অন্যান্য 

শিশু দিবস ও আগামী দিনে শিশুদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিয়ে একটি পর্যালোচনা/ অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেয়ার করুন

অর্পণ বন্দ্যোপাধ্যায় :  ১৪ নভেম্বর দিনটি ভারতবর্ষে ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, ভারতবর্ষের প্রথম প্রধানমন্ত্রী তথা স্বাধীনতা আন্দোলনের অন্যতম রূপকার জহরলাল নেহেরুর জন্মদিন সারা বিশ্ব জুড়ে এই দিন সারম্বরে পালিত হয়। শিশুদের প্রতি তার অমোঘ প্রেম ও স্নেহ কে স্মরণে রেখে আজকের দিনটিকে ভারতবর্ষে শিশু দিবস হিসেবে পালন করা হয়। কিন্তু বর্তমানে যেদিকে সমাজ যাচ্ছে সেদিক প্রত্যক্ষ করে দেখা যায় সব থেকে আক্রান্ত আমাদের সমাজে এই তরুন কিশলয়দের ভবিষ্যৎ পড়াশোনা খেলাধুলা করার সময় ঠিক তখনই এক অলিখিত মানসিক চাপ অভিভাবকেরা তাদের ওপর চাপিয়ে দিচ্ছে যার ভারে ভারাক্রান্ত হয়ে শিশুরা অনেক সময় বেছে নিচ্ছে অন্ধকারের রাস্তা।

কিছুদিন আগে একটি সমীক্ষায় দেখা গেছে যে বাবা মায়েরা ছোট ছোট সন্তানদের খাওয়ানোর জন্য হাতে মোবাইল ফোন দিয়ে দিচ্ছে সেই সমস্ত শিশুরাই পরবর্তীকালে মোবাইলে এতটাই আসক্ত হয়ে পড়ছে সে অতি অল্প বয়সেই তাদের ব্রেনের নার্ভ ক্রমশ শুকিয়ে যাচ্ছে যার ফলে বিকশিত হচ্ছে না মস্তিষ্কের গঠন, এবং এই সমস্ত শিশুরাই পরবর্তীকালে আসক্ত হচ্ছে মোবাইলের বিভিন্ন অন্ধকার দিকগুলিতে। বর্তমানে তরুণ প্রজন্মের পর্ন আসক্তির পরিমাণ প্রায় ৬৫ শতাংশ যা তাদেরকে অনেক ক্ষেত্রেই ভুল জীবনের পথে চালিত করছে। বর্তমান কালে শিশুরা অনেক অল্পবয়সেই শৈশব থেকে দূরে সরে যাচ্ছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এর জন্য অনেক কারণ কে দায়ী করেছে যেমন nuclear family, মা বাবার সান্নিধ্যে থেকে বঞ্চিত হওয়া প্রভৃতি যার ফলে শিশুরা নিজেদের যে একাকিত্বের জগৎ গড়ে তুলছে তা মনস্তাত্ত্বিক বিকাশের পক্ষে অত্যন্ত ভয়ংকর বলে মনোবিদেরা মনে করছেন। তাই মনে রাখতে হবে শৈশব হল নরম কাদা মাটির মতো তাকে আমরা অভিভাবকেরা যে ভাবে গড়ে তুলবো, শিশুদের মনস্তাত্ত্বিক বিকাশ সেই ভাবে গড়ে উঠবে। তাই আমাদের কয়েকটি দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে, শুধুমাত্র প্রতিযোগিতার দৌড়েই তরুণ সমাজকে চালিত করলে চলবে না তাদেরকে আপন সংস্কৃতি, সংস্কার ও দেশের সঙ্গে পরিচিত করতে হবে, বয়স বাড়ার সাথে সাথে সহজাতভাবেই প্রতিযোগিতা তাদের মধ্যে আসবে।

Advertisement

কিন্তু প্রতিযোগিতা ও প্রযুক্তির অন্ধকারে সেই দিকে লক্ষ্য রাখাটা আজকের দিনে ভীষণ প্রয়োজন হয়ে দাঁড়িয়েছে।কারণ ভারতবর্ষের প্রায় চল্লিশ শতাংশ অপরাধপ্রবণ কার্যকলাপে দেখতে পাওয়া যাচ্ছে শিশুদের নাম উঠে আসছে, ডুবে যাচ্ছে মাদক নেশার অন্ধকারে যা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক তাই শিশুদের সহজাত প্রবৃত্তিতে গড়ে উঠতে দিতে হবে। দিতে হবে শিক্ষার সঠিক পাঠ তাহলেই আগামী দিনে এই শিশুরা সমাজের গ্রহণযোগ্য দায়িত্ববান ও উৎপাদন ক্ষম সদস্য হয়ে উঠবে।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