মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির টাকা গেল কোথায় ? জানতে তৎপর সিবিআই-ইডি ; নোটিশ পাঠাল মুকুল রায় , সুব্রত বক্সী ও ডেরেককে
বাংলার জনরব ডেস্ক : মুখ্যমন্ত্রীর ছবি কেনা বির্তক নিয়ে যত জল ঘোলা হচ্ছে ঠিক ততই সক্রিয় হয়ে উঠছে সিবিআই । এবার শুধু সিবিআই নয় , নেমেছে ইডিও । বিজেপি সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ ছবি বিক্রি ইস্যুতে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীর সততাকে চ্যালেঞ্জ করেছেন , সেটা এখন দুদলের রীতিমত প্রেষ্টিজ ইস্যুতে পরিণত হয়েছে । এদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও মোদী ও অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ করেছেন ছবি বিক্রি নিয়ে যে অভিযোগ তারা করেছেন তা যদি প্রমান না করতে পারেন তাহলে মানহানি মামলা করবেন । আর এতেই লোকসভা ভোটের আগে বিপদের গন্ধ পাচ্ছে কেন্দ্রের শাসক দল । তাই এবার সক্রিয়া হয়ে উঠল সিবিআই ও ইডি । তারা শুধু মুখ্যমন্ত্রীর প্রাক্তন আপ্ত সহায়কের বাড়িতে তল্লাশী চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে দায়িত্ব শেষ করছে না । বরং তৃণমূল দলের প্রাক্তন সেকেন্ড ইন কমান্ড মুকুল রায় থেকে শুরু করে বর্তমানে নেতা সুব্রত বক্সী ও ডেরেকে ‘ও ব্রায়েনকে নোটিশ পাঠিয়ে জানতে চেয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি বিক্রির টাকা কোন অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে ।
তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে ওঠা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আঁকা ছবি বিক্রির টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, তার তদন্তে নেমেই তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা। তৃণমূল কংগ্রেসের বর্তমান নেতাদের পাশাপাশি প্রাক্তন তথা দলের প্রতিষ্ঠা সদস্যকেও নোটিশ দিয়েছে সিবিআই। তৃণমূল কংগ্রেসের আর্থিক তহবিলের মধ্যে অনেক গরমিল রয়েছে। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। এরই মধ্যে সম্প্রতি দলনেত্রী মমতার ছবি বিক্রি নিয়েও দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এসেছে।
একই সঙ্গে ছবি-কাণ্ডে সুব্রত বক্সি ও ডেরেক ও’ব্রায়েনকে নোটিশ পাঠাল সিবিআই। ছবি বিক্রির টাকা কোথায় খরচ হয়েছে, তার তদন্তে নেমেই তৃণমূলের অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ডেকে পাঠিয়েছেন তদন্তকারী অফিসাররা।
সূত্রের খবর, এই মাসের তৃতীয় সপ্তাহে সিবিআই দফতরে যেতে বলা হয়েছে ডেরেককে। তিনিও তৃণমূলের অন্যতম অ্যাকাউন্ট হোল্ডার।
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে নোটিশ ধরিয়েছিলেন তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ চন্দ্রিমা বলেছিলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিটফান্ড কর্তাদের ছবি বিক্রি করেছেন তা প্রমাণ করে দেখাক অমিত শাহ৷
বুধবার রামপুরহাটে মুখ্যমন্ত্রী মমতা অমিত শাহকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করে বলেছিলেন, অর্ধশিক্ষিত …গর্ধশিক্ষিতরা বাংলার ব্যাপারে কী বা জানে …৷ ‘‘রাজ্যের হাতেও সিআইডি আছে, এসটিএফ আছে৷ আর্থিক দূর্নীতি ধরার ব্যবস্থা আছে৷ আমরাও চাইলে তদন্ত শুরু করতে পারি৷’’
বৃহস্পতিবার সকালেই মমতার রাজনৈতিক জীবনের পুরানো সঙ্গী মানিক মজুমদারের বাড়িতে সিবিআই এবং ইডি হানা দিয়েছে৷ মানিকবাবু মমতার প্রাক্তন আপ্ত সহায়ক৷ মুখ্যমন্ত্রীর বাসভবন কালীঘাটের ৩০বি, হরিশ চ্যাটার্জি স্ট্রিটের কাছাকাছিই থাকেন মানিকবাবু৷