কলকাতা 

নজিরবিহীর সংঘাত সিবিআই বনাম কলকাতা পুলিশের : সিপির বাড়িতে সিবিআই হানার বিরুদ্ধে ধর্নায় বসলেন মুখ্যমন্ত্রী ; সিবিআই অফিস দখল নিল কেন্দ্রীয় বাহিনী

শেয়ার করুন
  • 13
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : কলকাতা পুলিশ কমিশনারের বাড়িতে সিবিআই হানাকে কেন্দ্র করে চরমে পৌঁছল কেন্দ্র-রাজ্য দ্বৈরথ। তৃণমূল সূত্রে খবর, রবিবার রাত থেকেই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে নামছে শাসকদল। রাত থেকেই মেট্রো চ্যানেলে ধরনায় বসছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কড়া নিন্দা করেছেন গোটা ঘটনার।

তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই ঘটনাকে ‘সাংবিধানিক অভ্যুত্থান’ বলে উল্লেখ করেছেন। সোমবার থেকে সংসদ আচল করার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ। অবিলম্বে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পদত্যাগ দাবি করেছেন তিনি টুইটে।

রবিবার সন্ধেয় ডিএসপি তথাগত বর্ধনের নেতৃত্বে এদিন ৪০ জনের সিবিআই টিম কথা বলতে যায় লাউডন স্ট্রিটে পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের বাড়িতে।  তল্লাশি করারও কথা ছিল। কিন্তু আগাম জানতে পেরে  পুলিস কমিশনারের বাড়ির সামনে জড় হন পুলিস কর্মীরা। বাধা দেওয়া হয় সিবিআই কর্তাদের। স্থানীয় থানায় যেতে নির্দেশ দেওয়া হয়।  এরপরই পারদ চড়তে শুরু করে।

সিবিআই অফিসারদের বলা হয়, আপনারা থানায় যান। সেখানে নথিপত্র খতিয়ে দেখার পর রাজীব কুমারের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। সমস্ত নথি সিবিআই-এর হাতে রয়েছে কি না, কলকাতা পুলিস নিশ্চিত হতে চায়। এরপরই সিবিআইয়ের একটি দল শেক্সপিয়র থানায় যায়। আর একটি দল দাঁড়িয়ে থাকে রাজীব কুমারের বাড়ির সামনে।

সিবিআই ডিএসপি তথাগত বর্ধন কথাবার্তা চালাতে থাকেন পুলিস আধিকারিকদের সঙ্গে। সিবিআই কর্তারা স্পষ্ট জানিয়ে দেন, যে কাজ তাঁরা করতে এসেছেন, সেটা সম্পূর্ণ করেই যাবেন। তাঁরা নিয়ম মেনেই এসেছেন। যদিও, সিবিআই আধিকারিকদের কাছে কোনও কাগজ ছিল না বলেই খবর।

এরপরই রাস্তার উপর ধস্তাধস্তি, মারপিট বেঁধে যায় কলকাতা পুলিস ও সিবিআই আধিকারিকদের মধ্যে । নো এন্ট্রি করে দেওয়া হয় লাউডন স্ট্রিট।

তারপরই সিবিআই কর্তাদের আটক করে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় শেক্সপীয়ার থানায়। সিবিআই কর্তাদের টেনে হেঁচড়ে তোলা হয় গাড়িতে। গাড়ির ড্রাইভারকেও ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। কলকাতা পুলিসের কর্মী-ই গাড়ি চালিয়ে নিয়ে যায়।

প্রসঙ্গত, সারদাকাণ্ডে কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের খোঁজ করছে সিবিআই। তিনি তিন দিন ধরে বেপাত্তা। শনিবারই সেই খবর সামনে আসে। রবিবার সেই খবর ভিত্তিহীন বলে দাবি করে পাল্টা বিবৃতি দেয় কলকাতা পুলিস। জানানো হয়, কলকাতা পুলিস কমিশনার শহরেই রয়েছেন। নিয়মিত অফিসেও আসছেন।

কলকাতা পুলিস কমিশনার রাজীব কুমারের পাশে দাঁড়ান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। টুইটে তিনি লেখেন, “কলকাতা পুলিস কমিশনার বিশ্বের অন্যতম সেরা আধিকারিক। তাঁর ন্যায়পরায়ণতা, সাহস ও সততা প্রশ্নাতীত। দিবারাত্র কাজ করছেন তিনি। অতি সম্প্রতি একদিন ছুটি নিয়েছিলেন। মিথ্যা যতই রটাও সেটা মিথ্যাই থাকবে। চরম প্রতিহিংসার রাজনীতি করছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। ”

 

 

 

 


শেয়ার করুন
  • 13
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

five × 4 =