে অপরাধ করেছেন সেই অপরাধের দায় মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এড়াতে পারেন না। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে সমর্থন করে এক মন্ত্রী বলেছিলেন যে, পার্থ চট্টোপাধ্যায় কোন অপরাধ করে থাকলে তার দায় আমাদের সকলের। মন্ত্রিসভার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সকলের মধ্যে আছেন। কাজেই রাজ্যের সেই মন্ত্রীর মত অনুসারে পার্থর অপরাধে মমতা অপরাধী।

(এই সাক্ষাৎকারের বক্তব্য পুরোপুরি নজরুল ইসলামের নিজস্ব মতামত ভারতীয় সংবিধানের ১৯ নম্বর ধারায় মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে গুরুত্ব দিয়ে আমরা তা প্রকাশ করছি মাত্র। এই মতামতের জন্য কোনভাবেই বাংলার জনরব কর্তৃপক্ষ দায়ী নয়।)

The post Exclusive Interview Dr Nazrul Islam on Bengal Politics: নওশাদ সিদ্দিকীর গ্রেফতারি, সাগরদিঘী বিধানসভার উপনির্বাচনের ফল এবং শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতির নেপথ্যে কোন বড় মাথা তা নিয়ে বাংলার জনরবে বিস্ফোরক প্রাক্তন পুলিশ কর্তা ডঃ নজরুল ইসলাম, বিস্তারিত জানতে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
Mamata Banerjee: ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের একাংশ নাকি সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে অভিযোগ শুনে অগ্নিশর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করলেন?জানতে হলে ক্লিক করুন https://banglarjanarob.com/56655 Mon, 30 May 2022 12:38:27 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=56655 বাংলার জনরব ডেস্ক : ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের একাংশ নাকি সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ উঠতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূলের এক নেতা অনুযোগ করেন, স্থানীয় ইটভাটা থেকে যে সরকারি অর্থ আদায় হয়, তার হিসেব পাওয়া যায় না। সেগুলো নাকি কয়েক জন পকেটে পুরছেন। অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন করেন জেলা শাসককে। উদ্বেগের গলায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা।’’ এর পরই তাঁর…

The post Mamata Banerjee: ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের একাংশ নাকি সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে অভিযোগ শুনে অগ্নিশর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করলেন?জানতে হলে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের একাংশ নাকি সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সোমবার পুরুলিয়ার প্রশাসনিক বৈঠকে এমনই অভিযোগ উঠতেই রাগে অগ্নিশর্মা হয়ে উঠলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সোমবার পুরুলিয়া জেলার প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তৃণমূলের এক নেতা অনুযোগ করেন, স্থানীয় ইটভাটা থেকে যে সরকারি অর্থ আদায় হয়, তার হিসেব পাওয়া যায় না। সেগুলো নাকি কয়েক জন পকেটে পুরছেন। অভিযোগ উঠতেই মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন করেন জেলা শাসককে। উদ্বেগের গলায় মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘‘ডিএম শুনতে পাচ্ছো? এগুলো কিন্তু তৃণমূল করেনি। করছে প্রশাসনের নীচের তলার কর্মীরা।’’ এর পরই তাঁর সংযোজন, ‘‘নিজেরা টাকাটা নেয়, নিজেরাই খেয়ে নেয়! কী জেলা চালাচ্ছ তুমি (জেলাশাসক)? এত দিন জেলায় আছো। আমার ধারণাই বদলে গেল।’’ এখানেই না থেমে মমতা আরও বলেন, ‘‘এত কিছু দিচ্ছি মানুষকে, তবু কয়েক জন এত লোভী কেন হয়ে গিয়েছে। আর কত চাই? আমার পার্টির লোক হলে আমি টেনে চারটে থাপ্পড় মারতাম। তাদের আমি সব সময় শাসন করি।’’

জেলাশাসককে মমতা এ-ও বলেন, ‘‘আমি কথা বলছি (প্রশাসনিক বৈঠকে), তোমার পুলিশ চলে যাবে, তদন্ত করবে। একে বলে প্রশাসন, একে বলে কাজ। গরিব মানুষ যখন একটা কমপ্লেন করে, আমি নিতে পারি না। সে যে-ই হোক।’’

