ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের অবিচ্ছেদ্য অংশ : সুপ্রিম কোর্ট
বাংলার জনরব ডেস্ক : ধর্মনিরপেক্ষতা ভারতীয় সংবিধানের অপরিহার্য অবিচ্ছেদ্য অংশ বলল দেশের শীর্ষ আদালত। সোমবার সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, এটা সংবিধানের একেবারে প্রাথমিক অংশ। উল্লেখ্য ভারতের সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ অর্থাৎ সেকুলার ও সোসালিস্ট শব্দ দুটি বাদ দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা হয়েছিল। এই প্রসঙ্গেই সুপ্রিম কোর্ট সোমবার এ কথা বলেছে।
বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমার ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রে যে ধারণা সেটা দেশে বছরের পর বছর ধরে প্রচলিত রয়েছে। এটা অত্যন্ত ভারতীয় ধারণা। এর সঙ্গে পাশ্চাত্যের ধারণার একটা বিরাট ফারাক রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে এই দুটি ধারণা সংবিধানের একটা মৌলিক অংশ।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ১৯৯০ সালে অর্থনীতির উদারনীতির পরেও সমাজতান্ত্রিক ধারনার একটা প্রাসঙ্গিকতা রয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, ভারতের ধর্মনিরপেক্ষতার সঙ্গে ফরাসি মডেলের একটা ফারাক রয়েছে।
বিচারপতিদের বেঞ্চের তরফে বলা হয়েছে, ভারতে যে ধরনের ধর্মনিরপেক্ষতা রয়েছে তার সঙ্গে ফরাসি মডেলের একটা ফারাক রয়েছে। পাশ্চাত্যের যে ধারনা রয়েছে তার সঙ্গেও একটা ফারাক রয়েছে।
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, এই আদালতের একাধিক রায় রয়েছে যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে যে ধর্মনিরপেক্ষতা সবসময়ই সংবিধানের যে প্রাথমিক কাঠামো তার অংশ।
এদিকে আবেদনকারীর তরফে বলা হয়েছে, এটা বলা ভুল হবে যে সেকুলারিজম আর সোশ্য়ালিস্ট এই দুটি শব্দকে ব্যবহার করার ব্যাপারে মানুষের খুব সম্মতি ছিল। প্রস্তাবনার দুটি অংশ থাকা দরকার। একটা হল তারিখ সম্বলিত আর অপরটি তারিখ ছাড়া।
আসলে ১৯৪৯ সালের যখন সংবিধানের প্রস্তাবনা আনা হয়েছিল তখন তার সঙ্গে সার্বভৌমত্ব, গণতান্ত্রিক, রিপাবলিক শব্দগুলি ছিল। এরপর ইন্দিরা গান্ধীর সরকার ৪২ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সোশ্য়ালিস্ট আর সেকুলার শব্দ দুটি যোগ করে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সেই সংশোধনীকে চ্যালেঞ্জ জানানো হয়। আবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, জরুরী অবস্থার অন্ধকার অধ্য়ায়ের মধ্য়ে এই দুটি শব্দ যোগ করা হয়েছিল। বেশিরভাগ বিরোধী সদস্যরা যখন জেলে ছিলেন সেই অবস্থাতে এই দুটি শব্দ যোগ করা হয়েছিল। এদিকে আবেদনে বলা হয়েছে যারা ভোটে লড়ছেন তারা ধর্মনিরপেক্ষতার কথা বলেন। আর ভোট চাওয়ার সময় তাঁরা ধর্মের নামে ভোট চান। এটা দ্বিচারিতা। সৌজন্যে বেঙ্গলি হিন্দুস্তান টাইমস।