ব্রিগেড সভার দিনেই মুকুলের হাত ধরে ভাঙছে কী তৃণমূল ?
নিজস্ব প্রতিনিধি : দল ভাঙানোর যে খেলা তৃণমূল কংগ্রেস বাংলার রাজনীতিতে শুরু করেছিল তা বুমোরং হয়ে তার দিকেই ধেয়ে যাচ্ছে বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছেন । বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম বিশেষ করে প্রথম সারির দুটি সংবাদপত্র কয়েকদিন আগেই জানিয়ে দিয়েছে , এবার তৃণমূল ভাঙতে চলেছে । জানা গেছে সৌমিত্র খা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর মুকুল রায় সাংবাদিকদের বলেছিলেন , এটা তো শুধুমাত্র ট্রেলার , সিনেমা এখন বাকি আছে । বিশেষ সূত্রে জানা গেছে, সৌমিত্র খা, অনুপম হাজরা ছাড়াও অন্তত ৫ জন সাংসদ এবং বেশ কয়েকজন বিধায়ক গোপনে বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন । যেকোনো দিন এরা বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন । শোনা যাচ্ছে রাজ্য মন্ত্রীসভার এক প্রভাবশালী মন্ত্রী নাকি যোগাযোগ করছেন । এসবই ইতিমধ্যে সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে ।
বিজেপি সূত্রে দাবি করা হয়েছে , কলকাতায় যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ব্রিগেড সভা থেকে মোদীকে দিল্লির মসনদ থেকে সরানোর দাবি তুলবেন ঠিক সেই সময়ই দিল্লিতে তৃণমূলের কয়েকজন সাংসদকে দলে এনে মাষ্টারষ্ট্রোক দিতে চান মুকুল রায় । ওই ৫ জন সাংসদের মধ্যে দুই জন মহিলা সাংসদ রয়েছেন । একদা মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলে আসা উত্তরবঙ্গের এক সাংসদসহ দক্ষিনবঙ্গে দুইজন রয়েছেন । এছাড়া কয়েকজন বিধায়কও এই তালিকায় আছেন । উত্তর ২৪ পরগনার এক সাংসদকে নিয়ে সোস্যাল মিডিয়ায় জোর আলোচনা চলছে ।
এদিকে মুকুল রায়ের গুরুত্ব অনেকটাই বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাড়িয়ে দিয়েছেন । রাহুল সিনহা কিংবা রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ নন , এবার বিজেপির জাতীয় কার্যকরী কমিটির সভায় তাঁকে বক্তব্য দিতে ডাকেন অমিত শাহ । শুধু তাই নয় ,মুকুলের বক্তবের শেষে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী করতালি দিয়ে অভিনন্দন জানান । অমিত শাহও মুকুলের বক্তব্যের সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে বাংলায় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার শপথ নেন। এদিনের বক্তব্যে মুকুল রায় স্পষ্ট জানিয়ে দেন তৃণমূল কংগ্রেস আগামী লোকসভা নির্বাচনে ২০টি আসন পাবে , এর বেশি নয় ।