কালীপুজোর রাতে নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়ে আক্রান্ত তৃণমূল বিধায়ক
বিশেষ প্রতিনিধি : তৃণমূল কর্মীদের হাতেই নিগৃহীত হলেন উত্তর চব্বিশ পরগনার মিনাখার তৃণমূল বিধায়ক ঊষা রানী মন্ডল। জানা গেছে বৃহস্পতিবার রাতে কালীপুজোর এক নিমন্ত্রণে তিনি হাড়োয়ার একজনের বাড়িতে এসেছিলেন। সেই সময় তার ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। আর এই হামলা চালানোর অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের হাড়োয়া পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আব্দুল খালেক মোল্লা ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে এই ঘটনায় ঊষারানি মন্ডল চোট পেয়েছেন। একই সঙ্গে আহত হয়েছেন তার বেশ কয়েকজন অনুগামী।
জানা গিয়েছে, এদিন রাতে মিনাখাঁ থানায় কালীপুজোর নিমন্ত্রণ রক্ষা করতে গিয়েছিলেন ঊষারানি ও তাঁর স্বামী। আক্রান্ত বিধায়কের দাবি, ফেরার সময় তাঁদের গাড়ির ওপর হামলা চালায় আবদুল খালেক মোল্লা ও তাঁর দলবল। প্রায় ২০০ দুষ্কৃতী গাড়ি লক্ষ্য করে ইঁট পাথর ছুড়তে থাকে। এর পর গাড়ি থেকে নামিয়ে তাঁদের মারধর করা হয়। সামনে পুলিশ থাকলেও তারা বিধায়ক বা তাঁর স্বামীকে রক্ষা করার কোনও চেষ্টা করেনি বলে অভিযোগ। হামলায় বিধায়কের পায়ে আঘাত লেগেছে বলে জানা গিয়েছে। সকালে চিকিৎসা করাতে হাড়োয়া গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা করাতে যান।
সেখানে মৃত্যুঞ্জয়বাবু বলেন, থানা থেকে ফেরার সময় হঠাৎ আমাদের গাড়িতে হামলা হয়। আবদুল খালেক মোল্লা দাঁড়িয়ে থেকে হামলা করিয়েছে। প্রথমে গাড়িতে কয়েকটা ইঁট মারে। তার পর বিধায়ককে শাড়ি ধরে টেনে গাড়ি থেকে নামায়। তাঁর পায়ে রডের বাড়ি মেরেছে। পুলিশ দাঁড়িয়ে থেকেও কিছু করেনি। ও বিধায়ককে দল করতে দেবে না।
মিনাখাঁর তৃণমূল বিধায়ক ঊষারানির বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগাযোগ রাখার অভিযোগ ছিল দলের অন্দরে। গত ২৫ মে লোকসভা ভোটের প্রচারে বসিরহাটে এসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন মঞ্চে দেখা যায়নি উষারানিকে। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘যতক্ষণ না পর্যন্ত ক্ষমা চেয়ে পায়ে না ধরবে, ততক্ষণ ঊষারানি মণ্ডলের সঙ্গে আমার কোনও সম্পর্ক নেই। আপনাদের মতো লোক চাই না। আপনি স্বামীকে নিয়ে দলটাকে বেচে দেবেন? এটা আমি মানবো না।’