বিনোদন, সংস্কৃতি ও সাহিত্য | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com নিরপেক্ষ নয়, ন্যায় ও সত্যের পক্ষে Tue, 07 May 2024 13:39:44 +0000 en-US hourly 1 https://wordpress.org/?v=6.5.3 https://banglarjanarob.com/wp-content/uploads/2018/04/cropped-Head4-1-32x32.jpg বিনোদন, সংস্কৃতি ও সাহিত্য | Banglar Janarob https://banglarjanarob.com 32 32 বাংলা আকাদেমি সভাঘরে সুখ-সন্ধ্যা  https://banglarjanarob.com/79044 Tue, 07 May 2024 13:39:44 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=79044 সংবাদদাতা বাংলার জনরব: গত ২৫.০৪.২৪ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় “কাব্যে শ্রুতিতে ছন্দে গীতিতে” কাব্যশ্রুতির আয়োজনে ও কাকলি বসু ভট্টাচার্য্যের ভাবনায় পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে অনুষ্ঠিত হলো এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে পরিবেশিত একগুচ্ছ শ্রুতিনাটক ও কবিতার কোলাজ এক অনন্য তৃপ্তি এনে দেয় দর্শক শ্রোতাদের। বিশেষ করে শ্রুতিসাম্যের নাট্যশিল্পীদের পরিবেশিত “সবাই মিলে” শ্রুতিনাটকটি সমাজে সুস্থ পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার বার্তাবহনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে নাটকের রচয়িতা, নাট্যরূপকার, পরিচালক, অভিনেতা ড.অজয় চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী রিয়া দেবনাথ ভূয়শী প্রশংসার দাবিদার। পাশাপাশি রঞ্জন ভঞ্জ রচিত কাব্যশ্রুতি সল্টলেক নিবেদিত শ্রুতিনাটক “ছুটি” তে…

The post বাংলা আকাদেমি সভাঘরে সুখ-সন্ধ্যা  first appeared on Banglar Janarob.]]>
সংবাদদাতা বাংলার জনরব: গত ২৫.০৪.২৪ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় “কাব্যে শ্রুতিতে ছন্দে গীতিতে” কাব্যশ্রুতির আয়োজনে ও কাকলি বসু ভট্টাচার্য্যের ভাবনায় পরিকল্পনায় পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি সভাঘরে অনুষ্ঠিত হলো এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

অনুষ্ঠানে পরিবেশিত একগুচ্ছ শ্রুতিনাটক ও কবিতার কোলাজ এক অনন্য তৃপ্তি এনে দেয় দর্শক শ্রোতাদের। বিশেষ করে শ্রুতিসাম্যের নাট্যশিল্পীদের পরিবেশিত “সবাই মিলে”

শ্রুতিনাটকটি সমাজে সুস্থ পরিবেশ রক্ষা ও প্রাকৃতিক ভারসাম্য বজায় রাখার বার্তাবহনের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সেক্ষেত্রে নাটকের রচয়িতা, নাট্যরূপকার, পরিচালক, অভিনেতা ড.অজয় চক্রবর্তী ও অভিনেত্রী রিয়া দেবনাথ ভূয়শী প্রশংসার দাবিদার। পাশাপাশি রঞ্জন ভঞ্জ রচিত কাব্যশ্রুতি সল্টলেক নিবেদিত শ্রুতিনাটক “ছুটি” তে নামভূমিকায় বুদ্ধিবৃত্তিক কিশোরীর ভূমিকায় অভিনেত্রী পাপিয়া দত্তের অভিনয় দর্শক শ্রোতাদের অভিভূত করে দেয়।

স্বপ্নময় চক্রবর্তী রচিত “গিরিবালার গল্প” স্বাধীনতা সংগ্রামী হওয়া সত্ত্বেও স্বাধীনতা সংগ্রামীর মর্যাদা না পাওয়া জীবনের শেষ বেলায় হতাশায় যন্ত্রনাক্লিষ্ট গিরিবালার ভূমিকায় অভিনেত্রী কাকলি বসু ভট্টাচার্য্যের অনবদ্য অভিনয় দর্শক শ্রোতার মন ছুঁয়ে যায়।

সমগ্র অনুষ্ঠিনটি সুচারুরূপে কাব্যিক আঙ্গিকে সঞ্চালনা করেন বিপাশা সেনগুপ্ত । অলকেশ দে সরকার সানি-র আবহ সঙ্গীত অনুষ্ঠানে অন্যমাত্রা এনে দেয়।

বিশিষ্ট শ্রুতিনাট্য বিশারদ ও কলকাতা বেতার এর আধিকারিক স্বপন বসু মহাশয়ের সভাপতিত্বে,কানায় কানায় পূর্ণ সভাগৃহে দর্শকাসনে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন কবি আলমগীর রাহমান,বীরেন্দ্র কুমার ভদ্র,অনন্যা মিত্র,দ্যুতি রায়, মীরা বসু,স্নিগ্ধা ব্যানার্জী,অর্ঘ মন্ডল ও সুদীপ ভট্টাচার্য ।

The post বাংলা আকাদেমি সভাঘরে সুখ-সন্ধ্যা  first appeared on Banglar Janarob.]]>
বিবাহিত জীবনের বন্ধন ধরে রাখার গোপন মন্ত্র এবার দুই মলাটে https://banglarjanarob.com/78846 Mon, 29 Apr 2024 08:49:48 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78846 বিশেষ প্রতিনিধি : বিয়ের পরে দুটি পথ। হয় সুখী, নইলে দার্শনিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে মনে হয় দার্শনিকের সংখ্যাই বেশি। যদিদং হৃদয়ং মম মন্ত্র আর গাঁটছড়া বাঁধার সঙ্গে সুখী হওয়ার মন্ত্রটাও যদি দিয়ে দেওয়া যেত তাহলে হয়তো এত পরিবারের ভাঙ্গন হত না। সেই মন্ত্রই দিচ্ছেন শ্রী নিতাই দাস। আইআইটি থেকে প্রযুক্তিবিদ হয়েছেন। তবে বেছে নিয়েছেন আধ্যাত্মিক পথ। যুক্ত হয়েছেন ইসকনের সঙ্গে। ঈশ্বরের প্রতি প্রেম তাঁকে যন্ত্র গড়ার কারিগরি বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে করেছে সুখী মানুষ গড়ার কারিগর। তাই তিনি লিখেছেন ‘দ্য স্যাক্রেড নট’ নামের বইটি। রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, যেটি…

The post বিবাহিত জীবনের বন্ধন ধরে রাখার গোপন মন্ত্র এবার দুই মলাটে first appeared on Banglar Janarob.]]>
বিশেষ প্রতিনিধি : বিয়ের পরে দুটি পথ। হয় সুখী, নইলে দার্শনিক। সোশ্যাল মিডিয়ায় চোখ রাখলে মনে হয় দার্শনিকের সংখ্যাই বেশি। যদিদং হৃদয়ং মম মন্ত্র আর গাঁটছড়া বাঁধার সঙ্গে সুখী হওয়ার মন্ত্রটাও যদি দিয়ে দেওয়া যেত তাহলে হয়তো এত পরিবারের ভাঙ্গন হত না। সেই মন্ত্রই দিচ্ছেন শ্রী নিতাই দাস। আইআইটি থেকে প্রযুক্তিবিদ হয়েছেন। তবে বেছে নিয়েছেন আধ্যাত্মিক পথ। যুক্ত হয়েছেন ইসকনের সঙ্গে। ঈশ্বরের প্রতি প্রেম তাঁকে যন্ত্র গড়ার কারিগরি বিদ্যার মধ্যে সীমাবদ্ধ না রেখে করেছে সুখী মানুষ গড়ার কারিগর। তাই তিনি লিখেছেন ‘দ্য স্যাক্রেড নট’ নামের বইটি। রবিবার, ২৮শে এপ্রিল, যেটি প্রকাশিত হল নিউটাউনের বিশ্ব বাংলা কনভেনশন সেন্টারে।

গাঁটছড়া বাঁধনের সময় যে উচ্ছ্বাস থাকে তা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই স্থায়ী হয় না। জীবনে সেই আনন্দ ধরে রাখার পাঁচটি উপায় বলে তা ব্যাখ্যা করেছেন শ্রী নিতাই দাস। নতুন দৃষ্টিকোণ থেকে বৈবাহিক জীবনকে দেখেছেন তিনি। আলোকপাত করেছেন সুখী দাম্পত্যের উপরে।

