স্ত্রীকে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করে থানায় আত্মসমর্পণ স্বামীর
বিশেষ প্রতিনিধি : পরকীয়ার সন্দেহে স্ত্রীকে খুন করলেন স্বামী। ঠান্ডা মাথায় খুন করার পর আরামবাগ থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করলেন স্বামী। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলি জেলার আরামবাগ থানার সালেপুরের দাসপাড়ায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্তের নাম অভিজিৎ দাস। বছর ১৫ আগে ঋতু দাসকে বিয়ে করেন তিনি। বর্তমানে দম্পতির দুই সন্তান রয়েছে। শনিবার রাতে অভিজিৎ স্ত্রীকে খুন করেছেন বলে জানিয়েছেন। পুলিশ সূত্রের আরও খবর, রবিবার সকালে আরামবাগ থানায় হাজির হন অভিজিৎ। পুলিশের কাছে গিয়ে জানান, তিনি স্ত্রীর মুখে বালিশ চাপা দিয়ে খুন করেছেন। যুবকের ওই স্বীকারোক্তি শুনে চমকে যায় পুলিশ। তারা অভিজিতের বাড়িতে যায়। দেখা যায়, সত্যিই বিছানায় এক বধূর নিথর দেহ পড়ে রয়েছে।
অভিজিৎ একটি সোনার দোকানে কাজ করেন। শনিবার রাতে স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া হয়। তবে তখনই তিনি স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুন করেছেন কি না স্পষ্ট নয়। মৃতার বড় ছেলেও জানিয়েছেন, মা-বাবার ঝগড়া হয়েছিল রাতে। তবে সে ঘুমিয়ে পড়েছিল। আর কিছু জানে না। বালকের কথায়, ‘‘সকালে দেখি, মা বিছানা থেকে উঠছে না। বাবা-ও ঘরে নেই।’’
অন্য দিকে, মৃতার বাবা গুরুপদ নন্দী বলেন, ‘‘আমি কিছুই জানি না। মেয়ের সঙ্গে আমার দীর্ঘ দিন কোনও সম্পর্ক নেই। আজ আমাকে থানা থেকে ফোন করেছিল। পুলিশ জানায় যে, আমার মেয়েকে নাকি জামাই খুন করেছে। জামাইয়ের এর আগেও এক বার বিয়ে হয়েছিল।’’
গৃহবধুর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে আরামবাগ হাসপাতালে একই সঙ্গে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।