কলকাতা 

যাঁরা পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন তাঁরা গান্ধী পরিবারের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করতে চাইছেন ; এটা দেশের মানুষ মেনে নেবে না ;প্রিয়াংকার সক্রিয় রাজনীতিতে আসা নিয়ে সোমেন মিত্রের প্রতিক্রিয়া

শেয়ার করুন
  • 18
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সেখ ইবাদুল ইসলাম : শেষ পর্যন্ত এলেন ভারতীয় রাজনীতি যাঁর দিকে অধীর আগ্রহে তাকিয়ে ছিল তিনি এলেন নিরবে-নিঃশব্দে । কিন্ত আসার সঙ্গে সঙ্গে যেন দেশের রাজনীতিতে তাঁকে নিয়ে চর্চা শুরু হল । মনে হচ্ছে যেন দেশে কোনো বিপ্লব এসে গেছে । দেশের প্রায় সব দলের রাজনীতিবিদরা তাঁকে নিয়ে নানা মন্তব্য করতে শুরু করেছেন । তিনি হলেন রাজীব কন্যা প্রিয়াংকা গান্ধী । এতদিন তিনি মা এবং দাদার কেন্দ্রের প্রতিনিধি হিসেবে কাজ করছিলেন । আর আজ থেকে তিনি হয়ে গেলেন জাতীয় কংগ্রেসের সাধারন সম্পাদিকা । সব দলের পক্ষ থেকেই নানা প্রতিক্রিয়া দেওয়া হলেও সবচেয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া এসেছে শাসক বিজেপি দলের পক্ষ থেকে । বিজেপি বলছে আবার পরিবারতন্ত্রের পরম্পরা চলছে । এটা দেশের মানুষ নেবে না । তবে অখিলেশ থেকে তেজস্বী সকলেই তাঁর আগমনকে স্বাগত জানিয়েছেন । বিজেপি বলছে রাহুল ফেল তাই দাদাকে পাশ করাতে বোন নামছে মাঠে ।

আমরা এই প্রসঙ্গে প্রতিক্রিয়া জানতে চেয়েছিলাম প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্রের কাছে , তিনি জানালেন প্রিয়াংকা গান্ধী কংগ্রেসের পরিবারের মেয়ে তাই তিনি কংগ্রেসে আসবেন এটা তো স্বাভাবিক । তাঁকে আমরা সকলেই স্বাগত জানাচ্ছি । তিনি আসার পর কংগ্রেস কি আরও উজ্জীবিত হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সোমেন মিত্র বলেন , অবশ্যই । আজ থেকেই সারা দেশজুড়ে কংগ্রেস কর্মীরা উৎসব শুরু করে দিয়েছে । আগামী দিনে প্রিয়াংকা গান্ধী রাস্তায় নেমে প্রচার শুরু করলে বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাবে না । আর প্রিয়াংকা রাজনীতিতে এসেছেন বলে মোদীবাবু কি ভয় পাচ্ছেন ?

Advertisement

বিজেপির অভিযোগ প্রিয়াংকা সরাসরি রাজনীতিতে আসার মধ্য দিয়ে কংগ্রেসে পরিবারতন্ত্রের পরম্পরার বহিঃপ্রকাশ ঘটল এ নিয়ে কী বলবেন ? এই প্রশ্নের উত্তরে সোমেন মিত্র বলেন , মানুষ এর বিচার করবে । মোদী কিংবা বিজেপি এর বিচার করতে পারে না । জনতার দরবারে গনতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে মানুষই শেষ কথা বলে । মানুষ যদি প্রিয়াংকা রাহুলকে মেনে নেয় তাহলে মোদীবাবুদের কিছু করার থাকবে ? আর যাঁরা পরিবারতন্ত্রের কথা বলছেন তাঁরা দেশের জন্য গান্ধী পরিবারের আত্মত্যাগকে অস্বীকার করতে চাইছেন , এটা দেশের মানুষ মেনে নেবে না ।

এদেশের জন্য ইন্দিরা গান্ধীর পরিবার স্বাধীনতার পর দেশের জাতীয় সংহতি ও সম্প্রীতি বজায় রাখতে এবং দেশকে অখন্ড রাখার জন্য দুটি প্রাণ বলি দিয়েছেন । আর কোনো রাজনৈতিক নেতার পরিবারের কি দেশের জন্য এই বলিদান আছে ? বলে সোমেন মিত্র মন্তব্য করেন ।


শেয়ার করুন
  • 18
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

19 + fifteen =