সময়ের সঙ্গে ব্যস্ততা বেড়েছ। সমাজও বদলেছে। ঘরে-বাইরে কাজের ধরন বদলেছে। প্রতিযোগিতা, চূড়ান্ত বৈপরীত্য আর ব্যক্তি স্বাধীনতার পরিসর নিয়ে ক্রমাগত বেড়ে চলা দ্বন্দ্বের প্রভাব পড়েছে পরিবারেও। বিয়ের পরে পরিবার ছেড়ে স্বামী-স্ত্রীর নতুন আস্তানা খোঁজা যেন রুটিন হয়ে গেছে। পারস্পরিক বিশ্বাস ও নিরাপত্তার যে ঐতিহ্য আমাদের সমাজে আবহমান কাল ধরে ছিল তার উত্তরাধিকার পাওয়ার উপায় আধ্যাত্মিক পথ। সেই পথই দাম্পত্যজীবনকে পূর্ণতার দিকে নিয়ে যেতে পারে বলে মনে করেন উনি ।

বইটা শুরু হয়েছে অনেকটা এইভাবে, “বিয়ে বলতে সাধারণভাবে বোঝায় এটি দুটি হৃদয়ের গাঁটছড়ার বন্ধন যা পরস্পরকে উপলব্ধি ও গ্রহণ করার বিনিসুতোর বন্ধন।” তাহলে একে অপরকে মানিয়ে নিলে বৈবাহিক জীবনের সব দ্বন্দ্ব-বৈপরীত্য-লড়াই কি থেমে যাবে? বিয়ের অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই জীবন থেকে কেন দাম্পত্যপ্রেম হারিয়ে যায়? এমন প্রশ্ন তুলেছেন লেখক নিজেই। তারপরে দাম্পত্য জীবনের মূল তিনটি মৌলিক প্রযোজন ব্যাখ্যা করে সমাধানের পথও দেখিয়েছেন। সারা জীবন ধরে ত্যাগ স্বীকার আর মিলেমিশে থাকতে থাকতে জীবনটাকে বোঝা করে ফেলা এর সমাধান নয়, সুখী দাম্পত্যের জন্য প্রয়োজন আধ্যাত্মিকতা। গৃহীর নিজস্ব ধর্ম আছে, সেই পথেই তারা আনন্দের সন্ধান করতে পারে। দাম্পত্য জীবনের অঙ্গ হল সন্তানকে সেবা প্রদানের মাধ্যমে সঠিকভাবে লালনপালন করা, সমাজজীবনে সক্রিয়তার মাধ্যমে মাথা উঁচু করে বাঁচা আর জীবনকে এমনভাবে পরিচালনা করা যাতে নিজের মধ্যে থাকা ঐশ্বরিক ভাবের প্রতিফলন ঘটানো যায়।

Advertisement:

আইআইটি খড়্গপুর থেকে ইলেকট্রনিক্স ও ইলেক্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন শ্রী নিতাই দাস। গত এক দশক ধরে অনুপ্রেরণা প্রদানকারী সেমিনার ও তাঁর লেখা বই অসংখ্য মানুষকে প্রেরণা দিয়ে আসছে। দাম্পত্য জীবন কীভাবে সুখের হয় এবং সেই জীবনে কীভাবে ভারসাম্য বজায় রাখা যায় এব্যাপারে তিনি বহু মানুষকে পথ দেখিয়েছেন। তাঁর আগের লেখা বই দুটি হল, ‘সিক্রেট সূত্রাস অফ এ সাকসেসফুল, স্ট্রেস-ফ্রি অ্যান্ড স্যাক্রেড লাইফ’ ও ‘রেজোনেট উইথ ডিভিনিটি’। জীবনে প্রশান্তি ও ইতিবাচক ভাবে পূর্ণ সফল জীবনের বাস্তবিক অন্তর্দৃষ্টি ও গভীর জ্ঞানের সন্ধান রয়েছে এই দুটি বইয়ে।

The post বিবাহিত জীবনের বন্ধন ধরে রাখার গোপন মন্ত্র এবার দুই মলাটে first appeared on Banglar Janarob.]]>
চলে গেলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও গল্পকার প্রদীপ মুখোপাধ্যায় https://banglarjanarob.com/78648 Sat, 20 Apr 2024 13:07:14 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78648 চলে গেলেন বিশিষ্ট ছড়াকার, ছোটগল্পের অসাধারণ স্রষ্টা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। গত রাতে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সব বয়সীদের ‘ প্রদীপ দা’ র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল চুয়াত্তর বছর। ১৯৫০ সালে বারুইপুরের সাউথগরিয়া গ্রামে এক উদার বর্ধিষ্ঞু সাংস্কৃতিক পরিবারে তাঁর জন্ম হয়। সাহিত্য সংস্কৃতির আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন সত্তরের দশকের ঝোড়ো রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ে। বারুইপুরের সাহিত্য সংস্কৃতির আন্দোলনের অবিলম্বে তিনি ” মুখ ” হয়ে ওঠেন। কোনও রাজনৈতিক দলে তিনি নাম লেখাননি। সুতরাং নিজের জন্য কোনও উমেদারি করতে হয়নি তাঁকে। এরফলে আর্থিক দিক থেকে সারাজীবন খুবই দারিদ্র্য পীড়িত যাপন করেছেন…

The post চলে গেলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও গল্পকার প্রদীপ মুখোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>
চলে গেলেন বিশিষ্ট ছড়াকার, ছোটগল্পের অসাধারণ স্রষ্টা প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। গত রাতে আচমকা হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় সব বয়সীদের ‘ প্রদীপ দা’ র। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল চুয়াত্তর বছর। ১৯৫০ সালে বারুইপুরের সাউথগরিয়া গ্রামে এক উদার বর্ধিষ্ঞু সাংস্কৃতিক পরিবারে তাঁর জন্ম হয়।

সাহিত্য সংস্কৃতির আন্দোলনের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন সত্তরের দশকের ঝোড়ো রাজনৈতিক আন্দোলনের সময়ে। বারুইপুরের সাহিত্য সংস্কৃতির আন্দোলনের অবিলম্বে তিনি

” মুখ ” হয়ে ওঠেন। কোনও রাজনৈতিক দলে তিনি নাম লেখাননি। সুতরাং নিজের জন্য কোনও উমেদারি করতে হয়নি তাঁকে। এরফলে আর্থিক দিক থেকে সারাজীবন খুবই দারিদ্র্য পীড়িত যাপন করেছেন কবি প্রদীপ মুখোপাধ্যায়। এর পাশাপাশি খ্যাতিমান হওয়ার জন্য কোনোদিন ইঁদুর দৌড়েও নামেননি। বামমার্গীয় রাজনৈতিক গোত্রের সংগে আদর্শগত কারণেও দূরত্বে থাকতেন তিনি।

” দক্ষিণী আসর ” নামে একটি সাংস্কৃতিক সংস্থার জন্মলগ্ন থেকে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। সাহিত্য সংস্কৃতির আন্দোলনে

নির্বিবাদী ও স্পষ্ট অবস্থান ছিল প্রদীপ মুখোপাধ্যায়ের। তাঁর দুটি ছড়ার বই

” দুই কারিগর ” ও ” তিন ফর্মার ছড়া ” বইদুটি খুবই জনপ্রিয় হয়। সেই অর্থে তিনি উচ্চ শিক্ষিত হয়েও কোনও নিদিষ্ট পেশায় না থাকার কারণে দারিদ্র্য তাঁর নিত্য সঙ্গী ছিল।

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথে বারুইপুরের বিস্তীর্ণ এলাকায় গভীরভাবে শোকের ছায়া নেমে আসে।

বহু গুণমুগ্ধ মানুষ শোকসন্তপ্ত

পরিবারের পাশে এসে দাঁড়ান।

তাঁর মৃত্যুর সংবাদ শুনে সাংবাদিক কবি গালিব ইসলাম বলেন তাঁকে নিয়ে প্রদীপ মুখোপাধ্যায় একটা ছড়া বেঁধেছিলেন :

” বেতবেড়িয়া-ঘোলায় নেমে তোর বাড়িতে যাবো/ গালিব, বাড়ি আছিস, তোর বাড়ি ভাত খাবো ” যা একদা পাঠকের মুখে মুখে ফিরতো।

আর্দ্র কণ্ঠে গালিব বলেন,

” এ সপ্তাহে তার বাড়িতে আসার কথা ছিল, তা আর কোনওদিন হবেনা! ”

ছোটগল্পকার অংশুদেব, তালপুকুর পত্রিকার সম্পাদক

শম্ভু মন্ডলরা প্রদীপ মুখোপাধ্যায় সম্পর্কে স্মৃতিচারণা করে এই প্রতিবেদকের কাছে মন্তব্য করেন। প্রদীপ মুখোপাধ্যায়

