সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্লবর্মনের জন্মদিন পালন
মোহাম্মদ সাদউদ্দিন, কলকাতা : গত ২ জানুয়ারি ২০২৫ নববর্ষের দিন ছিল মহান সাহিত্যিক অদ্বৈত মল্লবর্মনের ১১১তম জন্মদিন। শ্রদ্ধার সঙ্গে তার জন্মদিন পালন করল সর্বভারতীয় বাংলা ভাষা মঞ্চ। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতীয় সংহতি সংসদে ঐদিন বিকেলে অদ্বৈত মল্লবর্মনকে নিয়ে একটি আলোচনা চক্রও হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলা ভাষা মঞ্চের সম্পাদক নীতীশ বিশ্বাস। মূল বক্তব্য পেশ করেন করেন তরুণ গবেষক অনিমেষ হালদার।
অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক উত্তম কুমার বিশ্বাস। অনিমেষ তার বক্তব্যে তুলে ধরেন অদ্বৈত মল্লবর্মনের সাহিত্যিক উৎকর্ষতার বিষয়টি । তিনি বলেন কেবলমাত্র তিতাস একটি নদীর নাম উপন্যাসের লেখক নন, অদ্বৈত মল্লবর্মন ছিলেন সাংবাদিক ,লোক সাহিত্য গবেষক ও এক মরমী কথাসাহিত্যিক । তিনি একজন বহুমুখী প্রতিভা। মাত্র৩৭ বছরের স্বল্প সময়ের জীবনে তিনি তিতাস একটি নদীর নামের মতো মহাকাব্যিক উপন্যাস ছাড়াও আরো ২টি উপন্যাস , ৭টি গল্প, চিত্র কলা বিষয়ক প্রবন্ধ ও কবিতা লিখেছেন। অনুবাদ ও সমাজ গবেষণায় তার অনন্যতা অনস্বীকার্য । তার অকাল মৃত্যুর কারণ তার অত্যন্ত মানব দরদী মন। সূচক বক্তা অধ্যাপক উত্তম বিশ্বাস বলেন সময়ের মাপকাঠিতে নানা বিশ্লেষণ চারিদিকে চোখে পড়লেও অদ্বৈত মল্লবর্মণ বাংলা সাহিত্যের সমাজ জীবনে চিত্রায়নের ছিলেন অনন্য, যা বাংলা সাহিত্যকে ঋদ্ধ করেছে।
সভাপতি বক্তব্যে নীতীশ বিশ্বাস বলেন যদিও অদ্বৈত মল্লবর্মনের জীবনের স্বর্ণ সময়কাল কেটেছে কলকাতায় কিন্তু অদ্বৈত চর্চায় ত্রিপুরার বামপন্থী সরকার যে উজ্জ্বল ধারার সূচনা করেছেন তা দুই বাংলায় অনন্য । যার নেতৃত্বে ছিলেন সেদিনের শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রী কবি অনিল সরকার । যার জন্য ত্রিপুরার মানুষের কাছে অদ্বৈতকে তুলে ধরার জন্য আমাদের কৃতজ্ঞতা সীমা নেই ।অদ্বৈত মল্লবর্মণ তার উপন্যাস নাটক সিনেমা এমনকি তার তিতাস একটি নদীর নাম পৃথিবীর ১৩ টি ভাষায় অনুষ্ঠিত হয়েছে যা বাংলা সাহিত্যকে অন্য মাত্রায় উন্নীত করেছে।
অনুষ্ঠানে আকিঞ্চণ পত্রিকার বইমেলা সংখ্যাটি উদ্বোধন করেন অধ্যাপিকা বাণীদীপা মন্ডল তুলে দেন সমাজসেবী রত্না রায়ের হাতে। উপস্থিত ছিলেন মঞ্চের নেতাকর্মীরা, সমাপ্তি সঙ্গীত করেন অরুণ ভট্টাচার্য।