বেআইনিভাবে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে আমেরিকায় পাঠাতে সক্রিয় এদেশে ৩৫০০ এজেন্ট এর মধ্যে ১৭০০ গুজরাটের দাবি ইডির
বাংলার জনরব ডেস্ক : বেআইনিভাবে ভারতীয়দের আমেরিকায় পাঠানোর জন্য আমাদের দেশে একটি বিশেষ চক্র সক্রিয় রয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে যুক্ত আছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের ৩৫০০ এজেন্ট এদের মধ্যে ১৭০০ এজেন্ট হলো গুজরাট রাজ্যের। এই বেআইনি চক্রের বিরুদ্ধে গুজরাটের এক আদালতে মামলা হয় মামলার ফলে আদালতের নির্দেশে এই চক্রের বিরুদ্ধে তদন্তে নামে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা এজেন্সি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর। তারা জানতে পেরেছে সারাদেশে সক্রিয় ৩৫০০ এজেন্ট কমপক্ষে ৫৫ থেকে ৬০ লক্ষ টাকা নিয়ে আমেরিকায় বেআইনিভাবে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়। প্রথমে এই এজেন্টরা কানাডার কোন কলেজে যাকে নিয়ে যাবে তাকে ভর্তি করে দেয় বা ভর্তি না করে কানাডা থেকে স্টুডেন্ট ভিসা নিয়ে নিয়ে এইসব ছেলেদের কানাডায় নিয়ে যায়। সেখানে যাওয়ার পর কলেজে না ভর্তি করে তাদেরকে সীমান্ত পার করে আমেরিকায় পাঠিয়ে দেয় এই সকল এজেন্টরা।
২০২২ সালের ১৯ জানুয়ারি কানা়ডা-আমেরিকা সীমান্তে চার ভারতীয়ের মৃত্যু হয়। তাঁরা একই পরিবারের বাসিন্দা। বাড়ি ছিল গুজরাতের একটি গ্রামে। অবৈধ ভাবে সীমান্ত পার করতে গিয়ে কনকনে ঠান্ডায় মৃত্যু হয় তাঁদের। ওই ঘটনায় গুজরাতের আমদাবাদে মামলা রুজু হয়। মূল অভিযুক্ত হিসাবে উঠে আসে ভবেশ অশোকভাই পটেলের নাম। আমদাবাদ পুলিশের রুজু করা মামলার প্রেক্ষিতে আসরে নামে ই়ডিও। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত আর্থিক দুর্নীতির তদন্তে একটি পৃথক মামলা রজু করে ইডি।
সম্প্রতি এই মামলার তদন্তে মুম্বই, নাগপুর, গান্ধীনগর এবং ভদোদরার আটটি জায়গায় হানা দেন ইডির আধিকারিকেরা। তাতে মুম্বইয়ের দু’টি সংস্থা এবং নাগপুরের একটি সংস্থার এই অবৈধ চক্রের সঙ্গে যোগ পাওয়া গিয়েছে বলে দাবি তদন্তকারীদের। ইডির দাবি, এই চক্রের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে প্রায় সাড়ে তিন হাজার এজেন্ট জড়িয়ে রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ১৭০০ জন এজেন্ট শুধুমাত্র গুজরাতেই রয়েছেন। এদের মধ্যে অন্তত ৮০০ সক্রিয় এজেন্ট রয়েছেন।