হরিনাভি স্কুলে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের ২০৪-তম জন্মদিনে স্মরণসভা
নিজস্ব প্রতিবেদন : প্রাতঃস্মরণীয় পন্ডিত, শিক্ষাবিদ, সমাজ সংস্কারক ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়ের পুণ্য ২০৪-তম জন্ম দিবস যথাযথ মর্যাদায় আজ পালিত হল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঐতিহ্যমন্ডিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হরিনাভি ডিভিএএস হাই স্কুলে। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের প্রতিকৃতিতে মাল্য দান করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিক্রমজিৎ মন্ডল। এরপর বিদ্যাসাগর মহাশয়ের সুদূর প্রসারী দৃষ্টিভঙ্গি, তাঁর জীবন ও মনন নিয়ে আলোচনা করেন শিক্ষকেরা। তাঁরা ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্দেশে বলেন, সংস্কৃত ভাষা ও সাহিত্যে তাঁর অগাধ পাণ্ডিত্যের কারণে তাঁকে “বিদ্যাসাগর” উপাধি দেওয়া হয়।
শুধু তাই নয় মানুষের যে কোনো সাহায্য সহযোগিতায় তিনি কখনো পিছপা হতেন না, তাই দয়ার সাগর হিসেবেও তিনি পরিচিত হয়েছিলেন। সতীদাহ প্রথা নিবারণ, বিধবা বিবাহের মতো কঠিন সমাজ সংস্কারমূলক কাজে ব্রতী হয়েছিলেন তিনি, দাঁড়িয়ে ছিলেন পাহাড়ের মতো। আমাদের এই হরিনাভি স্কুল তাঁরই চিন্তা প্রসূত ফল। তিনি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাতা দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ মহাশয়কে এখানে স্কুল গড়ে তোলার জন্য পরামর্শ প্রদান করেন। তাঁর সাদাসিধে জীবন, সত্য প্রতিষ্ঠায় দৃঢ়তা, বাঙালির শিক্ষা সংস্কৃতিতে তাঁর যে অবদান, তা সত্যিই চিরস্মরণীয়।
মাইকেল মধুসূদন দত্ত যথার্থই বলেছিলেন, “বিদ্যার সাগর তুমি বিখ্যাত ভারতে। করুণার সিন্ধু তুমি, সেই জানে মনে, দীন যে, দীনের বন্ধু !
এদিনের অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন শিক্ষক জহরলাল নাইয়া।