কলকাতা 

মেয়রের ওএসডির বিরুদ্ধে অভিযোগ জানানোর পরেও নীরব কেন পুলিশ?

শেয়ার করুন

বিশেষ প্রতিনিধি : অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের পক্ষ থেকে কলকাতা পৌরসভার মেয়র ফিরহাদ হাকিমের ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামে থানায় অভিযোগ করা সত্ত্বেও এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানা যায়নি। সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম করে বেশ কয়েকজন ব্যক্তির কাছ থেকে টাকা চাওয়া হয়েছে এবং না দিলে হুমকি দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আর এই হুমকি গুলি এসেছে ওএসডি কালীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে বলে অভিযোগ। এই পরিপ্রেক্ষিতে শেক্সপিয়ার থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তিন দিন অতিবাহিত হওয়ার পরেও এ নিয়ে পুলিশের পক্ষ থেকে কোন পদক্ষেপ করা হয়েছে বলে জানা যায়নি।

এদিকে কলকাতা থেকে প্রকাশিত দ্য ওয়াল নিউজ পোর্টালে এ বিষয়ে বিস্তারিত সংবাদ পরিবেশিত হয়েছে। ওই নিউজ পোর্টাল লিখেছে এই নিয়ে দলের মধ্যে একটা সমালোচনা শুরু হয়েছে। শুধু তাই নয় ওই নিউজ পোর্টালের পক্ষ থেকে শেক্সপিয়ার থানার ওসির সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোন উত্তর পাওয়া যায়নি এমনকি টেক্সট মেসেজে উত্তর দেওয়া হয়নি। সবটাই নীরবতা অবলম্বন করা হচ্ছে। ডিসি সাউথের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলেও তারও কোন সুস্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি বলে জানা গেছে।

Advertisement

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ ছাড়াও তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি অভিযোগ দায়ের করার ৭২ ঘণ্টার মধ্যেও পুলিশি তদন্ত না এগোনোয় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে দলের মধ্যেও। রাজ্যের শাসক দলের দ্বিতীয় শক্তিধর নেতা অভিষেক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পরেই তাঁর অবস্থান। অনেকের মতে, অভিষেকের অভিযোগের পরেও যদি তদন্ত বিশেষ না এগোয়, তাহলে কোনও ব্যবসায়ী বা প্রমোটার অভিযোগ করলে আদৌ কি সাড়া পেতেন? সাধারণ মানুষের কাছেই বা এর কী বার্তা যাচ্ছে?

তৃণমূলের এক শীর্ষনেতার কথায়, মেয়র ঘনিষ্ঠ কেউ কেউ এটা চাউর করে দিতে চাইছেন, যে যেহেতু অভিষেক ফিরহাদ হাকিমকে পছন্দ করেন না, তাই এমনটা করেছেন। কিন্তু এটা কোনও যুক্তিই নয়। এ কথা বলে অভিযোগকে লঘুতর করে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। প্রশ্ন হল, কালীচরণের বিরুদ্ধে লাগাতার এবং সুনির্দিষ্ট অভিযোগ না থাকলে কি অভিষেকের মতো রাজনৈতিক উচ্চস্থানে থাকা কোনও নেতা থানায় অভিযোগ করতেন?

এ ব্যাপারে প্রতিক্রিয়া জানতে চাওয়া হলে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘যেখান থেকে অভিযোগ উঠেছে, সেই অফিসের মর্যাদা ও উচ্চতা রয়েছে। আবার যাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, তাঁর পদেরও গুরুত্ব রয়েছে। সুতরাং এ ব্যাপারে পুলিশ ও পুরসভা নিশ্চয়ই তদন্ত করে দেখবে। এর বাইরে আর কোনও মন্তব্য করব না।’


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