প্রশাসনের একাংশের কাজে কার্যত হতাশা ফুটে ওঠে মমতার গলায়। তিনি বকুনি দিয়ে বলেন, ‘‘ওই ওপরে ওপরে ঘুরে বেড়িয়ে ছবি তুলে কোনও কাজ হয় না।’’ পাট্টা বিলির জন্য কেন চিহ্নিতকরণ হয়নি, এই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। ভূমি ও ভূমি সংস্কার আধিকারিককে দাঁড় করিয়ে প্রশ্ন ছোড়েন। বলেন, ‘‘দুয়ারে সরকারে যাঁরা যাচ্ছেন, কাজ করে দেবেন। এ বার আর অনুরোধ নয়, সোজাসুজি নির্দেশ দিচ্ছি।’’

The post Mamata Banerjee: ইটভাটা থেকে পাওয়া রাজস্বের একাংশ নাকি সরকারি কর্মচারীদের ‘পকেটে’ চলে যাচ্ছে অভিযোগ শুনে অগ্নিশর্মা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কী করলেন?জানতে হলে ক্লিক করুন first appeared on Banglar Janarob.]]>
Jagdeep Dhankhar: রাজ্যের ‘হিংসাত্মক পরিস্থিতি’ এবং বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আসতে বললেন রাজ্যপাল https://banglarjanarob.com/54140 Tue, 29 Mar 2022 16:21:07 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=54140 বাংলার জনরব ডেস্ক : বিধানসভার অধিবেশন বিজেপি বিধায়ক দের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের বিধায়কদের সংঘর্ষের কাটতে না কাটতেই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাহীন এবং হিংসাত্মক পরিস্থিতির জেরে আপনার যত দ্রুত সম্ভব রাজভবনে আলোচনায় বসা জরুরি হয়ে পড়েছে। রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, সিবিআই তদন্ত যদি আপনার অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পথে না যায়, তা হলে আপনি পথে নামার ডাক দিয়েছেন। মাথায় রাখবেন, রামপুরহাটে বর্বর ঘটনাটির তদন্ত সিবিআই করছে মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ এবং নজরদারিতে। তাই এই সংক্রান্ত…

The post Jagdeep Dhankhar: রাজ্যের ‘হিংসাত্মক পরিস্থিতি’ এবং বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আসতে বললেন রাজ্যপাল first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : বিধানসভার অধিবেশন বিজেপি বিধায়ক দের সঙ্গে শাসকদল তৃণমূলের বিধায়কদের সংঘর্ষের কাটতে না কাটতেই এবার সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ডেকে পাঠালেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পাঠানো চিঠিতে রাজ্যপাল লিখেছেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলাহীন এবং হিংসাত্মক পরিস্থিতির জেরে আপনার যত দ্রুত সম্ভব রাজভবনে আলোচনায় বসা জরুরি হয়ে পড়েছে।

রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় লিখেছেন, সিবিআই তদন্ত যদি আপনার অবস্থানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ পথে না যায়, তা হলে আপনি পথে নামার ডাক দিয়েছেন। মাথায় রাখবেন, রামপুরহাটে বর্বর ঘটনাটির তদন্ত সিবিআই করছে মহামান্য কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ এবং নজরদারিতে। তাই এই সংক্রান্ত কোনও আপত্তি যেন আইনের আঙিনাতেই হয়, পথে নয়।

চিঠির শেষে রাজ্যপাল লেখেন, ‘পরিস্থিতির গুরুত্বের কথা বিবেচনা করে আমি আশাবাদী, এই সপ্তাহের মধ্যেই আপনার সঙ্গে ফলপ্রসূ আলোচনায় বসতে পারব।’

বীরভূমের রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে তৃণমূলের উপপ্রধান ভাদু শেখের অস্বাভাবিক মৃত্যু এবং তৎপরবর্তী ঘটনাপ্রবাহে রাজ্যে তোলপাড় পড়ে গিয়েছে। কেন্দ্রীয় হস্তক্ষেপের দাবিতে দিল্লিতে দরবার করেছে বিজেপি।

সম্প্রতি এই ঘটনা নিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছেন। কিন্তু কী নিয়ে কথা হয়েছে তা জানা যায়নি। তার পরই রাজভবনে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে আহ্বান জানালেন রাজ্যপাল।

