কলকাতা জেলা 

সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে তরুণের স্বপ্ন প্রকল্পের ৭ লক্ষ টাকা প্রতারণা, তদন্তে পুলিশ

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্বপ্নের প্রকল্প তরুণের স্বপ্ন অর্থাৎ একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার সুবিধার জন্য ট্যাব স্কিম নামে যেটা সরকার চালু করেছিল সেখানেও প্রতারণা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুরে। পূর্ব মেদিনীপুরের চারটি স্কুলের ৭০ জন ছেলে মেয়ের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন করে ৭ লাখ টাকা প্রতারণা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মনে করা হচ্ছে যে সরকারি ওয়েবসাইট হ্যাক করে এই কাজটি করা হয়েছে। আবার একটা মহল মনে করছে এর ভেতরে স্কুলের কেউ যুক্ত রয়েছে।

এই ঘটনায় বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্য সরকার। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ইতিমধ্যেই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।পুলিশ জানিয়েছে, শিক্ষা পোর্টাল হ্যাক করে পূর্ব মেদিনীপুরের ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্ট নম্বর সরিয়ে নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর দিয়ে দিয়েছিল ওই হ্যাকাররা। ফলে, অক্টোবর মাসের গোড়ায় রাজ্য সরকার ছেলেমেয়েদের টাকা ট্রান্সফার করতেই ওই ৭০ জনের বরাদ্দ ৭ লক্ষ টাকা চলে যায় হ্যাকারদের অ্যাকাউন্টে!

Advertisement

সূত্রের খবর, পূর্ব মেদিনীপুরে মোট ৭৮ হাজার ছাত্রছাত্রীকে ট্যাবের টাকা দেওয়া হয়। কিন্তু, চারটি স্কুলের ৭০ জন পড়ুয়া ওই টাকা পায়নি বলে জানায়। অথচ তাদের স্কুলের তরফে বলা হয়, টাকা চলে গিয়েছে। এর পরেই বিষয়টি জানাজানি হয়। দেখা যায়, তাদের বদলে প্রতারকদের বদলে দেওয়া অ্যাকাউন্টে টাকা ঢুকে গিয়েছে।

পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক শুভাশিস মিত্র বলেন, সরকারকে জানানো হয়েছে বিষয়টি। নবান্ন সূত্রের খবর, এই ঘটনার উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, প্রতারকদের অ্যাকাউন্ট ইতিমধ্যেই ব্লক করা হয়েছে।

এই কাজের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের দাবি, তাঁদের পক্ষে আগে থেকে পোর্টালে ঢুকে, সকলের নাম ও অ্যাকাউন্ট নম্বর মিলিয়ে দেখা সম্ভব ছিল না। অ্যাকাউন্টের ডিটেলস না মিললে তো সরকারের তরফেই টাকা ট্রান্সফার হওয়ারই কথা নয়।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