বিধানসভার কমিটি থেকে পদত্যাগের পর এবার রাজনীতি ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন রায়গঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী! নেপথ্যে রহস্য?
বিশেষ প্রতিনিধি : প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক তথা বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং বর্তমানে রায়গঞ্জের তৃণমূলের বিধায়ক শ্রীকৃষ্ণ কল্যাণী রাজনীতির ছাড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বিজেপি থেকে তৃণমূলে চলে আসা এই কৃষ্ণ কল্যাণী হঠাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সংকটকালে দল ছাড়ার কথা কেন বলছেন তা নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য রাজনীতিতে জল্পনা শুরু হয়েছে। ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে তিনি বিজেপির প্রার্থী হিসাবে রায়গঞ্জ বিধানসভা থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এই নির্বাচিত হওয়ার কিছুদিনের মধ্যেই বিজেপি ত্যাগ করে তিনি তৃণমূলের যোগ দেন যদিও তাঁর বিধায়ক পদ খারিজ করা হয়নি। তারপর ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদান এবং রায়গঞ্জ লোকসভা কেন্দ্রে প্রার্থী হন। কিন্তু বিজেপি প্রার্থীর কাছে তিনি পরাজিত হন।
এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হওয়ার সময় রায়গঞ্জ বিধানসভার বিধায়ক পদে ইস্তফা দেন। ফলে লোকসভা নির্বাচনের পরে বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় তৃণমূল প্রার্থী হিসাবে কৃষ্ণ কল্যানী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। বিপুল ভোটের ব্যবধানে তিনি জয় লাভ করেন।
জানা গেছে উত্তর দিনাজপুরের জেলা শাসকের সঙ্গে দ্বন্দ্বের কারণেই তিনি রাজনীতি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছেন। অবশ্য এর আগে তিনি বিধানসভার কমিটির চেয়ারম্যান পদ ছেড়ে দিয়েছেন বলে জানা গেছে। রায়গঞ্জের বিধায়কের অভিযোগ, তিনি দলে থেকে নিজের মতো করে কাজ করতে পারছেন না। জেলাশাসকের বিরুদ্ধে কৃষ্ণের ক্ষোভ প্রকাশ্যে আসার পরেই তাঁর তৃণমূল ছাড়া নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে।
তৃণমূল বিধায়ক ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি কৃষ্ণ কল্যাণী, এক জন জনপ্রতিনিধি। জেলাশাসক হলেন জনগণের সেবক। যদি পরিস্থিতি না বদলায় তা হলে আমি রাজনীতি ছাড়তে বাধ্য হব। আমি কোনও দলের হয়ে আর কাজ করব না। আমি স্বাধীন ভাবে মানুষের পাশে থেকে তাঁদের সাহায্য করতে চাই।”
মঙ্গলবার সমাজমাধ্যমে কৃষ্ণের এই পোস্টটি ঘিরে তৈরি হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতর। এর আগে, গত ২৩ অগস্ট সমাজমাধ্যমে বিধানসভার পিটিশন কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকেও ইস্তফা দেওয়ার কথা লিখেছিলেন কৃষ্ণ। তার পরেই গত ১০ সেপ্টেম্বর সেই পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। এ বার, জেলাশাসকের সঙ্গে বিবাদের কারণে রাজনীতি ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিলেন কৃষ্ণ।