কলকাতা 

৯৫-ই চলে গেলেন বাঙালির গর্ব মৃণাল সেন

শেয়ার করুন
  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

বাংলার জনরব ডেস্ক : ২০১৮ সালে  একে একে ইহলোক ত্যাগ করেছেন দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়ের মতো কিংবদন্তি গায়ক, নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর মতো সুবিখ্যাত লেখক! সেই তালিকাকে সম্পূর্ণ করেই যেন এ বার ৯৫ বছর বয়সে এসে থেমে গেল নীল আকাশের নীচের স্রষ্টা, আন্তর্জাতিক বাঙালি চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন চলে গেলেন । তিনি অনেক দিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন ।

রবিবার সকাল থেকেই শুরু হয় শ্বাসকষ্টের সমস্যা। অবশেষে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে গেলে শারীরিক কষ্ট থেকে মুক্তি পান এই বর্ষীয়ান বাঙালি ব্যক্তিত্ব। ভবানীপুরের বাড়িতেই সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি। জানা গিয়েছে, তাঁর মরদেহ আপাতত রাখা হবে পিস হাভেনে। একমাত্র সন্তান কুণাল সেন রয়েছেন শিকাগোয়, তিনি ফিরলে  সম্পন্ন হবে শেষকৃত্য।

Advertisement

মৃণাল সেন প্রথম জীবনে একজন সাংবাদিক, একজন ওষুধ বিপননকারী এবং চলচ্চিত্রে শব্দ কলাকুশলী হিসাবে কাজ করেন। ১৯২৩ সালের ১৪ মে মৃণাল সেন বর্তমান বাংলাদেশের ফরিদপুরের একটি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি পড়াশোনার জন্য কলকাতায় আসেন এবং স্কটিশ চার্চ কলেজ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্থবিদ্যা পড়াশোনা করেন। ছাত্রাবস্থায় তিনি কমিউনিস্ট পার্টির সাংস্কৃতিক শাখার সঙ্গে যুক্ত হন। যদিও তিনি কখনও কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য হন নি।

১৯৫৫ সালে মৃণাল সেনের প্রথম পরিচালিত ছবি রাতভোর মুক্তি পায়। এই ছবিটি বেশি সাফল্য পায়নি। তাঁর দ্বিতীয় ছবি নীল আকাশের নীচে তাঁকে স্থানীয় পরিচিতি এনে দেয়। তৃতীয় ছবি বাইশে শ্রাবণ থেকে তিনি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পান। মৃণাল সেন পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলি প্রায় সবকটি বড় চলচ্চিত্র উৎসব থেকে পুরস্কার জয় করেছে। ভারত এবং ভারতের বাইরের অনেক বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে সাম্মানিক ডক্টরেট ডিগ্রি প্রদান করেছে। তিনি ইন্টারন্যাশন্যাল ফেডারেশন অফ দি ফিল্ম সোসাইটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হয়েছিলেন।

১৯৮১ সালে তিনি ভারত সরকার দ্বারা পদ্মভূষণ পুরস্কার লাভ করেন। ২০০৫ সালে তিনি দাদাসাহেব ফালকে পুরস্কার পান। তিনি ১৯৯৮ থেকে ২০০৩ অবধি ভারতীয় সংসদের সাম্মানিক সদস্যপদ লাভ করেন।ফরাসি সরকার তাঁকে কম্যান্ডার অফ দি অর্ডার অফ আর্টস অ্যান্ড লেটারস (Ordre des Arts et des Lettres ) সম্মানে সম্মানিত করেন। এই সম্মান ফ্রান্সের সর্বোচ্চ নাগরিক সম্মান। ২০০০ সালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁকে অর্ডার অফ ফ্রেন্ডশিপ সম্মানে ভূষিত করেন।

 


শেয়ার করুন
  • 2
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  
  •  

সম্পর্কিত নিবন্ধ

Leave a Comment

fifteen − eleven =