পুলিশ-পঞ্চায়েতের সামনেই মেয়েকে গুলি করে খুন বাবার! গোয়ালিয়রের ঘটনায় চাঞ্চল্য দেশ জুড়ে
বাংলার জনরব ডেস্ক : নিজের পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চেয়েছিল মেয়েটি বাবার আপত্তি ছিল। বাবা চেয়েছিলেন তার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করুক মেয়ে। এই নিয়ে চলছিল টানাপোড়েন। বিয়ের দিন ঠিক হয় কিছু, বাকি ছিল মাত্র চার দিন। এর মাঝে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও করে নিজের বিয়ে নিয়ে আপত্তির কথা জানিয়েছিলেন ওই তরুণী। সোশ্যাল মিডিয়ার এই ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পরেই বাড়িতে চলে আসে পুলিশ। আর পুলিশের সামনেই নিজের বাবা গুলি করে খুন করল কুড়ি বছরের মেয়েকে।
বাবা যখন মেয়েকে খুন করে ঠিক সেই সময় হতভম্ব দর্শকের ভূমিকায় খোদ পুলিশ এবং গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য। মৃত্যু নিশ্চিত করতে এরপর ওই তরুণীকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেন তাঁরই তুতো ভাই। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের গোয়ালিয়রে।
বিভিন্ন সংবাদমধ্যমে প্রকাশিত তথ্য থেকে জানা যাচ্ছে, বিতর্কের সূত্রপাত ওই তরুণীর বিয়েকে কেন্দ্র করে। একটি ছেলের সঙ্গে বছর ছয়েক ধরে সম্পর্কে জড়িয়েছিলেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে গররাজি থাকলেও পরে বেঁকে বসেন তরুণীর বাবা। অন্যত্র বিয়ে ঠিক করেন মেয়ের। আর তারপরই ওই তরুণী সোশাল মিডিয়ায় একটি ৫২ সেকেন্ডের ভিডিও পোস্ট করেন। সেখানে তাঁকে বলতে শোনা যায়, বাড়ির লোক জোর করে অপছন্দের পাত্রের সঙ্গে তাঁর বিয়ে দিচ্ছে। অথচ তিনি চান ভিকি নামের এক তরুণকে বিয়ে করতে। কিন্তু আপত্তি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এই পরিস্থিতি জানিয়ে তরুণীর দাবি, ”যদি আমার কিছু হয়ে যায়, সেজন্য আমার পরিবার দায়ী থাকবে।” ভিডিওটি সোশাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায়।
পরে তরুণীর বাড়িতে হাজির হয় পুলিশ। ছিলেন পঞ্চায়েতের সদস্যরা। তরুণী জানান, তিনি বাড়িতে থাকতে রাজি নন। কোনও সরকারি হোমে তাঁকে রাখা হোক। অভিযোগ, এরপরই তাঁর বাবা মহেশ গুর্জর মেয়ের বুকে গুলি চালান একটি দেশি পিস্তল থেকে। সঙ্গে সঙ্গে তরুণীর তুতো ভাই রাহুলও গুলি চালান। গুলি লাগে তাঁর কপাল, গলা, চোখ ও নাকের মধ্যবর্তী স্থানেও। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন তিনি। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়।
পুলিশ মহেশকে গ্রেফতার করেছে। কিন্তু পলাতক রাহুল। তাঁর সন্ধানে শুরু হয়েছে তল্লাশি। পুরো বিষয়টিই খতিয়ে দেখছে পুলিশ। তরুণীর সোশাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টও খুঁটিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা যাচ্ছে।