মৃত্যুকালে তাঁর স্ত্রী ও এক পুত্র রেখে গেলেন।

The post চলে গেলেন বিশিষ্ট ছড়াকার ও গল্পকার প্রদীপ মুখোপাধ্যায় first appeared on Banglar Janarob.]]>
ধনিয়াখালির ঘনরাজপুরে “সুরসপ্তকের” বসন্ত উৎসব https://banglarjanarob.com/78551 Mon, 15 Apr 2024 16:26:03 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78551 সেখ সিরাজ,ধনিয়াখালি, ১১ই এপ্রিল : ছন্দে, সুরে, নৃত্যে,গীতে রঙের উৎসব উদযাপন হলো ধনিয়াখালীর ঘনরাজপুরে নবপ্রসাদ ঘোষ মাষ্টারমশাই আম্রকুঞ্জে। সমস্ত অনুষ্ঠান টির পরিবেশনায় ছিলেন সুরসপ্তকের ছাত্রছাত্রী বৃন্দ। সঙ্গীত পরিচালনা করেন মৌমিতা মল্লিক দাস এবং সম্প্রীতি চট্টোপাধ্যায় পাল মহাশয়া। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মিষ্টু মোহান্ত পাত্র। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং রূপায়নে ছিলেন পার্থ মল্লিক মহাশয়। মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন মাননীয় অমিত ভট্টাচার্য মহাশয়। প্রথমে সঙ্গীত এবং নৃত্যের ছন্দে এলাকা পরিক্রমণ করা হয়। এরপর অমিত বন্দোপাধ্যায় (বাপী ঠাকুরের) প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালন করা হয়। তারপর…

The post ধনিয়াখালির ঘনরাজপুরে “সুরসপ্তকের” বসন্ত উৎসব first appeared on Banglar Janarob.]]>
সেখ সিরাজ,ধনিয়াখালি, ১১ই এপ্রিল : ছন্দে, সুরে, নৃত্যে,গীতে রঙের উৎসব উদযাপন হলো ধনিয়াখালীর ঘনরাজপুরে নবপ্রসাদ ঘোষ মাষ্টারমশাই আম্রকুঞ্জে। সমস্ত অনুষ্ঠান টির পরিবেশনায় ছিলেন সুরসপ্তকের ছাত্রছাত্রী বৃন্দ। সঙ্গীত পরিচালনা করেন মৌমিতা মল্লিক দাস এবং সম্প্রীতি চট্টোপাধ্যায় পাল মহাশয়া। অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন মিষ্টু মোহান্ত পাত্র। সমস্ত অনুষ্ঠান পরিচালনা এবং রূপায়নে ছিলেন পার্থ মল্লিক মহাশয়। মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানটির সঞ্চালক ছিলেন মাননীয় অমিত ভট্টাচার্য মহাশয়।

প্রথমে সঙ্গীত এবং নৃত্যের ছন্দে এলাকা পরিক্রমণ করা হয়। এরপর অমিত বন্দোপাধ্যায় (বাপী ঠাকুরের) প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয় এবং তাঁর আত্মার শান্তি কামনায় নীরবতা পালন করা হয়। তারপর সুরভারতী কর্তৃক ট্যালেন্ট সার্চ প্রতিযোগিতায় কৃতী শিক্ষার্থীদের পুরস্কার প্রদান করা হয়।এই বসন্ত উৎসবে ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন সঙ্গীত পরিবেশন করে এবং তার সাথে নৃত্যানুষ্ঠান এক অন্য মাত্রা আনে। শেষে সিনিয়র ছাত্রছাত্রীরা একক সঙ্গীত পরিবেশন করে সকলের মন জয় করে নেয়। অনুষ্ঠানে কীবোর্ডে সহায়তা করেন বিশ্বজিৎ ঘোষ, অক্টোপ্যাডে পার্থ জিৎ সাঁতরা এবং হ্যান্ডসনিকে পিনাকী শঙ্কর চট্টোপাধ্যায়। এলাকার মানুষদের মধ্যে উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।

The post ধনিয়াখালির ঘনরাজপুরে “সুরসপ্তকের” বসন্ত উৎসব first appeared on Banglar Janarob.]]>
ঈদ মোবারক / সেখ আব্দুল মান্নান https://banglarjanarob.com/78476 Thu, 11 Apr 2024 08:41:05 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78476 ঈদ মোবারক সেখ আব্দুল মান্নান ভাই খুশির ঈদে যদি বুকভরা খুশি পেতে চাই, এসো বন্ধু স্বজন সবে এসো পিছন ফিরে তাকাই। ঈদের আনন্দ সাগরে ভাই ডুব দিয়ে বিশ্ব মোমিন, একমাস ধরে করে পালন ত্যাগের রোযা আপসহীন। সূর্যদয় থেকে অস্ত অবধি থাকে মোমিন অভুক্ত উপবাস, স্রষ্টার প্রতি জানায় সবে ত্যাগ তিতিক্ষার অকুণ্ঠ উচ্ছাস। অভুক্ত উপবাস থাকা নয় শুধু পবিত্র রমযানের ধর্ম, রমযান থেকে করে অনুভব গরিব দুঃখির ক্ষুধার মর্ম। ঈদের আগে বিশ্ব মোমিন গরিব দুঃখিকে দেয় তুলে, ফিতরার নামে দান সামগ্রী জাতপাতের ভেদ ভুলে। এক মাস রমযানের শেষে যেদিন আসে খুশির…

The post ঈদ মোবারক / সেখ আব্দুল মান্নান first appeared on Banglar Janarob.]]>
ঈদ মোবারক

সেখ আব্দুল মান্নান

ভাই খুশির ঈদে যদি

বুকভরা খুশি পেতে চাই,

এসো বন্ধু স্বজন সবে

এসো পিছন ফিরে তাকাই।

ঈদের আনন্দ সাগরে ভাই

ডুব দিয়ে বিশ্ব মোমিন,

একমাস ধরে করে পালন

ত্যাগের রোযা আপসহীন।

সূর্যদয় থেকে অস্ত অবধি

থাকে মোমিন অভুক্ত উপবাস,

স্রষ্টার প্রতি জানায় সবে

ত্যাগ তিতিক্ষার অকুণ্ঠ উচ্ছাস।

অভুক্ত উপবাস থাকা নয়

শুধু পবিত্র রমযানের ধর্ম,

রমযান থেকে করে অনুভব

গরিব দুঃখির ক্ষুধার মর্ম।

ঈদের আগে বিশ্ব মোমিন

গরিব দুঃখিকে দেয় তুলে,

ফিতরার নামে দান সামগ্রী

জাতপাতের ভেদ ভুলে।

এক মাস রমযানের শেষে

যেদিন আসে খুশির ঈদ,

খুব সকালে বিশ্ব মোমিনের

ভাই ভাঙে গভীর নিদ।

ছেলে বুড়ো নতুন জামায়

ছুটে যায় সব ঈদগায়,

ঈদের নামাজ আদায় করে

সবাই মেলে গলায় গলায়।

ঈদের নামাজে একে অপরের

বিভাজন সব মুছে,

আদায় করে পবিত্র নামাজ

ধনী গরিবের পিছে।

ঈদের দিনে সকাল সন্ধ্যে

জানায় ঈদ মোবারক সবে,

জাতি ধর্মের ছুঁত মার্গরা

যাবেই যাবে নিপাত যাবে।

______________________

The post ঈদ মোবারক / সেখ আব্দুল মান্নান first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার রেনেসাঁর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ  https://banglarjanarob.com/78446 Wed, 10 Apr 2024 10:28:17 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78446 নিজস্ব প্রতিনিধি : রমজানেই প্রকাশ পেল ঐতিহ্যবাহী বাংলার রেনেসাঁ ২০২৪। ঈদ সংখ্যা প্রকাশ হয়ে চলেছে দীর্ঘ ৩৬ বছর । এদিন ইফতারের পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ওলামা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতেউত্তর পাড়া মাদ্রাসা দারুল ফালাহে বাংলার রেনেসাঁর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ হয়। উল্লেখ্য, উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়নগর থানার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যেখানে সারা বাংলার প্রায় ছয় শতাধিক ছাত্র পড়াশোনা করেন । ঈদ সংখ্যার প্রকাশ পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলার রেনেসাঁর সম্পাদক আজিজুল হক,উত্তরপাড়া মাদ্রাসা দারুল ফালাহর প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ মুফতি আতিকুর রহমান, মাদ্রাসার সম্পাদক মাওলানা ইসরাফিল মাজাহেরী, সমাজসেবী গাজী আবুল হোসেন,সমাজসেবী ইলিয়াস…

