কলকাতা 

সমগ্র দেশ তাকিয়ে থাকবে শনিবারের ব্রিগেড সভার দিকে ; বাংলার কন্যা কীভাবে জাতীয় রাজনীতির চালিকা হবেন তা দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় বঙ্গবাসী

শেয়ার করুন
  • 170
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

নিজস্ব প্রতিনিধি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকা বিজেপি বিরোধী মহা-সমাবেশকে ঘিরে সমগ্র দেশের তো বটেই আন্তর্জাতিক দুনিয়ার নজর থাকবে কালকের সভার দিকে । এই সমাবেশ থেকে দেশের তাবড় তাবড় বিজেপি বিরোধী আঞ্চলিক দলগুলি আগামী লোকসভা ভোটে কীভাবে বিজেপির বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হবে তারও খানিকটা আভাষ পাওয়া যাবে কালকের সভায় । একইসঙ্গে দেশের রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রহণযোগ্যতা অনেকটাই বৃদ্ধি পাবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক মহল । বাংলার মানুষ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করবে তাদের ঘরে মেয়েকে কেমনভাবে দেশের রাজনীতিবিদরা সম্মান জানান এবং বাংলার এক সাধারণ পরিবারের মেয়ে কীভাবে জাতীয় রাজনীতির চালিকা শক্তি হয়ে উঠতে পারেন সেদিকেই তাকিয়ে থাকবে বাংলা ।
এদিকে ,প্রায় চার দশক পর ফের একাবার বহু দলের যৌথ মহাসমাবেশ হতে চলেছে  ব্রিগেডে । তাই এখন এরাজ্য তো বটেই গোটা দেশের রাজনীতি সচেতন মানুষের চোখ এই শহরের দিকে।  কারন আগামী লোকসভা নির্বাচন কে সামনে রেখে বিজেপি বিরোধী প্রস্তাবিত মহাজোটের চেহারা এবং তাদের যৌথ কর্মসূচির অনেকটাই এই সমাবেশ থেকে পরিষ্কার হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে। একই রকম ইঙ্গিত মিলেছে সমাবেশের  আয়োজক তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলাতেও। বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে বিভিন্ন আঞ্চলিক দলকে একই মঞ্চে আনার জন্য তার উদ্যোগের সাফল্য নির্ভর করছে এই সমাবেশের ওপর।
আজ সন্ধ্যাতেই প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এইচ ডি দেবেগৌড়া, শরদ পাওয়ার,অখিলেশ যাদব, গেগং আপাং,হেমন্ত সরেনের মত রাজনৈতিক হেভিওয়েটদের উপস্থিতি তার এই উদ্যোগের প্রাথমিক সাফল্যের ইঙ্গিত দিয়েছে।   এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা মত ব্রিগেড সমাবেশকে মেগা সমাবেশের রূপ দিতে সেখানে  ৫০ লক্ষ মানুষকে হাজির করার লক্ষ্যে কোমর বেঁধে নেমেছে শাসক দল । তাদের দাবি এদিন সকালের মধ্যেই চার লক্ষ মানুষ শহরে সমাবেশে যোগ দিতে চলে এসেছেন। মানুষের ঢল নামায় মাইকের সংখ্যা এক হাজার থেকে বাড়িয়ে দেড় হাজার করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডাকে তৃণমূলের ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিতে উত্তরবঙ্গের ট্রেন শিয়ালদহ, হাওড়ায় নামতেই হাজার হাজার মানুষ আলাদাভাবে বিভিন্ন কেন্দ্রে চলে যান। কিছু মানুষ আবার চলে যান স্টেশন চত্বরে থাকা বুথ ক্যাম্পে। সেখানেই স্বেচ্ছাসেবকরা বুঝিয়ে দিচ্ছেন কোথায় যেতে হবে। ব্রিগেডের এক দিন আগেই ভরে গিয়েছে বিভিন্ন কেন্দ্র। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়াম, ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্র, উত্তীর্ণ, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্ক ছাড়াও বিভিন্ন ধর্মশালায় দূরাগত কর্মীদের থাকা খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এদিকে, মূলমঞ্চ সহ পাঁচ মঞ্চ তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। দুই মঞ্চ নেতা-মন্ত্রী ও বিধায়ক-সাংসদদের জন্য করা হয়েছে। ব্রিগেডে আঁটসাট নিরাপত্তা করা হয়েছে।
শনিবার ব্রিগেড সমাবেশের নিরাপত্তায় থাকছে ৮ হাজার পুলিশ। ৩৫ ফুট উচ্চতার ৮টি ওয়াচ টাওয়ার। শহরজুড়ে থাকবে ১৫টি বিপর্যয় মোকাবিলা দল। ১০টি কুইক রেসপন্স টিম ও ১৫ অ্যাম্বুলেন্স। কাল ভোর চারটে থেকে রাত আটটা পর্যন্ত সব পণ্যবাহী গাড়ি নিষিদ্ধ। মূল পাঁচ মঞ্চের পাহারায় থাকবে কম্যান্ডো বাহিনী। পানীয় জলের জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার ২০০টি জলের ট্যাঙ্ক। থাকছে শতাধিক বায়ো টয়লেট। বন্ধ থাকছে ক্যাথিড্রাল রোড, এজেসি বোস রোড, হসপিটাল রোড, কুইন্স ওয়ে, লাভার্স লেনে যান চলাচল। প্রয়োজনমতো অন্য রাস্তাতেও যান চলাচল হয় বন্ধ করে দেওয়া হবে। নয়তো ঘুরিয়ে দেওয়া হবে বিভিন্ন গাড়ির মুখ।এদিন দিন ভর প্রসশাসনের শির্ষ কর্তারা দফায় দফায় সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন।

শেয়ার করুন
  • 170
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

7 − two =