বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস করলে , হবে না ধর্ষনের মামলা সুপ্রিম কোর্টের ঐতিহাসিক রায়
বাংলার জনরব ডেস্ক : সুপ্রিম কোর্ট আবার এক ঐতিহাসিক রায় দিল । আজ সুপ্রিম কোর্টেরবিচারপতি একে সিক্রি ও এস আব্দুল নাজিরের বেঞ্চ জানিয়েছে, যদি কোনও মহিলা ও পুরুষ পরস্পরকে ভালবেসে একসঙ্গে বসবাস করে এবং সম্মতিক্রমে যৌন মিলন হয়, তাহলে পরিস্থিতির চাপে সেই সঙ্গীর সঙ্গে বিয়ে না হলেও ধর্ষণের মামলা করা যাবে না। সেক্ষেত্রে প্রতিশ্রুতি ভাঙার মামলা হতে পারে, কিন্তু ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাস ও ধর্ষণের মামলা দায়ের করা যাবে না।
বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মামলার কথা প্রায়ই শোনা যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, লিভ–ইনে থাকার পর বিয়ে না হলে ধর্ষণের মামলা দায়ের হয়। তবে, এবার থেকে ধর্ষনের মামলা আর করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট । এই রায়কে ঐতিহাসিক বলে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে ।
মামলার বিবরণে জানা যাচ্ছে , মহারাষ্ট্রের এক চিকিৎসকের বিরুদ্ধে এক নার্স এ ধরনের অভিযোগ করেছিল । যে তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষন করা হয়েছে । এই মামলার শুনানীতে জানায়, অভিযোগকারী নার্স নিজের ইচ্ছেতে ওই চিকিৎসকের সঙ্গে সহবাস করতেন। তিনি নিজেও স্বীকার করেছেন, একাকীত্ব থেকে ওই চিকিৎসকের প্রেমে পড়েন তিনি এবং একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেন।পরবর্তীতে চিকিৎসক অন্য মহিলাকে বিয়ে করেন। এরপরই অভিযোগ দায়ের করেন ওই নার্স। তবে তাঁকে জোর করে ধর্ষণ করেনি ওই চিকিৎসক। দু’জনের মতেই শারীরিক সম্পর্ক তৈরি হয়েছিল।
শীর্ষ আদালতের মতে, ‘ধর্ষণ এবং সম্মতিসূচক যৌন সম্পর্কের মধ্যে যথেষ্ট ফারাক রয়েছে।’ এক্ষেত্রে আদালতকে বুঝতে হবে যে, ওই পুরুষ সঙ্গী কোনও বিশেষ কারণে বিয়ে করতে অক্ষম নাকি শুধুমাত্র যৌন লালসা চরিতার্থ করার জন্যই বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিনের পর দিন সহবাস করেছিল।
ওই চিকিৎসক শারীরিক বা মানসিক বল প্রয়োগ করে তাঁকে লিভ ইন করার জন্যে বাধ্য করেননি। ফলে তাঁকে বিয়ে না করে অন্য কোনও মহিলাকে বিয়ে করার জন্যে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ আনা যায় না।