The post বাংলার রেনেসাঁর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ  first appeared on Banglar Janarob.]]>
নিজস্ব প্রতিনিধি : রমজানেই প্রকাশ পেল ঐতিহ্যবাহী বাংলার রেনেসাঁ ২০২৪। ঈদ সংখ্যা প্রকাশ হয়ে চলেছে দীর্ঘ ৩৬ বছর । এদিন ইফতারের পর দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার ওলামা ও বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বদের উপস্থিতিতেউত্তর পাড়া মাদ্রাসা দারুল ফালাহে বাংলার রেনেসাঁর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ হয়। উল্লেখ্য, উক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জয়নগর থানার প্রাচীন ঐতিহ্যবাহী দ্বীনী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।যেখানে সারা বাংলার প্রায় ছয় শতাধিক ছাত্র পড়াশোনা করেন ।

ঈদ সংখ্যার প্রকাশ পর্বে উপস্থিত ছিলেন বাংলার রেনেসাঁর সম্পাদক আজিজুল হক,উত্তরপাড়া মাদ্রাসা দারুল ফালাহর প্রধান শিক্ষক আলহাজ্ মুফতি আতিকুর রহমান, মাদ্রাসার সম্পাদক মাওলানা ইসরাফিল মাজাহেরী, সমাজসেবী গাজী আবুল হোসেন,সমাজসেবী ইলিয়াস গাজী, সমাজসেবী :মনজুর আলাম লস্কর, প্রাক্তন প্রধান রফিক লস্কর, সমাজসেবী আব্দুল আলিম মোল্লা।

The post বাংলার রেনেসাঁর ঈদ সংখ্যা প্রকাশ  first appeared on Banglar Janarob.]]>
নাটক ‘বাদাবন’ পৃথ্বীশ রাণার তুখোড় সম্পাদনা-নির্দেশনায় ইতিমধ্যেই ৫৫টি শো হাউস ফুল  https://banglarjanarob.com/78248 Mon, 01 Apr 2024 07:04:40 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78248 ফারুক আহমেদ : নাট্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পৃথ্বীশ রাণা নাট্য জগতের একজন স্বনামধন্য প্রাণপুরুষ। খুব ছোট বয়সে নাটক চর্চায় হাতেখড়ি হলেও ২০০৯ সালের শেষকালে কালিন্দী ব্রাত্যজন নাট্যদলে যোগদান করেন। নাট্যগুরু ব্রাত্য বসুর অভিভাবকত্বে ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রযোজনায় মঞ্চ পরিকল্পনা, আলোক পরিকল্পনা বা কারিগরি সহায়তা ইত্যাদি বিভাগে নিজের শৈল্পিক চেতন ও নৈপুণ্যের প্রকাশ ঘটান। পৃথ্বীশ রাণা মঞ্চ পরিকল্পক বা আলোক পরিকল্পক হিসেবে ক্যানভাসার, ব্যোমকেশ, জায়মান, আনন্দীবাই, চন্দ্রগুপ্ত, হাজু মিঁঞার কিস্ সা, পদ্মগোখরো, তক্ষক, য্যায়সা কা ত্যায়সা, চিরকুমার সভা, হড়পা বান, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, অথৈ জল, জতুগৃহ, কাঁকড়া, মুম্বাই নাইটস্, অমূল্যর ডায়েরি, মেঘে…

The post নাটক ‘বাদাবন’ পৃথ্বীশ রাণার তুখোড় সম্পাদনা-নির্দেশনায় ইতিমধ্যেই ৫৫টি শো হাউস ফুল  first appeared on Banglar Janarob.]]>
ফারুক আহমেদ : নাট্য আকাদেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত, পৃথ্বীশ রাণা নাট্য জগতের একজন স্বনামধন্য প্রাণপুরুষ। খুব ছোট বয়সে নাটক চর্চায় হাতেখড়ি হলেও ২০০৯ সালের শেষকালে কালিন্দী ব্রাত্যজন নাট্যদলে যোগদান করেন। নাট্যগুরু ব্রাত্য বসুর অভিভাবকত্বে ধীরে ধীরে বিভিন্ন প্রযোজনায় মঞ্চ পরিকল্পনা, আলোক পরিকল্পনা বা কারিগরি সহায়তা ইত্যাদি বিভাগে নিজের শৈল্পিক চেতন ও নৈপুণ্যের প্রকাশ ঘটান।

পৃথ্বীশ রাণা মঞ্চ পরিকল্পক বা আলোক পরিকল্পক হিসেবে ক্যানভাসার, ব্যোমকেশ, জায়মান, আনন্দীবাই, চন্দ্রগুপ্ত, হাজু মিঁঞার কিস্ সা, পদ্মগোখরো, তক্ষক, য্যায়সা কা ত্যায়সা, চিরকুমার সভা, হড়পা বান, হাঁসুলী বাঁকের উপকথা, অথৈ জল, জতুগৃহ, কাঁকড়া, মুম্বাই নাইটস্, অমূল্যর ডায়েরি, মেঘে ঢাকা তারা, বোমা, পড়ে পাওয়া ষোলো আনা, তিন তস্কর, ভয়, অরণ্যদেব, দেবদাস, বিবর, উলঙ্গ প্রজা পরিহিত রাজা, ট্যাঙ্কি সাফ, গিরিগিটি, নাসিকা পুরাণ, আলাউদ্দিন ও পদ্মাবতী, পিতৃভূমি, বিনয়ের জীবন প্রভৃতি। এছাড়াও বিভিন্ন নাটকে নিজের কর্মদক্ষতা প্রদর্শন করেন।

ছোটদের নিয়ে থিয়েটারের কাজ করেছেন বেশ কিছু। যেমন তাসের দেশ, লক্ষ্মণের শক্তিশেল, চাঁদের পাহাড়, ডমরু চরিত কথা, ভোম্বল সর্দার, পান্ডব গোয়েন্দা প্রভৃতি নাটক।

কারিগরি সহায়ক হিসেবে কাজ করেছেন চেনা দুঃখ চেনা সুখ, সিনেমার মতো, কে?, অপারেশন ২০১৪, আলতাফ গোমস্, অদ্য শেষ রজনী, ২১ গ্রাম, পাঁচের পাঁচালী, মীরজাফর প্রভৃতি নাটকে।

পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের অধীনস্থ মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে বেশ কিছু বছর কো-অর্ডিনেটর পদে চাকরি করেন পৃথ্বীশ রাণা।

পৃথ্বীশের তুখোড় সম্পাদনা ও নির্দেশনায় ইতিমধ্যেই ৫৫টি শো হাউস ফুল নাটক ‘বাদাবন’ দর্শকদের মনে গভীর দাগ কেটে গিয়েছে। পৃথ্বীশ রাণার মুখোমুখি উদার আকাশ পত্রিকা ও উদার আকাশ প্রকাশনের সম্পাদক ফারুক আহমেদ।

প্রশ্ন: আপনার শৈশব, স্কুল, কলেজ থেকে এই নাট্যজগতে আসার প্রেক্ষাপটটা যদি তুলে ধরেন।

