আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাষ্টের উদ্যোগে রাজ্যের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের স্টেম স্কলারশিপ বিতরণ
বিশেষ প্রতিনিধি: শনিবার, ২রা নভেম্বর, ২০২৪ তারিখে সকাল ১০-০০টায় কোলকাতার পার্কসার্কাস শেক্সপিয়র সরণী হোটেল আইভরি ইন-এ তাজ এণ্ড জাকির সৈয়দ ফ্যামিলি চেরিটেবিল ফাউন্ডেশনের আর্থিক সহায়তায় আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের উদ্যোগে মোহাদ্দাদপুর মিলন একাদশের আয়োজনে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের কৃতী ছাত্র-ছাত্রীদের স্টেম স্কলারশিপ বিতরণ আয়োজন করা হয় ।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন ইউএসএ-এর তাজ এণ্ড জাকির সৈয়দ ফ্যামিলি চেরিটেবিল ফাউন্ডেশনের ফাউন্ডার জনাব তাজ সৈয়দ সাহেব ও সদস্যা মোহতারমা জাকিরা সৈয়দ সাহেবা।বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গ সংখ্যালঘু উন্নয়ন কমিশনের চেয়ারম্যান তথা পূবের কলম পত্রিকার কর্ণধার জনাব আহমদ হাসান ইমরান, মোহাম্মদপুর মিলন একাদশের সম্পাদক সেখ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান, সহ সম্পাদক সেখ ইয়াসিন মোহাম্মদ, মালদা গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের এইচওডি প্রফেসর এম. মেহেদী হাসান, গোবরডাঙ্গা হিন্দু কলেজের প্রফেসর মানাজাত বিশ্বাস, জনসেবা কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির লিমিটেডের কোলকাতা শাখার সভাপতি গোলাম মোহাম্মদ লাডলা, আমানত ফাউন্ডেশন ট্রাস্টের চেয়ারম্যান মুহাম্মাদ শাহ্ আলম ও সেক্রেটারি জালালউদ্দিন আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট কো- অর্ডিনেটর সাহিদ হোসেন সিদ্দিকী, মাওলানা রাকিব হক, শতাধিক মেধাবী কৃতি ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকগণ।
বীরভূম জেলার জুওলজি পাঠরত পিএইচডি ছাত্রী নুরুন্নিসা খাতুন ও মাওলানা রাকিব হকের কুরআন পাঠ ও বাঙলায় তরজমার পর সভা সূচিত হয়। জালালউদ্দিন আহমেদ সাহেব ইসলামের ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করেন ও কিভাবে আল্লাহ্র হক আদায় করতে হবে তা ব্যাখ্যা করেন । তিনি স্কলারশিপ বিতরণের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। তিনি আরও বলেন, রাজ্যের কৃতী ছাত্রছাত্রীরা যাতে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে, তার জন্য স্কলারশিপ প্রদান করা, এর মাধ্যমে বহু পড়ুয়ারা উপকৃত হচ্ছে ও শিক্ষার মান উন্নয়ন হচ্ছে। তাজ সৈয়দ সাহেব স্টেম স্কলারশিপ প্রদানের উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন। সব শ্রেণীর মানুষের মধ্যে শিক্ষা প্রসারের মাধ্যমে সমাজ উন্নয়নের কথা বলেন। তাঁর কথায় শিক্ষার কোন বয়স নেই। সবার জন্য শিক্ষা দরকার। শিক্ষা শুধু নম্বরের ভিত্তিতে অথবা ডিগ্রির মাধ্যমে নয়। তিনি বলেন, মানুষ হওয়ার লক্ষ্যে প্রকৃত শিক্ষা অর্জন করে তা সমাজের জন্য কাজে লাগাতে হবে।
জনাব আহমদ হাসান ইমরান মুহাম্মদপুর মিলন একাদশের কাজের প্রশংসা করেন । তিনি বলেন খিদমতে খাল বা সৃষ্টির সেবা করা দরকার, এটা বড় ইবাদত । মানুষ নিজেদের দায়িত্ব ভুলে গিয়েছে তাই অনাচার বেড়ে গিয়েছে বলে উল্লেখ করেন ইমরান ।সংখ্যালঘু কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি কি কি ব্যবস্থা নিচ্ছেন সে সম্পর্কেও আলোচনা করেন। জনাব সেখ মুহাম্মাদ কামারুজ্জামান সাহেব কেন এই রাজ্যে স্টেম স্কলারশিপ প্রদানের প্রয়োজন তা তার বক্তব্যের মাধ্যমে তুলে ধরেন। প্রফেসর এম. মেহেদী হাসান ক্যরিয়ার গাইডেন্স নিয়ে আলোচনা করেন। জনাব মানাজাত বিশ্বাস সাহেব তার বক্তব্যের মাধ্যমে ছাত্র ছাত্রীদের অনুপ্রাণিত করেন। তারা যেন জীবনের উন্নতির শিখরে পৌছায় এবং বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করে।মোহাম্মদ শাহ আলম সাহেব ছাত্র ছাত্রীদের উচ্চশিক্ষা অর্জন
করে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হবার পর দুস্থ মানুষদের পাশে দাঁড়ানোর কথা বলেন। তাঁর হৃদয়স্পর্শী বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পরিচমাপ্তি ঘটে। এদিন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ২৫ জন কৃতী ছাত্রছাত্রীদের হাতে স্কলারশিপ চেক, সার্টিফিকেট ও অনুবাদকৃত কোরআন তুলে দেন বিশিষ্টজনেরা।হোটেল আইভরি ইন-এ আয়োজিত সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন জালালউদ্দিন আহমেদ।