জেলা 

বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী পালন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে

শেয়ার করুন

‌অভিজিৎ হাজরা, আমতা, হাওড়া :- গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়া উত্তর বিধান সভার অন্তর্গত আমতা ১নং ব্লকের সিরাজবাটি চক্রের অন্তর্গত মোল্লারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যাসাগরের ২০৫ তম জন্মজয়ন্তী সাড়ম্বরে পালিত হল। বর্ষণমুখর প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে বিদ্যালয়ের ছাত্র -ছাত্রী, অভিভাবক -অভিভাবিকাদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। এই অনুষ্ঠানে বিদ্যাসাগরের জীবনী, কর্মজীবন, মাতৃভক্তি,দেশভক্তি নিয়ে বক্তব্য রাখেন সাংবাদিক অর্ণব সাউ, বিদ্যালয়ের সহ শিক্ষক সুপ্রীয় কুমার প্রামাণিক,সহ শিক্ষক সুব্রত। উপস্থিত ছিলেন মোল্লারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক তথা হাটাল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিদ্যুৎ মজুমদার প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ।

বিদ্যাসাগরের জন্মজয়ন্তী পালনের পাশাপাশি পালিত হল রান্না পূজা উৎসব। এই উৎসব প্রসঙ্গে মোল্লারচক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ হাজরা বলেন, ” গ্ৰাম বাংলায় ভাদ্র মাসে প্রায় প্রতিটি হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষের বাড়িতে বাড়িতে মা মনসার রান্না পূজা উৎসব হয়।এই রান্না পূজা উৎসব বিদ্যালয়ের যে সমস্ত ছাত্র -ছাত্রীদের বাড়িতে হয়ে থাকে তারা তাদের বন্ধু – বান্ধবীদের তাদের বাড়িতে নিমন্ত্রণ করে খাওয়ায়।যে সমস্ত ছাত্র -ছাত্রীদের বাড়িতে এই রান্না পূজা উৎসব হয় না এবং যে সমস্ত ছাত্র -ছাত্রী অন্যের বাড়িতে এই উৎসবে নিমন্ত্রণ পায় না তাদের মন খারাপ হয়ে যায়।

Advertisement

তারা মন কষ্টে থাকে। তাদের মন কষ্ট দূর করার জন্য আমরা আমাদের বিদ্যালয়ের অন্যান্য শিক্ষক- শিক্ষিকাদের সঙ্গে আলোচনা করে ২০১৮ সাল থেকে বিদ্যালয়ে এই রান্না পূজা উৎসব পালন করে চলেছি।২০১৯ ও ২০২০ করোনা পরিস্থিতিতে লক ডাউন থাকার কারণে এই দুই বৎসর এই উৎসব বিদ্যালয়ে পালন করা সম্ভব হয় নি।এবারে আমাদের বিদ্যালয়ে ৫ ম বার্ষিক রান্না পূজা উৎসব পালন করা হল।আমরা প্রথম থেকেই বিদ্যাসাগরের জম্মদিনে বিদ্যালয়ে জন্মজয়ন্তী পালনের পাশাপাশি রান্না পূজা উৎসব পালনের দিন স্থির করি। এই উৎসবে বিদ্যালয়ের বর্তমান ছাত্র -ছাত্রী,প্রাক্তন ছাত্র -ছাত্রী, যে যার সামর্থ্য মতো চাল,ডাল,আলু,আনাজ রান্নার মশলা নিয়ে আসে।গ্ৰামবাসীরা তাদের ক্ষেতের উৎপাদিত ফসল (আনাজ) দিয়ে সহযোগিতা করে। অভিভাবক -অভিভাবিকারা দোকান – বাজার দিয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়। বিদ্যালয়ে নানান ব্যাঞ্জন রান্না হয়।

বিদ্যালয়ের ছাত্র – ছাত্রীরা আনন্দ সহকারে তৃপ্তি করে খায়। তাদের মুখে আনন্দের হাসি ফুটে উঠে ” । প্রধান শিক্ষক দেবাশীষ হাজরা দাবি করে বলেন,” বিদ্যালয়েএই রান্না পূজা উৎসব জেলা – রাজ্য তথা সারা ভারতবর্ষে প্রথম মোল্লারচক প্রাথমিক বিদ্যালয় সূচনা করে। আমাদের অনুসরণ করে বর্তমানে অনেক বিদ্যালয় তাদের বিদ্যালয়ে এই রান্না পূজা উৎসব পালন করছে। তিনি গর্বের সঙ্গে বলেন, এই বিদ্যালয় খেলাধুলা, যোগব্যায়াম, সংস্কৃতি তে জেলা তথা রাজ্যে প্রশংসিত হয়েছে এবং হচ্ছে ” ।


শেয়ার করুন

সম্পর্কিত নিবন্ধ