উত্তর: দেখুন, শুধু শৈশব নিয়ে বলতে গেলেই তো আমাদের কত কিছু বলার থাকে। আর এই বয়সে এসে যেন আরো বেশি করে থাকে। আসলে, স্মৃতির ঝাঁপি উপুড় করলে কোন পরশপাথর তুলবো, আর কোনটা কুড়োবো না, বুঝতে পারা যায় না। তার ওপর স্কুল – কলেজ!! থিয়েটার!! প্রায় মহাকাব্যের মতো বিষয়কে আপনি সনেটে বলতে বলছেন। তবুও ওই ছুঁয়ে ছুঁয়ে যেটুকু বলা যায়, সেটুকুই বলছি। আমার ছোটবেলা কেটেছে হাওড়ায়, লেদ কারখানা আর চটকলের শহরে। স্কুল…., কলেজ…..। আর এরই মাঝে টুকটাক থিয়েটার করা। আর পাঁচজন বাঙালির যেমন পাড়ার নাটকেই হাতে খড়ি হয়, আমারও বলতে পারেন সেভাবেই শুরু। তার পরে চাকরি। তারপর ম্যানেজমেন্ট পড়া। দিল্লি চলে যাওয়া। আবার কলকাতায় ফেরা। তবে, একটা মজার গল্প আপনাকে বলি। বলতে পারেন যে কোনো শুরুরও তো একটা শুরু থাকে। ধরুন, আমার থিয়েটারে আসার প্রেক্ষাপট সেটাই। তখন আমি কলকাতায় ফেরার পরে সেক্টর ফাইভে একটা বহুজাতিক সংস্থায় চাকরি করি। ওই রক্তকরবীর ৪৭ফ, ৬৯ঙ হয়ে গলায় আই কার্ড ঝুলিয়ে অফিস যাই। কখনও ডে, কখনও নাইট শিফট। সেইসময় হাওড়া থেকে দ্বিতীয় হুগলী সেতু ধরে এত বাস বা গাড়ি সহজে পাওয়া যেত না। কিছু শাটল ট্যাক্সি আসতো এক্সাইড পর্যন্ত। নাহলে ম্যাটাডোর, দুধের গাড়ি, তাতে দশটাকা দিয়ে উঠে পড়া। সেটা সম্ভবত ছিল জুলাই মাস। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে সেদিন প্রবল বৃষ্টি নেমেছিল। গোটা হাওড়া-কলকাতা প্রায় জলের তলায়। কিন্তু সেদিনও আমার নাইট শিফটে ডিউটি ছিল। প্রাইভেট চাকরি, বুঝতেই পারছেন, কোনো ছুটি নেই। বৃষ্টিটা একটু ধরতেই বেরিয়ে পড়েছিলাম বাড়ি থেকে। সেই একটা ম্যাটাডোর ধরে কোনোরকমে এক্সাইডের মোড়। তারপর কীভাবে যাব জানি না। প্যান্ট হাঁটু পর্যন্ত গোটানো। জুতো হাতে। জল ঠেলে একটু এগিয়েছি, আবার ঝেঁপে নামলো বৃষ্টি। পাগলের মতো বৃষ্টি, সামনের ফুটপাতটাও ভালো করে দেখা যাচ্ছে না। আমাকে ওর মধ্যে অফিস যেতেই হবে। আমার মাথার ভেতর তখন খেলা করছে টার্গেট, অফিসের ফর্ম্যালিটি। এদিকে গোটা অঞ্চলে যত দূর চোখ যায় একটা প্রাণী পর্যন্ত নেই। আমার কী হল কে জানে, সেই বৃষ্টিতে আমি ভিজতে লাগলাম। আর হাউ হাউ করে কাঁদতে লাগলাম। কোন ক্লান্তি, জীবনের প্রতি কোন অভিমানে আমি জানি না। কিন্তু আমি কাঁদছিলাম। এদিকে বৃষ্টিও বাঁধ মানছে না, আমার চোখের জলও থামছে না। হঠাৎ, মনে হল কে যেন ভেতর থেকে বলছে, ‘পৃথ্বীশ এভাবে আর নয়’। আমিও কোন মায়াবলে জানি না, রাস্তার মাঝখানে এসে দাঁড়ালাম। সিদ্ধান্ত নিলাম, হয় অফিস না হয় বাড়ি– যেদিকের গাড়ি আগে আসবে সেদিকে রওনা দেবো। একটা সাঁত্রাগাছি যাবার শাটলই আগে এলো। উঠে পড়লাম। সেই মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নিলাম, ছেড়ে দেবো চাকরিটা। রাত দু’টোয় গিয়ে নেমেছিলাম সাঁত্রাগাছি। ভিজতে ভিজতে বাড়ি ফিরছি। একবার ভাবছি চাকরি তো ছাড়বো, কিন্তু তারপর? আবার ভাবছি, এই একঘেয়ে জীবন থেকে বেরোনোর এটাই সুযোগ। অত রাতে বাড়ি পৌঁছে মাকে বলেছিলাম, ছেড়ে দিলাম চাকরি। আর তার ক’দিনের মধ্যেই একটি নাট্যদলে লোক নেবার জন্য বিজ্ঞাপন বেরোয়। কোনো কিছু না ভেবে সেখানে চলে যাই। ব্যস, সেই থেকেই জড়িয়ে যাওয়া থিয়েটারের সঙ্গে। তারপর থেকে থিয়েটারই আমার ধর্ম হয়ে ওঠে।

প্রশ্ন: সাহিত্য সংস্কৃতির সেবায় অনন্য নিদর্শন আপনার পরিচালনায় মঞ্চ কাঁপানো নাটক ‘বাদাবন’ নিয়ে আপনার অভিজ্ঞতার কথা যদি আমাদের বলেন।

উত্তর: অভিজ্ঞতার ঝুলি তো রোজই একটু একটু করে পূর্ণ হচ্ছে। আসলে, যেদিন বাদাবনের পরিকল্পনা হয়েছিল, স্ক্রিপ্ট পড়া হয়েছিল, তার ঠিক ছ’দিন আগে আমার হার্টে চারটে স্টেন্ট বসেছিল। আশঙ্কা ছিল এই শরীরে কাজটা করতে পারব কিনা। সারাক্ষণ পাশে থেকে সাহস জুগিয়েছেন আমার স্ত্রী ভূমিকা। নিমার্ণের ভাঙা গড়া শুরু হয়েছিল – সেগুলোর মধ্যে দিয়ে নতুন কোনো না কোনো অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়েই তো গেছি। এখনো যাচ্ছি। আসলে, একটা থিয়েটার তো রোজ জন্মায়, রোজ শেষ হয়, পরের দিন আবার তার নতুন জন্ম। এটা একটা দীর্ঘ প্রসেস। চলতেই থাকে। এবার দেখবেন, জীবন যেমন কিছু কিছু স্মৃতি তুলে রাখে, আগলে রাখে – এই নির্মাণ আর সৃষ্টির অভিজ্ঞতাও তেমন। সব শেষ হলে পিছু ফিরে দেখতে হয়, বুঝে নিতে হয় ভালো আর মন্দের অভিজ্ঞতা। বাদাবন তো ৫০ পেরিয়েছে। আরো পথ হাঁটা বাকি। বরং যখন বাদাবন তার শেষ শো’টা করবে, তার পরের দিন আমি বলতে পারবো বাদাবনের অভিজ্ঞতা। এখন কিছু বললে সেটা অর্ধেক বলা হবে। কারণ আমি তো জানিই না, বাকি পথে আর কী কী অভিজ্ঞতা অপেক্ষা করে আছে।

প্রশ্ন : একজন নাট্য আন্দোলনের কর্মী হয়ে এই সময়ে উল্লেখ্য দাগ কেটে গিয়েছে এমন কয়েকটি কাজ নিয়ে যদি কিছু বলেন আমাদের।

উত্তর: প্রথমত, আমার নাট্যকর্মী শব্দে বিশ্বাস নেই। আমি নিজের পরিচয় নাট্যধর্মী হিসেবেই দেওয়া পচ্ছন্দ করি। দ্বিতীয়তঃ আন্দোলন শব্দে আমার আপত্তি আছে। আমি থিয়েটার করি নিজস্ব তাড়নায় এবং কারণে। সমাজ বদলাব, সামাজিক উদ্যোগ, দিন বদলানোর স্বপ্ন নিয়ে যাঁরা থিয়েটার করেন তাঁরা আমার প্রণম্য। আমি বিশ্বাস করি Art is a very personal talk.. থিয়েটার আমার জীবনে খুবই ব্যক্তিগত, অনেকটা প্রেমিকা গোছের।

প্রশ্ন: আপনার সংগ্রামী জীবনের অন্বেষণ লেখালিখি পড়া-বাংলা নাটকের জন্য আপনার পরবর্তী সময়ে কী ভাবনা মাথায় আছে?

উত্তর: বাংলা থিয়েটার নিয়ে প্রথম যে ভাবনাটা আছে, তা হল থিয়েটারকে সম্পূর্ণ স্বনির্ভর করা। আপনি দেখবেন, অধিকাংশ লাইভ পারফরম্যান্স কী চূড়ান্ত কমার্শিয়াল। থিয়েটার সেখানে এখনো অনুদান নির্ভর। এই সত্যিটা তো অস্বীকার করার জায়গা নেই। মেনে নিলাম, থিয়েটার মাইনোরিটি আর্ট, কিন্তু তাই বলে থিয়েটার কেন এত পিছিয়ে থাকবে? একটা সময় তো এই কলকাতায় বোর্ড থিয়েটার বুক বাজিয়ে ব্যবসা করেছে। এইবার অনেকেই বলবেন, সেই সময় টেলিভিশন, নেট, ওটিটি ছিল না। কিন্তু এগুলো তো এখন আছে, তাতেও কি ডোভার লেন মিউজিক কনফারেন্স বন্ধ হয়েছে? তাহলে? আমার মাথার মধ্যে অনেক ভাবনাই আছে। তার মধ্যে একটা আপনাকে বলি। ধরা যাক, একটি দৃশ্য, একটি ছেলে ঘুম থেকে উঠে অফিস বেরোবে। আচ্ছা, আপনি-আমি ঘুম থেকে উঠে কী করি? ব্রাশ করি। ধরা যাক, মঞ্চে দেখা গেল ছেলেটি ঘুম থেকে উঠছে। এরপরই পর্দায় প্রোজেক্টরের সাহায্যে দেখানো হল, ছেলেটি টুথপেষ্ট লাগালো ব্রাশে। বেসিনের সামনে র‍্যাকে আরো অনেক প্রোডাক্ট। এইবার এই টুথপেষ্ট কোম্পানিকে আমি প্রোমোট করছি থিয়েটারে, মানে তার বিজ্ঞাপন করছি। তাহলে সেই টুথপেষ্ট কোম্পানির প্রচারের টাকা ঢুকবে প্রযোজনায়। সঙ্গে আরও কিছু প্রোডাক্টের বিজ্ঞাপন। বিজ্ঞাপন অনুযায়ী টাকা। তাহলে? এভাবেই অর্থনৈতিকভাবে স্বনির্ভর করা যায় থিয়েটারকে। এইটা একটা উদাহরণ। প্লাস…না, এখনই সব বলবো না। ক্রমশ প্রকাশ্য।

প্রশ্ন: বাংলা জুড়ে ‘বাদাবন’ এই মুহূর্তে বহু চর্চিত এবং দাগ কেটে যাওয়া নাটক। নির্দেশনার জন্য অনুপ্রেরণা কোথা থেকে পেলেন যদি শেয়ার করেন?

