মমতার ডাকা সফল ব্রিগেডের মোকাবিলা করতে পারবে না , তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ব্রিগেড সমাবেশ বাতিল করল বিজেপি ?
বাংলার জনরব ডেস্ক : তৃণমূলের সভায় জনসমাবেশ , এরপর ৩ ফেব্রূয়ারি বামেদের সভাতে ভালো জমায়েত হবে বলে সংকেত পাওয়া যাচ্ছে । এই পরিস্থিতিতে ৮ ফেব্রূয়ারি ব্রিগেড করার ঝুঁকি নিল না বিজেপি । রাজনৈতিক মহল বলছে , ব্রিগেডে সভা করার মত সাংগঠনিক শক্তি এরাজ্যে বিজেপি এখন নেই তা সত্ত্বে আবেগে সভা ডেকেছিলেন দিলীপ ঘোষ । কিন্ত কেন্দ্রীয় ও রাজ্য বিজেপি নেতারা আশংকা করছেন যদি বামেদের চেয়ে তাদের ব্রিগেড সভায় জনসমাগম কম হয় তাহলে বিজেপির সাংগঠনিক দূর্বলতা প্রকাশ হয়ে পড়বে । তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বহু চর্চিত ব্রিগেড সমাবেশ আর হচ্ছে না । তবে ৮ ফেব্রুয়ারি প্রধানমন্ত্রী আসানসোলে সভা করবেন । এ বিষয়ে আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। দিলীপ ঘোষ ব্রিগেডে সভা বাতিল সম্পর্কে বলেন, “কেন্দ্র এখন চাইছে না আমরা ব্রিগেড করি। অমিত শাহের এখন পাঁচটা সভা আছে। প্রধানমন্ত্রীর ২ থেকে ৩টে সভা আছে। এত চাপ নিয়ে আর এত কম সময়ের মধ্যে সভা কতটা সফল হবে তা নিয়ে সংশয় আছে। আগে থেকে এতগুলো সভার পরিকল্পনা আমাদের ছিল না। এখন আমরা নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে এই বিষয়টি নিয়ে কথাবার্তা বলব।”
তিনি জানান, চলতি মাসের ২৮ ও ৩১ তারিখ আরও দুটি সভা করবেন প্রধানমন্ত্রী। ২৮ তারিখের সভাটি হবে শিলিগুড়ি ও ৩১ তারিখের সভাটি হবে ঠাকুরনগরে।
এদিকে , আগামীকাল মালদায় সভা করতে আসছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। এনিয়ে দিলীপবাবু বলেন, “তিনদিন ধরে টানবাহানা চলছিল। রাজ্য সরকারের হেলিপ্যাড আছে। তার জন্য আমরা দরখাস্ত করেছিলাম। ওখানে হেলিকপ্টার চলে। কিন্তু, মালদার অতিরিক্ত জেলাশাসকের তরফে চিঠি দিয়ে জানানো হয় বিমানবন্দর সংস্কারের কাজ চলছে। তারপরে আমরা গোল্ডেন পার্ক হোটেলের জন্য দরখাস্ত করি। ওই হোটেলে হেলিপ্যাড আছে। প্রথমে সেটি আমাদের দেওয়ার কথা বলা হয়। কিন্তু, পরে অজ্ঞাতকারণ বশত ওরা আমাদের অনুমতি দিতে দেরি করে। অবশেষে আজ আমরা ওই হোটেলের কাছ থেকে অনুমতি পাই।”
পরে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকে বলেন, অমিত শাহর ২৪ জানুয়ারির সভা বাতিল হয়েছে। সেদিন জয়নগর ও কৃষ্ণনগরে অমিত শাহর বদলে সভা করবেন স্মৃতি ইরানি ও কৈলাস বিজয়বর্গীয়।