The post Jagdeep Dhankhar: রাজ্যের ‘হিংসাত্মক পরিস্থিতি’ এবং বগটুই কাণ্ডে সিবিআই তদন্তের প্রেক্ষিতে আলোচনার জন্য মুখ্যমন্ত্রীকে রাজভবনে আসতে বললেন রাজ্যপাল first appeared on Banglar Janarob.]]>
যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় https://banglarjanarob.com/53679 Wed, 16 Mar 2022 12:31:01 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=53679 বাংলার জনরব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা ডাক্তারির  পড়ুয়াদের পশ্চিমবাংলায় নতুন করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন। তিনি বুধবার এই আশ্বাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক চিঠি লিখে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে পাঠরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভারতে পড়াশোনা সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে তিনি চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সেই প্রস্তাব গুলি এখানে তুলে ধরা হলো। ১। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী যে সমস্ত পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাদের সরকারি কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ইন্টার্নরা যে…

The post যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক : যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা ডাক্তারির  পড়ুয়াদের পশ্চিমবাংলায় নতুন করে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আজ জানিয়েছেন। তিনি বুধবার এই আশ্বাস দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ক চিঠি লিখে যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে পাঠরত ডাক্তারি পড়ুয়াদের ভারতে পড়াশোনা সুযোগ করে দেয়ার জন্য অনুরোধ জানিয়েছেন। একই সঙ্গে ওই চিঠিতে তিনি চারটি প্রস্তাব পাঠিয়েছেন। সেই প্রস্তাব গুলি এখানে তুলে ধরা হলো।

১। ন্যাশনাল মেডিক্যাল কাউন্সিলের গাইডলাইন অনুযায়ী যে সমস্ত পড়ুয়ারা ইন্টার্নশিপের যোগ্য তাদের সরকারি কলেজে ইন্টার্নশিপের সুযোগ দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে ইন্টার্নরা যে সরকারি ভাতা পান, সেটাও ইউক্রেন ফেরতদের দেওয়া হোক।

২। যে সব পড়ুয়া প্রথম, দ্বিতীয় বা তৃতীয় বর্ষের মতো স্তরে পড়াশোনা করছিলেন, তাদের দেশের বেসরকারি হাসপাতালগুলিতে সমমানের স্তরে ভরতি করার অনুমতি দেওয়া হোক। সেই সঙ্গে এই মেডিক্যাল কলেজগুলি যাতে ইউক্রেনের পড়ুয়াদের ভরতি করার জন্য নিজেদের আসনসংখ্যা বাড়াতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হোক।

৩। বর্তমানে ন্যাশনাম মেডিক্যাল কাউন্সিলের নিয়ম অনুযায়ী শুধুমাত্র যে সব পড়ুয়া প্রবেশিকা পরীক্ষায় পাশ করবেন তাঁরাই দেশের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে ভরতির সুযোগ পাবেন। মুখ্যমন্ত্রীর অনুরোধ, কঠিন পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে বিশেষ বিশেষ ক্ষেত্রে এই গাইডলাইন শিথিল করা হোক।

৪। প্রধানমন্ত্রীকে লেখা চিঠিতে মমতা জানিয়েছেন, রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলি ইতিমধ্যেই পড়ুয়াদের ভরতি নেওয়ার ব্যপারে সম্মতি দিয়ে দিয়েছে। রাজ্য সরকার এই পড়ুয়াদের পড়াশোনার খরচ জোগাতে সাহায্যও করবে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ইউক্রেন থেকে ৩৯১ জন পড়ুয়া বাংলায় ফিরেছেন। নিজেদের অনিশ্চিত ভবিষ্যতের কথা ভেবে ভীষণভাবে চিন্তিত এই পড়ুয়ারা। সব পড়ুয়ায় নিজেদের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে ইউক্রেনে পাড়ি দিয়েছিল, প্রচুর অর্থও ব্যয় করেছে। কিন্তু এখন তাঁরা গভীর সংকটে। রাজ্য সরকার এদের সংকট নিয়ে গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আর এটা যেহেতু জরুরি পরিস্থিতি, তাই এ বিষয়ে দ্রুত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) হস্তক্ষেপ দাবি করেছেন মমতা।

The post যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেন থেকে ফিরে আসা মেডিক্যাল পড়ুয়াদের দেশে পড়াশোনার সুযোগ করে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>