আন্তর্জাতিক 

Jimmy Carter : শতবর্ষেই চলে গেলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ও নোবেল জয়ী জিমি কার্টার, শান্তি ও মানবতার প্রচারে তিনি বিশ্বজুড়ে প্রশংসিত হয়েছিলেন

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : আমেরিকার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট নোবেলজয়ী ব্যক্তিত্ব জিমি কার্টার পরলোক গমন করেছেন। রবিবার এই প্রবীণ রাজনীতিবিদের নিজের জর্জিয়ার বাড়িতে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ১০০ বছর। তিনি ২০০২ সালে নোবেল পুরস্কার পেয়েছিলেন শান্তির জন্য। বিশ্ব মানবতার কল্যাণে তার অবদানের জন্য তিনি প্রশংসা লাভ করেছিলেন। ২০১৫ সাল থেকে তিনি ব্রেন ক্যান্সারে ভুগছিলেন ২০২৩ সাল থেকে পুরোপুরি শয্যাশায়ী হয়ে যান। চিকিৎসকরা তাকে বাড়িতে রেখে চিকিৎসা করছিলেন রবিবার তিনি মৃত্যুবরণ করলেন।

প্রবীণ এই ডেমোক্র্যাট নেতা আমেরিকার জর্জিয়া প্রদেশেই জন্ম। প্রথম জীবনের তিনি কৃষক হিসাবে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন মূলত বাদাম চাষ করতেন। পরে জর্জিয়ার গভর্নর পদে নিযুক্ত হন তিনি। সেখান থেকে শামিল হন হোয়াইট হাউসের দৌড়ে। জিমির পুত্র চিপ কার্টার একটি বিবৃতিতে বলেন, ‘‘শুধু আমার কাছেই নয়, শান্তি, মানবিকতা এবং নিঃস্বার্থ ভালবাসায় যাঁরা বিশ্বাস রাখেন, তাঁদের সকলের কাছেই আমার বাবা ছিলেন হিরো।’’

আমেরিকার সবচেয়ে বেশি বয়সি প্রেসিডেন্ট ছিলেন জিমি। ব্রেন ক্যানসারে ভুগছিলেন। ২০১৫ সালে তাঁর এই রোগ ধরা পড়েছিল। তার পরেও যে তিনি আরও ন’বছর পার করে শতবর্ষ স্পর্শ করবেন, অনেকেই ভাবতে পারেননি। কিন্তু সমস্ত বাধা অতিক্রম করে জীবনের পথে এগিয়েছেন জিমি।

আমেরিকার প্রেসিডেন্টের কুর্সিতে থাকাকালীন জিমির একাধিক কাজ প্রশংসিত হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। মানবতা এবং সামাজিক অধিকারে জোর দিতেন তিনি। ইজ়রায়েল এবং মিশরের মধ্যে শান্তিস্থাপনেও সক্ষম হয়েছিলেন। তবে খনিজ তেল সমস্যা-সহ একাধিক বিষয়ে তাঁর সরকার সমালোচিতও হয়েছে বার বার। তাঁর মৃত্যুতে বিশ্বের বিভিন্ন নেতা শোক প্রকাশ করেছেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