কলকাতা স্বাস্থ্য 

সিজার করতে গিয়ে কাঁচি ভেঙে দু টুকরো, এসএসকেএমের এই ঘটনায় অস্বস্তিতে স্বাস্থ্য দফতর

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : সিজার করার সময় প্রসূতির পেট কাটতে গিয়ে কাচি ভেঙে যাওয়ার অভিযোগ উঠল এবার কলকাতার সবচেয়ে নামি এবং সুপার স্পেশাল হাসপাতাল এসএসকেএম এর বিরুদ্ধে। আর এই অভিযোগ সামনে এনেছেন ওই হাসপাতালের বিশিষ্ট স্ত্রী রোগ বিশেষজ্ঞ রশ্মি চট্টোপাধ্যায়। যদি সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন এই প্রথম নয় এর আগেও এসএসকেএম হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের সময় ছুরি, কাঁচি ভেঙে যাওয়ার ঘটনা হয়েছে। তিনি এই নিয়ে অপারেশন থিয়েটার (ওটি)-এর দায়িত্বে থাকা সিস্টার-ইন-চার্জকেও মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন। রশ্মির এই পোস্ট সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেছেন জুনিয়র ডাক্তারেরা। তার পরেই সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কেউ কেউ।

রশ্মি জানিয়েছেন, গত মঙ্গলবার, ২২ অক্টোবর এক প্রসূতির সিজার করছিলেন তিনি। তখনই ভেঙে যায় ‘মরচে ধরা’ ওই কাঁচি। তিনি সঙ্গে সঙ্গে ওটির দায়িত্বে থাকা সিস্টার ইন-চার্জকে বিষয়টি জানান। ভেঙে যাওয়া কাঁচি ফেলে নতুন কাঁচি ব্যবহার করে অস্ত্রোপচার করেন। রোগী এবং তাঁর সদ্যোজাত সন্তান সুস্থ রয়েছেন। জুনিয়র ডাক্তার রশ্মির দাবি, এই ঘটনা এসএসকেএমে নতুন নয়। তিনি এখন পিজিটি দ্বিতীয় বর্ষ। এর আগেও তাঁর সামনে অস্ত্রোপচারের সময় কাঁচি, ছুরি ভেঙে গিয়েছে। গত শনিবারই এ রকম একটি ঘটনা হয়েছে তাঁর সামনে। রশ্মির দাবি, একটি কাঁচি ভেঙে দু’টুকরো হয়ে গিয়েছিল সে দিন।

Advertisement

মঙ্গলবারের ঘটনার পর সিস্টার ইন-চার্জকে মৌখিক ভাবে অভিযোগ জানিয়েছেন রশ্মি। তিনি জানিয়েছেন, এর আগে এই ধরনের ঘটনা হলেও এই প্রথম তিনি অভিযোগ জানিয়েছেন। প্রসঙ্গত, জুনিয়র ডাক্তারেরা এই ধরনের সমস্যার স্থায়ী সমাধান চেয়ে আন্দোলন করছেন। অভিযোগ জানানোর পর সিস্টার-ইন-চার্জ কী বলেন? ওই জুনিয়র ডাক্তারের কথায়, ‘‘আমি সিস্টার-ইন-চার্জকে ভাঙা কাঁচি দেখাই। তিনি বলেন আরও অনেকগুলিই ভেঙে গিয়েছে।’’ জুনিয়র ডাক্তারদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য দফতরের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়েছে। তবে তাদের তরফে এখনও যোগাযোগ করা হয়নি।

এই ধরনের কাঁচি দিয়ে অস্ত্রোপচার করা হলে রোগীর কতটা ঝুঁকি থাকে? রশ্মি জানিয়েছেন, ‘‘পেটে আঘাত লেগে যেতে পারে।’’

এই ঘটনা সামনে আসার পর বেশ খানিকটা অস্বস্তিতে পড়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর। কারণ রাজ্যের সবচেয়ে সুপার স্পেশাল হাসপাতালের যদি এই অবস্থা হয় তাহলে অন্যান্য হাসপাতাল গুলি কি পরিষেবা দিচ্ছে তা দিনের আলোর মতোই পরিষ্কার। এর আগে আর জি কর হাসপাতালে গ্লাভস সরবরাহকে কেন্দ্র করে অভিযোগ উঠেছিল রক্তমাখা গ্লাভস সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছিল।

সৌজন্যে ডিজিটাল আনন্দবাজার।

 


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