নির্যাতিতার ছবি ও পরিচয় সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ নিয়ে উদ্বিগ্ন প্রধান বিচারপতি নোডাল অফিসার নিয়োগের নির্দেশ কেন্দ্রকে, আরজি করের পরবর্তী শুনানি কবে? শুনানির দিন স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআইকে
বিশেষ প্রতিনিধি : আর জি কর মামলার পরবর্তী শুনানি সুপ্রিম কোর্টে হবে ১৪ই অক্টোবর দুর্গাপুজোর শেষ হওয়ার পরেই এই শুনানি অনুষ্ঠিত হবে বলে আজ প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দিয়েছেন। ঐদিন cbi কে পরবর্তী স্ট্যাটাস রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলে সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে।
আজ, সোমবারের শুনানিতে দ্বিতীয় স্ট্যাটাস রিপোর্ট সুপ্রিম কোর্টে জমা দেয় সিবিআই। নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে সেই রিপোর্টে উল্লেখ ছিল। তা দেখে প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় প্রশ্ন তোলেন, ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল?
তবে এই রিপোর্ট খতিয়ে দেখে প্রশ্নও তোলেন বিচারপতি। তিনি জানান, নির্যাতিতার চোখে গুরুতর আঘাত লেগেছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে। ঘুমন্ত অবস্থায় কীভাবে এটি হল? এর উত্তরে সলিসিটর জেনারেল জানান, চশমা না খুলেই ঘুমোনোর জন্য এই আঘাত লেগেছে।
এদিন দুপুরে সুপ্রিম কোর্টে আরজি কর মামলার চতুর্থ শুনানি শুরু হয়। প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জেবি পার্দিওয়ালা এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের ডিভিশন বেঞ্চ ফের ওই ঘটনার বিভিন্ন দিক খতিয়ে দেখেন। শুনানিতে ৪২টি পক্ষের ২০০-র বেশি আইনজীবী অংশ নেন।
চিকিৎসকদের নিরাপত্তা, সাগর দত্ত হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার আক্রান্ত হওয়ার ঘটনা থেকে শুরু করে একাধিক বিষয় ওঠে আদালতে। দ্বিতীয় স্টেটাস রিপোর্ট জমা দেয় সিবিআই। তা দেখেই নির্যাতিতার চোখের আঘাত নিয়ে প্রশ্ন তোলেন চন্দ্রচূড়।
পাশাপাশি, এদিনের শুনানিতে নাম ওঠে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞ দেবাশিস সোমেরও। নির্যাতিতার ময়নাতদন্তের প্রধান চিকিৎসক ছিলেন তিনিই। তাঁকে সন্দীপ ঘোষের ঘনিষ্ঠ বলেও চেনেন সকলে। তাঁকে কেন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়নি সে নিয়ে আদালতে প্রশ্ন উঠলে আইনজীবীর তরফে তুষার মেটা জানান, ১২ তারিখের আগে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। তার পর থেকে তিনি হাসপাতালে ভর্তি।
এছাড়াও এদিনের মামলায় জুনিয়র ডাক্তারদের তরফের আইনজীবী ইন্দিরা জয়সিং বলেন, ‘এটা সাধারণ খুন ও ধর্ষণের ঘটনা নয়। আমাদের কাছে চার জনের নাম রয়েছে, যাঁরা ঘটনার দিন ক্রাইম সিনে ছিলেন। দু’জনের নাম আমরা সিবিআইকে দিয়েছি।’
পাশাপাশি, সিবিআই তদন্তের স্ক্যানারে নাম আসা, হাসপাতালের ৭ জনকে সাসপেন্ড করার দাবিও জানান তিনি। কারণ তাঁরা তদন্তে প্রভাব খাটাতে পারেন বলে সন্দেহ তাঁর। ডাক্তারদের আইনজীবী করুণা নন্দীর তরফেও একই আবেদন করা হয়।
একইসঙ্গে নির্যাতিতার আইনজীবীর পক্ষ থেকে প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করা হয় যে নির্যাতিতার ছবি যেভাবে সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখানো হচ্ছে তা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। আগের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি এ বিষয়ে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে নির্যাতিতার ছবি তুলে নেওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন কিন্তু সেই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন হচ্ছে না বলে নির্যাতিতার আইনজীবী অভিযোগ করেন এর পরেই প্রধান বিচারপতি তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকে নির্দেশ দেন অবিলম্বে এ বিষয়ে দেখভাল করার জন্য একজন নোডাল অফিসার নিয়োগ করার।