জেলা 

পদযাত্রার পঞ্চম দিনে গর্জন সমাবেশে সামিল হওয়ার আশ্বাস তারানগরের ক্ষতিগ্রস্তদের

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : ফারাক্কা থেকে লালগোলা প্রায় ১০০ কিলোমিটারের সপ্তাহব্যাপী নদী ভাঙ্গন পদযাত্রার পঞ্চম দিনে দেখা গেল ব্যাপক মানুষের উৎসাহের সহিত যোগদান। আজকে পথযাত্রার শুভ সূচনা হয় রঘুনাথগঞ্জ থানার অন্তর্গত পুঠিয়া মোড় থেকে। সূচনা লগ্নে পুঠিয়া মোড়ে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম ভাঙ্গনের কথা উল্লেখ করতে গিয়ে সরকারকে বিশেষভাবে দায়ী করেন। এটা উল্লেখ করেন যে ভারতবর্ষের বিভিন্ন বড় বড় শহরগুলো নদীকে কেন্দ্র করেই গড়ে উঠেছে অথচ সেগুলো সরকারের উপযুক্ত ব্যবস্থাপনায় বিন্দুমাত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় না নদীর জন্য। এছাড়াও ভারতবর্ষের প্রযুক্তি এতটাই এগিয়েছে যেখানে নদীর তলদেশ দিয়ে মেট্রোরেল চালিত হচ্ছে তবে নদী ভাঙ্গন কেন প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে না বলে তিনি আওয়াজ তোলেন।

পুঠিয়ামোড় থেকে পদযাত্রা শুরু হলে রাজ্য নেতৃত্ব ও উত্তর মুর্শিদাবাদ জেলা নেতৃত্ব ও কর্মীরা সামিল হন পদযাত্রায়। শিশুর মোড়, বড়জুমলা, গোধনচক,ময়া,পোন্ডিতপুর,বখরপুর,সেখালিপুর,লাটাতলা, ও ভাঙ্গন কবলিত এলাকা তারানগরের উপর দিয়ে বাদপুল গিয়ে পদযাত্রা সমাপ্তি হয়। তারানগরে প্রবেশের সাথে সাথেই ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষরা ফুলের মালা দিয়ে বরন করে নেন রাজ্য ও লালগোলা বিধানসভা নেতৃত্বকে, নেতাদের সম্মুখে উপস্থাপনা করেন নিজেদের যন্ত্রণা। পাশাপাশি ১৪ ডিসেম্বর গর্জন সমাবেশে সামিল হওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

Advertisement

দুপুরের খাবার ক্যাম্পে থাকা ক্ষতিগ্রস্তদের সাথেই খাওয়ার পর রাজ্য সাধারণ সম্পাদক হাকিকুল ইসলাম তাঁদের আশ্বাস দেন যেকোনো মূল্যে তাঁদের উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ ও পুনর্বাসনের জন্য এসডিপিআই সংগ্রাম চালিয়ে যাবে। পঞ্চম দিনের এই পদযাত্রায় নাটাতলার চাওয়াপাড়ায় বিএসএফ দ্বারা মর্মান্তিকভাবে আক্রান্ত আসলাম সেখ-এর বাড়িতে যান রাজ্য নেতৃত্ব, গ্রামবাসীর সম্মুখে বিএসএফ-এর নির্যাতনের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীকে সচেতন ও আন্দোলন গড়ে তুলতে আলোচনা রাখেন রাজ্য সহ সভাপতি মোঃ সাহাবুদ্দিন। তিনি আহবান করেন ১৪ ডিসেম্বর লালগোলা এম এন অ্যাকাডেমি ময়দানে আয়োজিত গর্জন সমাবেশে সামিল হওয়ার।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