দেশ 

স্থায়ী আমানত থেকে ব্যাংক কেন টাকা কাটলো? জানতে চেয়ে বেধড়ক মার ম্যানেজারকে গুজরাটের ঘটনায় অস্বস্তিতে মোদি শাহ

শেয়ার করুন

বাংলার জনরব ডেস্ক : মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে সাধারণ নাগরিকদের ওপর যেভাবে কর চাপিয়ে দিচ্ছে তাতে নাজেহাল হয়ে উঠেছে আমজনতা। ব্যাংকে টাকা রাখলে টাকা কাটা হবে ব্যাংকে টাকা না রাখলে টাকা কাটা হবে। এটিএম ব্যবহার করলে টাকা কাটা হবে চেক ব্যবহার করলে টাকাটা হবে এমনকি ফিক্স ডিপোজিট অর্থাৎ স্থায়ী আমানতে টাকা জমা রাখলে সেখান থেকেও কর হিসাবে কেটে নেওয়া হচ্ছে। এতে আমজনতা যার পর নয় বিরক্ত। ব্যাংকিং ব্যবস্থার উপরে আমজনতার আস্তা উঠে যাচ্ছে।

এই টাকা কেটে নেওয়ার ফলে যত রাগ গিয়ে পড়ছে ব্যাংকের কর্মচারীদের উপরে অথচ ব্যাংকের কর্মচারীরা এর জন্য দায়ী নয়।। এর জন্য দায়ী হচ্ছে মোদী সরকার এবং তাদের সিদ্ধান্ত। এরকম একটি ঘটনা দেখা গেল নরেন্দ্র মোদী ও অমিত শাহ এর রাজ্য বলে খ্যাত গুজরাটের আহমেদাবাদ শহরে। সেখানে এক ব্যক্তির স্থায়ী আমানত থেকে কর হিসাবে টাকা কেটে নেওয়ার মেসেজ পাওয়ার পর ওই ব্যক্তি ব্যাংকে এসে ম্যানেজারকে বেধড়ক মারতে থাকে। সেই মারধরের ছবি ভিডিও হিসাবে ভাইরাল হয়ে যায় যদিও এই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বাংলার জনরব।

Advertisement

ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, টাকা কাটার মেসেজ যাওয়ার পর ওই যুবক ব্যাংকে এসে জানতে চান কেন টাকা কাটল? সে নিয়ে বেশ খানিক ক্ষণ ম্যানেজারের সঙ্গে তর্কাতর্কি করলেন তিনি। কিছু ক্ষণ পরই শুরু হল ‘যুদ্ধ’। অভিযোগ, টাকা ফেরত চেয়ে ব্যাঙ্কের ম্যানেজারকে ধরে চড়-থাপ্পড়, ঘুষি মারেন ওই গ্রাহক। কিছু ক্ষণ পড়ে পড়ে মার খাওয়ার পর প্রতিরোধে হাত চালালেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজারও। মারামারি থামাতে কার্যত বেগ পান ব্যাঙ্কে উপস্থিত বাকিদের। ঘটনাটি ঘটেছে গুজরাতের আমদাবাদে ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের একটি শাখায়। ভাইরাল হয়েছে মারামারি এবং কথা কাটাকাটির ভিডিয়ো।

৪৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে, দুই ব্যক্তি একে অন্যের জামার কলার ধরেছেন। দু’জনেই উত্তেজিত। চলছে প্রবল কথা কাটাকাটি। তাঁদের মধ্যে এক জন ইউনিয়ন ব্যাঙ্কের সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার, অন্য জন গ্রাহক। ম্যানেজারকে ধরে চড় মারতে দেখা যায়।

গ্রাহককে। এমনকি মাথায় চাঁটিও মারেন। চুল ধরে ঝাঁকান। পাল্টা ম্যানেজার তাঁকে মারধর করেন। দু’জনকে থামাতে গিয়ে ঘাম ছুটে যায় অন্যদের। এক মহিলা ব্যাঙ্ককর্মী কেঁদে ফেলেন। তিনি সকলকে থামতে অনুরোধ করেন। অন্য দিকে, পিছন থেকে এক বৃদ্ধা চিৎকার করে ছেলে (গ্রাহক)-কে চলে আসতে অনুরোধ করেন। কিন্তু কেউই সহজে থামেননি। এমনকি ম্যানেজারকে ছেড়ে আরও এক ব্যাঙ্ককর্মীকে মারধর করেন ওই যুবক।

একই রকমের একটি ঘটনা ঘটেছে বিহারের পটনায়। সেখানকার একটি ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ চাইতে গিয়েছিলেন এক গ্রাহক। কিন্তু ‘সিবিল স্কোর’ কম থাকায় তাঁকে ঋণ দেওয়া সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দেন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার। কিন্তু তা শুনতে রাজি হননি ওই গ্রাহক। তিনি ম্যানেজারকে হুমকি দিতে শুরু করেন। ব্যাঙ্কের ভিতর চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