দেশ 

লোকসভা নির্বাচনের আগে কৃষক-শ্রমিক-মধ্যবিত্তদের জন্য কল্পতরু মোদী সরকার ; জনমোহনী বাজেটে বাজিমাত করার ভাবনা বিজেপির

শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদী সরকার দেশের আর্থিক হাল ফেরানোর লক্ষ্যের চেয়ে এখন বেশি গুরুত্ব দিয়েছে লোকসভা নির্বাচনের বৈতরনী পার হওয়া । আর সেই কারণেই আজ লোকসভায় পেশ করা বাজেটে দেশের সব শ্রেণির মানুষকে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার কথা বলা হয়েছে । এক কথায় এই বাজেট জনমোহনী এবং সাধারন মানুষের বাজেট বলে সরকার দাবি করেছে । এই বাজেটে সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পেয়েছে সরকারি চাকুরিজীবীরা । কেন্দ্র সরকারে কর্মরত চাকুরিজীবী অবসরের সময়ে এক কালীন গ্র্যাচুইটি সীমা ১০ লক্ষ থেকে বাড়িয়ে ৩০ লক্ষ টাকা করা হয়েছে৷ তবে এই সুবিধা তাঁরাই পাবেন ১৯৭২ সালের গ্র্যাচুইটির বেতন আইন অনুসারে ১০ বা তার বেশি সদস্যের একটি সংস্থায় পাঁচ বছরের বেশি কাজ করেছেন৷ ২০১৮ সালের মার্চ মাসে বেসরকারি ক্ষেত্রে করমুক্ত গ্র্যাটুইটি দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল কেন্দ্র তবে শুধু গ্র্যাচুইটি নয়, বেতন ভোগীদের জন্য আরও কিছুটা সুবিধা দিয়ে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশন ৪০,০০০ থেকে বাড়িয়ে ৫০,০০০ টাকা করা হয়েছে। এদিকে আয়ের উৎস থেকে কর কাটা (টিডিএস) ক্ষেত্রে সুবিধা বাড়ান হয়েছে৷ ব্যাংক পোস্ট অফিস-এর ডিপোজিট-এ সুদের উপর টিডিএস ১০০০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪০,০০০ টাকা করা প্রস্তাব রয়েছে৷ তাছাড়া বাড়ির ভাড়ার ক্ষেত্রে টিডিএস ১,৮০,০০০টাকা থেকে বাড়িয়ে ২,৪০,০০০টাকা করার৷ ইতিমধ্যেই, লোকসভা নির্বাচনের আগেই মোদীর ‘মাস্টারস্ট্রোক৷ ’করমুক্ত আগের সীমা বাড়াল সরকার৷ ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করমুক্ত৷ ৮০সি-এর আওতায় যে সমস্ত করমুক্ত বিনিয়োগ রয়েছে তা চালু করলে আরও দেড় লক্ষ টাকা করছাড় পাবে জনতা৷ প্রায় তিন কোটি মধ্যবিত্তের মুখে হাসি ফুটেছে৷

অন্তর্বর্তী বাজেটের প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছে বিজেপি৷ এই বাজেট জনমোহিনী, কৃষকদরদি এবং চাকরীজীবীদের মুখে হাসি ফুটিয়েছে বলে প্রচার করা হচ্ছে গেরুয়া শিবিরের তরফে৷ পাশাপাশি বিরোধীরা এই বাজেটের বিরোধীতা করায় তাদের ব্যাঙ্গাত্মক সুরে বিদ্ধ করেছে৷ রসিকতার সঙ্গে বিজেপির প্রতিক্রিয়া, এই বাজেট বিরোধীদের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক করেছে৷ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বাজেটকে ঐতিহাসিক বলে অ্যাখ্যা দিয়েছেন৷ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বাজেট দেশের অর্থনীতিকে চাঙ্গা করবে৷ সমাজের সব স্তরের মানুষ এর সুফল পাবে৷ সংসদের বাইরে সাংবাদিকদের দৃশ্যতই খুশি রাজনাথ সিং বলেন, ‘‘এই বাজেটের লক্ষ্য হল দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা৷ আমি এই বাজেটকে ঐতিহাসিক বলব৷’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর মতো বাজেটের প্রশংসায় ভরিয়ে দেন অপর দুই কেন্দ্রীয়মন্ত্রী রামবিলাস পাসওয়ান ও আর কে সিং৷ এককদম এগিয়ে তিনি বলেন, ‘‘এটা হল দ্বিতীয় সার্জিক্যাল স্ট্রাইক৷ প্রথম সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে জওয়ানরা সীমান্তে বন্দুক দিয়ে শক্রুর মোকাবিলা করেছিল৷ এবার ব্যালটে জবাব দেবে দেশবাসী৷ এই বাজেটে কৃষকদের স্বার্থ সুরক্ষিত হবে৷’’

Advertisement

আর কে সিং বিরোধীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘‘এই বাজেটকে স্বাগত জানানো উচিত৷ অবশ্য বিরোধীদের কাছে এই বাজেট মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ার মতো৷ আমার নিজেরই মনে হচ্ছে বিরোধীদের উপর সার্জিক্যাল স্ট্রাইক চালিয়েছেন মোদী৷ এমন বাজেটে খুশি মানুষ৷’’

অপর কেন্দ্রীয়মন্ত্রী মহেশ শর্মাও বাজেটের প্রশংসা করে বলেন, ‘‘এই বাজেটে উপকৃত হবেন সাধারণ মানুষ ও চাকরীজীবী মানুষ৷ দরিদ্ররাও এই বাজেটের নানা ঘোষণার সুফল পাবে৷ বহু বছর পর দেশ এমন বাজেট পেল৷

 


শেয়ার করুন
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

1 × 4 =