উত্তর: দেখুন, ‘বাদাবন’ আমার থিয়েটারে প্রথম নির্দেশনা নয়। মিনার্ভা রেপার্টারির থেকে মনোজ মিত্র’র ‘মহাবিদ্যা’, কালিন্দী ব্রাত্যজনের হয়ে পরশুরামের সরলাক্ষ হোম অবলম্বনে ‘গ্যাং’, বাদল সরকারের শনিবার অবলম্বনে ‘ও স্বপ্ন..!’, তারপর বাদাবন। তাই,বাদাবনের নির্দেশনার ক্ষেত্রে আলাদা করে কোনো অনুপ্রেরণা হয়তো পাই নি। তবে, আপনি যদি খেয়াল করেন, দেখবেন আমার নির্দেশনার ক্ষেত্রে কখনো লেখা থাকে ‘A to Z ব্রাত্য বসু’, বাদাবনের ক্ষেত্রে আমরা বলেছি ‘বনস্পতির ছায়া দিলেন – ব্রাত্য বসু’। তাই, আলাদা করে কারো নাম বলতে বললে আমি স্যারের নামই বলবো। উনিই আমাকে দু-দু’বার নির্দেশনা দেওয়ার সুযোগ দিয়েছিলেন। অনুপ্রেরণা বললে অনুপ্রেরণা, গুরুদক্ষিণা বললে গুরুদক্ষিণা..।

প্রশ্ন: ওপার বাংলা থেকে আমন্ত্রণ এলে ‘বাদাবন’ কি দেখার সৌভাগ্য হবে সাকিবের দেশের মানুষের?

উত্তর: আমি এবং আমার টিম ভীষণই আগ্রহী। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সংস্কৃতির অন্যতম পীঠস্থান। জানিয়ে রাখি ইতি মধ্যেই ‘বাদাবন’ নাটকের বাংলাদেশ থেকে আমন্ত্রণ পেয়েছি। তারিখ এখনও স্থির হয়নি। আর বাংলাদেশের দর্শকদের যদি নাটকটি দেখাতে পারি, সে সৌভাগ্য আমাদেরও।

প্রশ্ন: নাটকের জন্য জীবনের অনেক সময় দিয়েছেন, এবার কি কলম ধরছেন আত্ম-জীবনের কথা তুলে ধরতে?

উত্তর: শক্তি চট্টোপাধ্যায় একটি কবিতায় বলেছিলেন – “একটি জীবন পোড়ে, শুধুই পোড়ে / আকাশ, মেঘ, বৃষ্টি এবং ঝড় / ফুলছে নদী যেন তেপান্তর / চতুর্দিকে শীতল সর্বনাশে”। আমার জীবনে আগে আকাশ, মেঘ, বৃষ্টি ঝড়ে পুড়ুক, নদী আরও ফুলে তেপান্তরে যাক, সর্বনাশ আরো শীতল হোক.., তারপর না হয় ভাববো আত্মজীবনী লিখবো কিনা..। আর আমার ধারণা বায়োগ্রাফিতে তাও কিছু সত্যি কথা লেখা থাকে, অটোবায়োগ্রাফিতে নয়। তবে কিছু ব্যতিক্রম নিশ্চই আছে।

প্রশ্ন: এখন কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে মানুষ জীবন অতিবাহিত করছেন। শান্তিতেই মানুষ বাঁচতে চায়, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই চায়, কিন্তু হাজারো আতঙ্কের মধ্যে এখন বড় আতঙ্ক তাদেরকে তাড়া করছে এন আর সি। করণীয় কী?

উত্তর: রাষ্ট্র যেখানে ‘সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী’র মত আচরণ করে সেখানে এই আতঙ্ক তো প্রত্যাশিত। সামাজিক অবস্থার পরিবর্তনের জন্য নেতিবাচক এবং অযৌক্তিক প্রতিক্রিয়া দেখানো বন্ধ হওয়া উচিৎ। অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ-পৃথিবীতে আজ, যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা; যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই-প্রীতি নেই-করুণার আলোড়ন নেই, পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া। করণীয় কি বলতে পারব না। কারণ আমি কেউকেটা নই, আমার হাতে তো রাষ্ট্রক্ষমতা নেই। তবে একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে বলতে পারি, আমাদের ভাবা উচিৎ – আজ যদি প্রতিবেশীর সঙ্গে হয়, আগামীকাল আমার সঙ্গেও ঘটতে পারে। পাশে দাঁড়ানোটা খুব জরুরি।

প্রশ্ন: নতুন প্রজন্মের কাছে নাটক পৌঁছে দিতে এবং বাংলাদেশের মতো জনপ্রিয় নাটক পরিবেশন করতে এপার বাংলাতে আপনার মতে কোন পথ অবলম্বন করতে হবে?

উত্তর: প্রথম কথা থিয়েটার নিতান্তই মঞ্চের বিষয়। বাংলাদেশে ইউটিউবে নাটক বলে যাকে বলা হয়, তা কখনোই থিয়েটারের ব্যাকরণের সঙ্গে মেলে না।আমি তাতে বিশ্বাসীও নই। হ্যাঁ, কিছু সিনে প্লে হয়তো হয়েছে, সেটা আমেরিকায় গত শতকের চারের দশকেই হয়ে গেছে। মঞ্চের থিয়েটারকে ক্যামেরা দিয়ে ধরা এবং বাঁধা। টেলিভিশনেও এই রকম কাজ বহু হয়েছে। আমাদের দল ‘কালিন্দী ব্রাত্যজন’ থেকেই অন্তত ডজন খানেক হয়েছে। এখন মিডিয়াম বদলেছে। সেটা ইউটিউব কন্টেন্ট হয়েছে। কোভিডকালে আমিও ব্যক্তিগত উদ্যোগে কিছু এমন কাজ করেছি। সেটা কেবল থিয়েটার চর্চাটুকু বজায় রাখার জন্য। ব্যস। আমি এখনো বিশ্বাস করি, থিয়েটারের বেঁচে থাকে মঞ্চে, স্পেসে, লাইভ পারফরম্যান্স-এর মধ্যেই। নতুন প্রজন্মকে সেইদিকে নিয়ে আসাই আমাদের মতো নাট্যধর্মীদের কাজ হওয়া উচিত। হয়তো প্রসেনিয়াম থিয়েটার অন্য স্পেস থিয়েটারে আঙ্গিকগত ভাবে বদলাতে পারে, দুটো বিষয় একই সঙ্গে পাশাপাশি চলতেও পারে। কিন্তু এর বাইরে যাকে থিয়েটার বলে চালানো হয়, আমি তাকে থিয়েটার হিসেবে মানতে নারাজ।

প্রশ্ন: আপনার কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় দেখলাম বেশিরভাগই অভিনয় করেছেন নতুন প্রজন্মের একদম নতুন মুখ। তাদেরকে কীভাবে আবিষ্কার করলেন?

উত্তর: ঠিক আবিষ্কার নয়, বরং বলতে পারেন এটা কোথাও আমার নাট্য অভ্যেস কিংবা নাট্যযাপনের সঙ্গেই সম্পৃক্ত। মিনার্ভা রেপার্টারির কো-অর্ডিনেটর থাকার সময়েই আমি এক ঝাঁক নতুন মুখের সঙ্গে কাজ করি। সেই অভিজ্ঞতাই হয়তো আমাকে বাদাবনে নতুন মুখের সঙ্গে কাজ করতে আরও বেশি উদ্বুদ্ধ করেছে। প্রসঙ্গতঃ বলি, ‘বাদাবন’ যেহেতু একটা রেপার্টরিরই প্রযোজনা (দক্ষিণ দমদম সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্র), আমরা চাইলে প্রথিতযশা, খ্যাতনামা অভিনেতাদের নিতে পারতাম। কিন্তু আমি নির্দেশক হিসাবে এই তরুণ ব্রিগেডের ওপরই ভরসা করেছিলাম। এবং আমার ধারণা এঁরা আমার ভরসার মর্যাদা রাখার চেষ্টা করেছে। শুধুমাত্র অভিনেতারা নন, নেপথ্য শিল্পী হিসেবে যাঁরা কাজ করেছেন তাঁরাও বাংলা থিয়েটারে এইসময়ের আলোচিত নাম।

প্রশ্ন: আপনার কাজের স্বীকৃতি এসেছে, কি কি পুরস্কার প্রাপ্ত হয়েছে আপনার মূল্যবান সব কাজের জন্য?

