জেলা 

‘বর্ষবরণ ১৪৩১’ : পাঠভবনে ‘চিরসবুজ’-এর শুভারম্ভ

শেয়ার করুন

গৈরিক সাহা: এক ঐতিহাসিক মুহূর্তের সাক্ষী রইল পাঠ ভবন ডানকুনি। বছরের একেবারে শেষ বিকেলে বিদ্যালয়ে আনুষ্ঠানিক ভাবে পথ চলা শুরু করল বহু প্রতিক্ষীত ‘চিরসবুজ পাঠ ভবন ডানকুনি প্রাক্তনী সমিতি’। এদিন প্রাক্তনীদের তরফে এক বর্ণাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘বর্ষবরণ ১৪৩১’ আয়োজন করা হয়। এই অনুষ্ঠান সমিতির প্রথম প্রয়াস।

প্রতিটি মানুষের কাছে বিদ্যালয় জীবন বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ব্যক্তির বেড়ে ওঠা, তার শৈশব, সবই জড়িয়ে আছে এই বিদ্যালয় ঘিরেই। প্রত্যেকেরই ইচ্ছে থাকে বিদ্যালয়ের সাথে তাদের কখনই যেন বিচ্ছেদ না হয়। তাই তৈরি করা হয় এমন এক মঞ্চ যেখানে বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রছাত্রীরা যেন এক জায়গায় আসতে পারে। এবার সেই রকমই এক প্রাক্তনী সমিতি তৈরী করল পাঠ ভবন ডানকুনির প্রাক্তনীরা। যার নাম ‘চিরসবুজ পাঠভবন ডানকুনি প্রাক্তনী সংসদ’। এদিন তারা এক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পাঠভবন সোসাইটির সেক্রেটারি শ্রী বিশ্বনাথ দাশগুপ্ত, ডানকুনি কোল ইন্ডিয়ার জেনারেল ম্যানেজার তপন কুমার দাস ও তার স্ত্রী নন্দিনী দাস, ডানকুনি থানার আইসি শান্তনু সরকার সহ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শিক্ষিকা যথাক্রমে অরীন্দ্রজিত সাহা ও কমলিকা বন্দোপাধ্যায়। প্রথমে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর অতিথিবৃন্দ প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন। তারপর সমিতির সদস্য তথা বিদ্যালয়ের প্রাক্তন পড়ুয়ারা অতিথিদের বরণ করে নেয়।

Advertisement

পাশাপাশি সমিতির লোগো উন্মোচন করে সমিতির সদস্যরা। এরপর শুরু হয় মূল অনুষ্ঠান। প্রথমে গীতি আলেক্ষ্য তারপর বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক অনিত দাস মহাশয়ের সঙ্গীতানুষ্ঠান ও সব শেষে প্রাক্তনীদের অন্তিম নিবেদন শ্রুতি নাটক ‘একলা বৈশাখ’। এর সাথে চলতে থাকে লাইভ পেইন্টিং। প্রাক্তনী সমিতির সভাপতি রাজর্ষি গুপ্ত জানিয়েছেন, “১৯৯২ সালে স্কুলটি প্রতিষ্ঠিত, আমি ১৯৯৪ সালে ভর্তি হয়েছিলাম, আমার স্কুলে ভর্তি হওয়ার ৩০ বছর পরে প্রাক্তনী সমিতি তৈরি হচ্ছে, অনেক স্বপ্ন নিয়ে সেখানে জড়িত হয়েছি, অবিমিশ্র আবেগ ছাড়া আর কোন অনুভূতির কথা বলব।”

ইতিমধ্যে অনুষ্ঠান চলাকালীন, বিদ্যালয়ের সুকুমার মেলায় আয়োজিত থ্যালাসেমিয়া শনাক্তকরণ শিবিরে অংশগ্রহণকারী দের পরীক্ষার রিপোর্ট তুলে দেওয়া হয়। পাশাপাশি বিদ্যালয় সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা ও অশিক্ষা কর্মীদের সমিতির তরফ থেকে একটি করে চারাগাছ উপহার স্বরূপ দেওয়া হয়। সবমিলিয়ে এই অনুষ্ঠানের ফলে আপ্লুত পাঠ ভবনের সাথে জড়িত প্রতিটি মানুষ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