আমার স্বামী নির্দোষ কোনভাবেই তদন্ত ধামাচাপা দিতে চাননি সিবিআই এর হাতে ধৃত টালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলের স্ত্রীর প্রতিক্রিয়া, পরিবারের পাশে কলকাতা পুলিশের পদস্থ অফিসাররা
বিশেষ প্রতিনিধি : আর জি কর মেডিকেল কলেজের অভ্যন্তরে কর্তব্যরত মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় দোষীদের শাস্তি চাইলেন সিবিআই এর হাতে গ্রেফতার টালা থানার ওসির স্ত্রী সঙ্গীতা মন্ডল। উল্লেখ্য তালা থানার ওসি অভিজিৎ মন্ডলকে গত শনিবার তথ্য প্রমাণ লোপাটের অভিযোগে সিবিআই গ্রেফতার করেছে। অভিজিৎ মন্ডলের গ্রেফতারি পর কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা আজ সার্ভে পার্কে অবস্থিত অভিজিৎ মন্ডলের বাড়িতে যান।
কলকাতা পুলিশের পদস্থ কর্তারা ওই অফিসারের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন এবং তার স্ত্রীকে আশ্বাসও দেন। এরপর অভিজিৎ মন্ডলের স্ত্রী সঙ্গীতা মন্ডল সাংবাদিকদের কাছে বলেন,‘আমারও দুই মেয়ে আছে, আমরাও বিষয়টা বুঝি’। আমার স্বামী কোনভাবেই এই মামলার তদন্ত ধামাচাপা দিতে চাননি বরং তিনি দিনরাত পরিশ্রম করে চেষ্টা করেছেন তদন্তকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে।
সঙ্গীতা মণ্ডলের দাবি, সিবিআই আমাকে ফোন করেই স্বামীকে গ্রেফতারের খবর জানায়। তবে তাঁর স্বামী নির্দোষ বলেই মন্তব্য করে সঙ্গীতার দাবি, আরজি করে পড়ুয়া-ডাক্তাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার তদন্তে উনি সবসময় নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। আমরাও দেখেছি উনি রাতের পর রাত বাড়ি ফেরেননি। দিনরাত এক করে কাজ করেছেন।
এই মুহূর্তে তাঁদের পরিবারের পাশে থাকার জন্য কলকাতা পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন অভিজিৎ মণ্ডলের স্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ, বর্তমানে মামলার মোড় অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
সোমবার দুপুরে অভিজিৎ মণ্ডলের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সার্ভে পার্কের দেবযানী এনক্লেভে পৌঁছেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (চতুর্থ) ভি সলোমান নিশা কুমার, ডেপুটি কমিশনার অফ পুলিশ (ইস্ট ডিভিশন) আরিশ বিলাল এবং ডেপুটি কমিশনার (এসএসডি) বিদিশা কলিতা। পরিবারের পাশে থাকার পাশাপাশি অভিজিতের স্ত্রীকে পাশে থাকার আশ্বাস কলকাতা পুলিশের।
রবিবারই সিবিআই শিয়ালদহ আদালতে জানিয়েছে, আরজি কর-কাণ্ডে অভিজিতের ভূমিকা সন্দেহজনক। পাশাপাশি তদন্তের মোড় তিনি অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে চেয়েছিলেন বলে ধারণা কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের। এরপরেই রবিবার তাঁকে তিন দিনের সিবিআই হেফাজতে পাঠানো হয়।