উত্তর: এটা কিছুটা নিজের ঢাক নিজে পেটানো গোছের হয়ে যাবে। তাও যখন প্রশ্নটা এলো বলি -পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তরের অধীনস্থ মিনার্ভা নাট্য সংস্কৃতি চর্চা কেন্দ্রে বেশ কিছু বছর কো-অর্ডিনেটর পদে চাকরি করেছি। সামান্য কিছু সম্মাননা পেয়েছি কলকাতা ও বিভিন্ন জেলার থিয়েটার দলগুলি থেকে। তার মধ্যে হাওড়া ব্রাত্যজন সম্মান, নবীন নির্দেশক সম্মান- চণ্ডীতলা প্রম্পটার, শ্রেষ্ঠ নেপথ্য শিল্পী-মাণকুন্ডু সৃষ্টি আকাদেমি, শ্রেষ্ঠ নেপথ্য শিল্পী আলোক ও মঞ্চভাবনা- হালিশহর সানডে ক্লাব, ধ্রুপদ নাট্য সম্মান-শ্রীরামপুর, দমদম ব্রাত্যজন সম্মান, স্বপ্নদর্শী সম্মান, শ্রেষ্ঠ শিল্পী মঞ্চ ভাবনা-বালিগঞ্জ রেনবো থিয়েটার সম্মান, বিজন ভট্টাচার্য স্মারক সম্মান – নাট্যায়ুধ, হাওড়া নাট্যজন সম্মান, আগরপাড়া থিয়েটার পয়েন্ট সম্মান, যাদবপুর মন্থন সম্মান, অশোকনগর প্রতিবিম্ব সম্মান, গোবরডাঙা শিল্পায়ন সম্মান, রমাপ্রসাদ বণিক স্মারক সম্মান -পূর্ব-পশ্চিম, থিয়েলাইট সম্মান, ধূমকেতু পত্রিকা সম্মান ইত্যাদি। আর গত বছর পেয়েছি পশ্চিমবঙ্গ সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দপ্তর প্রদত্ত নাট্য আকাদেমি পুরস্কার। এই আর কি!

প্রশ্ন: চলচ্চিত্রের পরিচালক হিসেবে কবে পাওয়া যাবে আপনাকে?

উত্তর: ছবি করার ইচ্ছে প্রবল ভাবে আছে। কিন্তু এখনই বলা যাচ্ছে না। সময় আসুক। এটা না হয় সময়ের ওপরই ছেড়ে দেওয়া যাক। তবে বাই দ্য বাই -আমি তিনটে শর্ট ফিল্ম করেছি। জীবনে ইচ্ছে আছে কমার্শিয়াল ছবি অন্তত ৬-৭টা করব।

প্রশ্ন : সমাজের মানুষের কথা তুলে ধরতে আপনি উপন্যাস লিখতে কলম ধরেছেন কি?

উত্তর: সত্যি কথা বলতে কি, তার জন্য যে পরিমাণ পড়াশোনা করতে হয় এখনও করে উঠতে পারিনি। আমি এখনও শিশিক্ষু। প্রত্যহ কিছু না কিছু শিখছি। তেমন কিছু ভাবি নি। দেখা যাক। যদি ভেতর থেকে তেমন সাড়া পাই নিশ্চই লিখবো।

প্রশ্ন : আপনি এই মুহূর্তে বাংলা থিয়েটারে চর্চিত একটি নাম। নতুন প্রজন্মের যারা থিয়েটার করতে আসছেন তাদের উদ্দেশে কি বার্তা দেবেন?

উত্তর: ফুসফুসে দম রাখা খুব দরকার। দ্বিতীয়তঃ মাথায় রাখতে হবে এইখানে যন্ত্রনা, অপমান অনেক কিছু পাওয়া যায়। তৃতীয়তঃ হেরে গেলে চলবে না, অদম্য জেদ আর দাঁতে দাঁত চেপে টিঁকে থাকতে হবে। মনে রাখতে হবে দিনের শেষে দর্শকই রায় দেবেন। আর আমার ধারণা বাংলা থিয়েটার সেই দিন সাবলম্বী হবে যেদিন শ্বশুরবাড়ির লোকজন যেমনটি বলেন আমার জামাই ডাক্তার, ব্যবসায়ী, উচ্চপদস্থ সরকারি বা বেসরকারি কর্মচারী অথবা ইঞ্জিনিয়ার, তেমন ভাবেই গর্বের সঙ্গে বলতে পারবেন আমার জামাই থিয়েটার করে। আমার শ্বশুর-শাশুড়ী আজকাল এইটা বলছেন। আর আমার স্ত্রী ভূমিকা – ‘আমার স্বামী থিয়েটার করেন’ বলছেন বহু বছর ধরে (অট্টহাসি)।

The post নাটক ‘বাদাবন’ পৃথ্বীশ রাণার তুখোড় সম্পাদনা-নির্দেশনায় ইতিমধ্যেই ৫৫টি শো হাউস ফুল  first appeared on Banglar Janarob.]]>
আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়কে ছায়ানট কলকাতার বিশেষ সম্মাননা  https://banglarjanarob.com/78039 Sun, 24 Mar 2024 05:27:28 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=78039 ফারুক আহমেদ : বিশ্ব কবিতা দিবস উদযাপন করল ছায়ানট (কলকাতা)। শরতচন্দ্র বাসভবনে। ২১ মার্চ। ছায়ানটের কর্ণধার সংগীত শিল্পী সোমঋতা মল্লিকের উদ্যোগে এই আয়োজন ছিল অভিনব। আবৃত্তিওয়ালা উদার আকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘আবৃত্তি আনার ভালোবাসা’ সেই ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করা হয় আবৃত্তিগুরু পার্থ মুখোপাধ্যায় এবং আবৃত্তিশিল্পী শ্রীমতি নিবেদিতা নাগ তহবিলদারকে। পিনাকীর হাতে এই সম্মান তুলে দেন সোমঋতা মল্লিক। পিনাকীর আবৃত্তি আসলে কবিতার হৃদয়ে হৃদয় যোগ। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও কবিতার সাথেই ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়ের সহবাস। তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তি পিনাকীর কবিতা যাপনের স্বীকৃতি। ড.…

The post আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়কে ছায়ানট কলকাতার বিশেষ সম্মাননা  first appeared on Banglar Janarob.]]>
ফারুক আহমেদ : বিশ্ব কবিতা দিবস উদযাপন করল ছায়ানট (কলকাতা)। শরতচন্দ্র বাসভবনে। ২১ মার্চ। ছায়ানটের কর্ণধার সংগীত শিল্পী সোমঋতা মল্লিকের উদ্যোগে এই আয়োজন ছিল অভিনব। আবৃত্তিওয়ালা উদার আকাশ থেকে প্রকাশিত হয়েছে ‘আবৃত্তি আনার ভালোবাসা’ সেই

ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। বিশেষ সম্মান জ্ঞাপন করা হয় আবৃত্তিগুরু পার্থ মুখোপাধ্যায় এবং আবৃত্তিশিল্পী শ্রীমতি নিবেদিতা নাগ তহবিলদারকে। পিনাকীর হাতে এই সম্মান তুলে দেন সোমঋতা মল্লিক। পিনাকীর আবৃত্তি আসলে কবিতার হৃদয়ে হৃদয় যোগ। পেশাগত ব্যস্ততার মাঝেও কবিতার সাথেই ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়ের সহবাস।

তাঁর এই পুরস্কার প্রাপ্তি পিনাকীর কবিতা যাপনের স্বীকৃতি। ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায় পুরস্কার প্রাপ্তিতে তাঁর প্রতিক্রিয়া জানান সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় এবং আবৃত্তিও করেন। পিনাকী বলেন বাংলার সংস্কৃতি জগতে সংগীতশিল্পী সোমঋতা মল্লিক এবং তাঁর ছায়ানট একের পর এক তাৎপর্যপূর্ণ কাজ করে চলেছেন। এই আয়োজনে একক ও দলীয় আবৃত্তি পরিবেশন করেন বিশিষ্ট শিল্পীরা। একক আবৃত্তি পরিবেশন করেন তিস্তা দে, ইন্দ্রাণী লাহিড়ী, আশিস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। বাংলাদেশ থেকে ছিলেন সীমান্ত বসু। রূপনারায়ণপুর থেকে এসেছিলেন পিস ওয়েলফেয়ার অর্গানাইজেশন, অনবদ্য অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন।

