ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বৈধ নয় বলে পুলিশ আধিকারিকের ফোন তারপর ৯ লাখ টাকা উধাও !
বিশেষ প্রতিনিধি : পুলিশ আধিকারিক এর পরিচয় দিয়ে ব্যাংক থেকে ৯ লাখ টাকা লুট। বর্ধমানের রানীগঞ্জের ঘটনায় চাঞ্চল্য রাজ্যজুড়ে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রানিগঞ্জের আনন্দপল্লির বাসিন্দা বিশ্বজিৎ নায়ক। গত ৪ নভেম্বর আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার থানায় প্রতারণ অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই ব্যক্তি।
অভিযোগ বিশ্বজিৎ জানিয়েছেন, বেশ কিছু দিন আগে একটি অপরিচিত নম্বর থেকে তাঁর কাছে ফোন আসে। সেখানে এক ব্যক্তি তাঁকে পুলিশ আধিকারিক পরিচয় দেয়। ওই ব্যক্তি জানায়, বিশ্বজিৎবাবুর কাছে যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে, সেটি বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নয়। তারপরে ওই ব্যক্তি ফোন সাইবার থানার আধিকারিককে ট্রান্সফার করা হচ্ছে বলে জানান। এরপরে ফোনের ওপাশে থাকা অন্য এক ব্যক্তি সাইবার থানার পুলিশ আধিকারিক হিসাবে বিশ্বজিৎবাবুকে পরিচয় দেয়।
সেখানে ওই ব্যক্তি বিশ্বজিৎকে জানায়, তিনি অবৈধ অ্যাকাউন্ট রেখেছেন। তাই এটি জাতীয় স্তরের বড় ধরনের বিষয় হয়ে উঠতে পারে। যে কোনও মুহূর্তে তিনি গ্রেফতার হয়ে যেতে পারেন। এতেই ভয় পেয়ে যান বিশ্বজিৎ। তারপরে বিভিন্ন নম্বর থেকে পুলিশ আধিকারিকের পরিচয় দিয়ে একাধিকবার ফোন এসেছিল বিশ্বজিতের কাছে। হোয়াটসঅ্যাপেও কল করা হয়। এই ভাবে লাগাতর ভয় দেখিয়ে বিশ্বজিতের তিন অ্যাকাউন্ট থেকে ২১ বারে মোট ৯ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় ওই চক্র। পরে বিশ্বজিৎ বুঝতে পারেন তিনি সাইবার অপরাধীদের খপ্পরে পড়েছেন। গত ৪ নভেম্বর অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে ।
কয়েকদিন আগে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (সদর) অরবিন্দ কুমার আনন্দ এক সাংবাদিক সম্মেলনে ভুয়ো ফোন কল নিয়ে সাধারণ মানুষকে সচেতন হওয়ার বার্তা দিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ বা প্রশাসন যতই তৎপর হোক না কেন সাইবার প্রতারণা চক্র ফাঁদ পাতার ধরণও বদল করছে। এতেই মানুষ প্রতারিত হচ্ছে।