হরিয়ানায় বিজেপি, জম্মু-কাশ্মীরে জিতলো কংগ্রেস জোট, ফলাফল ১-১
বিশেষ প্রতিনিধি : অপ্রত্যাশিতভাবে প্রায় অর্ধেক আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে হরিয়ানায় বিজেপি। অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে কংগ্রেস এবং ন্যাশনাল কনফারেন্সের জোট বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় ফিরছে। ৮ ই অক্টোবর মঙ্গলবার হরিয়ানা ও জম্মু-কাশ্মীর বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের দিন ছিল। সাংবাদিক ও রাজনৈতিক ভাষ্যকারদের সমস্ত আগাম ভবিষ্যৎ বাণীকে ব্যর্থ করে হরিয়ানায় ভালোভাবেই ক্ষমতায় আসতে চলেছে বিজেপি। ভোট গণনার শুরুতে প্রথম দু ঘন্টায় কংগ্রেস হরিয়ানাতে এমনভাবে এগিয়েছিল যাতে মনে হয়েছিল যে এবার কংগ্রেস ৬০ বেশি আসন পেয়ে হরিয়ানাতে ক্ষমতায় আসতে চলেছে।
হরিয়ানা রাজনীতির সঙ্গে সংযুক্ত সাংবাদিকরাও কয়েকদিন ধরেই বলে আসছিল যে এবারও এখানে কংগ্রেস বিপুল গরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসবে। কিন্তু সমস্ত হিসাব নিকাশ কে ব্যর্থ করে বিজেপি প্রায় অর্ধেক আসন পেয়ে ক্ষমতায় বসতে চলেছে। আর এটা হবে বিজেপির কাছে একটা রেকর্ড কারণ হরিয়ানাতে পর পর তিনবার বিজেপি এককভাবে ক্ষমতায় বসতে চলেছে।
অন্যদিকে জম্মু-কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা বিলোপের পর এই প্রথম নির্বাচন হল। প্রায় ১০ বছর পর এই নির্বাচনকে ঘিরে জম্মু-কাশ্মীরের সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা চরমে ছিল। অনেকেই ভেবেছিলেন জম্মু-কাশ্মীরে এবার কোন দলই সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারবে না। ফলে ঘুরপথে বিজেপি এই রাজ্যে ক্ষমতা দখল করতে পারে। কিন্তু অপ্রত্যাশিত ভাবে ন্যাশনাল কনফারেন্স বিয়াল্লিশটা আসন পেয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছে সেই তুলনায় কংগ্রেস কম পেয়েছে মাত্র ৮ টি আসন পেয়েছে। এর ফলে দুই দলের জোট প্রায় ৫০ টি আসন পেয়ে ক্ষমতায় আসতে চলেছে। সব মিলিয়ে যে সকল রাজনৈতিক ভাষ্যকার রা বলছিলেন যে জম্মু-কাশ্মীর ও হরিয়ানা নির্বাচন মোদির কাছে গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচন কিন্তু তা সেই অর্থে গুরুত্বপূর্ণ হলো না। যদি এই দুটি রাজ্যই বিজেপির হাত ছাড়া হত তাহলে এটা ঠিকই নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী থাকতেন কিনা যথেষ্ট সন্দেহ ছিল। এরপর হরিয়ানা ক্ষমতা দখলের পরেই নরেন্দ্র মোদির ক্ষমতা যে আরো বৃদ্ধি পাবে তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। এরপর রয়েছে মহারাষ্ট্র নির্বাচন ওই নির্বাচনে যদি বিজেপি কোনভাবে ক্ষমতায় আসতে পারে তাহলে আগামী দিনে নরেন্দ্র মোদিকে আটকানোর মত ক্ষমতা রাহুল গান্ধীদের আর থাকবে না।