The post আবৃত্তিওয়ালা ড. পিনাকী চট্টোপাধ্যায়কে ছায়ানট কলকাতার বিশেষ সম্মাননা  first appeared on Banglar Janarob.]]>
উত্তর কলকাতা বাংলা ভাষাচর্চা কেন্দ্রের ভাষা দিবস স্মরণ https://banglarjanarob.com/77811 Fri, 15 Mar 2024 12:52:57 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=77811 নিজস্ব সংবাদাতা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠান হয়ে গেল রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে জীবনানন্দ সভাঘরে। গত ১৩ মার্চ ২০২৪ উত্তর কলকাতা বাংলা ভাষাচর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান আলোচনায়, গানে, কবিতায়,গল্পে মুখর হয়ে ওঠে। বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কলকাতার সুপরিচিত সংগীত সংস্থা ‘গধূলির আলো’ শিল্পীবৃন্দের পরিবেশিতে সূচনা সংগীতের পর শুরু হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা সভা। এতে অংশ গ্রহণ করেন ড. শিশুতোষ সামন্ত, অধ্যক্ষ কলকাতা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, বিশিষ্ট লেখক ও এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সহ সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়, দৈনিক সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক কিংশুক ভট্টাচার্য,…

The post উত্তর কলকাতা বাংলা ভাষাচর্চা কেন্দ্রের ভাষা দিবস স্মরণ first appeared on Banglar Janarob.]]>
নিজস্ব সংবাদাতা: আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে এক ভাবগম্ভীর অনুষ্ঠান হয়ে গেল রবীন্দ্র সদন প্রাঙ্গণে জীবনানন্দ সভাঘরে। গত ১৩ মার্চ ২০২৪ উত্তর কলকাতা বাংলা ভাষাচর্চা কেন্দ্রের উদ্যোগে আয়োজিত ওই অনুষ্ঠান আলোচনায়, গানে, কবিতায়,গল্পে মুখর হয়ে ওঠে। বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী শুভ্রা মুখোপাধ্যায়ের পরিচালনায় কলকাতার সুপরিচিত সংগীত সংস্থা ‘গধূলির আলো’ শিল্পীবৃন্দের পরিবেশিতে সূচনা সংগীতের পর শুরু হয় আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের গুরুত্ব বিষয়ক আলোচনা সভা। এতে অংশ গ্রহণ করেন ড. শিশুতোষ সামন্ত, অধ্যক্ষ কলকাতা সুরেন্দ্রনাথ কলেজ, বিশিষ্ট লেখক ও এশিয়ান হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সহ সভাপতি তাপস চট্টোপাধ্যায়, দৈনিক সবার খবর পত্রিকার সম্পাদক কিংশুক ভট্টাচার্য, ড. মনোরমা পোল্যে ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক তথা বঙ্গ সাহিত্য সন্মিলনের সম্পাদক গোপাল চক্রবর্তী। অন্যান্য বক্তারা মাতৃভাষা বিষয়ক নানাদিকে আলোকপাত করলেও গোপাল চক্রবর্তী ‘গল্প কবিতাকে কিভাবে আলাদা করা যায়’ সেই বিষয়ে এক ব্যতিক্রমী আলোচনা করেন।

একটানা আলোচনার পরিবর্তে আলোচনার ফাঁকে ফাঁকে পরিবেশিত সামঞ্জস্যপূর্ণ একগুচ্ছ গান কবিতা অনুষ্ঠানকে উপভোগ্য করে তোলে। এদিন সংগীত পরিবেশন করেন প্রশান্ত দাস, মায়া দাস এবং ড. মনীষা চক্রবর্তী। কবিতা পাঠে অংশ নেন কবি গৌতম বালা, সুভাষ চন্দ্র ঘোষ, গৌতম কুমার মন্ডল, শ্রীমতী কৃষ্ণা গুহ, রূপা দাস, আর্তি দে, সুতপা মুখার্জী, শ্বেতকেতু পোল্যে, অপর্না হালদার, নীলাঞ্জন চক্রবর্তী, সবিতা সাহা, কামাক্ষা রঞ্জন দাস, রূপালী বিশ্বাস, প্রমুখ।

চর্চা কেন্দ্রের যুগ্ম সম্পাদক সাহিত্যিক সেখ আব্দুল মান্নানের সুপরিচালনায় অন্যতম যুগ্ম সম্পাদক ‘চোখ’ পত্রিকার সম্পাদক মানিক দে তাঁর প্রারম্ভিক কথনে চর্চা কেন্দ্রের উদ্দেশ্য ব্যখ্যা সহ স্বাগতভাষণ প্রদান করেন।

এদিন সংস্থার বার্ষিক মুখপত্র ‘সাহিত্য সমন্বয়’ এর মোড়ক উন্মোচন করেন মঞ্চাসীন অতিথি, কয়েকজন কবি সাহিত্যিক ও যুগ্ম সম্পাদকদ্বয় মিলে।

চর্চাকেন্দ্রের প্রাণপুরুষ তথা সভাপতি জয়ন্ত রসিক অনিবার্য কারণে এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত না থাকতে না পারলেও বিদেশ ভ্রমণে তিনি কুয়েত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।

এদিন অনুষ্ঠানের উল্লেখযোগ্য দিক ছিল সংস্থার তরফে ‘ভাষা স্মারক -২০২৪’ সম্মানে ভূষিত করা। অন্যান্য বছরের মতো এবছর এই সম্মান লাভ করেন বিশিষ্ট সমাজসেবক ব্রিজেশ সিং এবং বিশিষ্ট কবি রফিকুল হাসান।

_____________________________________

The post উত্তর কলকাতা বাংলা ভাষাচর্চা কেন্দ্রের ভাষা দিবস স্মরণ first appeared on Banglar Janarob.]]>
গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন https://banglarjanarob.com/77799 Fri, 15 Mar 2024 08:21:09 +0000 https://banglarjanarob.com/?p=77799 বাংলার জনরব ডেস্ক :  গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।শুক্রবার মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিনেতার অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হয়েছে বলে খবর। অভিনেতার শারীরিক অসুস্থতা শুরু থেকেই গোপন রাখা হয়েছিল। শুক্রবার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টও করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘‘আমি চিরকৃতজ্ঞ।’’ কিন্তু কেন তিনি এ কথা লিখেছেন তা নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহল দানা বাঁধে। যদিও এখনও পর্যন্ত বচ্চন পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি। গত বছর মার্চ মাসে হায়দরাবাদে ‘প্রজেক্ট কে’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন অমিতাভ। অভিনেতার বুকের পাঁজরের তরুণাস্থি ও ডান পাঁজরের পেশি ছিঁড়ে যায়। তার…

The post গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন first appeared on Banglar Janarob.]]>
বাংলার জনরব ডেস্ক :  গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন।শুক্রবার মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে অভিনেতার অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করা হয়েছে বলে খবর। অভিনেতার শারীরিক অসুস্থতা শুরু থেকেই গোপন রাখা হয়েছিল। শুক্রবার এক্স-এ (সাবেক টুইটার) একটি পোস্টও করেন অভিনেতা। তিনি লেখেন, ‘‘আমি চিরকৃতজ্ঞ।’’ কিন্তু কেন তিনি এ কথা লিখেছেন তা নিয়ে অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহল দানা বাঁধে। যদিও এখনও পর্যন্ত বচ্চন পরিবারের তরফে কিছু জানানো হয়নি।

গত বছর মার্চ মাসে হায়দরাবাদে ‘প্রজেক্ট কে’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে গুরুতর আহত হন অমিতাভ। অভিনেতার বুকের পাঁজরের তরুণাস্থি ও ডান পাঁজরের পেশি ছিঁড়ে যায়। তার পর চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী কয়েক মাস বিশ্রামে ছিলেন অভিনেতা। এই প্রসঙ্গে অমিতাভ নিজের ব্লগে লিখেছিলেন, ‘‘বুকে ব্যান্ডেজ করা হয়েছে। ডাক্তার বলেছেন বিশ্রাম করতে। হাঁটতে গেলে বুকে প্রচন্ড ব্যথা হচ্ছে।’’

The post গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অমিতাভ বচ্চন first appeared on Banglar Janarob.]]>