গনতন্ত্র ও সংবিধান বাঁচানোর দাবিতে মেট্রো চ্যানেলে ধর্নায় বসলেন মমতা ; ফোন করে খোঁজ নিলেন আহমেদ প্যাটেল ও অখিলেশ যাদব
বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতা পুলিশের কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানার বিরুদ্ধে গর্জে উঠলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি খবর পাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে পৌঁছে যান । সেখানে গিয়ে উচ্চ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন । বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের জন্য মোদী অমিত আর ডেভালের নির্দেশে এই কাজ হয়েছে । এতে সংবিধানের সমস্ত সীমা লংঘন করা হয়েছে বলে তিনি অভিযোগ করেন । এর বিরুদ্ধে তিনি ধর্নায় বসবেন বলে জানিয়ে দেন ।
এর পরেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিম, অরূপ বিশ্বাস সহ তৃণমূলের অন্য নেতারাও। কলকাতা পুলিসের আউটপোস্টে খোলা আকাশের নীচে ধরনায় বসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ব্যারিকেড দিয়ে ঘেরা ফেলা হয়েছে এলাকা। আউটপোস্টের সামনে তৈরি করা হচ্ছে অস্থায়ী মঞ্চ।
সিপির বাড়িতে সিবিআই হানা প্রসঙ্গে গণতন্ত্র বাঁচাতে তিনি ধরনায় বসবেন। সিপির বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে আগেই জানান মুখ্যমন্ত্রী। সত্যাগ্রহের ডাক দেন তিনি। আর তারপরই সোজা মেট্রো চ্যানেলে চলে আসেন মুখ্যমন্ত্রী।
অন্যদিকে শেক্সপীয়র সরণি থানায় যান কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমার। সেখান থেকেই তিনি সরাসরি চলে যান মেট্রো চ্যানেলে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে। রবিবার সন্ধেয় ডিএসপি তথাগত বর্ধনেরর নেতৃত্বে এদিন ৪০ জনের সিবিআই টিম কথা বলতে যায় লাউডন স্ট্রিটে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে। তল্লাশি করারও কথা ছিল। কিন্তু আগাম জানতে পেরে পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে জড় হন পুলিস কর্মীরা। বাধা দেওয়া হয় সিবিআই কর্তাদের। স্থানীয় থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়। এরপরই পারদ চড়তে শুরু করে।
এরপরই রাস্তার উপর ধস্তাধস্তি, মারপিট বেঁধে যায় কলকাতা পুলিস ও সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে । নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয় লাউডন স্ট্রিট। তারপরই সিবিআই কর্তাদের আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়ার থানায়। সিবিআই কর্তাদের টেনে হেঁচড়ে তোলা হয় গাড়িতে। গাড়ির ড্রাইভারকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিসের কর্মী–ই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়।
অন্যদিকে, পাল্টা সিজিও কমপ্লেক্স ঘেরাও করে কলকাতা পুলিস। ঘেরাও করা হয় নিজাম প্যালেস। জয়েন্ট ডিরেক্টর পঙ্কজ শ্রীবাস্তবের বাড়িও ঘেরাও করা হয়। এককথায় সিবিআই–এর বিরুদ্ধে অল–আউট অ্যাটাকে নামে কলকাতা পুলিস। পরে অবশ্য সিবিআই অফিস এবং জয়েন্ট ডিরেক্টরের বাড়ি থেকে পুলিশ প্রত্যাহার করে নেওয়া হয় । এরপরেই দেখা গেল কেন্দ্রীয় বাহিনী দখল নিল সব কটি সিবিআই অফিস এবং সিবিআই আধিকারিকদের বাড়িতে নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
এদিকে জানা গেছে , কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ফোন করেন সোনিয়া গান্ধীর রাজনৈতিক সচিব আহমেদ প্যাটেল ও সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব । তারা মুখ্যমন্ত্রীর এই আন্দোলন সমর্থন জানিয়েছেন বলে তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে ।